শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

কলকাতায় ছিনতাই হওয়া আইফোন মিললো কেরানীগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতার বেনিয়াপুকুরের পার্ক সার্কাস থেকে এক বছর আগে ছিনতাই হওয়া আইফোন-১৩ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (৩০ জুন) সকালে শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেব দাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর থেকে আইফোনটি উদ্ধার করা হয়।

এসআই মিলটন কুমার দেব দাস বলেন, গত বছরের ২৬ জুলাই কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার পার্ক সার্কাস থেকে মৌটুসী গাঙ্গুলি নামের এক নারীর ব্যবহৃত আইফোনটি ছিনতাই হয়। পরে তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

একপর্যায়ে ভারতীয় সাইবার পুলিশ জানায়, তার আইফোনটি আর কলকাতায় নেই, বাংলাদেশে পাচার হয়ে গেছে। এখন আর তাদের কিছুই করার নেই। পরে মৌটুসী তার জিডি কপি নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন।

google-news-channel-newsasia24

সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার ফোনটির সন্ধান পাই। কেরানীগঞ্জে আগানগর এলাকা থেকে ফোনটি উদ্ধার করি।

তিনি আরও বলেন, যিনি ফোনটি দেশে ব্যবহার করছিলেন তিনি একজন মোবাইলের দোকানদার। ফোনটি তিনি আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ওই বিক্রেতা তাকে বলেছিলো, ভারত থেকে মোবাইলটি তিনি কিনেছেন। কীভাবে ভারত থেকে ফোনটি বাংলাদেশের আসলো আর দোকানদার কার কাছ থেকে সেটি কিনেছেন এসব বিষয় তদন্তের পর জানা যাবে।

শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজত কুমার সাহা ভারতীয় নাগরিকের মোবাইলটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে তিস্তার পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীতে ফের দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্য নদ-নদীর পানিও বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও ভাঙন শঙ্কায় রয়েছে।

তিস্তা ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ সময় পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রংপুর জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তিস্তার তীরবর্তী কিছু এলাকার সবজিক্ষেত ডুবে গেছে।

পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

google-news-channel-newsasia24

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া গদাই এলাকার শাহ জামাল, শমসেল, ইলিমাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, গত প্রায় মাস খানেক ধরে কাউনিয়া রেল গেটে এই এলাকা থেকে যাওয়া রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন প্রতিরোধে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরাট করে চেষ্টা করছি। তারপরেও আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার জিও ব্যাগ চেয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়।

আরও পড়ুুন>>আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

তিস্তা নদী তীরবর্তী কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে দুর্ভোগের আতঙ্ক রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সোমবার ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। প

রিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। এছাড়া ভাটি অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৮০৮টি চোরাই অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার মোবাইল ফোনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ও নগদ টাকা জব্দ করে র‍্যাব।

এসব ফোন ভারতীয় কারখানায় তৈরিকৃত এবং চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে জানায় তারা।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবু তাহের (২৬) এই চক্রের মূলহোতা। আবু তাহের মোবাইল ফোনের শো-রুমের বিক্রয়কর্মী থেকে হয়ে ওঠেন সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দলের নেতা। গ্রেপ্তারকৃত অন্য ৩ জন হলেন- মো. মেহেদী হাসান (২২), মো. রুবেল হোসেন (২৯) ও মো. নূর নবী (৩২)।

রবিবার (৩০ জুন) রাতে র‍্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান। এরআগে সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে।

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারণে গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

এছাড়া এ সকল ফোনের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল চোরাকারবারিরা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করতো।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের ভারত হতে মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত তিন বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল ফোনের শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করে।

তখন থেকে পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে।

অল্প সময়ে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে এই চক্রে জড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:

অপর গ্রেপ্তারকৃত রুবেল একজন গাড়ি চালক। প্রথমে সে রেন্ট-এ কার এর গাড়ি ভাড়ায় চালালেও পরে তাহের এর চক্রে যোগ দেয়। তাহের তাকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালাতে দেয়। প্রাইভেটকারটি চালানোর আড়ালে চোরাইপথে আসা মোবাইল তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো।

গ্রেপ্তারকৃত নূরনবী ফেনী জেলার মহিপাল এলাকার জনৈক টিটু চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতো এবং তাহেরের সাথে পরিচয়ের পর বাড়তি অর্থ উপার্জনের আশায় সে চোরাই মোবাইল ফোন পরিবহনের এই চক্রের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তাহেরের আদেশে মোবাইল ফোনের চালান বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে।

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কু‌ড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ‌্যুৎস্পৃ‌ষ্ট হয়ে এক বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭)।

google-news-channel-newsasia24

স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়িতে বৈদ‌্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ‌্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের চিৎকার শুনে বাবা আবু তাহের তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে। পরে বাপ-ছেলে দুইজনই ঘটনাস্থলে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

আজ ব্যাংক হলিডে , লেনদেন বন্ধ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ অর্থবছরের শুরুর দিন ১ জুলাই (সোমবার) ব্যাংক হলিডে। এ উপলক্ষে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে গ্রাহকের সঙ্গে কোনো লেনদেন না করলেও নিজস্ব হিসাব মেলাতে খোলা থাকবে ব্যাংক।

ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনও বন্ধ থাকবে।

বছরে দুইদিন ব্যাংক হলিডে, একদিন ১ জুলাই এবং অন্যদিন ৩১ ডিসেম্বর। এ দুই দিনে ব্যাংকগুলো তাদের লাভ-ক্ষতির হিসাব করে নতুন দিন শুরু করে। ব্যাংকগুলো ১ জুলাই অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো ৩০ জুন ভিত্তিক অর্ধবার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী এবং ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক বার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করে। বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্র করে বিবরণী তৈরি করা হয়।

যেহেতু সারা বছরের হিসাব বিবরণী চূড়ান্ত করার বিষয় থাকে, যে কারণে বছরের এ দু’দিন ব্যাংক হলিডে পালিত হয়। এর মাধ্যমে বছরের হিসাব ক্লোজ করা হয়। যদিও নিরীক্ষিত বার্ষিক বিবরণী চূড়ান্ত করতে অনেক সময় লাগে।

google-news-channel-newsasia24

 

সাগরে ভাসা বোতলের পানিকে মদ ভেবে পান, ৪ জেলের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাগরে কিছু বোতল ভাসতে দেখে জেলেরা। তারা সেই বোতল নৌকায় তুলে নেয়। জেলেরা ভেবেছিল সেগুলোতে মদ রয়েছে। পরে সেই বোতলগুলো থেকে অজানা তরল পান করে চার জেলের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা যায়। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ উপকূলীয় শহর টাঙ্গালে থেকে ৩২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জেলেরা মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী জানায়, জেলেরা মদ ভেবে বোতলে থাকা তরল পান করে। এর পর চার জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুজন গুরুতর আহত হন।

google-news-channel-newsasia24

শ্রীলঙ্কার মৎস্য ও জলজ সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক সুসান্থ কাহাওয়াত্তে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নৌ বাহিনী জেলেদের তীরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। অসুস্থ জেলেদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মৃত জেলেরা গত ৪ জুন টাঙ্গালে শহর থেকে ডেভন নামের একটি নৌযানে করে মাছ ধরতে যান। তারা কিছু বোতল সমুদ্রে থাকা অন্যান্য জেলেদেরও দিয়েছিল।

ওই সব জেলেদের এরইমধ্যে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। সমুদ্রে পাওয়া বোতলগুলোতে কি ধরনের তরল ছিল, তা নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:

মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।

রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ আগস্ট। এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ জুলাই।

এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

রাজশাহীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। শনিবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার কামারপড়া-অভয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রতন। অন্যজনের নাম জানা যায়নি। আহতদের গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মদিনা ট্রাভেলস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিল হানিফ পরিবহনের একটি বাস। মদিনা ট্রাভেলসের বাসটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এই দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছাড়া নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটিকে মহাসড়ক থেকে সরানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ওসি জানান, নাম না জানা নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়ার শেষে মরদেহ দুটি সজলের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুুুুন:

google-news-channel-newsasia24

পরিবারের সদস্যদের তুলনায় গরিব মতিউর!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনায় আসার পর বেরিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের দুর্নীতির তথ্য। অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন হাজার কোটির সম্পদ। তবে এসব অর্থ তিনি নিজের নামে রাখেননি। নিজের অবৈধ আয় আড়াল করতে এসব সম্পদ করেছেন স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে।

মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী ছিলেন কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এই পক্ষে দুই সন্তান রয়েছে মতিউরের। এদের মধ্যে মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা কানাডা প্রবাসী। ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। দেশে ফিরে বিয়ে করেছেন চট্টগ্রামের এক ঋণখেলাপি শিল্পপতির মেয়ে।

দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী গৃহিণী। তাঁর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধবী বারডেম মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। আর ছাগলকাণ্ডের জন্ম দেওয়া ছেলে মুশফিকুর রহমান নটর ডেম কলেজের ছাত্র। ছোট ছেলে ইরফানের বয়স সাত বছর। এছাড়া মতিউরের এক ভাই নূরুল হুদা ছিলেন বেকার, বখাটে। আরেক ভাই কাইয়ুম হাওলাদার গার্মেন্টে চাকরি করতেন। বাবা আব্দুল হাকিম ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অত্যন্ত সাধারণ পারিবারিক পরিচয়ের এ ব্যক্তিরাই এখন শত শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তাদের নামে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট, পার্ক, রিসোর্ট, শিল্পকারখানা-কী নেই। কারও নামে পুঁজিবাজারে আছে বিপুল বিনিয়োগ। অভিযোগ আছে, অতি ধূর্ত মতিউর নিজের অবৈধ আয় আড়াল করতে কাগজে-কলমে পরিবারের সবাইকে সম্পদশালী করে দিয়েছেন। নিজের নামে রেখেছেন সামান্য কিছু। যাতে আইনের ফাঁকফোকরে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারেন।

