আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি।
তবে জনমত জরিপের পূর্বাভাসে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি এবং পিছিয়ে পরেছে সুনাকের রক্ষণশীল দল। ধারনা করা হচ্ছে ১৪ বছর পর পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালান। শেষ দিনের প্রচারণায় তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুজনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায় তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
জনমত জরিপের ভিত্তিতে রয়টার্স বলছে, ২০ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। জরিপের মাধ্যমে বুঝাই যাচ্ছে রক্ষণশীলদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা। অনেক ভোটার আবার কাউকেই সমর্থন না জানিয়ে পরিবর্তনের কথা বলছেন।
এবার রেকর্ড সংখ্যাক ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ভোটাররা সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটের মাধ্যমে তাদের মত জানাবেন।
এই নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ ছোট–বড় অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য ৩২৬টি আসন নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:
হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ এই নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবার ছয় মাস আগেেই গত ২২ মে হঠাৎ করেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস।
+ There are no comments
Add yours