শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

ভোট কম পড়ার কারন জানালেন সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি বড় দল ভোট বর্জন করে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করায় উপজেলা নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে আসছেন না। এটা রাজনৈতিক সংকট। আশা করি, আগামীতে এই সংকট কেটে যাবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ইভিএমের মাধ্যমে ২৪টিতে এবং ব্যালট পেপারে ১৩২টি ভোট হয়েছে। দু’একটা যায়গায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

সেখানে আহত হয়ে এক বা দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে নির্বাচন ভালোই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এতে উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপরে হতে পারে। তবে একেবারে নির্ভুল তথ্য বুধবার পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, আমরা যেটা সব সময় বলি, টিভিতে তাকিয়ে থাকি। কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মীও আহত হয়েছেন। সাহস করে যারা ছবি তুলতে গেছেন, তারা হয়তো হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আমরা সঠিক তথ্য এখনও পাইনি। হাতাহাতিতে ৩০ জন আহত হয়েছেন, এক বা দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে একজনের হাত কেটে গেছে।

তিনি আরও বলেন, যেখানেই অন্যায়, অনাচার হয়েছে, ভোট কারচুপির চেষ্টা হয়েছে, সেখানেই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু কারচুপির জন্য ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুইজন নিহত হয়েছেন। এটা ভোটকে কেন্দ্র করে নয়। গরম বা অন্য কোনো কারণে। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

প্রথম ধাপে বলেছিলেন ধান কাটা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণ ভোট ৩৬ শতাংশ পড়েছে। এই ধাপে আরও কম পড়ার কারণ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনওই উৎসাহব্যঞ্জক মনে করি না।

একটা বড় প্রধানতম কারণ হতে পারে দেশের একটা বড় রাজনৈতিক দল (বিএনপি) তারা প্রকাশ্যে এবং ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে।

পাশাপাশি জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করেছে। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের চেষ্টা হতে পারে। তবে ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই। সংকট হচ্ছে রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন:

সরকারের সাবেক এই সচিব বলেন, আমি মনে করি, রাজনীতি যদি আরও সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়, আগামীতে ভোটের যে স্বল্পতা, যে সমস্যাটুকু হয়তো কাটিয়ে উঠব। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে ভোটারদের স্বশাসনটা বুঝতে হবে।

স্বশাসনটা হচ্ছে নিজেই নিজেকে শাসন করবে, নিজেদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এটা হচ্ছে সচেতনতা, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। সে দিক থেকে আমরা আশা করি, রাজনীতিতে যে সংকট রয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠব এবং সুস্থ ধারায় রাজনীতি প্রবাহিত হবে। ভোটাররা উৎসাহী হবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন।

সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশ বিস্তৃত জমিন। কোথাও কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা স্বচ্ছতা ও দৃশ্যমানতায় বিশ্বাস করি।

আপনারা যে কোনো তথ্য জনগণের কাছে উপস্থাপনের মতো হলে আপনারা সংগ্রহ করবেন। আপনাদের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে। তথ্যগুলো যদি সঠিক হয়ে আমরা সেটা দেখব। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য আমরা দুঃখিত। মিডিয়া যেন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, এজন্য আমরা আইনও করেছি।

google-news-channel-newsasia24

এভারেস্ট জয় করেই মারা গেলেন তারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এভারেস্ট জয় করে দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। ফেরার পথে তারা মারা যান। দুইজনের মঙ্গোলিয়ার নাগরিক। আট হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় তাদের মরদেহ পাওয়া গেছে।

এইটকে নামের একটি পর্বতারোহী সংস্থার পরিচালক পেম্বা শেরপা জানিয়েছেন, উসুখজারগেল তেসেদেনদামবা ও পুরুভসুরেন লাখাগাবাজাভ গত ১৩ মে দুপুর ১২টার দিকে এভারেস্টের চূড়ায় ছবি তোলেন। তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

গত ১৭ মে উসুখজারগেলের মরদেহটি পাওয়া যায় দক্ষিণ সামিটে। পুরুভসুরেনের মরদেহটি পাওয়া যায় ব্যালকনি এরিয়ায়।

শেরপা জানান, এভারেস্টের চূড়া থেকে নামতে তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না।

