লিমা পারভীন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়তই আধুনিক থেকে অতিআধুনিকতার দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে এ যুগের বিস্ময়কর দিক। আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করতে এসব প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে প্রযুক্তি ব্যবহারের যেমন কল্যাণকর দিক রয়েছে, তেমনই রয়েছে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।
বর্তমান সময়ে হেডফোন এবং ইয়ারফোন এমন এক প্রযুক্তি যা ছোট-বড়, যুবক-যুবতী প্রায় সবাই ব্যবহার করে; কিন্তু অনেকেই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন না। আবার অনেকে জেনেও অবাধে সেটি ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ছোট্ট এই গ্যাজেটটি আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কি কি প্রভাব ফেলে?
জেনে নিন,
শ্রুতিপথে বাতাসের বাধা: আজকাল প্রযুক্তির বাজারে কিছু হেডফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো পাওয়া গেলেও তার রয়েছে ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি। এসব হেডফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরও বেশি হয়।
শ্রবণশক্তি হ্রাস: ইয়ারফোনে ৯০ ডেসিবলের ওপর শব্দ শুনলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ শ্রবণশক্তি চিরতরের মতো হারিয়েও যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করেন। ১০০ ডেসিবলের ওপর মাত্র ১৫ মিনিট ইয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।
শ্রবণশক্তির জড়তা: যারা ইয়ারফোনে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে।
মস্তিষ্কে সমস্যা: ইয়ারফোন কিছু তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করে, যা থেকে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়৷
আরও পড়ুন>>সাইক্লিংয়ের এই উপকারিতাগুলো জানেন কী?
ইনফেকশন: হেডফোন ব্যক্তিগত থাকাই উচিত৷ কিন্তু অনেকেই তা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকে। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।
কানে ব্যথা: যারা দিনের বেশিরভাগ সময় হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এই সমস্যায় ভোগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ঝিম ধরা আওয়াজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু কানের মারাত্মক ক্ষতির উপসর্গ।
মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব: হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর জারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরও অত্যধিক ঝুঁকিতে ভোগেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। তাই হেডফোন খুব বাজেভাবে আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।