নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও।
কাউসার নামের পুলিশ কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা-পুলিশ।
কাউসার কী কারণে মনিরুলকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার (৮ জুন) দিনগত ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি একথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন।
এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে তিন রাউন্ড গুলি লেগেছে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন:
-
ঈদুল আজহা ১৭ জুন
-
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ আজ
-
বাল্য বিবাহ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে: বাবুল আখতার (ভিডিও সহ)
আমরা এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। আক্রমণকারীকে আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’
দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা- এই ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে, সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
+ There are no comments
Add yours