শিরোনাম

সারাদেশ

বকুলতলায় গরুর খামারে রাখালের গলাকাটা মরদেহ

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের একটি গরুর খামার থেকে মিলন মোল্লা (৩৬) নামে এক রাখালের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে যশোর শহরের বকচর বকুলতলা এলাকার রানী চানাচুরের কারখানার অভ্যন্তরে খামারের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছে বলে জানিয়েছে।

নিহত মিলন মোল্লা মনিরামপুর উপজেলার জালঝাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আসমান মোল্লার ছেলে।

মিলনের স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, রানী চানাচুর কোম্পানির মালিক কারখানার অভ্যন্তরে নয়টি গরু পালন করেন। মিলন রাখাল হিসেবে গরুগুলো দেখভাল করতেন এবং খামারের পাশে খুপরি ঘরে থাকতেন।

সোমবার তিনি ঘর থেকে বের না হওয়ায় লোকজন গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

আরও পড়ুন:

২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন গবেষক

ভারতে আর থাকবেন না শেখ হাসিনা

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জন

তাদের ধারণা রোববার রাতে তাকে কেউ হত্যা করেছে। তবে তার কোনো শত্রু ছিল না বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

 

খোকসায় মাইক্রোবাস চাপায় ৪ শিশু নিহত

খোকসা প্রতিনিধি:  কুষ্টিয়ার খোকসায় মাইক্রোবাসের চাপায় চার শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে কোরআন পড়া শেষে মসজিদ থেকে ফেরার সময় খোকসার শিমুলিয়ায় কুঠিপাড়া এলাকার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিউজএশিয়া২৪কে নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া কুঠিপাড়া গ্রামের হানিফের মেয়ে মিম (১২), একই গ্রামের পালন শেখের মেয়ে তানজিলা (১১) ও হেলাল উদ্দিনের মেয়ে যুথি (১২)। বাকি একজনের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুদস জানান, রোববার সকালে ৭টার দিকে শিমুলিয়া কুঠিপাড়া জামে মসজিদে কোরআন পড়া শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরছিল।

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস তাদের চাপা দিয়ে পাশের পুকুরে উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে তিন মেয়ে শিশু মারা গেছে।

ওসি আননুর যায়েদ বলেন, মাইক্রোবাসের ধাক্কায় চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

কুষ্টিয়ায় ২৩০ টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গোৎসব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় এবার ২৩০টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে জেলা সদর সহ ৬ উপজেলার পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা রং এর করে চলেছে শিল্পীরা।

এ বছর কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৭২টি, খোকসা উপজেলায় ৬২টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৫টি, মিরপুর উপজেলায় ২৬টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ৮টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ৭টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

কুষ্টিয়া শহরের গোপীনাথ জিউর মন্দির, সদরপুর সার্বজনীন পুজা মন্দির ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির আঁচরের কাজ বাকি রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ জয়দেব বিশ্বাস বলেন, এবার জেলায় ২৩০ টি পুজা মন্দিরে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পূজার মাধ্যমে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গাপুজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ৃন:

এছাড়া পূজা মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যদের পূজামন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পূজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা মন্দিরে পালাক্রমে ডিউটির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কোথাও কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারকে অবহিত করার জন্য সকলকে পরামর্শ দেন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজা মন্দিরে র‌্যাব, পুলিশ ছাড়া আনসার মোতায়েন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

টিকটক ভিডিও কেড়ে নিল শিশুর প্রাণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় মেঘলা সরকার (১০) নামে শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিবার জানিয়েছে, টিকটক ভিডিও ধারণ করার সময় অসাবধানতাবশত ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধজী গ্রামে শিশুটির মৃত্যু হয়। মেঘলা ধজী গ্রামের বিদেশ সরকারের মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

এলাকা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বিকেলে পরিবারের সকলের অজান্তে মেঘলা নিজ বাড়ির রুমে বসে রুয়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেওয়ার টিকটক ভিডিও ধারণ করছিল।

তখন অসাবধানতাবশত গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গেলে ফাঁস লেগে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:

নিহতের খবর পেয়ে ডাসার থানা পুলিশ মেঘলা সরকারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নিহত শিশু শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে পরিবারে সবার অজান্তে টিকটক আইডি তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে টিকটক বানিয়ে আসছে। টিকটক তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।’

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. মাহামুদ উল হাসান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে মাদক ব্যবসা; অতঃপর কারাগারে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মো. কামরুজ্জামান কাজল (২৭) বেসরকারি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকুরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে চলছিলও বেশ।

তবে চাকুরি থেকে মাদক ব্যবসা লাভজনক মনে করে প্রায় তিন মাস আগে চাকুরি ছেড়ে শুরু করেন মাদক ব্যবসা। অত:পর ৬৮ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলেন এবার। কাজল উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মো. হাসান আলীর ছেলে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকায় তার পাকা বাড়িতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্তত ৩৪ জন সদস্যের একটি দল। অভিযানে ৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তার বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) ধারার একটি মামলা করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।

দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত মো.কামরুজ্জামান কাজল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরি করতেন। তবে লোভে পড়ে প্রায় তিন মাস আগে চাকুরি ছেড়ে তিনি মাদক ব্যবসা শুরু করেন।

আরও পড়ুন:

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে তার বাড়িতে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করা হয়।

চাকুরি ছেড়ে মাদক ব্যবসায়ীয় আসার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল নিজেই স্বীকার করেছেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কামরুজ্জামান কাজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

ফের বিপদের মুখে নোয়াখালী; আবারও বন্যার আশঙ্কা

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বন্যার পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। নীচু এলাকায় এখনো রয়েছে পানি। ঘর বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় বানভাসীরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। রাস্তাঘাটে পানি থাকায় স্কুলে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।

বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় নোয়াখালীতে এই জলাবদ্ধতা যেন স্থায়ী রুপ নিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই জলাবদ্ধতার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে খাদ্য ও কর্ম সংকটে। এদিকে বন্যার রেশ না কাটতেই জেলাতে আবার দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। সাথে সাথে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। বন্যার কবলে পড়া মানুষের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে লগুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এত সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত মেনে চলতে বলা হয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের কৃষক সিরাজ মিয়া জানান, বন্যার পানিতে আমন ধানের চারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পানি একটু কমাতে আবার চারা রোপণ করেছিলাম। হঠাৎ আবার পানি বেড়ে গিয়ে সেটাও তলিয়ে যায়। তৃতীয় বারের মতো আবার চারা রোপণের জন্য জমিতে চাষ দিয়েছি। এখন আবার আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে পরিবর্তন নতুন করে বৃষ্টির সাথে হচ্ছে বাতাস। ধান চাষ না করলে আমাদের বড় ধরণের লোকসান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

চরবাটা ইউনিয়নের কৃষক জহির বলেন, ৯ একর জায়গার উপর মাছের ঘের করেছিলাম। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিটি ঘেরের মাছ ভেসে যায়। বিশাল লোকসান হয়েছে। অল্প কিছু রয়েছে, তবে তা ক্ষতি পুুষিয়ে নেওয়ার মতো নয়। নতুন করে কিছু মাছের পোনা ছেড়েছিলাম। যদি আবার বন্যা হয় পথে বসে যাবো।

একই ইউনিয়নের কল্পনা রানী দাস নামে একজন বলেন, বাড়ির পাশে পুকুরের চারিপাশে সবজির চাষ করেছিলাম। পুকুরের মাছও ভেসে গেছে, সাথে সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। আমার স্বামী নতুন করে আবার মাছের পোনা ছেড়েছেন, সাথে নতুন করে সবজির চারা রোপণ করেছি। আবার যদি বন্যার কবলে পড়ি, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জেলায় ৩৪৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ৩৫ হাজার ৪৪১ জন বানভাসি এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো রয়েছে। ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে।

নতুন করে প্লাবন দেখা দিলে তা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দু’হাতে দুই পিস্তল নিয়ে হামলা ও গুলি চালানো সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার নাম জহিরুল ইসলাম রুবেল (২৬)।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:

র‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি চালান জহিরুল ইসলাম রুবেল। তার দুই হাতে দুটি অস্ত্র নিয়ে গুলি চালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

google-news-channel-newsasia24

সাভারে অস্ট্রোলিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রোলিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের মনোদিয়া চৌরাপাড়া এলাকার বাড়িটি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া রেহানা পারভীন (৩৭) গত দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

এর আগে, গত ৩ জুলাই তার মা আইরিন আক্তার চার জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- নিহতের স্বামী আওলাদ হোসেন (৪৭), তিনি একই গ্রামের মৃত আ. মান্নানের ছেলে। একই থানার ছোট রাজপাড়া গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৪), তিনি নিহতের চাচা শ্বশুর। নিহতের ননদ পাপিয়া আক্তার ( ৩৬) ও মাকসুদা নামে অপর এক নারী। এরমধ্যে আমজাদ হোসেন ও পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রেহানা পারভীন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিল গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী আওলাদ হোসেন ও পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন ছেলেসহ বাংলাদেশে আসেন রেহানা পারভীন। একদিন পর তিনি বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যান। গত ৩ জুলাই বিকেলে মায়ের সঙ্গে রেহানা পরভীনের ফোনে কথা হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে পরিবারের কারও যোগাযোগ হয়নি।

এমনকি তিনি অস্ট্রেলিয়াতেও ফিরে যাননি। দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে রেহানা পরভীনের পরিবার জানতে পারেন, তার স্বামী গত ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন। রেহানা পারভীনের সন্ধান পেতে থানায় অভিযোগ করেন তার মা।

আরও পড়ুন:

পুলিশ আরও জানায়, গত ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রেহানা পারভীনের আশুলিয়ার স্বরলতা হাউজিংয়ে একটি বাড়ি ছিল। প্রাথমিকভাবে পাপিয়া ও আমজাদকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে রেহানা পরভীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

যে কারণে এ হত্যাকাণ্ড
ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম বলেন, জুন মাসের শেষ দিকে রেহানা পারভীন দেশে আসেন। এর কয়েকদিন পর দেশে আসেন তার স্বামী আওলাদ হোসেন। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

প্রায় ২০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াতে সংসার তাদের। সংসারে রয়েছে পাঁচ সন্তান। তাদের বেশিরভাগ সম্পত্তি রয়েছে বাংলাদেশে। সেসব দেখভাল করতে রেহানা পারভীন মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশে আসেন। সম্পত্তির অধিকাংশের মালিকানাই রেহানা পরভীনের নামে। এরই জেরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে তুলে নিয়ে হত্যার পর আশুলিয়ার চৌরাবাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা হয়।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ায় দেশে আসার সময়ই ফিরে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে আসতে হয়। তবে, সেই সময়েও তিনি না ফেরায় দূতাবাস পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করে। তবে, এরপরও রেহানা বা তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:

১৩ জুলাই পরিবার জানতে পারে, রেহানার স্বামী অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়রি ও পরে মামলা করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় রেহানা পারভীনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

যা বলছে পরিবার
রেহানা পারভীন হত্যার ঘটনায় শোক নেমে এসেছে পরিবারটিতে। তার মা আইরিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্টে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। তারপর তাকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠাই। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পায় সে। আওলাদ আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময় আমার মেয়ে পরিশ্রম করে সহায় সম্পত্তি করেছিল। সেই সম্পত্তির জন্য আওলাদ ও তার পরিবারের সবাই আমার মেয়েকে কৌশলে হত্যার পর লাশ গুম করে। দুই মাস পর পুলিশ আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।

নিহতের ভাই রবিন বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে স্বামী ও তার পরিবার। আমি সব খুনির ফাঁসি চাই।

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় বাবার সাথে যেয়ে ছেলে নিখোঁজ

ফাহিম শাওনঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় সাব্বির মোল্লা নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শিশুটির বয়স ৮ বছর। তার বাড়ী উপজেলার ভবানীপুর পশ্চিম পাড়ায়।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ভবানীপুর ঘাটে এ ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ সাব্বির মোল্লার বাবা চুন্নু মোল্লার সাথে ভবানীপুর ঘাটে গড়াই নদীতে গরু গোছল করাতে নিয়ে যায়। বাবার সাথে পিছন পিছন যেতে থাকে শিশুটি। বাবা গরু নিয়ে নদীতে নেমে গেলে শিশুটি নদীর কিনারে খেলা করতে থাকে।

এক পর্যায় তার বাবা নদী থেকে উঠে এসে ছেলে সাব্বিরকে দেখতে না পেয়ে ভাবে সে হয়ত বাড়ি চলে গেছে। কিন্তু বাড়ীতে এসে জানতে পারেন সাব্বির বাড়ী ফেরে নি।

এ সময় আশেপাশে অনেক খোঁজাখুজি করেন তারা। না পেয়ে মসজিদে এবং মাইক দিয়ে সারা গ্রামে সাব্বিরকে না পাওয়ার খবরটি জানিয়ে দেয়া হয়।

এক পর্যায় তারা নদীতে নেমে সাব্বিরকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ী ফেরেন সবাই।

সাব্বির এলাকার বামনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র।

sabbir molla newsasia24 school
বামনপাড়া স্কুলে নিখোঁজ শিশু সাব্বির মোল্লা। ছবি: নিউজ এশিয়া২৪

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, সাব্বির আমাদের স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। সে খুব মেধাবী। আমি দুপুরে একটি বিশেষ কাজে নদীর ঘাটে যাই। এসময় সাব্বিরকে তার বাবার সাথে নদীর ঘাটে যেতে দেখি। পরে বাড়ি এসে শুনি সাব্বিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

এ ব্যাপারে খোকসা ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় তাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

কবর থেকে আন্দোলনে নিহত শ্রাবণ ও সাইদের মরদেহ উত্তোলন

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ও সাইদুর রহমান সাইদের মরদেহ দাফনের ৩৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের কালীরহাট গ্রাম থেকে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তে জন্য ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী এলাকা থেকে সাইদুল ইসলাম সাঈদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলামিন উপস্থিত ছিলেন। নিহত সাইদ ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গত ১৬ আগস্ট মহিপালে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত শ্রাবণ ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের নেছার আহমেদের একমাত্র ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24