নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেসবুকে পরিচয়ের পর এক পর্যায়ে বেনজীর হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক নারীর। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে পরিচয় দেন একজন বৈমানিক ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী হিসেবে।
আসলে তিনি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ওই নারীর কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়ের করেছেন। মামলা তদন্ত করে নড়াইল থেকে অভিযুক্ত বেনজীরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
গত বছরের নভেম্বরে ভুক্তভোগী নারী রাজধানীর ওয়ারী থানায় মামলা করার কিছুদিনের মধ্যে বেনজীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিটিটিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিয়ে করার ফাঁদে ফেলে বেনজীর ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুুুুুুুুুুুুন>>সুবর্ণচরে চুরি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
জানা গেছে, গত বছর মে মাসে ভুক্তভোগী নারী ফেসবুকে শহীদ হাসান নামের একজনের কাছ থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান। ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার পর শহীদ হাসানের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা চলতে থাকে তার।
মূলত শহীদ হাসান নামক ব্যক্তিই বেনজীর হোসেন। তিনি নিজেকে একজন পাইলট পরিচয় দেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বলে জানান। বাস করেন নিউইয়র্ক শহরে।
কথার এক পর্যায়ে নানা আবেগপ্রবণ কথাবার্তায় নারীকে ফাঁদে ফেলেন। তখন তার সঙ্গে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হয় ওই নারীর। একপর্যায়ে প্রতারক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এবং বিয়ে করে তিনি তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন>>রাজশাহীতে আহত বন্ধুকে দেখতে গিয়ে বন্ধুই খুন
এরপর তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে পাসপোর্ট করানোর জন্য ওই নারীর কাছ থেকে একের পর এক টাকা নিতে থাকেন প্রতারক বেনজীর।
এদিকে ব্যাংকঋণ ও ধারের টাকা পরিশোধের চাপ সামলাতে না পেরে বাধ্য হয়ে ওই নারী আসামির সঙ্গে আপস করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি একটি ব্যাংকে চাকরি করতাম। কিন্তু প্রতারকের খপ্পরে পড়ে চাকরি হারিয়েছি। কোটি টাকা হারানোর পর আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
টাকা শোধ করতে পারছিলাম না। বাধ্য হয়ে আমি ৬০ লাখ টাকায় আসামির সঙ্গে আপস করেছি। আমি সেই টাকা বুঝে পেয়েছি।
আরও পড়ুুুন>>একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে গিয়ে প্রতারনা করলেন প্রেমিকা, প্রেমিকের মৃত্যু
সিটিটিসির সাইবার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. সুমন জানান, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আসামির আপস হওয়ার বিষয়ে তিনি জানেন না।
তদন্তে ওই নারীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্যের সত্যতা পেয়েছেন।
Follow