শিরোনাম

টিনেজ প্রেগন্যান্সি কি?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক:  কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরী যখন গর্ভবতী হয় তখন তাকে টিনেজ প্রেগন্যান্সি বলে।

WHO-এর হিসাব মতে, বিশ্বব্যাপী ১ মিলিয়ন কিশোরী প্রতি বছর বাচ্চা প্রসব করে।

UNICEF-এর মতে, প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জন জন্ম নেয় কিশোরী মায়ের গর্ভে।

১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মায়ের দায়িত্ব নিতে পারে না। একজন কিশোরী যখন মা হয় তখন এর প্রভাব পড়ে তারশরীর, আবেগ, সামাজিক জীবনের ওপর।

এর জটিলতা হিসাবে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশু, অল্প ওজনের শিশু, যৌনরোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

উন্নয়নশীল এবং স্বল্প-আয়ের দেশ গুলোতে ৯৫ শতাংশ কিশোরীর গর্ভধারণ করে ।বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য, অপর্যাপ্ত শিক্ষা ,লিঙ্গ বৈষম্য, গ্রামীণ বাসস্থান, গর্ভনিরোধক কম ব্যবহার করা এবং অপর্যাপ্ত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য কিশোরী গর্ভধারণে অবদান রাখে।

আরও জানা যায়, উন্নত দেশের জন্য পর্নোগ্রাফি এবং বিবাহপূর্ব যৌন আচরণ কিশোরী গর্ভধারণের বড় কারণ।

আরও পড়ুন:

 

টিনেজ প্রেগন্যান্সি থেকে মুক্তির উপায়:

টিপিপি জাতীয়ভাবে পালন।

পিতামাতা-সন্তান সম্পর্কে, স্কুল, ক্লিনিক এবং বাড়ি-ভিত্তিক শিক্ষার জন্য ভিডিও বা লিখিত উপকরণ বিতরণ।

বিয়ের আগে চাপ ব্যবস্থাপনা আরেকটি যৌন শিক্ষা যা কিশোরিদের টিনেজ প্রেগন্যান্সি থেকে মুক্তি দেয়।

পিতামাতা-সন্তানদের কন্ডম ব্যবহারের কারণ ও উপকার সংক্রান্ত আলোচনা করা।

কিশোরী গর্ভধারণ এবং এসটিআই প্রতিরোধের জন্য যৌনাচার বর্জন শিক্ষা কার্যক্রম হলো সবচেয়ে কার্যকরী এবং স্বাস্থ্য-উন্নয়নকারী উপায়।

যৌন শিক্ষার উদ্যোগটি যুবকদের যৌনবিরত থাকার বিষয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে তোলে, তাদের সম্পর্কের সীমানা এবং চাপ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে এবং তাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহার এবং যৌন সংক্রামিত রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে অবহিত করে।

কিশোরী গর্ভধারণ প্রতিরোধ একটি সম্মিলিত দায়িত্ব এবং চিন্তা যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এবং সুস্থ জীবনের জন্য সমাজের প্রতিটি সদস্যের অংশগ্রহণের প্রয়োজন।

কিশোরী গর্ভধারণ প্রতিটি সমাজের একটি প্রধান মহামারি ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের সবারই জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক উদ্যোগ রয়েছে যা তাদের সমাজের প্রতিক্রিয়াশীল এবং সক্রিয়ভাবে কিশোর গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে অবদান রাখে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *