ফাহিম শাওন: ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। সেই সাথে উন্নতির পথে বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রগামী বাংলাদেশ। যা বিশ্বে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সাথে প্রতিযোগীতামূলক।
দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর ঘটেছে আমুল্য পরিবর্তন। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ঘটেছে অকল্পনীয় উন্নয়ন। বিশেষ করে মেট্রোরেল এর যাত্রা, যা অনেক উন্নত বিশ্বের চোঁখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর মত।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেইসব সাফল্য বার্তা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে মুঠোফোনের মাধ্যমে।
সেই সাফল্য বার্তাগুলো হলো:
- যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ৭৭৩২ টি প্রতিষ্ঠানে ৯২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার ক্রীয়া সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।
- যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় বর্তমান সরকারের সময়ে ৪০ হাজার কর্মপ্রত্যাশী যুবক ও যুব নারীকে গাড়ী চালনোর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
- যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিকেএসপিতে-তে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম ছিল না । বর্তমান এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টি।
- ২০০৯-২০২৩ সময়কালে ৪৫ টি জেলায় নতুন গ্রন্থাগার ভবন নির্মিত করা হয়েছে।
- যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০০৯-২৩ সাল পর্যন্ত সারা দেশের ১০ লক্ষ ৭৫ হাজার ২০০ জন শিশুকে ক্রীড়ার বিভিন্ন ইভেন্টে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
- ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩৭৮২ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫২২৭ মেগাওয়াট।
- ২০০৬ সালে মোবাইল ফোনের সিম ছিল ১৯ মিলিয়ন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩.৫৩ মিলিয়ন।
- ২০০৬ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ জন।
- ২০০৬ সালে ওয়ার্কিং ফোর্সে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ২১.২%। বর্তমান সরকারের সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩.৪৪%।
- সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার। নারী, শিশু ও সেবাপ্রার্থীদের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২৭ রকম ওষুধ ও সেবা।
আরও পড়ুন>> কুড়ি বছরে পা রাখল দুদক
- নদী ভাঙ্গন ও নবসৃষ্ট এলাকাসহ মোট ৩৬৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ২৭৭৬টি হাট-বাজার উন্নয়ন, ১২৪৬টি সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে।
- ২০০৬ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল (লাখে) ৩৭০ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে কমে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬১ জন।
- ২০০৬ সালে মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল ৫৪%। বর্তমান সরকারের সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.২৫ %।
- ২০০৬ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৭৭%। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে বেকারত্ব কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬%।
- ২০০৬ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাসিক ১৪৬২ টাকা। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৮৩০০ টাকা।
- মুক্তিযোদ্ধার সন্মানী ভাতা ৯০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছে সরকার। উপকৃত হচ্ছে প্রায় ২ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।
- ভবিষ্যতের স্মার্ট প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে শতভাগ শিশুকে উপবৃত্তির আওতায় এনেছে সরকার। ফলে বিনামূল্যে শিক্ষাসুবিধা পাচ্ছে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশু।
আরও পড়ুন>> নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল জাতীয় পার্টি
- ২০০৬ সালে সেচের আওতাভুক্ত কৃষি জমি ছিল ২৮ লক্ষ হেক্টর। বর্তমান সরকারের সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ লক্ষ হেক্টর।
- ২০০৬ সালে কৃষি উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৬১ লক্ষ টন। বর্তমান সরকারের সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন।
- ২০০৬ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫%। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৩০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬%।
- ২০০৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৫,৬৭২টি। বর্তমান সরকারের সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৮,৮৯১ টি।
- ২০০৬ সালে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৩,৪৪,৭৮৯ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৫৭,২০৩ জন।
- ২০০৬ সালে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল মাত্র ৯টি। বর্তমান সরকারের সময়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৬টি।
- ২০০৬ সালে মোট মৎস্য উৎপাদন ছিল ২১.৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। বর্তমান সরকারের সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩.১৪ লক্ষ মেট্রিক টন।
- ২০০৬ সালে চা উৎপাদন ছিল ৩৯ মিলিয়ন কেজি। বর্তমান সরকারের সময়ে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ মিলিয়ন কেজি।
- ২০০৬ সালে লবণ উৎপাদন ছিল ৮.৫৪ লক্ষ মে. টন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে লবণ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২৩.৪৮ লক্ষ মে. টন।
আরও পড়ুন:
বিআরটিসি যাত্রীদের জন্য টোল ফ্রি
দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হলো প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা
নেদারল্যান্ডে রাজনৈতিক সুনামি
ডিপিডিসির এশিয়ান পাওয়ার এ্যাওয়ার্ড -২০২৩ অর্জন
- ২০০৬ সালে পোল্ট্রির সংখ্যা ছিল ১৮ কোটি ৬ লক্ষ ২২ হাজার। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫২ কোটি ৭৯ লক্ষ।
- ২০০৬ সালে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ছিল মাত্র ৫৫%। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৪৩.৭% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৮%।
- ২০০৬ সালে শিশু মৃত্যুর হার ছিল (প্রতি হাজারে) ৮৪ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৪ গুণ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জন।
- ২০০৬ সালে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ০.২৩%। বর্তমান সরকারের সময়ে মোট জনগোষ্ঠীর ৭৩.৫৫% ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
- ২০০৬ সালে আইসিটি খাতে রপ্তানি ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।