নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে তাঁকে ডালিম বা বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বেদানায় ফাইবার, ভিটামিন কে, সি এবং বি, আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টিগুণ থাকে।
তবে বেদানায় অনেক গুন থাকলেও সবার জন্য এটি মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক কাদের এই বেদেনা খাওয়া ঠিক হবে না?
ত্বকের অ্যালার্জি: যাদের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারন, ডালিম খেলে শরীরে রক্ত বাড়ে।
বেদানায় এমন কিছু উপাদান আছে যা অ্যালার্জির সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার ত্বকে অ্যালার্জি থাকলে, আপনি যদি ডালিম খান, তাহলে আপনার শরীরে লাল গোটা বেরোতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে: যাঁদের রক্তচাপ কম, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেদানায় একটি শীতল ভাব রয়েছে, যা আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন রক্তচাপের জন্য ওষুধ গ্রহণকারীরা ডালিম খেলে ক্ষতি হতে পারে। এতে উপস্থিত উপাদানগুলি ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তবে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের জন্য বেদেনা আশির্বাদ।
অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে: যাঁরা অ্যাসিডিটিতে ভোগেন, তাঁদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। ডালিমের ঠান্ডা প্রভাবে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। যার কারণে পেটে খাবার নষ্ট হতে শুরু করে।
কাশিতে ভুগলে: বেদানা ঠাণ্ডা প্রকৃতির, তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের লোকেরা যদি প্রচুর পরিমাণে ডালিম খান, তবে তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুন:
-
আবহাওয়ার পরিবর্তন: ঠান্ডা-সর্দি-জ্বর প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়
-
5 Immunity Booster Food: এই ৫ খাবারেই পাবেন শক্তিশালী ইমিউনিটি
- ত্বকের মাধ্যমে রোগের লক্ষন নির্নয় করবেন যেভাবে
বেদানা সাধারনত ঠান্ডা ফল। তাই সাধারনত গরমকালেই এই ফল খাওয়া হয়। যাদের সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে তাদের বেদানা খওয়া উচিত নয়। এর ফলে আরো ঠান্ডা লাগতে পারে। তাদের বেদানার পরিবর্তে গরম কিছু খাওয়া উচিত।
মানসিক রোগে আক্রান্ত: মানসিক রোগে আক্রান্ত যেসব রোগীরা, যারা নিয়মিত মানসিক রোগের জন্য ওষুধ খান তাদের জন্য বেদানা প্রায় বিষের সমান।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়।
কারণ বেদানায় একটি শীতল ভাব রয়েছে, যা আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়। এবং ঠান্ডা হওয়ার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
+ There are no comments
Add yours