শিরোনাম

আন্তর্জাতিক

ভোটে কারচুপির দায় স্বীকার করলেন পাকিস্তানের কমিশনার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের কমিশনার লিয়াকত আলি চাতা। একই সঙ্গে তিনি নিজের ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য জড়িত কর্মকর্তার বিচার চেয়েছেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলি দাবি করেন, পিন্ডিতে ১৩ জন প্রার্থীকে জোর করে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ৫০ হাজার ভোটে পরাজিত প্রার্থীকে ভোট বেশি দেখিয়ে জয়ী করেছি।

আরও পড়ুন>>গোলাবারুদ সংকটে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটলো ইউক্রেন

লিয়াকত বলেন, আমি রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনে অবিচার করেছি। আমি আজ ফজরের নামাজের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। তবে পরে আমি চিন্তা করলাম, আমি কেন মহাপাপের মৃত্যুকে বরণ করে নেব? আমি সব কিছু মানুষের সামনে কেন প্রকাশ করে দেব না?

কমিশনার বলেন, রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনে আমি ভোট জালিয়াতির দায়দায়িত্ব মেনে নিচ্ছি। এবং আমার নিজেকে পুলিশে সোপর্দ করছি।

আরও পড়ুন>>কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির!

কমিশনার লিয়াকত বলেন, তিনি এই শহরে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তবে দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের ভাবমূর্তিকে এভাবে কলঙ্কিত করায় তিনি অনুতপ্ত।

লিয়াকত আরও বলেন, এই কাজ করার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। এখন আমি শান্তিপূর্ণভাবে মরতে চাই। আমি যা করেছি, সে জন্য আমার শাস্তি হোক। আমার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসিপির জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তার শাস্তি হওয়া উচিত।

google-news-channel-newsasia24

Folllow

গোলাবারুদ সংকটে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটলো ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোলাবারুদের অভাবে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। সম্প্রতি ২০২৩ সালের মে মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। তার মধ্যেই গোলাবারুদ সংকটে পিছু হটার কথা জানালো ইউক্রেন।

দেশটির নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য দিয়েছেন ।

কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি কয়েক মাস ধরে মার্কিন কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। এর ফলে ইউক্রেনের গোলাবারুদের ঘাটতি আরও তীব্র হয়েছে।

দেশটির নতুন সেনাপ্রধান বলেছেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা আভদিভকা শহরের বাইরে নিরাপদ অবস্থানে ফিরে গেছেন।

আরও পড়ুন>>কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির!

তিনি বলেন, আমি শহরটি থেকে আমাদের ইউনিটগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রুশ বাহিনী থেকে সৈন্যদের জীবন রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার কারণে কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের আভদিভকা শহরটি রুশ বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

আরও পড়ুুুন>>শিক্ষককে বালিচাপা, প্রেমিকাসহ আটক ৩

ডনবাস অঞ্চলের দুটি প্রদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় আভদিভকা শহরটি দখল করা রাশিয়ার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া, আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রণক্ষেত্রের এই বিজয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আভদিভকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির। রাশিয়ার একটি আদালত তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। খবর আল-জাজিরা।

জানা গেছে, কারাগারে হাঁটাহাঁটি করছিলেন নাভালনি। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন। পরবর্তিতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এসময় অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম তাকে চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু ঘটনার পরপরই চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর কথা জানান। তবে ঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নাভালনি মস্কো থেকে প্রায় এক হাজার নয়শ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনিতে ছিলেন। এটি পোলার উলফ নামে পরিচিত। মস্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরে ওই কারাগারের অবস্থান।

উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন। ২০২০ সালে তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow

পশুর খাদ্য ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে খাচ্ছে গাজার বাসিন্দারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার উত্তরের বাসিন্দারা দিনের পর দিন শিশুদের অনাহারে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি সেনারা। কিছু বাসিন্দা বেঁচে থাকার জন্য পশুর খাদ্যকে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এমনকি সেই শস্যের মজুদও এখন কমে যাচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পানির সংকট তীব্র মাত্রায় দেখা দিয়েছে। অনেকে পানির পাইপ খুঁজতে মাটি খনন করছে।

জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার উত্তরে ছোট শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এই হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয় সংস্থা ওচা জানিয়েছে, গত মাসে গাজার উত্তরে অর্ধেকেরও বেশি ত্রাণ মিশনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কীভাবে এবং কোথায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে সে ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনীর হস্তক্ষেপ বাড়ছে। উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় তিন লাখ মানুষ মূলত সহায়তা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং দুর্ভিক্ষের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি।

