শিরোনাম

আইন-আদালত

সাক্ষী মুলতবি করার আবদন খালেদা জিয়ার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সাক্ষী মুলতবি করার আবদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুদক কর্মকর্তা— এমন অভিযোগ এনে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।

আজ রবিবার (২৭ আগষ্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২২ আগস্ট নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ।

গৃহবধূকে গণধর্ষণ: মা ছেলেসহ গ্রেপ্তার-৩

নিউজ এশিয়া২৪:   এক গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে।

আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের মাসহ দুই যুবক ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বেলওয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ পলিন (২৮), তার মা শিরিন আক্তার (৫৫) এবং উত্তর দেবীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ মামলার অপর আসামি মিজানের মা লিপি আক্তার পলাতক রয়েছেন।

মামলা ও পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী শিরিন আক্তার। পরবর্তিতে তাকে মামুনুর রশিদ ও তার সহযোগীদের হা তুলে দেয়। এর পরে মামুনুর রশিদসহ তার সহযোগীরা অপহরন দেখিয়ে ঐ পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেয় তার পরিবার।

আরও পড়ুন: এবার সম্পর্ক ভাঙলো মালাইকার!

পরে রবিবার ২০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তরা লিপি আক্তারের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে পরিবারের হাতে তুলে দেন । পরে ওই গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ওই গৃহবধূর মামা জানান, ভাগনির শরীরে মারধরের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলে সে দুই/তিনটা চড়-থাপ্পড় দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পরে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভিকটিমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় পলাতক অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।। তিনি দেশটির অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার।। তিনি ইমরান খানকে তিন বছর কারাবাসের সাজা ঘোষনা করেছিলেন। তাকে ‘নতুন একটি পদে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে পদটি কি, সেটি জানা যায়নি।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এ ঘোষণার পর অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে নতুন পদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জজ হুমায়ুন দিলাওয়ারকে হাইকোর্টের জুডিশিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত নতুন একটি পদে দিতে নিদের্শ দিয়েছেন আইএইচসির মাননীয় শীর্ষ বিচারপতির।

তবে, গত বুধবার (২৩ আগস্ট) বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার ঘোষিত সাজার রায়ে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল বলে পর্যবেক্ষণ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। এই বেঞ্চটি গঠিত হয়
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালসহ তোন বিচারকের সমন্বয়ে। তার সঙ্গে ছিলেন জামাল খান মান্দোখালিল ও সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকবী। তাদের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরানের আপিলটি আমলে নেন।

প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল বলেন, দায়রা আদালত যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক নয়। ফলে প্রথমেই রিায়ের ত্রুটি ধরা পরেছে। হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে রায় দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের তিন দিনের মধ্যেই বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে ওএসডি করা হলো।

আরও পড়ুন: আবারও দাম বাড়বে পেঁয়াজের

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তোশাখানা বিতর্ক শুরু হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে । রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশিদের দেওয়া বিভিন্ন উপহার নামমাত্র মূল্যে কিনে নিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি । কিন্তু পরবর্তীতে উপহারগুলোর দাম বেশি দেখান তারা। এ ই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতে মামলা করেন । মামলার রায়ে ইমরান খানকে জরিমানা করা হয় ৩ বছর কারাবাস ও ১ লাখ রুপি।