শিরোনাম

নারীদের সুস্থ থাকার ১১টি কৌশল

লিমা পারভীন: যে সকল নারীরা কর্মজীবী,তাদের নিজের সঙ্গে নিজের পরিবার কেও সামলাতে হয়। এতো ব্যস্ততায় মাঝে নিজের দিকে তাকানোর সময় আসলে নারীরা খুব একটা পান না।

তবে নিজে শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট না থাকলে কোনো কাজই দীর্ঘদিন করা যায় না। আর নিজেকে ফিট রাখতে প্রয়োজন সচেতনতা। তাই পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজেরও যত্ন নিতে হবে।

healthy-women2-newsasia24

 

আসুন জেনে নেই নারীদের সুস্থ থাকার কৌশল,

১. ঘরে-বাইরে কর্মব্যস্ত জীবনের পরে শরীর ও মনের ওপরে যে চাপ পড়ে তা কাটানোর জন্য নিয়মিত ঘুম খুবই প্রয়োজন।

২. বেশিরভাগ সময়েই কর্মজীবী নারীরা সময়ের অভাবে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে পারেন না যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার কারণে অনেক নারীই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুুন>> সবজি দিয়ে ‘ভেজিটেবল প্যানকেক’ তৈরির রেসিপি

৩. সুস্থ জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি উপাদান। নারীদের বিভিন্ন বয়সে পুষ্টি চাহিদা বিভিন্ন রকম হয়। তাই প্রতিটি কর্মজীবী নারীকে প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে। সঠিক পুষ্টি উপাদান গুলো বিভিন্ন রোগকে দূরে ঠেলে দেয় তেমনি সুন্দর চুল, ত্বক ও স্বাস্থ্য উপহার দেয়।

৪. সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে । পানির মাধ্যমেই অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং দূষিত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

আরও পড়ুন>>জলপাইয়ের সুস্বাদু ঝুরি আচারের রেসিপি

৫. সারাদিনে অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যেমন চা, কফি, চকোলেট খাওয়া উচিত নয়।

৬. সকালের নাশতা কখনও বাদ দেওয়া যাবে না। সকালের নাশতা খুব বেশি ভারি হবে না, এতে হজমের জন্য শরীরে প্রচুর শক্তির অপচয় হয়। সকালের নাশতায় যেকোনো একটি ফল খাওয়া যেতে পারে। ফল হজমশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করে যা সারাদিন মানুষকে কর্মক্ষম রাখে।

৭. খাবারের তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটির পরিমাণ কম রেখে শাকসবজি ও সালাদের পরিমাণ বেশি রাখতে হবে।

আরও পড়ুন>>কম বয়সে পাকা চুল থেকে মুক্তির ১৫ টি ঘরোয়া টিপস

৮. প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার থাকতে হবে। আমিষের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডাল, ডিম, মাছ, মাংস ও বাদাম। যারা নিরামিষভোজী তারা আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য কয়েক প্রকারের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন।

৯. প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আঁশযুক্ত খাবার হচ্ছে তাজা ফলমূল, শাকসবজি, লাল চাল ও লাল আটা।

আরও পড়ুন>>৮টি উপায়ে চিন্তা মুক্ত থাকুন

১০. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের খুব ভালো উৎস হলো দুধ, শাকসবজি ইত্যাদি।

১১. রাতের খাবার হবে খুব হালকা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। এর সঙ্গে সারাদিনে মাত্র ৩০ মিনিট যেকোনো হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করার অভ্যাস করতে পারলেই নারী থাকবে ফিট আর সুস্থ।

google news newsasia24

Follow

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *