শিরোনাম

সারাদেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অপহরণ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাত্রীর নাম দিপীতা চাকমা । রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে সাজেকের রুইলুইপাড়া পর্যটনকেন্দ্রের অদূরে জিরো মাইল নামক স্থান থেকে দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিপীতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী।

জানা গেছে, দিপীতা চাকমা তার বন্ধুদের নিয়ে সাজেকে বেড়াতে যায়। এ সময় জিরো মাইল এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। পরে তার বন্ধুরা সাজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করলে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, এক পর্যটক অপহরণ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, দুপুর ১টার কিছু আগে ওই ছাত্রীকে শিজকছড়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গাড়ির গতিরোধ করে অপহরণ করে। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। আমরা আশা করছি ওই ছাত্রীকে শিগগিরই উদ্ধার করতে পারব।

আরও পড়ুন:  চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা বাঘাইহাট জোনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হবে।

চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

নিউজ এশিয়া ডেস্ক: মাকে হত্যার দিয়ে ছেলের যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।

জানা গেছে, ছালেহা খাতুন (৮০) নামে এক নারীকে হত্যা করে তার ছেলে আবুল কালাম বাহার (৫০)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।

হত্যার শিকার ছালেহা খাতুন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজিবাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার তার ছেলে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামি বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে এলোমেলো কথাবার্তা বলার কারনে তার স্ত্রী চলে যান। এরপরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাহার তার মায়ের ঘরে ঢুকে।মারধর করেন।

বাহার তার মাকে ধাক্কা দিলে ঘরের দরজার আংটা মায়ের চোখে ঢুকে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ঘরের অন্য সদস্যরা ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পরদিন ২৪ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরও ধৈর্যধারণ করা উচিত: আইনমন্ত্রী

মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়াকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।

গৃহবধূকে গণধর্ষণ: মা ছেলেসহ গ্রেপ্তার-৩

নিউজ এশিয়া২৪:   এক গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে।

আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের মাসহ দুই যুবক ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বেলওয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ পলিন (২৮), তার মা শিরিন আক্তার (৫৫) এবং উত্তর দেবীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ মামলার অপর আসামি মিজানের মা লিপি আক্তার পলাতক রয়েছেন।

মামলা ও পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী শিরিন আক্তার। পরবর্তিতে তাকে মামুনুর রশিদ ও তার সহযোগীদের হা তুলে দেয়। এর পরে মামুনুর রশিদসহ তার সহযোগীরা অপহরন দেখিয়ে ঐ পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেয় তার পরিবার।

আরও পড়ুন: এবার সম্পর্ক ভাঙলো মালাইকার!

পরে রবিবার ২০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তরা লিপি আক্তারের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে পরিবারের হাতে তুলে দেন । পরে ওই গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ওই গৃহবধূর মামা জানান, ভাগনির শরীরে মারধরের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলে সে দুই/তিনটা চড়-থাপ্পড় দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পরে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভিকটিমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় পলাতক অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।