শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

সিলেটে ফল বিপর্যয়: মুখোমুখি শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষকরা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: টানা চার বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেটে পাসের হার কমছেই। জিপিএ-৫ এ কিছুটা ছন্দপতন হলেও পাসের হারে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। এ বছরও সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। গতবারের মতো এবারও জায়গা হয়েছে তলানীতে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবার পেছনে সিলেট।

পাসের হারের সঙ্গে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও সবার পেছনে সিলেট। অর্থাৎ দুই সূচকেই তলানীতে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ব্যর্থতার জন্য গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলকে দায়ী করছে। একইসঙ্গে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক সংকটের কথাও বলছে।

তবে শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা মোবাইল ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় ঢালাওভাবে পাসের কারণে পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আারও পড়ুন>>আজ বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা হলেও মাঠ পর্যায়ে তদারকি, অভিভাবকদের খামখেয়ালীপনা ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির অভাবে ফলাফলে ধস নেমেছে। এটা পুরো জাতির জন্য অশনিসংকেত।

এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এবার সিলেট বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন।

সিলেট বোর্ডের গত ৫ বছরের দেখা গেছে, ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে পাসের হার। ২০২২ সালে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। সর্বশেষ এবছর পাসের হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশে।

আরও পড়ুন>>কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে সরকারি সুবিধা মিলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

টানা চার বছর পাসের হার ধারাবাহিকভাবে কমলেও জিপিএ-৫ এ ছন্দপতন ঘটেছে। ২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ জন, ২০২২ সালে ৭ হাজার ৫৬৫ জন, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৫২ জন এবং সর্বশেষ এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ প্রতিবারের মতো এবারও ভালো করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বছর ৫ হাজার ৪৭১ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছে ৫ হাজার ১৩৪ জন।

এ বছর সিলেট বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাস করেছে ৮০ হাজার ৬ জন।

পিছিয়ে পড়া নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা: খারাপ ফলফলের পেছনে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে শিক্ষকদের গাফিলতির কথাও বলছেন তারা।

আরও পড়ুন>>আজ এসএসসির ফল প্রকাশ

সিলেট সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল সাজিদ বলেন, সিলেটে দক্ষ শিক্ষকের অভাব নেই। কিন্তু শিক্ষকরা যে প্রশিক্ষণ নিয়ে যান সেটা কতটুকু প্রয়োগ করেন সেটা ভাবার বিষয়।

তিনি বলেন, প্রতি বছর সিলেটে তিন থেকে চার সেশনে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর সেটা ভালো করে প্রয়োগ করতে না পারলে লাভ হবে না। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আরও তদারকি বাড়াতে হবে।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ডিন শিক্ষাবিদ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, প্রথমত আমরা যারা শিক্ষক ও অভিভাবক রয়েছি আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।

দ্বিতীয়ত, যেভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠ উপযোগী করে তোলার কথা সেক্ষেত্রেও আমরা পারছি না। তাদের মধ্যে নানা উপসর্গ রয়েছে। কারণ তারা দেখছে তাদের ভাইবোন বিদেশ চলে যাচ্ছে। সেজন্য সে বড় হয়ে ভালো চাকরি করবে সেই চিন্তা নেই। তাদের চিন্তা চেতনার মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করছে। এই অস্থিরতা মনোযোগটাকে কেড়ে নিচ্ছে।

আরও পড়ুন>>রাবিতে গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ

তৃতীয়ত তিনি বলেন, শিক্ষকরা যে দায়িত্ব পালন করছেন সেই দায়িত্বে নিঃসন্দেহে একটা ফাঁকফোকর রয়েছে। তা না হলে অন্য জেলার ছেলেমেয়েরা ভালো ফলাফল করছে। আমার জেলার ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না। এসবের জবাব খুঁজে বের করতে পারলে তলানী থেকে উত্তোরন সম্ভব।

শিক্ষকদের মন্তব্য: সিলেট বোর্ডের সার্বিক ফলাফল খারাপ প্রসঙ্গে চারজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় । তবে কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি।

শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়াশুনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাস করার প্রবণতাও খারাপ ফলাফলের জন্য দায়ী।

তারা আরও বলেন, অনেক সময় নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠান থেকে আটকানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ করে এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীরাই ফলাফল খারাপ করে। যার প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলাফলে।

আরও পড়ুন>>আগুন ধরতেই বিমানটি নদীর দিকে নিয়ে প্যারাসুট দিয়ে লাফ দেন দুই বৈমানিক

তবে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেই বিশেষ করে দায়ী করছেন শিক্ষকরা।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে পাসের হারের প্রভাব পড়েছে গড় ফলাফলে। এবার সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তাছাড়া গণিতে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২২ শতাংশ। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। যার কারণে ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট বোর্ড।

সাধারণ বিজ্ঞানে খারাপ ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশ্নগুলো লটারির মাধ্যমে আসে। এক বোর্ডের প্রশ্ন যায় অন্য বোর্ডে। সিলেটে এসেছে অন্য বোর্ড থেকে। যার কারণে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয় অনেকটা কঠিন হয়েছে। অনেক সময় সিলেবাসে থাকার পরও প্রশ্ন কঠিন করে করা হয়। যেহেতু সিলেবাসের মধ্যেই প্রশ্ন ছিল, তাই সেটাকে কঠিনও বলা যাবে না। তবে অনেকটা ভাগ্যও বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>>‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ গ্রেপ্তার

তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে ভালো ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব দীর্ঘদিনের। তবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। তবে শিক্ষক সংকট এখনও রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অনেক সরকারি বিদ্যালয়েও শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব কারণে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে রয়েছে। যার কারণে পাসের হারও মানবিক বিভাগে কম।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে কতটুকু প্রয়োগ করছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির জন্য মাউশি রয়েছে। কিন্তু মাউশি এ কাজ কতটুকু করছে তারা বলতে পারবে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাউশি বা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তদারকি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষের ঢালাওভাবে পাস দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রশ্ন করেন শিক্ষক, পরীক্ষা নেন শিক্ষক, খাতা মূল্যায়নও করেন শিক্ষক। এখানে বোর্ডের কোনো হাত নেই।

আরও পড়ুন>>বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

ভালো ফলাফলের জন্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কড়াকড়ি করা উচিত উল্লেখ করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এতে বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু কমবে। কিন্তু গুণগত মান বাড়বে। পরীক্ষায় ফরম পূরণের জন্য আমাদের পূর্বশর্ত হলো নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তবে ভালো শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে মানবিক দিক বিবেচনা করতে বলা হয়। তবে সেটা ফেল করা শিক্ষার্থীর জন্য কোনোভাবেই নয়।

google-news-channel-newsasia24

আজ বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: স্বজনদের প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির ঠিক এক মাস পর ২৩ নাবিক নিয়ে আজ কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি।

শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ যে গতিতে আসছে, তাতে সোমবার (১৩ মে) বিকেল বা সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া প্রবেশ করতে পারে। জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে।

জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুুুন:

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের পর ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।

google-news-channel-newsasia24

কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে সরকারি সুবিধা মিলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধরে রাখতে না পারলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা ইদানীং একটা প্রবণতা দেখছি- নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে আলিয়া মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর বাইরে যে অনেকগুলো অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে অনেক শিক্ষার্থী চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের (নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর) মনোযোগী হতে হবে। প্রতিষ্ঠান যদি কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ধরে রাখতে না পারে সেখানে সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা যাবে না। এরই মধ্যে সেটা আমরা বলেছি এবং এ নিয়ে একটা সমীক্ষাও করবো।

আজ রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী আনতে হবে। ব্যয় বাড়ার কারণে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী চলে যাচ্ছে কি না, সেটিও দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন, ফলাফলের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের পর তিনি বলেছেন, আমাদের বিশেষভাবে ভাবতে হবে যারা ছাত্র…পরীক্ষার্থী হিসেবে ছাত্ররা ১ শতাংশ কম অংশগ্রহণ করেছে, সেটার কারণ কী? ছাত্রদের পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ছাত্রীদের চেয়ে কিছুটা কম। সে কারণটা তিনি অনুসন্ধান করতে বলেছেন। ছাত্র ও ছাত্রীদের সমানভাবে এগিয়ে নিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

আরও পড়ুন:

‘এখন উপবৃত্তি ছাত্র-ছাত্রীদের সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেটা যদি যথাযথভাবে কাজ না করে সেগুলোর পরিবর্তন করে ছাত্ররাও যেন ছাত্রীদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি বলেছেন।’

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি আসন নানা ধরনের ডিপ্লোমা কোর্সে অনুমোদিত আছে। আমরা অনুরোধ করতে চাই, গতানুগতিক উচ্চশিক্ষার ধারায় যদি শিক্ষার্থীরা না যায়, তবে এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ আছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও দ্রুত কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে।

এ বছর এসএসসিতে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল্যায়ন হচ্ছে তা চলতে থাকলে, অকৃতকার্য হওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটি রয়ে যাবে। আমরা চাই সব শিক্ষার্থী যেন নিজেদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষাধাপে উত্তরণ করতে পারে। কী কারণে অকৃতকার্য হয়েছে, সেটা অবশ্যই আমরা দেখবো।

মন্ত্রী বলেন, সমাজে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপানোর একটা সংস্কৃতি রয়েছে। এ থেকে বের হতে হবে।

google-news-channel-newsasia24

আজ এসএসসির ফল প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রবিবার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এ ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বিদেশের কেন্দ্র থেকে এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৫২ পরীক্ষার্থীও।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, রোববার (১২ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুর সাড় ১২টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ফলাফল প্রস্তুতের কাজ শেষ। সব বোর্ড চেয়ারম্যান সকাল গণভবনে আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের ফাইল তুলে দেবেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী তা ব্রিফিংয়ে তুলে ধরবেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পর সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ফলাফল পাবে, তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীকে ফলাফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

আরও পড়ুন:

এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ- SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

google-news-channel-newsasia24

রাবিতে গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী প্রতিনিধি: হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়াও দেখা গেছে।

শনিবার (১১ মে) দিনগত রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ও মাদার বখশ আবাসিক হলের মধ্যবর্তী স্থানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত দেড়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।

সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সোহরাওয়ার্দী হল কমিটির সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়। আতিকুর রহমান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানের কক্ষে ভাংচুর চালানো হয়। পরে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে নিয়াজ মোর্শেদের অনুসারী ছাত্রলীগের কিছু কর্মী হলে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনার পর রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী তিন শতাধিক নেতাকর্মী মাদার বখশ হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

ঘটনা পর্যবেক্ষণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির মাদার বখশ হলে আসেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। পুলিশের সহায়তায় আমরা হলে প্রবেশ করছি। হলের মধ্যে যারা বহিরাগত আছেন তাদের হল থেকে বের করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। পরিস্থিতি শান্ত হলে সার্বিক বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

google-news-channel-newsasia24

আগুন ধরতেই বিমানটি নদীর দিকে নিয়ে প্যারাসুট দিয়ে লাফ দেন দুই বৈমানিক

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দুই বৈমানিকের সাহসিকতা ও দক্ষতার কারনেই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বৈমানিকদ্বয় অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে সেটিকে বিমানবন্দরের নিকট ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় (নদীতে) নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) আইএসপিআর এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীতে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

squad drone leader muhammad asim jawad newsasia24
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ

দুর্ঘটনার পর বৈমানিকদ্বয় উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন এবং স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। দুইজন বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটিকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম ঢাকা থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন। বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম দুর্ঘটনা পরবর্তী কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন।

বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশক্রমে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে তিনি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসেন । হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ সোহেল সিরাজকে আটক করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে তুলে দেয়।

আরও পড়ুন:

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সোহেল সিরাজসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

আজ বুধবার (৮ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান ।

google-news-channel-newsasia24

বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মাগুরা গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী (২৩)।

আরও পড়ুন:

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুজয় চন্দ্র রায় বলেন, অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

বিটিভিতে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে ‘শেষের রাত্রি’

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: যতীন বহুদিন হলো অসুখে পড়ে রয়েছেন। ডাক্তার তার আরোগ্য লাভের আশা ছেড়ে দিয়েছেন তবুও চিকিৎসা চলছে। তার মাসি দিবা-নিশি বোনপোর পাশে ছায়ার মতো থেকে সেবা করছেন কিন্তু যতীনের স্ত্রী মণি এসবের খোঁজ তেমন রাখে না। চঞ্চলমতি অনভিজ্ঞ মেয়েটি জগত-সংসারের এতোকিছু এখনো বুঝতে পারে না। সে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে গোঁ ধরেছে। মাসি তাকে বোঝাবার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন। এদিকে বোনপো যেন কষ্ট না পায় সে কারণে বানিয়ে বানিয়ে বৌমার সুকৃতীর কথা তাকে বলে যান। এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘শেষের রাত্রি’।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘শেষের রাত্রি’ অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন খায়রুল আলম সবুজ। প্রযোজনা করেছেন শাহ জামান মিয়া। এতে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, জিতু আহসান, ওহায়িদা মল্লিক জলি, হাবিব মাসুদ, বোরহান বাবু, পলি চৌধুরী, মৌমিতাসহ আরও অনেকে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) ২৫ বৈশাখ, ৮ মে বুধবার রাত ৯টায় প্রচারিত হবে বিশেষ এই নাটকটি।

এছাড়াও কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীতে আরও প্রচারিত হবে বিশেষ আলোচনানুষ্ঠান, প্রামাণ্যানুষ্ঠান, সঙ্গীতানুষ্ঠান, আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান ও কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

ইলেকট্রনিক মুদ্রা গ্রহণকারীদের সুরক্ষায় নতুন আইন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেনে গ্রাহকদের ঝুঁকি কমানো ও সুরক্ষায় শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। এই আইনের আওতায় বিকাশ, নগদ, উপায়, ই-ওয়ালেট প্রভৃতি ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেনে গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হবে।

এই আইনের নামকরণ করা হয়েছে, ‘ইলেকট্রনিক মুদ্রায় সেবা প্রদানে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল ২০২৪।’ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই আইনটি প্রণয়ন করেছে।

আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বা লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক-কোম্পানি কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না।আরও বলা হয়েছে পরিশোধ সেবা দেওয়ার নিয়মাবলি হতে হবে নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সঙ্গতিপূর্ণ। বিধিবিধান লঙ্ঘন করে কোনো প্রতিষ্ঠান লেনদেন ব্যবসা পরিচালনা করলে প্রস্তাবিত আইনে  তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুুুুুন>>ডিগ্রি ছাড়াই অ্যাপলে চাকরি, জানালেন টিম কুক

লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করলে সেক্ষেত্রে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দিলে এক লাখ টাকা হতে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

বলা হয়েছে, অনুমোদন বা লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ, পদ্ধতি অনুসরণ ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয় কার্যক্রম আইনের বিধানাবলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করবে এবং ইতোমধ্যেই পরিশোধ সেবা পরিচালনাকারী ব্যাংক-কোম্পানিগুলোকে আইন কার্যকর হওয়ার এক বছরের মধ্যে লাইসেন্স নিতে হবে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনেক ধরনের লেনদেন হচ্ছে। মূল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে ইন্টারনেট ও এজেন্ট ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডসহ বিকাশ, নগদ, রকেট, বিভিন্ন ব্যাংকের ই-ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মুদ্রা, ইলেট্রনিকভাবে তহবিল স্থানান্তর, চেক ইলেট্রনিকভাবে উপস্থাপন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা, ট্যাংকেটেড চেক, ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট, সরকারি সিকিউরিটিজ সেটেলমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ, অর্থ গ্রহণ ও গ্রাহকের অর্থ চাহিদা নিস্পত্তি হচ্ছে। আর এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট। গ্রাহকের জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>>ইন্টারনেটের খরচ কমেছে

এই আইনের আওতায়, মূল ব্যাংকিং সেবার বাইরে অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসায় আগ্রহী ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ সেবা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক অনুমোদন নিতে হবে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূলধন, মালিকানা ও পরিচালনার বিষয়ে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১’-এর ১৪ নম্বর আইনের সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।

এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান-বহির্ভূত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হবে এবং ব্যবসা পরিচালনাকারীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়মে সময়ে সময়ে নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, পরিশোধ সেবা প্রদানকারী পরিশোধ সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রাহকের হিসাব খোলা, ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যু করা ও ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেন সম্পাদন এবং ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারী নিস্পত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেবাগ্রহীতার অর্থ ধারণ করলে, ওই অর্থের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে।

আরও পড়ুন>>পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

অন্যদিকে, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধের মধ্যে রয়েছে এ আইনের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধিত দলিল’ ইস্যু বা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না এবং জনগণ থেকে কোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয় এমন কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করতে পারবে না।

বিলে বলা হয়েছে, পরিশোধ ব্যবস্থা সেবা প্রদানে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মাবলি অনুসরণ-করে নিজস্ব নিয়মাবলি প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে। নিয়মাবলিতে তারল্য, নিষ্পত্তি, কারিগরি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, নিরবচ্ছিন্ন পরিচালন, আপৎকালীন ব্যবস্থা, বিরোধ নিস্পত্তি, গ্রাহকসেবা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, নিয়মাবলি নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং গ্রাহকের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। পরিশোধ সেবা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নীতিমালার আওতায় কোনো তৃতীয় পক্ষ থেকে আউটসোর্সিং সেবা নিতে পারবে বা এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট পরিশোধ সেবা দিতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24