কোনো ধরনের ব্যক্তিগত গাইড ছাড়াই তারা দুইজনে এভারেস্টের চূড়ায় যাত্রা শুরু করেন। এরপর গত ১২ মে থেকে তার নিখোঁজ ছিলেন।

তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া যায় আট হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় ও আরেক জনের মরদেহ পাওয়া যায় আট হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায়।

google-news-channel-newsasia24

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট।

আজ শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায় নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

সৌদিতে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম মৃত্যু। মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী গত ১৫ মে মদিনায় মারা গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

আজ শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

google-news-channel-newsasia24

মজাদার কাঁচা আমের পাপড়

লিমা পারভীন: দুইটি কাঁচা আম আর এক কাপ সাবু দিয়ে মজাদার পাপড় বানিয়ে নিতে পারেন। টক টক, ঝাল ঝাল পাপড় বাড়ির ছোট-বড় সবাই পছন্দ করবে।

কাঁচা আমের পাপড়ের রেসিপি:

১. প্রথমে দুইটি কাঁচা আম নিয়ে নিন। এবার আমগুলো কেটে টুকরো টুকরো করে নিতে হবে। তারপর ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর একটি ছাঁকনিতে সিদ্ধ আমগুলো ঢেলে দিতে হবে। তারপর একটা চামচ দিয়ে চেপে চেপে ছেঁকে নিন। যাতে ছোকলা না থাকে। যদি ছোকলা থাকে তাহলে পাপড় ভালো হবে না।

২. মিক্সারের বাটিতে এক কাপ পরিমাণ সাবু দানা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মিক্সারে পেস্ট করে নিন।

৩. এবার চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিন। ফ্রাইপ্যানে সাদা তেল দিয়ে দিন এবং এতে আমের মিশ্রণ দিয়ে কিছু সময় নাড়তে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখতে হবে এবং মিশ্রণটা আঠালো হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। এরপর এতে সাবু দানার মিশ্রণ মিশিয়ে দিতে হবে। মিশ্রণটা বার বার নাড়তে হবে। এতে ভাজা জিরা, চিলি ফ্লেক্স, পরিমাণ মতো লবণ এবং সামান্য পানি মিশিয়ে দিতে হবে। সঙ্গে দিতে পারেন সামান্য একটু ফুড কালার। পুরো মিশ্রণটি আরও কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা হয়। তাহলে শুকাতে অনেক সময় লেগে যাবে।

আরও পড়ুন:

৪. এবার একটি পলিথিনে সয়াবিন তেল মেখে নিতে হবে। এর ওপর অল্প অল্প পরিমাণে আম-সাবুর মিশ্রণটি ঢেলে দিয়ে পাপড়ের আকার তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এগুলো কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। যখন দেখবেন যে হাতে নিয়ে চাপ দিলে কুড়মুড় শব্দে ভেঙে পড়ছে তখন বুঝবেন এগুলো ভাজার উপযুক্ত হয়ে গেছে।

৫. সয়াবিন তেলে শুকনো পাপড়গুলো ভেজে নিতে হবে।

google-news-channel-newsasia24

চীন সফরে পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।

এ সময় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুতিনকে। বেইজিং বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া পুতিনের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘পুরোনো বন্ধুর’ রাষ্ট্রীয় সফর হিসাবে বর্ণনা করেছে। পুতিনের এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার সৈন্য পাঠানোর কয়েকদিন আগে বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। এসময় চীন ও রাশিয়া ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শি জিনপিং। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার নতুন বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।

নতুন মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য চীনকে বাছাই করেছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বকে তার অগ্রাধিকার এবং শি জিনপিংয়ের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী সে বার্তাই যেন দিচ্ছে।

আরও পড়ুন:

সফরকালে পুতিন আজ শি জিনপিংয়ের সাথে সামনাসামনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন তারা।

আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবারের সফরে পুতিন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শিল্প ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করবেন।

google-news-channel-newsasia24

গাজীপুরে আগুনে ৩ কলোনির শতাধিক বসতঘর ও দোকান ভস্মীভূত

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির শতাধিক বসতঘর, দোকান ও মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) দিনগত রাতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন জানান, বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ৯৯৯ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা।

পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি।

তবে এক কলোনির মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানসহ তার ৩১টি বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।

আরও পড়ুন:

