আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যে শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি লেবাননে হামলা চালিয়ে সংগঠনটির একজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
এর প্রতিশোধ নিতেই বুধবার দফায় দফায় ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। গত কয়েক সপ্তাহে হিজবুল্লাহর কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। খবর এএফপির।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যেও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে।
টাইরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননের এক শীর্ষ হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরান-সমর্থিত সংগঠনটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তাদের শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের নিহত হয়েছেন। তিনি হজ আবু নামেহ নামেও পরিচিত। এছাড়া আরও এক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে নাসেরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তিনি হিজবুল্লাহর আজিজ ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন। তাদের দাবি, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে হামলা চালানোর পেছনে এই ইউনিটই দায়ী।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, নাসের হত্যার প্রতিশোধের অংশ হিসাবে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির দুটি অবস্থানে শতাধিক কাতিউশা রকেট দিয়ে আক্রমণ করেছে।
এছাড়াও ইসরায়েলের একটি অবস্থানে কাতিউশা রকেট, উত্তর ইসরায়েলের দুটি সামরিক স্থানে ফালাক রকেট এবং ভারী বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ রকেট ছোড়া হয়েছে।