আরও পড়ুন:

স্থানীয় চিকিৎসা সহায়তা কর্মী মাহমুদ শালাবি জানান, মানুষ পশু খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত শস্য পিষে ময়দা তৈরি করছে। কিন্তু তাও এখন ফুরিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, ‘মানুষ বাজারে এটি খুঁজে পাচ্ছে না। এটি আজকাল গাজার উত্তরে এবং গাজা সিটিতে পাওয়া যাচ্ছে না।’

google-news-channel-newsasia24

Follow

পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে ধোঁয়াশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা এখনো চলছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৮ আসনে জয় পেয়েছেন। নওয়াজের শরিফের পাকিস্তান মুসলীম লীগ জয় পেয়েছে ৬১ আসনে।

৫০ আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। অন্যন্য পেয়েছে ১৮টি। এখনো ফলাফল ঘোষাণা হয়নি ৪৮ আসনে। স্থগিত আছে এক আসনে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ২৬৫টি। কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪ আসন। তাই প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। অপেক্ষা করতে হবে জোট গঠন পর্যন্ত। কিন্তু জোটের বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

এর আগে তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে তারা কোনো জোটে যাবে না। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনাও হয়নি। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফ ও ভুট্টোর দলের মধ্যে কোনো জোট হবে কি না তাও স্পষ্ট জানানো হয়নি। তাই নতুন সরকার পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের নাগরিকদের অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন:

নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৬ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

পাকিস্তানের নির্বাচনে বোমা হামলা, নিহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যেই বোমা ও বন্দুক হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এসব ঘটনা ঘটেছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার পুলিশপ্রধান রউফ কাইসরানি জানিয়েছেন, কুলাচি এলাকায় পুলিশের একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চার পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে ট্যাংক নামক শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে একজন নিহত হন।

পাকিস্তানের মাকরান ডিভিশনের পুলিশ কমিশনার সাইদ আহমেদ উমরানি জানান, বেলুচিস্তান প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এর আগে বুধবার (৭ ফ্রেবুয়ারি) বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানজুড়ে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। চার প্রদেশের মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা।

আরও পড়ুন: ৭০০ কোটি টাকার পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মন্দির! জেনে নিন, এই মন্দিরের গুপ্ত রহস্য!!

ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বিভিন্ন সড়কে ও ভোটকেন্দ্রে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে গিয়ে প্রতারনা করলেন প্রেমিকা, প্রেমিকের মৃত্যু

তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাকিস্তানজুড়ে সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও। এরপরও খাইবার পাখতুনখোয়ায় বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলো।

স্থানীয় প্রার্থীরা জানায়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের নির্বাচনী প্রার্থী মহসিন দাওয়ার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) কাছে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী এলাকার কিছু ভোটকেন্দ্র স্থানীয় তালেবান জঙ্গিরা দখলে নিয়েছে; যারা ভোটার ও স্থানীয়দের ভোটের আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার ‘মিনি ঢাকায়’ অভিযান, আটক ৪৯০

তবে এই অভিযোগের বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

google-news-channel-newsasia24

Follow

৭০০ কোটি টাকার পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মন্দির! জেনে নিন, এই মন্দিরের গুপ্ত রহস্য!!

৭০০ কোটি টাকার পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মন্দির! কি রয়েছে এই মন্দিরের অভ্যন্তরে?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মন্দিরে রয়েছে ১৮ লাখ ইট এবং সাতটি চূড়া।

এই বছরের আগামী ১৪ তারিখে এই মন্দিরটি উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এটি ভারতে নয়, রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবির কাছে অবস্থিত আবু মুরেইখা এলাকায়।

The largest temple in West Asia worth 700 million rupees! Find out, the secret of this temple-newsasia24!! 2

চলুন, এক নজরে দেখে নিই সবচেয়ে বড় মন্দিরের বৈশিষ্ঠগুলো:

১) এই মন্দির নির্মাণে খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৭০০ কোটি টাকা এবং ৫.৪ হেক্টর জমির উপর তৈরি হয়েছে এই হিন্দু মন্দিরটি।

২) এই মন্দিরটি নির্মানে লেগেছে ১৮ লক্ষ ইট। অন্যদিকে, গোলাপি রঙের বেলেপাথর এবং মার্বেল এর শোভা বাড়ানো হয়েছে, যা দুর্দান্ত।