তিনি আরও জানান, মোহর আলীর ভাড়া দেওয়া হোটেল ও চায়ের দোকান থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে আশপাশের কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ৯৯৯ নম্বরে জানানো হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে দেরি করেছে।

অপর এক কলোনির মালিক আব্দুর রহমান জানান, তার ৭০টির মতো বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছায় দেরি করে, যার ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে।

ঘটনাস্থলে দেরিতে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

google-news-channel-newsasia24

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক দীপক কুমার।

হাসপাতালে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ধোঁয়ায় চারপাশে অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এসএসসি’র প্রকাশিত ফলাফল যদি সন্তোসজনক না হয় তাহলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে। এ কার্যক্রম আজ সোমবার (১৪ মে) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ মে (রবিবার) পর্যন্ত।

বিষয়টি জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

আবেদন করার নিয়ম:

প্রার্থীরা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে।

এরপর ফিরতি এসএমএস -এ আবেদনের জন্য কত টাকা কেটে নেওয়া হবে সেটি জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে প্রার্থী সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (এখানে যেকোন নাম্বার) লিখে 16222 নম্বরে Send/ পাঠাতে হবে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী একই এসএমএস’র মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। প্রতিটি পদের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে অ্যাকাউন্ট থেকে।

আরও পড়ুন:

 

চ্যালেঞ্জকৃত খাতার যেভাবে মূল্যায়ন করা হয় :

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে প্রার্থীর উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এসব হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের নম্বর সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা।

এই চারটি বিষয় পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ফের ফল প্রকাশ করা হয়।

google-news-channel-newsasia24

সিলেটে ফল বিপর্যয়: মুখোমুখি শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষকরা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: টানা চার বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেটে পাসের হার কমছেই। জিপিএ-৫ এ কিছুটা ছন্দপতন হলেও পাসের হারে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। এ বছরও সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। গতবারের মতো এবারও জায়গা হয়েছে তলানীতে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবার পেছনে সিলেট।

পাসের হারের সঙ্গে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও সবার পেছনে সিলেট। অর্থাৎ দুই সূচকেই তলানীতে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ব্যর্থতার জন্য গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলকে দায়ী করছে। একইসঙ্গে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক সংকটের কথাও বলছে।

তবে শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা মোবাইল ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় ঢালাওভাবে পাসের কারণে পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

আারও পড়ুন>>আজ বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা হলেও মাঠ পর্যায়ে তদারকি, অভিভাবকদের খামখেয়ালীপনা ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির অভাবে ফলাফলে ধস নেমেছে। এটা পুরো জাতির জন্য অশনিসংকেত।

এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এবার সিলেট বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন।

সিলেট বোর্ডের গত ৫ বছরের দেখা গেছে, ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে পাসের হার। ২০২২ সালে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। সর্বশেষ এবছর পাসের হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশে।

আরও পড়ুন>>কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী না থাকলে সরকারি সুবিধা মিলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

টানা চার বছর পাসের হার ধারাবাহিকভাবে কমলেও জিপিএ-৫ এ ছন্দপতন ঘটেছে। ২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ জন, ২০২২ সালে ৭ হাজার ৫৬৫ জন, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৫২ জন এবং সর্বশেষ এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ প্রতিবারের মতো এবারও ভালো করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বছর ৫ হাজার ৪৭১ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছে ৫ হাজার ১৩৪ জন।

এ বছর সিলেট বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পাস করেছে ৮০ হাজার ৬ জন।

পিছিয়ে পড়া নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা: খারাপ ফলফলের পেছনে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে শিক্ষকদের গাফিলতির কথাও বলছেন তারা।

আরও পড়ুন>>আজ এসএসসির ফল প্রকাশ

সিলেট সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল সাজিদ বলেন, সিলেটে দক্ষ শিক্ষকের অভাব নেই। কিন্তু শিক্ষকরা যে প্রশিক্ষণ নিয়ে যান সেটা কতটুকু প্রয়োগ করেন সেটা ভাবার বিষয়।

তিনি বলেন, প্রতি বছর সিলেটে তিন থেকে চার সেশনে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর সেটা ভালো করে প্রয়োগ করতে না পারলে লাভ হবে না। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আরও তদারকি বাড়াতে হবে।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ডিন শিক্ষাবিদ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, প্রথমত আমরা যারা শিক্ষক ও অভিভাবক রয়েছি আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।

দ্বিতীয়ত, যেভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠ উপযোগী করে তোলার কথা সেক্ষেত্রেও আমরা পারছি না। তাদের মধ্যে নানা উপসর্গ রয়েছে। কারণ তারা দেখছে তাদের ভাইবোন বিদেশ চলে যাচ্ছে। সেজন্য সে বড় হয়ে ভালো চাকরি করবে সেই চিন্তা নেই। তাদের চিন্তা চেতনার মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করছে। এই অস্থিরতা মনোযোগটাকে কেড়ে নিচ্ছে।

আরও পড়ুন>>রাবিতে গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ

তৃতীয়ত তিনি বলেন, শিক্ষকরা যে দায়িত্ব পালন করছেন সেই দায়িত্বে নিঃসন্দেহে একটা ফাঁকফোকর রয়েছে। তা না হলে অন্য জেলার ছেলেমেয়েরা ভালো ফলাফল করছে। আমার জেলার ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না। এসবের জবাব খুঁজে বের করতে পারলে তলানী থেকে উত্তোরন সম্ভব।

শিক্ষকদের মন্তব্য: সিলেট বোর্ডের সার্বিক ফলাফল খারাপ প্রসঙ্গে চারজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় । তবে কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি।

শিক্ষকরা বলছেন, অভিভাবকদের উদাসীনতা, শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়াশুনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাস করার প্রবণতাও খারাপ ফলাফলের জন্য দায়ী।

তারা আরও বলেন, অনেক সময় নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠান থেকে আটকানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ করে এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীরাই ফলাফল খারাপ করে। যার প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলাফলে।

আরও পড়ুন>>আগুন ধরতেই বিমানটি নদীর দিকে নিয়ে প্যারাসুট দিয়ে লাফ দেন দুই বৈমানিক

তবে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে অভিভাবকের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতাকেই বিশেষ করে দায়ী করছেন শিক্ষকরা।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে পাসের হারের প্রভাব পড়েছে গড় ফলাফলে। এবার সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তাছাড়া গণিতে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২২ শতাংশ। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। যার কারণে ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট বোর্ড।

সাধারণ বিজ্ঞানে খারাপ ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশ্নগুলো লটারির মাধ্যমে আসে। এক বোর্ডের প্রশ্ন যায় অন্য বোর্ডে। সিলেটে এসেছে অন্য বোর্ড থেকে। যার কারণে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয় অনেকটা কঠিন হয়েছে। অনেক সময় সিলেবাসে থাকার পরও প্রশ্ন কঠিন করে করা হয়। যেহেতু সিলেবাসের মধ্যেই প্রশ্ন ছিল, তাই সেটাকে কঠিনও বলা যাবে না। তবে অনেকটা ভাগ্যও বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>>‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ গ্রেপ্তার

তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে ভালো ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব দীর্ঘদিনের। তবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। তবে শিক্ষক সংকট এখনও রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অনেক সরকারি বিদ্যালয়েও শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব কারণে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে রয়েছে। যার কারণে পাসের হারও মানবিক বিভাগে কম।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে কতটুকু প্রয়োগ করছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকির জন্য মাউশি রয়েছে। কিন্তু মাউশি এ কাজ কতটুকু করছে তারা বলতে পারবে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাউশি বা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তদারকি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

পাবলিক পরীক্ষায় ‘ঢালাওভাবে’ পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষের ঢালাওভাবে পাস দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রশ্ন করেন শিক্ষক, পরীক্ষা নেন শিক্ষক, খাতা মূল্যায়নও করেন শিক্ষক। এখানে বোর্ডের কোনো হাত নেই।

আরও পড়ুন>>বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

ভালো ফলাফলের জন্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কড়াকড়ি করা উচিত উল্লেখ করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এতে বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু কমবে। কিন্তু গুণগত মান বাড়বে। পরীক্ষায় ফরম পূরণের জন্য আমাদের পূর্বশর্ত হলো নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তবে ভালো শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে মানবিক দিক বিবেচনা করতে বলা হয়। তবে সেটা ফেল করা শিক্ষার্থীর জন্য কোনোভাবেই নয়।

google-news-channel-newsasia24