শিরোনাম
bangladesh police association newsasia24
ফাইল ছবি

পুলিশেও সংস্কার দাবি; ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়নের দাবি, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য করা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে ভিলেন হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে তারা।

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ পুলিশের কর্মরত ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তন কর্মকর্তাদের সংগঠন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এসব কথা বলেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরাও চাকরিজীবনে বৈষম্যের শিকার। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে।

আজ কথা বলার সুযোগ পেয়েছি তাই বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সব ছাত্র জনতাকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

তারা বলেন, আপনারা জানেন সারাদেশে শত শত পুলিশ এরই মধ্যে শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এগুলো কোনো ছাত্রদের কাজ নয়।

নিঃসন্দেহে কোনো দুষ্কৃতকারীদের কাজ। দেশবাসী আমাদের অর্থাৎ পেশাগত বাহিনী পুলিশকে তাদের শত্রু মনে করে।

আমরা পুলিশ জনগণের সেবক। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ এ পুলিশ বাহিনীই করেছিল। যে কোনো সংকটে সংগ্রামে আমরা সবসময়ই দেশবাসীর পাশে আছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যে আইন তৈরি করে তা বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যমে রাষ্ট্র প্রয়োগ করে থাকে। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে রোষের সৃষ্টি হয়।

আমরা প্রকৃতপক্ষে নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই, সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক যে কোনো আদেশই পালন করতে হয়।

‘আমাদের অফিসাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ে দুষ্ট। আমরা বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যে কোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই, কোনোভাবেই বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কে জড়াতে চাই না। পুলিশ বাহিনী হিসেবে নিরীহ ছাত্রদের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

আরও পড়ুন ;

আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্য আপনাদেরই কারও না কারও ভাই-বোন-বন্ধু-বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজন। আমরাও আপনাদের সমাজেরই অংশ। দেশের যে কোনো বিপদে অতীতের মতোই আপনাদের পাশে পাবেন।

হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ। আমাদের কোনো সদস্য কোনো অন্যায় কাজ করে থাকলে তার অবশ্যই বিচার হবে।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের এ সুসময়ে আমরা থানা-ফাঁড়ি ও পুলিশি স্থাপনার নিরাপত্তা চাই। পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা চাই। গতকাল (৫ আগস্ট) ৪৫০টির বেশি থানা আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো আপনাদেরই সম্পদ, দেশের সম্পদ।

প্রতিটি পুলিশ সদস্যের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। আমরা বৈষম্যহীন পুলিশ বাহিনী চাই। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চাই। দেশের সবাই এ সুসময়ে একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।

google-news-channel-newsasia24

রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *