লিমা পারভীন: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যতম উপকারী খাবার হচ্ছে কিশমিশ। কিশমিশ খালি মুখে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে খেলে স্বাস্থ্য এর জন্য অনেক উপকার ।
বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ যোগ করলে যেন খাবারের স্বাদও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো অন্য ড্রাই ফ্রুটসের স্বাদ ভালো না লাগলে সেগুলোর সঙ্গে কিশমিশ চিবিয়ে খেতে পারেন। তাতে মিলবে বাড়তি স্বাদ।
আমাদের মধ্যে কিশমিশ অনেক পরিচিত হলেও এটির গুণাবলি অনেকেরই অজানা। জেনে নিন কিশমিশের উপকারিতা-
১. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় উপকারী: কিশমিশে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ উপাদানগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
২. রক্তস্বল্পতায় উপকারী: কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। এ কারণে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩. হজমে উপকারী: নিয়মিত কিছু পরিমাণে কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখদতে সহায়তা করতে পারে। এতে ভালো পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে তা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে আর পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী: কিশমিশে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর অনেক সময় এ কার্যকলাপটি টিউমার এবং কোলন ক্যান্সারের কারণও হতে পারে।
৫. সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে: কিশমিশে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামের একটি উপাদান থাকে। এটি মূলত একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করায় তা জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা ঠাণ্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আরও পড়ুুন:
-
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের পরিবর্তে খান এই ৫ খাবার
-
ভুলেও শীতে মোজা পরে ঘুমাবেন না
-
মরিচ বেশি খেলে আয়ু বাড়ে
-
ভাল ঘুমের জন্য শয়নকক্ষে রাখতে পারেন এই ৪ গাছ
৬. ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ত্বকের কোষকে যে কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করেতে অনেক উপকারী বূমিকা পালন করে কিশমিশ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে বাধা দেয়। এর ফলে এটি বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যাসহ বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা বিলম্ব করতে সহায়তা করে।
৭. ওজন বৃদ্ধিতে উপকারী: ওজন বাড়াতে চাইলে সেরা একটি উপায় হতে পারে কিশমিশ খাওয়া। এই ড্রাই ফ্রুটে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকার কারণে এটি শরীরে প্রচুর শক্তি দিতে পারে।
[button color=”green” size=”medium” link=”https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMKTlpAwwtt2zBA?ceid=US:en&oc=3″ icon=”” target=”true”]Follow[/button]
+ There are no comments
Add yours