নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
তবে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন থাকলে ভোট শেষ হতে আরো দেরি হতে পারে। অর্থাৎ যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের ভোট দেওয়া শেষ হলেই ভোট বন্ধ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার ভোট বর্জন করেছেন বিএনপিসহ ১৬টি দল।
নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ভোটের সকালে ৩৯ হাজার ৬১টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে।।
অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে ভোটের দিন সকালে। আর শনিবার দিন ২ হাজার ৯৬৪ বা ৭ শতাংশ কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
-
নাশকতাকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে লাখ টাকা পুরস্কার
-
ট্রেনে আগুন; দুর্বৃত্তদের সন্ধান মিলেছে, দ্রুতই গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
-
মসজিদের ইমাম-খতিবদের সম্মানী তিনগুন বাড়ানোর আশ্বাস
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী ।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। হাইকোর্ট থেকে তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় দলটির নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৫ জন।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ২৬৪ জন, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের ৯৬ জন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙর প্রতীকের ৫৬ জন।
নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের দুইজনসহ ৯৮ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ৬৭ জন এবং স্বতন্ত্র থেকে ২৯ জন প্রার্থী রয়েছে। অন্যদিকে, ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন, আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছে ৮৪৮ জন।
ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখের বেশি সদস্য। তারা ভোটের এলাকায় ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচনে ৬৪ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও দুইজন বিভাগীয় কমিশনার রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে দায়িত্ব পালন করছেন ৬৫৩ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
আর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ২ হাজার ৭৬ জন। এছাড়া ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন ৩০০ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন:
-
রাজবাড়ী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে নৌকার কর্মী আটক
-
নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান করলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হক
-
আদালতে ক্ষমা চাইলেন নৌকার প্রার্থী বাদশা
-
গাজীপুরে অবৈধ টাকা ছিটিয়ে কোন লাভ হবে না
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো রকম অনিয়ম, কারচুপি, দায়িত্বে অবহেলা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাতিল করা হতে পারে পুরো আসনের নির্বাচনও।
গত ১৫ নভেম্বর সিইসি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর মধ্যে এক বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নওগাঁও-২ আসনের নির্বাচন বাতিল করে ইসি। তাই ০৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours