শিরোনাম

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কু‌ড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ‌্যুৎস্পৃ‌ষ্ট হয়ে এক বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭)।

google-news-channel-newsasia24

স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়িতে বৈদ‌্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ‌্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের চিৎকার শুনে বাবা আবু তাহের তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে। পরে বাপ-ছেলে দুইজনই ঘটনাস্থলে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি রিমা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি হয়েছেন রিমা আকতার (২০) নামের এক তরুণী। হবু শ্বশুর বাড়ি থেকে ক্রমাগত যৌতুকের দাবির প্রতিবাদে বিয়ের দুদিন আগে আত্মহত্যা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিমা ওই এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির মনির আহমদের মেয়ে। এদিন রাতেই মেহেদী অনুষ্ঠান ছিলো রিমা আকতারের।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। হলুদ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে আত্মহত্যা করেন এই তরুণী। আত্মহত্যা করার পূর্বে লিখে গেছেন একটি চিরকুট। সেখানে লিখে গেছেন তার না বলা কথা।

সুইসাইড নোটে রিমা লিখে গেছেন- ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছো এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছো। আমি পারছি না এতো যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না, ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা আমি নিতে পারছি না। আমার পরিবারের কাছ থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না, আমি বাঁচতে পারতাম যদি আমি বেশি মান-সম্মানওয়ালা পরিবারে জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে আমাকে কবরে পাঠিয়ো।’

চিরকুটের শেষে রিমা আরও লিখে গেছেন- ‘আর আমার পরিবারকে বলছি, মোরশেদকে তোমরা ছাড়বে না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দিবা।’

আরও পড়ুন>>নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

রিমার পরিবারের সদস্যদের কাছে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হীরা গাজী তালুকদারের বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টায় বৈদ্যুতিক ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে ঝুলে পড়েন রিমা।

দীর্ঘক্ষণ রিমার ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্বজনরা তাকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পান রিমা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।

তৎক্ষণাৎ রশি কেটে তাকে নামিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমা বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মারা যান। রিমা পটিয়া সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুুন>>সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

রিমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ একজন ব্যাংকার। তিনি আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করেন। রিমা ও মোরশেদ দুজন একই এলাকার। তাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কও চলছিল।

রিমার ছোট চাচা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে একই এলাকার ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে রিমার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে আমরা উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই শুক্রবার (২৮ জুন) বিয়ের তারিখ ঠিক করি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে হওয়ার কথা ছিল তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রিমা ও মোরশেদ মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলে পড়ে রিমা।’

আরও পড়ুন>>শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

রিমার বাবা মনির আহমদ ঘটনার জন্য হবু স্বামী মোরশেদকে দায়ী করে তার শাস্তি চেয়ে বলেন, ‘তার লোভের বলি হয়েছে আমার আদরের মেয়ে তারা বরযাত্রীর পরিবর্তে টাকা চেয়েছে, তাতেও আমরা রাজি হয়েছি।

তারা কোনো কিছু (যৌতুক) দাবি নেই বলে আসলেও বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকে একের পর এক যৌতুক দাবি করে আসছিল। আমি তার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এবং সরকারের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’

রিমার ভাই আজগর হোসেন বলেন, ‘বিয়েতে বরযাত্রী খাওয়া-দাওয়া বাবদ মোরশেদের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

তারপরও আমার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে আরও নগদ টাকা দাবি করে। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করার অপমান সইতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তারা যে এতটা যৌতুক লোভী হবে তা আমাদের জানা ছিল না। নিজের প্রাণ দিয়ে আমার বোন তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে গেছেন।’

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের তিস্তা টোলপ্লাজায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাসুদ রানা (৪০) নামে টোল আদায়কারী এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় টোলপ্লাজার টোল ঘর ভেঙে দুমরে-মুচরে যায়।

সোমবার (২৪ জুন) সকালে তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাসুদ রানা জামালপুর জেলার বকসিগঞ্জ থানার ফজল হকের ছেলে। তিনি ৩ বছর ধরে রেগনাম পেন্টা নামে টোলপ্লাজার মালিকের অধীনে কর্মরত ছিলেন।

টোলপ্লাজার লোকজন জানান, সকালের দিকে রংপুর থেকে লালমনিরহাটগামী একটি ১০ চাকার পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ঢুকে পড়ে।

এ সময় চাকায় পিষ্ট হয়ে টোল আদায়কারী মাসুদ রানা নামে এক শ্রমিকের শরীর হতে হাত-পা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । পরে টোলপ্লাজায় ডিউটিরত পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকটিসহ ট্রাকের চালক ও সহকারীকে আটক করে।

খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টোলপ্লাজার স্বত্বাধিকারী রেগনাম পেন্টা গ্রুপের ম্যানেজার শহিদ বলেন, মাসুদ গত তিন বছর থেকে আমাদের কোম্পানিতে সততার সাথে কাজ করে আসছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সেই সাথে ঘাতক ট্রাকচালকের কঠিন শাস্তি চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকচালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত

ফাহিম শাওন: কুষ্টিয়ার খোকসায় মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনটির ১১ জন সদস্য।

শুক্রবার (২১ জুন) মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির উপদেষ্টা সম্রাট হোসাইন এর উদ্যোগে খোকসার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে একশটি নিম গাছের চারা রোপন করা হয়। বৃক্ষরোপন কর্মসূচিটির পরিচালনা করেন সংগঠনটির সদস্য চয়ন, নাসিম ও রাব্বী।

উপদেষ্টা সম্রাট হোসাইন বলেন, মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আমরা বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের জাগলবা, মুকশিদপুর, চাঁদট, বনগ্রামসহ বেতবাড়ীয়ার বিভিন্ন স্থানে একশতটি নিম গাছের চারা রোপন করেছি। এতে পরিবেশ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

উল্লেখিত, খোকসার প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামীণ রাস্তার দুপাশে একশতটি নিম গাছের চারা ও মসজিদ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলজ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে।

আরও পড়ুন:

উক্ত কর্মসূচির পৃষ্ট পোষকতায় পল্লী গ্রুপ, খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা, সোহান কোচিং কুষ্টিয়া, মধু ফ্যাশন কুমারখালী ও খোকসার মা মাটি মানুষেরা। মিডিয়া পার্টনার ছিলো সাপ্তাহিক তিলোওমা, পাক্ষিক স্বাস্থ্যসেবা ও কুষ্টিয়ার সময়।

google-news-channel-newsasia24

সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়াতে এশিয়ান টেলিভিশনের র্স্টাফ রিপোর্টার হাসিবুর রহমান রিজুর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।

আজ রবিবার (২৩ জুন) সকালে কুষ্টিয়া- রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা বাসস্ট্যান্ডে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুমারখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি লিপু খন্দকার, সাধারন সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ, ভোরের কাগজের সাঈদুল ইসলাম প্রবীন, এশিয়ান টিভির খোকসা প্রতিনিধি পুলক সরকার, জবাবদিহির মাল্টিমিডিয়া কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নাজমুল হাসানসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ৷

গত ২০ জুন কুষ্টিয়ার হরিপুরে সাংবাদিক রিজুর উপর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে রিজু ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় কুষ্টিয়া থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাধুখালী গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল খালেক (২৫) নামের এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে শৈলকুপার উপজেলার সাধুখালী গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত আবুল খালেক কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা । তিনি ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত অফিসে লাইন ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল খালেক তার সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করছিলেন। এ সময় বিদ্যুৎ আহিত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জিএম ওমর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, আহত যুবককে শৈলকুপা হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জঙ্গি সন্দেহে ঘেরাও করা বাড়িটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সোয়াট টিম। রবিবার সকালে সদর উপজেলার ভাসাপাড়া পৌঁছে তারা অভিযান চালায়। তবে প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম ছাড়াও আরও কি কি পাওয়া গেছে তা অভিযান শেষ হলে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন।

রবিবার সকাল থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ১৫ সদস্যের দল এসে অভিযান চালায়।

নেত্রকোণা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, তারা গতকাল থেকেই ঘিরে রেখেছিলেন ডুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের বাড়িটি। সেটিতে অভিযান চলমান। ঢাকা থেকে বাড়ির মালিককে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অনেক কিছুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এই আস্তানায় প্রশিক্ষণ দেয়া হতো বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কি পাওয়া গেছে তা অভিযান শেষে বলা যাবে।

এদিকে এ ঘটনায় জেলা শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চলছে বলেও জানা গেছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে বরুণ বিকাশ চাকমা (৫৫) নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার দুদকছড়ার দুর্গম সীমানাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত বরুন বিকাশ চাকমা পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের কমল কৃষ্ণ কার্বারি পাড়ার সুধীর কুমার চাকমার ছেলে।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, রাতে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বরুণ। এ সময় সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে। ঘরের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আমাদের পার্টির একজন সমর্থক।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

বটগাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেলো দুজনের

রাজশাহী প্রতিনিধি: ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, হালকা বাতাস। এতেই উপড়ে পড়ে একটি বটগাছ। এর নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকবাজার রাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চকবাজার এলাকার মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪০) ও একই এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (৪২)।

মো. এহসারুল্লাহ নামের স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাসও বইছিল। এ সময় হঠাৎ গ্রামের পুরনো বটগাছটি উপরে পড়ে। এতে গাছের পাশে চায়ের দোকানে বসে থাকা বেশ কয়েকজন ওই বটগাছের নিচে চাপা পড়েন। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। উদ্ধার কাজ শেষে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

ওসি জানান, এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

google-news-channel-newsasia24

সুনামগঞ্জে ৩ ভাবিকে ছুরিকাঘাত, ১ জনের মৃত্যু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন ভাবিকে ছুরিকাঘাত করেছেন দেবর। তিন জনের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে স্বপ্না বেগম (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ১৮ বছর বয়সী দেবর আইনুল হক পলাতক। নিহত স্বপ্না বেগম (৩৫) নবাব মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার চার ছেলে। এর মধ্যে তিন জন বিবাহিত। সবাই একই পরিবারে বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক নানা ঝামেলা ছিল।

এর জের ধরে শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভাইদের সবার ছোট জন ঘরে থাকা তাঁর তিন ভাবি স্বপ্না বেগম (৩৫), মর্জিনা বেগম (৩০) ও ইয়াসমিনকে (২৬) ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।

আহত নারীরা চিৎকার শুরু করলে আইনুল হক পালিয়ে যান। পরে আহত নারীদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন:

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাকি দুই জনের অবস্থা গুরুতর হলে তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দেবরকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।

google-news-channel-newsasia24