শিরোনাম

ধর্ম

কুষ্টিয়ায় ২৩০ টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গোৎসব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় এবার ২৩০টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে জেলা সদর সহ ৬ উপজেলার পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা রং এর করে চলেছে শিল্পীরা।

এ বছর কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৭২টি, খোকসা উপজেলায় ৬২টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৫টি, মিরপুর উপজেলায় ২৬টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ৮টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ৭টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

কুষ্টিয়া শহরের গোপীনাথ জিউর মন্দির, সদরপুর সার্বজনীন পুজা মন্দির ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির আঁচরের কাজ বাকি রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ জয়দেব বিশ্বাস বলেন, এবার জেলায় ২৩০ টি পুজা মন্দিরে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পূজার মাধ্যমে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গাপুজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ৃন:

এছাড়া পূজা মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যদের পূজামন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পূজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা মন্দিরে পালাক্রমে ডিউটির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কোথাও কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারকে অবহিত করার জন্য সকলকে পরামর্শ দেন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজা মন্দিরে র‌্যাব, পুলিশ ছাড়া আনসার মোতায়েন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

আখেরি চাহার সোম্বা কি ? কিভাবে পালন করা হয়? (ভিডিও)

আজ পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা। মুসলিমদের জন্য এই দিনের তাৎপর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ব্যাপক।

….বিস্তারিত ভিডিওতে…..

কুষ্টিয়ায় শেরে মস্তানের ৪৩ তম ওরশ শুরু

আকরামুজজামান আরিফ, কুষ্টিয়াঃ শহরের পূর্ব মিলপাড়ায় বিশ্ব মানব ধর্ম কেন্দ্র প্রধান কার্যালয়ে আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পীর কেবলা হযরত শাহ সুফি সৈয়দ হামজার নুরুল হুদা ওরফে মুসাফির মৌলা-এ শেরে মস্তান কালেন্দরী (রা:) এর ৪৩তম ওরশের ১ম দিনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন দিনের ওরশ শুরু হয়েছে।

ওরশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো ভক্ত ও আশেকানদের পদচারণায় মুখর ছিল মাজার প্রাঙ্গণ। এছাড়া আলেম, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক শহর আওয়ামী লীগ নেতা কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক এবং ওইতব্য কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর প্রতিষ্ঠাতা ফজলে করিম খোকার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম।

kushtia sere mastan 43 oros newsasia24 2

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মাজারের উপদেষ্টা রবিউল হক খান, উপদেষ্টা ও কাউন্সিলর রিনা নাসরিন, মাজারের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান মো: ওয়াহিদ রনি, সহ অর্থ সম্পাদক নূর আলম, পরিচালনা করেন মাজারের সাধারণ সম্পাদক শাহ সৈয়দ কুতুব মস্তান।

google-news-channel-newsasia24

এর আগে ৫ জুলাই শুক্রবার শেরে মস্তান মাজারে ফজলে করিম খোকা সভাপতি ও কুতুব মস্তানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত হয়।

নতুন কমিটি দ্বায়িত্ব নিয়েই জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সুফি সাধক সেরে মস্তানের ৪৩ তম এবারে জাক জমক ও বৃহত পরিসরে ৪৩ তম ওরশ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:

ওরশে আগত ভক্তরা শান্তিপূর্ণভাবে মাজার জেয়ারত করেন৷ জেয়ারতের সময় ভক্তদের দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকতে দেখা যায়।

এদিকে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত মেহমানদের জন্য থাকা ও তবররুকের আয়োজন করেন মাজার কমিটি ও খাদেমরা।

ওরশকে ঘিরে সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাজার প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল।

অতিথীরা বক্তব্যে শেরে মস্তানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন, এবং আগত শেরে ভক্ত বৃন্দদের সেরে মাস্তানের আদর্শ ধারণ করতে বলেন। আগত বৃন্দরা সারারাত গান ও গজল গেয়ে মাজার প্রাঙ্গনে অবস্থান করেন।

ঈদুল আজহা ১৭ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখা যাওয়া এবং ১৭ জুন ঈদুল আজহা পালনের সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টায় সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুন (১০ জিলহজ) সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

আরও পড়ুন: 

| দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ

| ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

| ক্রেতার অভাবে গুদামে পড়ে আছে ৩০ টন পেঁয়াজ

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ১৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করে থাকেন।

ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ও লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজ পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সরকারি ছুটি থাকবে। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে এবার ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

google-news-channel-newsasia24

সৌদিতে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম মৃত্যু। মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী গত ১৫ মে মদিনায় মারা গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

আজ শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

google-news-channel-newsasia24

আল কোরআন পাঠের উপকারিতা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আল কোরআন পাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কোরআন পাঠ করলে মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি সৃষ্টি হয়। কোরআন পাঠের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যায়।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ আদায় করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা আশা করতে পারে এমন ব্যবসায়ের, যার কোনো ক্ষয় নেই।

এজন্য যে, আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির, আয়াত ২৯-৩০)

কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত : আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মতো, যার ঘ্রাণও উত্তম, স্বাদও উত্তম।

যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের মতো, যার কোনো ঘ্রাণ নেই, তবে এর স্বাদ আছে।

আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃষ্টান্ত রায়হানা ফুলের মতো, যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানজালা মাকাল ফলের মতো, যার ঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত।’ (সহিহ বোখারি ৫৪২৭)

কোরআন পাঠকারী আল্লাহর পরিবারভুক্ত : আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কতক লোক আল্লাহর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কারা? তিনি বললেন, কোরআন পাঠকারীরাই আল্লাহর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং তার বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ ২১৫)

প্রতি হরফে ১০ নেকি : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে।

আরও পড়ুন:

আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ, লাম, মিম মিলে একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মিম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি ২৯১০)

সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ : হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (তিরমিজি ২৯০৯)

কোরআন পাঠকারী শহীদের মর্যাদা : জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) উহুদ যুদ্ধে শহীদদের দুজনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানত? দুজনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কেয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হব। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাজার) নামাজও আদায় করা হয়নি।’ (সহিহ বোখারি ১৩৪৩)

কেয়ামত দিবসে সম্মান : আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কেয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাকো এবং ওপরে উঠতে থাকো। তুমি ধীরস্থিরে পাঠ করতে থাকো, যেরূপ তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) ওটিই, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে।’ (আবু দাউদ ১৪৬৪)

google-news-channel-newsasia24

সারা দেশে পবিত্র শবেকদর পালিত

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র শবেকদর পালিত হয়েছে।

দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করেন।

পরম করুণাময় আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।

এই রাতে করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।

সারা দেশে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেকদরের রজনী কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন>>সেহেরি এবং ইফতারের সময় সূচি-২০২৪

আজ শনিবার (৩০ মার্চ) নামাজের সময়সূচি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ-

আজকের নামাজের সময়সূচি-

সূর্যোদয়- ৫:৫২ মিনিট

সূর্যাস্ত- ৬:১৬ মিনিট

ফজর- ৪:৩৭ মিনিট

জোহর – ১২:০৬ মিনিট

আসর- ৪:৩০ মিনিট

মাগরিব- ৬:১৬ মিনিট

এশা- ৭:৩০ মিনিট

সকল বিভাগীয় শহরের জন্য উপরের সময়ের সঙ্গে যে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা নিম্নরূপ:

যোগ করতে হবে যেসব বিভাগের জন্য-

খুলনা: +০৩ মিনিট

রাজশাহী: +০৭ মিনিট

রংপুর: +০৮ মিনিট

বরিশাল: +০১ মিনিট

বিয়োগ করতে হবে যেসব বিভাগের জন্য-

চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট

সিলেট: -০৬ মিনিট

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) নামাজের সময়সূচি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ-

আজকের নামাজের সময়সূচি-

সূর্যোদয়- ৫:৫৬ মিনিট

সূর্যাস্ত- ৬:১২ মিনিট

ফজর- ৪:৪০ মিনিট

জোহর – ১২:০৭ মিনিট

আসর- ৪:২৯ মিনিট

মাগরিব- ৬:১৫ মিনিট

এশা- ৭:২৮ মিনিট

সকল বিভাগীয় শহরের জন্য উপরের সময়ের সঙ্গে যে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা নিম্নরূপ:

যোগ করতে হবে যেসব বিভাগের জন্য-

খুলনা: +০৩ মিনিট

রাজশাহী: +০৭ মিনিট

রংপুর: +০৮ মিনিট

বরিশাল: +০১ মিনিট

বিয়োগ করতে হবে যেসব বিভাগের জন্য-

চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট

সিলেট: -০৬ মিনিট

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24