নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ভিক্ষাবৃত্তি শুধু পেটের দায়ে নয়, কিছু মানুষ এটিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তেমনি এক ভিক্ষুকের আয়ের কথা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে! তিনি ভিক্ষার টাকায় জমি কিনে দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। দামি মোটরসাইকেলও আছে তার। এছাড়াও দামি স্মার্টফোনও ব্যবহার করেন তিনি।
অন্যদিকে, মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করেন। সম্পত্তির এই পরিসংখ্যান ভারতের এক ভিখারির। তার নাম ইন্দিরা বাই। তিনি বছরে ২০ লাখ টাকা উপার্জন করেন।
শুধু যে নিজে ভিক্ষাবৃত্তি করেন, বিষয়টা তা নয়। ভিক্ষায় নিয়োজিত করেছেন নিজের তিন সন্তানকেও। এদের মধ্যে তার আট বছরের মেয়েও আছে।
ভারতের ইন্দোর শহরের এই ভিখারি তিন সন্তানকে ‘জোর করে’ ভিক্ষা করানোর দায়ে সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এরপরেই তার সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ সামনে আসতে শুরু করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আটক করার সময় ইন্দিরার কাছে ছিল ১৯ হাজার ২০০ টাকা। ওই টাকা মাত্র ৭ দিনের উপার্জন বলে জানিয়েছেন তিনি। যা অনেকাংশে কর্পোরেট চাকরির বেতনের থেকেও বেশি। এছাড়াও ইন্দিরা ও তার পরিবারের রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি, স্মার্টফোন-সহ অন্যান্য ত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র।
আরও পড়ুন:
-
নীল তিমির জিহ্বার ওজন কত? জেনে নিন, ১৮টি মজার তথ্য!
-
৭০০ কোটি টাকার পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মন্দির! জেনে নিন, এই মন্দিরের গুপ্ত রহস্য!!
-
ব্রকলির উপকারিতা
-
কালচে ঠোট গোলপি করার ১০টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায় এবং টিপস
ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকার শহরগুলোকে ভিক্ষুক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কাজ করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে আসে। এমন গল্প শুধু ইন্দিরা বাইয়ের নয়, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে ৭০০০-এর বেশি মানুষের পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। যারা ইন্দোরের ৯৮.৭ শতাংশ মানুষের থেকে বেশি উপার্জন করেন।
ইন্দিরা বাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আট বছরের মেয়েটিকে শিশুদের জন্য হোমে পাঠানো হয়েছে।