শিরোনাম

সারাদেশ

ভাতিজার হাঁসুয়ার আঘাতে চাচা নিহত, আহত ২

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার ফুলতলায় ভাতিজার হাঁসুয়ার আঘাতে চাচা শেখ মুজিবুর রহমান (৫৫) নিহত হয়েছেন । এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খান জাহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মুজিবুর রহমান ওই গ্রামের মৃত শেখ আতিয়ার রহমানের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার বলেন, শেখ মুজিবুরের সঙ্গে তার ভাতিজা আশরাফুল আলম ওরফে শেখ কুতুবউদ্দিনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

আরও পড়ুন:

একপর্যায়ে কুতুবউদ্দিন ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে চাচা মুজিবরকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এ সময় মারামারি ঠেকাতে গিয়ে মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও ছেলে আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুজিবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুজিবরের স্ত্রী পুষ্প শেখ ও ছেলে হাফেজ শেখ মিরাজকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফুলতলা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আশরাফুল আলম কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

google-news-channel-newsasia24

পালিয়ে যাওয়ার বর্ননা দিল খোকসার হারিয়ে যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্র রব্বিন (ভিডিও)

খোকসা প্রতিনিধি: অবশেষে পাওয়া গেল হারিয়ে যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্র রব্বিন শেখ। কিছুদিন আগে খোকসা পশ্চিমপাড়া দারুল উলুম ইসলামীয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায় খোকসার কমলাপুরের দুলাল শেখের পুত্র রব্বিন শেখ। তবে সে কেন পালিয়েছিল তার বর্ননা দিল রব্বিন। (বিস্তারিত ভিডিওতে)

গেট খুলতে দেরী করায় দারোয়ানকে হত্যা করলেন ফ্ল্যাট মালিক

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় গেট খুলতে দেরী হওয়ায় দারোয়ানকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ফ্ল্যাট মালিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। নিহত দারোয়ানের নাম ফজলুল হক (২৮)। বাড়ির মালিকের নাম ইঞ্জিনিয়ার মফিদুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, গেট খুলতে দেরী হওয়ায় রাগের মাথায় ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ির মালিক মফিদুল ইসলাম দারোয়ানের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন। কিন্তু পুলিশ বলছে অন্য কথা। এতে ঘটনাস্থলেই ফজলুল হকের মৃত্যু হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাসা থেকে মালিক গাড়ি বের করছিলেন। এ সময় দারোয়ান ফজলুল হক গেটের দরজা লাগিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এসময় পেছন দিক থেকে গাড়িটা ফজলুল হককে চাপা দিয়ে গেট ভেঙে বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফজলুল হক।

নিহত ফজলুল হকের বোন জানান, ‘সকাল ১০টার দিকে খবর পাইলাম একটা দুর্ঘটনা ঘটছে। আমার ভাইরে মাইরা ফালাইছে। কে বা কারা মারছে জানতে চাইলে জানতে পারি বাড়িওয়ালা মাইরা পালাইছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

google-news-channel-newsasia24

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ধারণা করা হচ্ছে ব্রেকে চাপ না দিয়ে এসকেলেটরে চাপ দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ‘খবর পেয়ে আমরা দুর্ঘনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ এবং গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত ফজলুল হকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা ও ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার ১৩নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— মা দেলোয়ারা বেগম ও তার ছেলে ইদা মিয়া এবং প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া। খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালে রান্নার জন্য বাড়ির পাশে লাউ গাছের পাতা তুলতে যান দেলোয়ারা বেগম। এসময় তিনি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে পড়ে যান। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ওই সেফটি ট্যাংকে নেমে পড়েন ছেলে ইদা মিয়া।

আরও পড়ুন:

তিনিও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে মই দিয়ে নিচে নেমে পড়েন প্রতিবেশি তবারক মিয়া। তারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী শঠিবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে তারা গিয়ে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

আরেক প্রতিবেশি আশিকুর রহমান বলেন, ওই সেফটি ট্যাংকটি ছিল কার্বন মনোক্সাইডে পরিপূর্ণ। এই গ্যাসে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৪

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

আরও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (৩ জুলাই) উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ সকাল ৬টায় শিমুল বাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্ট ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ী। অন্যদিকে নিমজ্জিত হয়েছে পাট,আমন বীজতলা ও সবজির ক্ষেত। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার পরিবার।

অপরদিকে,সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারে পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের নামাচর এলাকার লিটন মিয়া বলেন, গতকাল থেকে খুব পানি বাড়ছে। আমার এখানকার রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। এখন নৌকা ও গলা গাছের ভেলায় যাতায়াত করছি আমরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ও পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল শিশুসহ খালা-ভাগনির

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ট্রাক চাপায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগনি।

