নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে রেহাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস এবং অমানবিক নৃশংসতার ঘটনা ঘটালে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।
২ অক্টোবর লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে তার সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি ।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। তো বয়স তো আশির ওপরে, এমনি তো মৃত্যুর সময় হয়ে গেছে, তার মধ্যে অসুস্থ, তো এখানে এত কান্নকাটি করে তো লাভ নাই।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার কিছুই করার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন তাই করেছেন।
ছেলে কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেবার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল।
জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক লোক গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিলো এবং তারা অমানবিক জীবনযাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে।
উল্টো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সমস্ত সংস্কার করেছে।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক।
+ There are no comments
Add yours