৩) ৪০ হাজার ঘনমিটারের মার্বেল এবং ১ লক্ষ ৮০ হাজার ঘনমিটারের বেলেপাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে হিন্দু মন্দির।

৪) মোট সাতটি শৃঙ্গ রয়েছে মন্দিরের চারপাশে । প্রতিটি শৃঙ্গ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক একটি আমিরকে চিহ্নিত করে।

৫) গত তিন বছর ধরে রাজস্থান এবং গুজরাত থেকে দু’হাজারেরও বেশি শিল্পী গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। সেখানে গিয়ে মন্দিরের জন্য স্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন তাঁরা।

৬) মন্দিরে থাকা ৪০২টি স্তম্ভ নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন দু’হাজারের বেশি কারিগর। সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি করা হয় এই স্তম্ভগুলি। সাদা মার্বেলগুলি গ্রিসের ম্যাসিডোনিয়া থেকে আনা হয়েছিল।

৭) মন্দিরের অভ্যন্তর দেখেও যেন তাক লেগে যাওয়ার জোগাড়। অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে শুরু করে রয়েছে গ্যালারি। বইপ্রেমীদের জন্য গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে মন্দির চত্বরে।

আরও পড়তে পারেন: 

৮) মজলিসের পাশাপাশি মন্দিরের ভিতরে রয়েছে দু’টি কমিউনিটি হল। দু’টি হল মিলিয়ে পাঁচ হাজার লোক একসঙ্গে বসতে পারেন।

৯) যাঁরা খাওয়াদাওয়া করতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য হিন্দু মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি ফুড কোর্টও। রয়েছে বাগান এবং শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা।

১০) প্রাচীন ভারতীয় শৈলীর অনুসরণেভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে মন্দির। মার্বেল এবং বেলেপাথরের উপর ভাস্কর্য তৈরি করে সেগুলি ভারত থেকে আবু ধাবি পাঠিয়েছেন ভারতের কারিগরেরা।

The largest temple in West Asia worth 700 million rupees! Find out, the secret of this temple-newsasia24!!3

১১) ৪০২টি স্তম্ভের পাশাপাশি হিন্দু মন্দিরে রয়েছে দু’টি ডোম এবং ১২টি সমরন। মন্দিরে পুজো করা হবে রাম, সীতা, কৃষ্ণ, আয়াপ্পান এবং স্বামীনারায়ণের।

১২) আবু ধাবির হিন্দু মন্দিরটি এমন ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে, ভূমিকম্প হলে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা সাতের ঘরে পৌঁছে গেলেও মন্দিরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

জনসাধারণের জন্য মন্দিরটি ১৮ ফেব্রুয়ারি খোলা হবে।

google-news-channel-newsasia24

একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে গিয়ে প্রতারনা করলেন প্রেমিকা, প্রেমিকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তাই ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য রেললাইনে দাঁড়ান তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সরে গেলেন প্রেমিকা। তার চোখের সামনেই চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফিয়ে মারা গেলেন প্রেমিক।

গত (০১-০২-২০২৪) বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ বছর বয়সী প্রেমিক রাজু ভাটের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, পেশায় দিনমজুর রাজুর দুই সন্তান রয়েছে, রয়েছেন স্ত্রীও। তারপরেও রাজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ২০ বছরের এক তরুণীর।

রাজুর পরিচিতরা জানিয়েছেন, দুজনেই বুঝেছিলেন বিয়ে করা সম্ভব নয়। এনিয়ে বৃহস্পতিবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার পরই একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দ্রুতগতি ট্রেনকে সামনে আসতে দেখে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাজু ঝাঁপ দেন।

আরও পড়ুন:

তবে রাজুর পরিবার এখন দাবি করছে, রাজুকে হত্যা করে তাঁর দেহ ট্রেনের সামনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ওই তরুণীর পরিবার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজুর মরদেহ তারা নিতে রাজি হননি।

পুলিশ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

মালয়েশিয়ার ‘মিনি ঢাকায়’ অভিযান, আটক ৪৯০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার ক্লাং শহরে এক অভিযানে ৪৯০ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। শহরের ‘মিনি ঢাকা’খ্যাত জালান আমান পেরদানার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার লোকজন রয়েছে। তাদের অপরাধ, মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত অবস্থান ও সঠিক কাগজ না থাকা। বৈধ ভ্রমণ নথির অভাব ও নানা অপরাধের কারণেও বেশ কয়েকজন আটক হয়েছেন।

আটকদের বয়স ২০ থেকে ৫০ এর মধ্যে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম (ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া) শেষ হওয়ার পর তাদের সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হবে।