সোমবার বিকাল ৬টায় উপজেলার পাত্রীকুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম পাত্রীকুল এলাকার মৃত কলিম উল্লার মেয়ে পিয়ারা বেগম (৫৫) ও আলিশারকুল এলাকার মৃত দুদু মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৮)। তারা সম্পর্কে খালা-ভাগনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভূনবীর-মির্জাপুর সড়কে পিয়ারা বেগম ও তার ভাগনি সাদিয়া আক্তার ভূনবীর দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় দুটি খালি ট্রাক ভূনবীর দিকে বালু আনার জন্য বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। এসময় ট্রাক দুটি ওভারটেক করার সময় তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পিয়ারা বেগম নিহত হন। এছাড়া সাদিয়া মারাত্মক আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়।

google-news-channel-newsasia24

এ ঘটনার পরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে লাশ নিয়ে ওই রাস্তা রাত ১০টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী।

এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানু লাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ জানান, ঘাতক দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

কলকাতায় ছিনতাই হওয়া আইফোন মিললো কেরানীগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতার বেনিয়াপুকুরের পার্ক সার্কাস থেকে এক বছর আগে ছিনতাই হওয়া আইফোন-১৩ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (৩০ জুন) সকালে শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেব দাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর থেকে আইফোনটি উদ্ধার করা হয়।

এসআই মিলটন কুমার দেব দাস বলেন, গত বছরের ২৬ জুলাই কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার পার্ক সার্কাস থেকে মৌটুসী গাঙ্গুলি নামের এক নারীর ব্যবহৃত আইফোনটি ছিনতাই হয়। পরে তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

একপর্যায়ে ভারতীয় সাইবার পুলিশ জানায়, তার আইফোনটি আর কলকাতায় নেই, বাংলাদেশে পাচার হয়ে গেছে। এখন আর তাদের কিছুই করার নেই। পরে মৌটুসী তার জিডি কপি নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন।

google-news-channel-newsasia24

সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার ফোনটির সন্ধান পাই। কেরানীগঞ্জে আগানগর এলাকা থেকে ফোনটি উদ্ধার করি।

তিনি আরও বলেন, যিনি ফোনটি দেশে ব্যবহার করছিলেন তিনি একজন মোবাইলের দোকানদার। ফোনটি তিনি আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ওই বিক্রেতা তাকে বলেছিলো, ভারত থেকে মোবাইলটি তিনি কিনেছেন। কীভাবে ভারত থেকে ফোনটি বাংলাদেশের আসলো আর দোকানদার কার কাছ থেকে সেটি কিনেছেন এসব বিষয় তদন্তের পর জানা যাবে।

শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজত কুমার সাহা ভারতীয় নাগরিকের মোবাইলটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে তিস্তার পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীতে ফের দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্য নদ-নদীর পানিও বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও ভাঙন শঙ্কায় রয়েছে।

তিস্তা ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ সময় পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রংপুর জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তিস্তার তীরবর্তী কিছু এলাকার সবজিক্ষেত ডুবে গেছে।

পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

google-news-channel-newsasia24

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া গদাই এলাকার শাহ জামাল, শমসেল, ইলিমাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, গত প্রায় মাস খানেক ধরে কাউনিয়া রেল গেটে এই এলাকা থেকে যাওয়া রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন প্রতিরোধে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরাট করে চেষ্টা করছি। তারপরেও আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার জিও ব্যাগ চেয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়।

আরও পড়ুুন>>আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

তিস্তা নদী তীরবর্তী কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে দুর্ভোগের আতঙ্ক রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সোমবার ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। প

রিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। এছাড়া ভাটি অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৮০৮টি চোরাই অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার মোবাইল ফোনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ও নগদ টাকা জব্দ করে র‍্যাব।

এসব ফোন ভারতীয় কারখানায় তৈরিকৃত এবং চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে জানায় তারা।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবু তাহের (২৬) এই চক্রের মূলহোতা। আবু তাহের মোবাইল ফোনের শো-রুমের বিক্রয়কর্মী থেকে হয়ে ওঠেন সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দলের নেতা। গ্রেপ্তারকৃত অন্য ৩ জন হলেন- মো. মেহেদী হাসান (২২), মো. রুবেল হোসেন (২৯) ও মো. নূর নবী (৩২)।

রবিবার (৩০ জুন) রাতে র‍্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান। এরআগে সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে।

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারণে গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

এছাড়া এ সকল ফোনের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল চোরাকারবারিরা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করতো।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের ভারত হতে মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত তিন বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল ফোনের শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করে।

তখন থেকে পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে।

অল্প সময়ে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে এই চক্রে জড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:

অপর গ্রেপ্তারকৃত রুবেল একজন গাড়ি চালক। প্রথমে সে রেন্ট-এ কার এর গাড়ি ভাড়ায় চালালেও পরে তাহের এর চক্রে যোগ দেয়। তাহের তাকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালাতে দেয়। প্রাইভেটকারটি চালানোর আড়ালে চোরাইপথে আসা মোবাইল তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো।

গ্রেপ্তারকৃত নূরনবী ফেনী জেলার মহিপাল এলাকার জনৈক টিটু চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতো এবং তাহেরের সাথে পরিচয়ের পর বাড়তি অর্থ উপার্জনের আশায় সে চোরাই মোবাইল ফোন পরিবহনের এই চক্রের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তাহেরের আদেশে মোবাইল ফোনের চালান বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে।