খোকসা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের নেশা থাকে। তবে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও নেশা বিয়ে করা। টার্গেট করেন ধনী পরিবারের মেয়েদের। বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন তিনি। কিছুদিন মিথ্যা সংসার করে পালিয়ে আসেন কথিত সেই ইঞ্জিনিয়ার। । মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলেন যাতে পূর্বের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ না থাকে। এছাড়াও স্যোসাল মিডিয়া থেকে ব্লক করে রাখেন পুরাতন স্ত্রীকে।
কুষ্টিয়ার খোকসার চাদট গ্রামের বাসিন্দা মৃত জহির উদ্দিন মোল্লার ছোট ছেলে হাসানুজ্জামান শাপরু মোল্লার এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে খোকসা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর মেয়ের সাথে বিয়ে হয় শাপরু মোল্লার। এই সংসারে তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
ব্যবসায়ী নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, শাপরু মোল্লা ঢাকায় চাকরি করলেও আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রচুর অর্থ দাবি করেন। আমি তাকে কখনও ২ লাখ আবার কখনো ৫ লাখ টাকা দিয়েছি। যখন যেভাবে চেয়েছে আমি তাকে সেই পরিমান টাকাই দিয়েছি। মেয়ের সুখের জন্য জামাইকে মাথায় করে রেখেছিলাম। সেই জামাই এমন জঘন্য কাজ কিভাবে করতে পারলো?
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাপরু মোল্লা শশুরের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন ক্লাবে আমোদ ফুর্তি করে বেড়াতেন। এসময় বিভিন্ন ধনী মেয়েদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন তিনি। একটা সময় তাদের ভোগ করার জন্য বিয়ের নাটক সাজান। কিছুদিন সংসারের অভিনয় করে ছেড়ে দেন স্ত্রীকে। নতুন করে বাধেন নতুন সংসার।
গত আগষ্টের ৯ তারিখে ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরের ৭ নম্বর রোডে রৌজানা (ছদ্দ নাম) নামে এক ধনী মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখি বিয়ে করেন শাপরু মোল্লা। বিয়ের ১ মাসের মাথায় স্ত্রী রৌজানার কাছে স্বামী শাপরুর সব কীর্তি ফাস হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্ত্রী রৌজানাকেও ফেলে পালিয়ে যায় শাপরু মোল্লা।
স্ত্রী রৌজানা জানান, বিয়ের কিছুদিন পরেই জানতে পারি তার আগে বিয়ে হয়েছিল এবং দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলে সবকিছু এড়িয়ে যেত। এর কিছুদিন পর আরও জানতে পারলাম, সে আরও কয়েকটি বিয়ে করেছে। আমাকে বিয়ে করে এখন পালিয়ে গেছে। আমার নাম্বার ব্লক করে রেখেছে। ফেসবুকেও ব্লক করে রেখেছে। আমি অনেক যায়গায় খোজ নিয়েও তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।
শাপরু গ্রামের বাড়ি চাদটে খোজ নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। শাপরুর মৃত বড় ভাইও বিয়ে করেছিলেন ৪টি।
শাপরুর এক আত্মীয় জানান, শাপরুর বড় ভায়ের মত শাপরুও বিভিন্ন যায়গায় বিয়ে করে বেড়ায়। আমাদের সাথে তার যোগাযোগ নেই। অনেক দিন গ্রামেও আসে না। কোথায় থাকে, কি করে কেও সঠিকভাবে বলতে পারে না।
এ ব্যাপারে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান শাপরুর স্ত্রী রৌজানা।