স্পোর্টস ডেস্ক: ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মুম্বাই ২৭৭ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ রানের স্কোর। এরপর কয়েকদিন পর দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৭২ রান করেছিলো কেকেআর। হায়দরাবাদের রেকর্ড স্কোরের চেয়ে ৫ রান কম করেছিলো তারা।
কিন্তু রেকর্ড গড়ে সেটা নিজেরাই ভেঙে দিলো হায়দরাবাদ। আজ (সোমবার) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নিজেদের ২৭৭ রানের রেকর্ড ভেঙে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ গড়লো ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের বিশাল স্কোর। আগের ইনিংসের চেয়েও ১০ রান বেশি করলো এবার তারা।
হায়দরাবাদের এই বিধ্বংসী স্কোরের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান দলটির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেডের। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪১ বলে আউট হন ১০২ রান করে। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন এবং শেষ দিকে এইডেন মারক্রাম ও আবদুল সামান ঝড় তুলে হায়দরাবাদের ইনিংসকে এভারেস্টের চূড়ায় তুলে দেন।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু বোলারদের ওপর রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দিতে শুরু করেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা।
৬ ওভার ৭৬, ৭ ওভারে তারা তুলে ফেলে ৯৭ রান। ৭.১ ওভারে পার করে ফেলে ১০০ রানের মাইফলক। ১১.২ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে ১৫০ রান। ১৫ ওভারে পূরণ করে ২০০ রান। ওভারপ্রতি রান তুলছে ১৪.৩৫ করে।
আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ
২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন ট্রাভিস হেড। এরপর ৩৯ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। মাঝে ২২ বলে ৩৪ রান করা অভিষেক শর্মা ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন রিস টপলির হাতে। ততক্ষণে ৮.১ ওভারে ১০৮ রানের জুটি গড়েছেন তারা।
ট্রাভিস হেড এবং হেনরিক ক্লাসেন মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় ৪১ বলে ১০২ রান করে আউট হন ট্রাভিস হেড। লকি ফার্গুসনের একটি বলকে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বল। ফ্যাফ ডু প্লেসি সেটি তালুবন্দী করেন। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৮টি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান হেড।
হেনরিক ক্লাসেন ছিলেন আরও মারমুখি। যদিও তিনি ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। শেষে আউট হন ৩১ বলে ৬৭ রান করে। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ১৭ বলে এইডেন মারক্রাম করেন ৩২ রান। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।
আবদুল সামাদ ১০ বলে খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কার মার। মূলত শেষ দিকে তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই ২৭৭ রানের রেকর্ড পার হয়ে ২৮৭ রান করতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ।
+ There are no comments
Add yours