দ্যা স্ট্রেইট টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অবৈধ বিদেশিদের ধরতে এ অভিযান পরিচালনা করে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল বুকিত আমান অ্যান্টি-ভাইস, গ্যাম্বলিং ও সিক্রেট সোসাইটিস ডিভিশন (ডি-সেভেন) এবং জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ)।

আরও পড়ুন>>মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল পড়লো বাংলাদেশে

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্য রাত থেকে জালান আমান পেরদানার মিনি ঢাকায় অভিযানটি শুরু হয়।

খবরে আরও বলা হয়েছে, ওই শিল্প এলাকার একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সম্পূর্ণটি বিদেশি শ্রমিকে পরিপূর্ণ ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই নথিভুক্ত ছিলেন না। কোনো বৈধ কাগজ না থাকলেও তারা শিল্প এলাকার অ্যাপার্টমেন্টগুলোর নিচে নানারকম ব্যবসা করে আসছিলেন।

অবৈধ বিদেশিদের ধরতে যৌথ অভিযানে যোগ দেয় ৩০০ সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা। অ্যাপার্টমেন্টের আটটি ব্লকের মধ্যে চারটিতে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এর আগে পুরো এলাকা রেকি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

আরও পড়ুন>>পাকিস্তানে পিটিআই মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৪

দ্যা স্ট্রেইট টাইমস বলেছে, পুলিশ অনথিভুক্ত বিদেশিদের আগমনের বিষয়ে তথ্য স্থানীয়দের অভিযোগ ও নানা উপাত্তের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল। এরপর গত একমাস ধরে মিনি ঢাকা এলাকাটিতে তারা নজরদারি ও তদন্ত চালিয়ে আসছিল।

বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে অভিযানটি শুরু হয়। এ সময় বিদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগ ঘুমিয়ে ছিল। অভিযানের বিষয়টি টের পেতে তাদের সময় লেগে যায়, তাই তারা পালাতে পারেননি। অনেকে অবশ্য চেষ্টাও করে। কিছু লোক ওই অ্যাপার্টমেন্টের ছাড়ে উঠে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযানকারী বাহিনী আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।

আরও পড়ুন>>রাশিয়ায় ৬৫ বন্দি নিয়ে প্লেন বিধ্বস্ত

আটক অনথিভুক্ত বিদেশিরা আশপাশের কারখানায় কাজ করা ও মিনি ঢাকাখ্যাত জালান আমান পেরদানার আবাসন ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ কাজে তাদের নিয়োগকর্তাদের মধ্যে কয়েকজনও জড়িত।

স্থানীয়রা বলছেন, যারা আটক হয়েছেন তারা সাধারণত আমাদের বিরক্ত করে না। কিন্তু সমস্যা হলো তারা একটু অপরিচ্ছন্ন থাকে। এবং তারা প্রকৃতপক্ষে এখানে অসংখ্য। কখনও কখনও মনে হয় তারা এখানে আমাদের (স্থানীয়) চেয়ে বেশি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল পড়লো বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি লোকালয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না। যে কোনো মুহূর্তে ফের গোলাগুলির আশঙ্কা করছেন তারা। মঙ্গলবার রাতেও অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে।

এ অবস্থায় আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি ভাজাবনিয়া সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘাত চলমান। এ সংঘাতে বিভিন্ন সময় নিক্ষিপ্ত গোলা তাদের সীমানা পেরিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী লোকালয়ে এসে পড়ছে।

এতে নিত্যদিনের কাজে ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে কোনার পাড়া এলাকায় বিস্ফোরিত মর্টার শেলের খোসা পাওয়া যায়।

মঙ্গলবারও দিনগত রাতে ঘোনারপাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভাজাবনিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নূরজাহান বেগম বলেন, সীমান্তের ওপারের গোলাগুলিরও ভারী গোলার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। কোনো সময় আবার গোলাগুলি শুরু হয় তা বলা মুশকিল। এ পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুবই ভয় লাগে।

তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক বলেন, মধ্যরাতে গোলাগুলি শুরু হলে ভয়ে কাঁচাঘরের বাসিন্দারা পাড়ার বা কাছাকাছি পাকা দালানে গিয়ে আশ্রয় নেন। গতকাল রাতে যখন আবারও গোলাগুলি শুরু হয় তখন সীমান্ত সড়কের ওপারে আশ্রয় নিয়েছিলাম।

আরও পড়ুন:

সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিপজ্জনক এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। এসময় স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

google-news-channel-newsasia24

Follow