নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কবিরাজের বাজারে অবস্থিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১২ জন চাকরি করছেন। প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের।
বর্তমানে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত কর্মরত আছেন ১৮ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা সকলেই সনাতন ধর্মের। এর মধ্যে ১২ জন প্রধান শিক্ষকের পরিবারের।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসন আমলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এমন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে প্রায় এক একর জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয় ২০০২ সালে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জমিদাতা কুলোদা মোহন রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়।
তৎকালীন সভাপতি কুলোদা মোহল রায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে অন্তত কুমারকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন।
অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ায় পর প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ভাই, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে নিয়োগ পাইয়ে দেন।
পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষক নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ছেলে বিমল চন্দ্র রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন:
-
আখেরি চাহার সোম্বা কি ? কিভাবে পালন করা হয়? (ভিডিও)
-
খোকসায় বিএনপির মোটরসাইকেল র্যালি এবং সমাবেশ (ভিডিও)
-
খোকসার পৌরসভার পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য প্রদান
-
হঠাৎ পর্দার হাসিনাকে আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না
দীর্ঘ ১৬ বছরে কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টিকে প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমারের পরিবারতন্ত্রে রূপান্তরিত করার একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে অসন্তোষের দানা বাঁধে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিউ্জ এশিয়া২৪ কে জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই আমি সব করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ-উজ-জামান সরকার বলেন, আমি এখানে নতুন। এ বিষয়ে কিছু জানি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকেছিলাম। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।