মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভাবির সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের বলি হয়েছে প্রবাস ফেরত স্বামী মোঃ উজ্জল মিয়া (৩০)। আর এ হত্যা মামলায় ছোট ভাই ও নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত উজ্জল মিয়া (৩০) উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামের মোঃ রোকমান মোল্লার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিংগাইর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামের রোকমান মোল্লার ছেলে ও নিহতের আপন ছোট ভাই ঝন্টু মিয়া (২৪) ও নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ কাঞ্চন আক্তার মনিরা (২৩) এবং প্রতিবেশি পাশা বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ মিয়া (২২)।
পুলিশ জানান, আসামী ছোট ভাই ঝন্টু ও নিহত বড় ভাই উজ্জল মিয়া উভয়েই সিংগাপুর প্রবাসে থাকাকালে আসামী ঝন্টু মোবাইল ফোনে তার ভাবী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ঝন্টু তার ভাইকে সিংগাপুরে রেখে বাড়ীতে এসে ভাবী সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকে।
ঘটনার ৯ দিন পূর্বে উজ্জল বাড়ীতে আসলে ঝন্টু ও মনিরার অবৈধ সম্পর্কে বিঘ্ন ঘটে। এরপর আসামিরা পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্ত্রী মনিরা স্বামী উজ্জলকে কফির সাথে ঘুমের ওষধ খাওয়ায়ে অচেতন করে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্ত্রী মনিরার সহযোগীতায় ছোট ভাই ঝন্টু মিয়া ও প্রতিবেশি ছেলে মাসুদ মিয়া উজ্জল মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন:
এরপর মরদেহ গুমের জন্য বাড়ির অদূরে ধলেশ্বরী নদীতে নিয়ে যায় এবং প্লাস্টিকের ড্রামের সাথে বেঁধে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দেয়। এর ১৮দিন পর ৩০ অক্টোবর ধলেশ্বরী নদী থেকে উজ্জলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে এঘটনায় নিহতের বাবা রোকমান মোল্লা বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, দেবর-ভাবির পরকীয়ার সম্পর্কে স্বামী উজ্জল মিয়া বাঁধা হয়ে দাড়ায়। তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক ধরে রাখতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours