ফাহিম শাওন: রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে রাজশাহী। দুপুর হয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। তবে বৃষ্টি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় এক কৃষক জানান, তাদের এখন ধান কাটার মৌসুম। ধানের গাদা করে রেখেছেন বাড়ির উঠানে। সেগুলো ভিজে গেলে পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে আগুনে পোঁড়াতে বা বিক্রি করতে পারবে না।
অন্যদিকে যথেষ্ট রোদ না থাকায় সেগুলো শুকাতেও পারবে না। ফলে ভিজে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হবে তাদের।
আরও পড়ুন>>ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এর প্রভাবে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
রাজশাহীর মেডিকেল অফিসার বায়োজিদ উল ইসলাম জানান, এই বৃষ্টি সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে হয়ে থাকে। এই বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা ও জ্বরের সাথে কাঁশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি মাথা ব্যাথাও হতে পারে।
যাদের নিউমোনিয়া রয়েছে তাদের জন্য এই ধরনের বৃষ্টি খুবই মারাত্মক।
অন্যদিকে শিশুদের জন্য জন্য এই বৃষ্টি খুবই বিপদজনক।ফলে, সবাইকেই এই বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।
এছাড়াও শুধু বৃষ্টি নয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে নানা রোগ হতে পারে।
উল্লেখ্য, সমুদ্র অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টির পুর্ভাবাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এ প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইসহ উপকূলবর্তী সাত জেলায়। বন্ধ রাখা হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর।