শিরোনাম

শিক্ষা

সিলেটে ফল বিপর্যয়: মুখোমুখি শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষকরা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: টানা চার বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেটে পাসের হার কমছেই। জিপিএ-৫ এ কিছুটা ছন্দপতন হলেও পাসের হারে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। এ বছরও সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। গতবারের মতো এবারও জায়গা হয়েছে তলানীতে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবার পেছনে সিলেট।

পাসের হারের সঙ্গে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও সবার পেছনে সিলেট। অর্থাৎ দুই সূচকেই তলানীতে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ব্যর্থতার জন্য গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলকে দায়ী করছে। একইসঙ্গে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক সংকটের কথাও বলছে।

তবে শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা মোবাইল ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় ঢালাওভাবে পাসের কারণে পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আারও পড়ুন>>আজ বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা হলেও মাঠ পর্যায়ে তদারকি, অভিভাবকদের খামখেয়ালীপনা ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির অভাবে ফলাফলে ধস নেমেছে। এটা পুরো জাতির জন্য অশনিসংকেত।

এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এবার সিলেট বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন।

সিলেট বোর্ডের গত ৫ বছরের দেখা গেছে, ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে পাসের হার। ২০২২ সালে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। সর্বশেষ এবছর পাসের হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশে।

আরও পড়ুন>>কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে সরকারি সুবিধা মিলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

টানা চার বছর পাসের হার ধারাবাহিকভাবে কমলেও জিপিএ-৫ এ ছন্দপতন ঘটেছে। ২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ জন, ২০২২ সালে ৭ হাজার ৫৬৫ জন, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৫২ জন এবং সর্বশেষ এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ প্রতিবারের মতো এবারও ভালো করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বছর ৫ হাজার ৪৭১ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছে ৫ হাজার ১৩৪ জন।

এ বছর সিলেট বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাস করেছে ৮০ হাজার ৬ জন।

পিছিয়ে পড়া নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা: খারাপ ফলফলের পেছনে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে শিক্ষকদের গাফিলতির কথাও বলছেন তারা।

আরও পড়ুন>>আজ এসএসসির ফল প্রকাশ

সিলেট সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল সাজিদ বলেন, সিলেটে দক্ষ শিক্ষকের অভাব নেই। কিন্তু শিক্ষকরা যে প্রশিক্ষণ নিয়ে যান সেটা কতটুকু প্রয়োগ করেন সেটা ভাবার বিষয়।

তিনি বলেন, প্রতি বছর সিলেটে তিন থেকে চার সেশনে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর সেটা ভালো করে প্রয়োগ করতে না পারলে লাভ হবে না। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আরও তদারকি বাড়াতে হবে।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ডিন শিক্ষাবিদ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, প্রথমত আমরা যারা শিক্ষক ও অভিভাবক রয়েছি আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।

দ্বিতীয়ত, যেভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠ উপযোগী করে তোলার কথা সেক্ষেত্রেও আমরা পারছি না। তাদের মধ্যে নানা উপসর্গ রয়েছে। কারণ তারা দেখছে তাদের ভাইবোন বিদেশ চলে যাচ্ছে। সেজন্য সে বড় হয়ে ভালো চাকরি করবে সেই চিন্তা নেই। তাদের চিন্তা চেতনার মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করছে। এই অস্থিরতা মনোযোগটাকে কেড়ে নিচ্ছে।

আরও পড়ুন>>রাবিতে গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ

তৃতীয়ত তিনি বলেন, শিক্ষকরা যে দায়িত্ব পালন করছেন সেই দায়িত্বে নিঃসন্দেহে একটা ফাঁকফোকর রয়েছে। তা না হলে অন্য জেলার ছেলেমেয়েরা ভালো ফলাফল করছে। আমার জেলার ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না। এসবের জবাব খুঁজে বের করতে পারলে তলানী থেকে উত্তোরন সম্ভব।

শিক্ষকদের মন্তব্য: সিলেট বোর্ডের সার্বিক ফলাফল খারাপ প্রসঙ্গে চারজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় । তবে কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি।

শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়াশুনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাস করার প্রবণতাও খারাপ ফলাফলের জন্য দায়ী।

তারা আরও বলেন, অনেক সময় নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠান থেকে আটকানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ করে এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীরাই ফলাফল খারাপ করে। যার প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলাফলে।

আরও পড়ুন>>আগুন ধরতেই বিমানটি নদীর দিকে নিয়ে প্যারাসুট দিয়ে লাফ দেন দুই বৈমানিক

তবে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেই বিশেষ করে দায়ী করছেন শিক্ষকরা।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে পাসের হারের প্রভাব পড়েছে গড় ফলাফলে। এবার সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তাছাড়া গণিতে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২২ শতাংশ। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। যার কারণে ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট বোর্ড।

সাধারণ বিজ্ঞানে খারাপ ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশ্নগুলো লটারির মাধ্যমে আসে। এক বোর্ডের প্রশ্ন যায় অন্য বোর্ডে। সিলেটে এসেছে অন্য বোর্ড থেকে। যার কারণে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয় অনেকটা কঠিন হয়েছে। অনেক সময় সিলেবাসে থাকার পরও প্রশ্ন কঠিন করে করা হয়। যেহেতু সিলেবাসের মধ্যেই প্রশ্ন ছিল, তাই সেটাকে কঠিনও বলা যাবে না। তবে অনেকটা ভাগ্যও বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>>‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ গ্রেপ্তার

তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে ভালো ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব দীর্ঘদিনের। তবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। তবে শিক্ষক সংকট এখনও রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অনেক সরকারি বিদ্যালয়েও শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব কারণে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে রয়েছে। যার কারণে পাসের হারও মানবিক বিভাগে কম।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে কতটুকু প্রয়োগ করছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির জন্য মাউশি রয়েছে। কিন্তু মাউশি এ কাজ কতটুকু করছে তারা বলতে পারবে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাউশি বা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তদারকি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষের ঢালাওভাবে পাস দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রশ্ন করেন শিক্ষক, পরীক্ষা নেন শিক্ষক, খাতা মূল্যায়নও করেন শিক্ষক। এখানে বোর্ডের কোনো হাত নেই।

আরও পড়ুন>>বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

ভালো ফলাফলের জন্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কড়াকড়ি করা উচিত উল্লেখ করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এতে বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু কমবে। কিন্তু গুণগত মান বাড়বে। পরীক্ষায় ফরম পূরণের জন্য আমাদের পূর্বশর্ত হলো নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তবে ভালো শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে মানবিক দিক বিবেচনা করতে বলা হয়। তবে সেটা ফেল করা শিক্ষার্থীর জন্য কোনোভাবেই নয়।

google-news-channel-newsasia24

কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে সরকারি সুবিধা মিলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধরে রাখতে না পারলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা ইদানীং একটা প্রবণতা দেখছি- নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে আলিয়া মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর বাইরে যে অনেকগুলো অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে অনেক শিক্ষার্থী চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের (নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর) মনোযোগী হতে হবে। প্রতিষ্ঠান যদি কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধরে রাখতে না পারে সেখানে সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা যাবে না। এরই মধ্যে সেটা আমরা বলেছি এবং এ নিয়ে একটা সমীক্ষাও করবো।

আজ রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী আনতে হবে। ব্যয় বাড়ার কারণে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী চলে যাচ্ছে কি না, সেটিও দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন, ফলাফলের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের পর তিনি বলেছেন, আমাদের বিশেষভাবে ভাবতে হবে যারা ছাত্র…পরীক্ষার্থী হিসেবে ছাত্ররা ১ শতাংশ কম অংশগ্রহণ করেছে, সেটার কারণ কী? ছাত্রদের পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ছাত্রীদের চেয়ে কিছুটা কম। সে কারণটা তিনি অনুসন্ধান করতে বলেছেন। ছাত্র ও ছাত্রীদের সমানভাবে এগিয়ে নিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

আরও পড়ুন:

‘এখন উপবৃত্তি ছাত্র-ছাত্রীদের সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেটা যদি যথাযথভাবে কাজ না করে সেগুলোর পরিবর্তন করে ছাত্ররাও যেন ছাত্রীদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি বলেছেন।’

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি আসন নানা ধরনের ডিপ্লোমা কোর্সে অনুমোদিত আছে। আমরা অনুরোধ করতে চাই, গতানুগতিক উচ্চশিক্ষার ধারায় যদি শিক্ষার্থীরা না যায়, তবে এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ আছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও দ্রুত কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে।

এ বছর এসএসসিতে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল্যায়ন হচ্ছে তা চলতে থাকলে, অকৃতকার্য হওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটি রয়ে যাবে। আমরা চাই সব শিক্ষার্থী যেন নিজেদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষাধাপে উত্তরণ করতে পারে। কী কারণে অকৃতকার্য হয়েছে, সেটা অবশ্যই আমরা দেখবো।

মন্ত্রী বলেন, সমাজে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপানোর একটা সংস্কৃতি রয়েছে। এ থেকে বের হতে হবে।

google-news-channel-newsasia24

আজ এসএসসির ফল প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রবিবার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এ ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বিদেশের কেন্দ্র থেকে এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৫২ পরীক্ষার্থীও।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, রোববার (১২ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুর সাড় ১২টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ফলাফল প্রস্তুতের কাজ শেষ। সব বোর্ড চেয়ারম্যান সকাল গণভবনে আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের ফাইল তুলে দেবেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী তা ব্রিফিংয়ে তুলে ধরবেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পর সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ফলাফল পাবে, তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীকে ফলাফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

আরও পড়ুন:

এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ- SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

google-news-channel-newsasia24

রাবিতে গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী প্রতিনিধি: হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়াও দেখা গেছে।

শনিবার (১১ মে) দিনগত রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ও মাদার বখশ আবাসিক হলের মধ্যবর্তী স্থানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত দেড়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।

সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সোহরাওয়ার্দী হল কমিটির সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়। আতিকুর রহমান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানের কক্ষে ভাংচুর চালানো হয়। পরে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে নিয়াজ মোর্শেদের অনুসারী ছাত্রলীগের কিছু কর্মী হলে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনার পর রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী তিন শতাধিক নেতাকর্মী মাদার বখশ হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

ঘটনা পর্যবেক্ষণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির মাদার বখশ হলে আসেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। পুলিশের সহায়তায় আমরা হলে প্রবেশ করছি। হলের মধ্যে যারা বহিরাগত আছেন তাদের হল থেকে বের করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। পরিস্থিতি শান্ত হলে সার্বিক বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

google-news-channel-newsasia24

ছুটিই থাকছে স্কুল-মাদরাসা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তবে আদালত বন্ধ থাকায় আপিল করা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।

এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আদালতের আদেশের পর আপিল করা হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজধানীর আগারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব, তা পালন করা বাঞ্ছনীয়।’

আরও পড়ুন: 

বিষয়টি নিয়ে জানতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশের কোনো কপি এখনো আসেনি। আর এ পরিস্থিতিতে আপিল করার সুযোগও নেই। কারণ উচ্চ আদালত বন্ধ।’

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে সোমবার এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে, সেগুলোতে যথারীতি ক্লাস চলবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

google-news-channel-newsasia24

অবৈধ কাজের দায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ জাল সনদ তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁও নিজ বাসা থেকে শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: 

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

সূত্র জানায়, আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এবং পীরেরবাগে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল সনদ, সনদ তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।

google-news-channel-newsasia24

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ।

এর আগে আজ সোমবার বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

আরও পড়ুন:

হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে : নজরুল ইসলাম খান

মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না: হাইকোর্ট

শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যার জন্য যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বুয়েটে উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার হাইকোর্টের এই নির্দেশনার পর সাংবাদিকদের বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেন। তখন তিনি জানান, নীতিমালা অনুযায়ী বুয়েটে শিক্ষক রাজনীতিরও সুযোগ নেই।

google-news-channel-newsasia24

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ ২০২৪ ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১০ মার্চ রমজান মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এক অভিভাবকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১০ মার্চ বিচারপতি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন:

প্রসঙ্গত, ০৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

google-news-channel-newsasia24

Follow

এমপিওভুক্ত ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি ৫ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কাটার বিপরীতে নির্দিষ্ট সময়ে অবসর সুবিধা দিতে আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।

এজন্য তাদের অবসর ভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদালতে রিটকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করবেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। পরদিন রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের বীপরিতে ১০ শতাংশ কর্তনের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুুন:

একই সঙ্গে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন এক বছর অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

প্রাথমকি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থীর কান থেকে ডিভাইস বের করলেন চিকিৎসক

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে কানের ভেতরে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রাথমকি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক যুবক। অভিযুক্ত জাহিদ হাসান যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রামের বাসিন্দা।

এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মরজিনা আক্তার জানান, আটক পরীক্ষাথীর কানের ভেতর একটি ও পকেটে আর একটি ডিভাইস ছিল। দীর্ঘ সময় তিনি উত্তরপত্রে কিছুই লিখছিলেন না।

হঠাৎ একটি শব্দ হওয়ায় তার দিকে নজর পড়ে কক্ষের কর্তব্যরত শিক্ষকদের। এ সময় তাকে তল্লাশি করে ডিভাইস পাওয়া যায়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) যশোর সরকারি এমএম কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটকের পর জাহিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কানের ভেতর থেকে ডিভাইস বের করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার ও পুলিশে সোপর্দ করে। পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow