শিরোনাম

জাতীয়

হাসিনার সাথে মোদির আসল সম্পর্ক

হাসিনার সাথে মোদির আসল সম্পর্ক

 

হাসিনার সাথে মোদির আসল সম্পর্ক|| hasina and modi relation|| newsasia24 The links between the republics of modern-day India and Bangladesh are civilizational, cultural, social, and economic. There is much that unites the two countries – a shared history of the and common heritage originating from the Bengal region, linguistic and cultural ties, passion for music, literature and the arts. #news #newsong #newsupdate #bdnews #hasina #modi #india #poltics #newsasia24 ‪@subscriber‬ #viralvideo #viralshorts #viralvideos আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং আধাসামরিক বাহিনী বিক্ষোভের সময় নৃশংস দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়, যার ফলে ছাত্রদের হত্যা করা হয়। আগস্টের মধ্যে, বিক্ষোভ তীব্রতর হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়, যার পরিণামে হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান।

শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের ‘এনআইডি লকড’

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করা হয়েছে। এতে তাদের এনআইডি দিয়ে আর কোনো সেবা মিলবে না।

কেননা, এখন আর তাদের এনআইডি ভেরিফাই করার সুযোগ থাকবে না।

বিষয়টি ইসির এনআইডি শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই মাস আগে এটা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়েছে। তবে ভিভিআইপিদের এনআইডি তাদের দিক থেকেই লক করার জন্য বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি নিজেই লক করার জন্য বলতেন, যেন কেউ মিসইউজ করতে না পারে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন আবার লক ছাড়ানো হয়।

তিনি বলেন, এনআইডি লক হলে ভোট দিতে বা প্রার্থী হতে কোনো অসুবিধা নেই।

ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে ১০ জনের এনআইডি লক (Lock) করা হলো।

seikh-hasina-family-nid-locked-newsasia24

আরও পড়ুন: 

এনআইডি লক করা ১০ জন হলেন— শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ইসির এনআইডি শাখার সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এনআইডি লক হলে কার্ডটি আর ব্যবহার করা যায় না। এ ছাড়া মিথ্য তথ্য দিয়ে ভোটার হলে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি লক করা হয়। অধিকাংশ সময় ভিপিআইপি অনেকের অনুরোধেও এনআইডি লক করা হয়, যাতে কেউ অপব্যবহার করতে না পারে। তাদের অনুরোধে আবার আনলক করা হয়।

বর্তমানে হাসিনা ও শেখ পরিবারের ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে এনআইডি ভেরিফাই করতে হয়।

৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য ২০১৫ সাল হতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে সরকার। ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় এ অবরোধের বিরোধিতা করে আসছিলেন জেলেরা।

প্রতিবেশী জেলেদের আগ্রাসন বন্ধে পালন করেন সময়সীমা কমিয়ে পেছানোর জন্য মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। তাই জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবছর ভারতের সঙ্গে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

অবরোধের সময়সীমা কমিয়ে পুনর্বিন্যাস করায় উচ্ছ্বসিত রয়েছেন জেলেরা। তাই এ অবরোধকে স্বাগত জানিয়ে ইতোমধ্যে অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে থেকে তীরে ফিরেছেন। এছাড়া এখনো যে সকল জেলেরা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তারা ১৪ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যে তীরে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা। তবে অবরোকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদেয় প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো, নিষেধাজ্ঞা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রণোদনা প্রদানের এবং সাগরে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।

আরও পড়ুন:

লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব জেলে মোসলেম মিয়া বলেন, “আমরা শুনেছি এই ৫৮ দিনে মাত্র ৭৭ কেজি করে চাল পাবো। আমার পরিবার ছয় সদস্যের। এ চাল আসলে অপ্রতুল। তাই সরকারে কাছে অনুরোধ আমাদের যেন চালের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক সময় প্রকৃত জেলেরা চাল পায় না। আমরা যারা নিবন্ধিত জেলে রয়েছি আমরা যেন চাল পাই, সে ব্যবস্থা যেন করা হয়।”

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, “জেলায় প্রায় ৮১ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে ৪৭ হাজার। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রত্যেক জেলেকে ৭৭ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। এছাড়া অবরোধ শতভাগ সফল করতে আমাদের প্রচারণা চলছে। অবরোধকালীন সময়ে সমুদ্রে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ টহল পরিচালনা করবেন।”

google-news-channel-newsasia24

বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ সারা পৃথিবীর জন্য: ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। একসময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের একপর্যায়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য তার কণ্ঠ রোধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগে অবদান রাখার জন্য চার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ওয়ালটন (দেশি বিনিয়োগকারী) বিকাশ (বিদেশি বিনিয়োগকারী), স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ও ফেব্রিকস। এছাড়া বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং-কে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।

google-news-channel-newsasia24

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার

ঢাকা (উত্তর) প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, উত্তরা থানায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে একজন ছাত্র হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। ছাত্রটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সে এখনো চিকিৎসাধীন। উত্তরা পশ্চিম থানা ছাড়াও নিলফামারীতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন: 

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে দেখা করার অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।

তুরিন আফরোজ ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

এবার স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে যা থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, এদিন ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। খবর বাসসের

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।

ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। এদিন সরকারি ছুটি থাকবে।

আরও পড়ুন: 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি, হাডুডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন করবে।

মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।

দেশের সব শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে সাংবাদিকতা নয়: কাদের গনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘‘প্রতিটি দিন দুটি সূর্য উদিত হয়, একটি হচ্ছে প্রভাত সূর্য, অন্যটি হচ্ছে সংবাদ। সূর্যের আলোতে আমরা দেখি, আর সংবাদমাধ্যম আমাদের বিশ্ব দেখায় বা জানায়। একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে সাংবাদিকতা নয়।’’

আজ রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘‘সংবাদপত্র একটি মহান পেশা। সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ বলা হয়। সাংবাদিকরা সমাজের ওয়াচডগ করেন। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সব সময় সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয়।’’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘‘অর্ধ সত্য নয়, অথবা সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ নয়, সাংবাদিকদের প্রকাশ করতে হয় সম্পূর্ণ সত্য। আমি সোজা সাপ্টা বলি, অর্ধসত্য কখনো সাংবাদিকতা হতে পারে না। সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নানা ঝুঁকিতে পড়তে হয়। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকরা এই মহান কাজটি করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: 

অসহায় আত্মসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় আমরা দেখেছি, সাংবাদিকদের একটা বিশাল অংশ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। যার কারণে আমরা আয়না ঘরের মতো চিত্র দেখেছি। যার কারণে শেখ হাসিনার দুর্নীতির খবর, সেনা প্রধানের দুর্নীতির খবর আমরা বাংলাদেশে পায়নি, পেয়েছি বিদেশে। কেবলমাত্র আমাদের অসহায় আত্মসমর্পণের কারণে অথবা সাংবাদিকদের দলদাসগীরির কারণে।’’

কাদের গনি চৌধুরী আরো বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, সত্য কাজে বাধার সম্মুখীন হলেও সত্যের পাশে সমাজের মানুষ পাশে এসে দাঁড়ায়। সাংবাদিকতা কখনো মুর্খ জনের পেশা নয়। সাংবাদিকতা বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের পেশা। বস্তুনিষ্টতা ছাড়া সংবাদিকতা পর্যায়ে পড়ে পড়ে না। যারা দায়িত্বহীনভাবে সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করেন, তারা আর যায় হোক সাংবাদিক নয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে সংবাদ মাধ্যমের দায়বদ্ধতা হলো সমাজের কাছে, দেশের কাছে, মানুষের কাছে। বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলতে কিছু ছিল না। সেই যায়গা থেকে আমাদের সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে, তথ্য সন্ত্রাস ও হলুদ সাংবাদিকতা থেকে বাঁচাতে হবে। আমরা কারো কাছে বিক্রি হবো না, সরকারের কাছে মাথা নত করব না। আমরা সত্যকে সত্য বলেই সাংবাদিকতা করব।’’

এ সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাবেক সংসদ সদস্য মেহেদী আহম্মেদ রুমী, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক সামিমুল হাসান অপু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, কুষ্টিয়া জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিকুল হক তারিকসহ জেলার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু; আসামিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া সেই শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

ঢাকা সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ জানিয়েছেন, আজ সকালে দুই দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। বেলা ১২টায় আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ মামলার আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

উপদেষ্টা বৃহস্প‌তিবার এক শোকবার্তায় শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

google-news-channel-newsasia24

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ; ৬ মাসের মধ্যেই বিচার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পরদিন ওই শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: 

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

google-news-channel-newsasia24

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরী বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা নিয়ে আলোচনা সভা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: নাগরিক উদ্যোগ ও বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরাম আয়োজিত ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরী বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় ঢাকার তোপখানা রোডস্থ সিরডাপ (শামসুল হক মিলনায়তন) এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশন এর প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া আরও আলোচনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর পরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ বরকত আলী, সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি কৃষ্ণা লাল, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস) মোঃ মামুন চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

Sanitation workers newsasia24 2

পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরামের সমন্বয়কারী গগণ লাল, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, লালমনিরহাটের ঘুগলু বাবু বাঁশফোর, খুলনার কার্তিক রাম রাউত, ভোলার স্বপন কুমার দে, মৌলভীবাজারের ধ্রুব বাঁশফোর, ঢাকার পঙ্কজ বাঁশফোর।

নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় সম্প্রতি প্রয়াত বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে ০১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ 

এরপর লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খুলনা এবং ভোলা জেলায় পরিচালিত গবেষণাকর্মের উপর উপস্থাপন করেন তরুণ গবেষক ফারহান হোসেন জয়।

গবেষণাকর্মটিতে মোট ১৬৬ জন (পুরুষ- ৯১, নারী- ৭৫) স্যানিটেশন কর্মীর কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য মতে জেলাভিত্তিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মজুরী, জীবনমান, কর্মপরিস্থিতি, কাজের ধরণ এবং চুক্তির কাঠামো, সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, মজুরী ও জাতীয় গড় আয়ের তুলনা, স্বাস্থ্যসেবা, উৎসব ও অবসরকালীন ভাতা, বাসস্থান, জীবনযাত্রার খরচ, আয় বৈষম্য, স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো উঠে আসে। উপস্থাপক সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ, বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি, দলিত কলোনীতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, স্বাস্থ্যবীমা চালু, আউটসোর্সিং বন্ধ, বর্জ্য অপসারণে আধুনিকায়নের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন।

সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রবল। তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি শোভন কর্মপরিবেশ, মর্যাদা ও সম্মানজনক মজুরী নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে।

ব্লাস্ট এর পরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ বরকত আলী বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই। পূনর্বাসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। চলতি বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০/- মূল বেতন, আনুসাঙ্গিক মিলে প্রায় ২০,০০০/- পান একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অথচ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যে নামমাত্র মজুরী বা বেতন পান, তার সাথে এটির আকাশ-পাতাল তফাৎ। সরকারী আইনগত সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে তাদের আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অধিকার আন্দোলনে হরিজননেতা নির্মল চন্দ্র দাস ও স্ক্যাভেঞ্জার ইউনিয়ন নেতা কমরেড নাসিম আলী’র অবদান অনস্বীকার্য। আউটসোর্সিং হলে সর্বস্তরে হতে হবে, কেবলমাত্র গরীব শ্রমিকদের বেলায় কেন? ক্লিনিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থানায় যুক্তদের বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে সামনে আনা জরুরী। এপর্যন্ত শতকরা ০৫ ভাগ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে, এই কি স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জন?

কাপ এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত বলেন, নগর দরিদ্রদের বড় অংশই হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পাদুকাশ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার দলিত জনগোষ্ঠী। মহানগরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, ফলে তাদের সম্মানজনক মজুরী নিশ্চিতকরণ জরুরী। তারা একজন কর্মী বা শ্রমিক হিসেবে ন্যায্য প্রাপ্য পাচ্ছে না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক তাদের জন্য রেশন, স্বাস্থ্যসেবা কার্ড, সুপেয় পানীয় ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি কৃষ্ণা লাল বলেন, আমরা এখনও অনেকটা দাস হিসেবে আছি। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিযুক্ত করলেও আমাদের দিয়ে কুলির কাজও করানো হয়। কর্তপক্ষের আদেশে/ চাপেই আমাদের বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গেজেট হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। সিটি কর্পোরেশন ভেদে নিয়োগ, মজুরী ও সুবিধাদিতে বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে; এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস) মোঃ মামুন চৌধুরী বলেন, নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়েও আমরা কাজ করছি, যেটি আরও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। তাদের সর্বস্তরে অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বঞ্চনা ও অবহেলা প্রত্যক্ষ করেছি। অদূর ভবিষ্যতে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। প্রথমত ‘ক্লিনার’, পরে ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মর্যাদা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, যখন এদেশে দলিত-পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা হয় তখন সেটা আলাদা কোনও দেশ ছিলো না। জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, ফলে আমরা বাইরে থেকে আসিনি। শ্রম আইনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনুপস্থিত; স্বীকৃতিহীন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টিও আলোচনায় আনতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সংস্কার কমিশন এর প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সবাইকে উপনিবেশিক ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও আন্তরিকতার সাথে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংশ্লিষ্ট দাবী ও সুপারিশ বিবেচনা করবে। একইসাথে তাদের জায়গা থেকে যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবী আদায়ে মাঠের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আশা করছি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তথা দলিত-হরিজনদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য ও বঞ্চনার অবসান হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

google-news-channel-newsasia24