আয়কর ফাইলের তথ্য বলছে, মাত্র ২০ কোটি টাকার মালিক মতিউর। এর মধ্যে ১৩ কোটি টাকা আছে নগদ। পুঁজিবাজারে মাত্র ৮২ লাখ টাকা বিনিয়োগের তথ্য উল্লেখ করেছেন সবশেষ আয়কর নথিতে। হাতে নগদ আছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এছাড়া ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, ৩ কোটি টাকার অকৃষি সম্পত্তি এবং একটি মৎস্য খামারকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া আছে তার। আয়কর ফাইলের তথ্য নেওয়ার সময় এক কর্মকর্তা হাসির ছলে বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের তুলনায় স্যার অত্যন্ত গরিব।’

মতিউরের গাড়ি-বাড়ি সবই তার স্ত্রী-সন্তান এবং আত্মীয় এবং তাদের নামে থাকা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে। তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, মতিউর, দুই স্ত্রী ও দুই পক্ষের দুই সন্তান মিলে অন্তত এক ডজন বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ৩/৪ কোটি টাকা দামের গাড়িও আছে। তবে একটি গাড়িও তাদের নামে নেই। এমনকি রিফাতের ব্যবহার করা প্রাডো ও প্রিমিও মডেলের যে ৪টি গাড়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেগুলো তাদের নামে নেই।

আরও পড়ুন:

মতিউর যে বাড়িতে বসবাস করেন সেই বাড়িও কাগজে কলমে তাঁর মেয়ে ইপ্সিতার নামে রয়েছে। ছোট স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে একটি, লালমাটিয়ায় একটি, কাকরাইলে দুটিসহ আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন মতিউর। তার নামে পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। অথচ গৃহিণী স্ত্রী শাম্মী আখতারের আয়ের কোনো উৎস নেই।

পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এসকে থ্রেড নামে সুতা তৈরির কারখানা আর টঙ্গীতে এসকে ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামের গার্মেন্ট সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন মতিউর। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার ছোট ভাই কাইয়ুম হাওলাদার। অথচ একসময় তিনি নিজেই গার্মেন্টে চাকরি করতেন। এছাড়াও প্রথম পক্ষের স্ত্রী, কন্যা ও ছেলের নামে ওয়ান্ডার পার্ক, পূবাইল শুটিং স্পট ও রিসোর্ট, খামারসহ বিপুল সম্পদ করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি রিমা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি হয়েছেন রিমা আকতার (২০) নামের এক তরুণী। হবু শ্বশুর বাড়ি থেকে ক্রমাগত যৌতুকের দাবির প্রতিবাদে বিয়ের দুদিন আগে আত্মহত্যা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিমা ওই এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির মনির আহমদের মেয়ে। এদিন রাতেই মেহেদী অনুষ্ঠান ছিলো রিমা আকতারের।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। হলুদ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে আত্মহত্যা করেন এই তরুণী। আত্মহত্যা করার পূর্বে লিখে গেছেন একটি চিরকুট। সেখানে লিখে গেছেন তার না বলা কথা।

সুইসাইড নোটে রিমা লিখে গেছেন- ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছো এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছো। আমি পারছি না এতো যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না, ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা আমি নিতে পারছি না। আমার পরিবারের কাছ থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না, আমি বাঁচতে পারতাম যদি আমি বেশি মান-সম্মানওয়ালা পরিবারে জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে আমাকে কবরে পাঠিয়ো।’

চিরকুটের শেষে রিমা আরও লিখে গেছেন- ‘আর আমার পরিবারকে বলছি, মোরশেদকে তোমরা ছাড়বে না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দিবা।’

আরও পড়ুন>>নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

রিমার পরিবারের সদস্যদের কাছে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হীরা গাজী তালুকদারের বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টায় বৈদ্যুতিক ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে ঝুলে পড়েন রিমা।

দীর্ঘক্ষণ রিমার ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্বজনরা তাকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পান রিমা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।

তৎক্ষণাৎ রশি কেটে তাকে নামিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমা বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মারা যান। রিমা পটিয়া সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুুন>>সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

রিমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ একজন ব্যাংকার। তিনি আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করেন। রিমা ও মোরশেদ দুজন একই এলাকার। তাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কও চলছিল।

রিমার ছোট চাচা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে একই এলাকার ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে রিমার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে আমরা উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই শুক্রবার (২৮ জুন) বিয়ের তারিখ ঠিক করি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে হওয়ার কথা ছিল তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রিমা ও মোরশেদ মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলে পড়ে রিমা।’

আরও পড়ুন>>শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

রিমার বাবা মনির আহমদ ঘটনার জন্য হবু স্বামী মোরশেদকে দায়ী করে তার শাস্তি চেয়ে বলেন, ‘তার লোভের বলি হয়েছে আমার আদরের মেয়ে তারা বরযাত্রীর পরিবর্তে টাকা চেয়েছে, তাতেও আমরা রাজি হয়েছি।

তারা কোনো কিছু (যৌতুক) দাবি নেই বলে আসলেও বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকে একের পর এক যৌতুক দাবি করে আসছিল। আমি তার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এবং সরকারের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’

রিমার ভাই আজগর হোসেন বলেন, ‘বিয়েতে বরযাত্রী খাওয়া-দাওয়া বাবদ মোরশেদের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

তারপরও আমার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে আরও নগদ টাকা দাবি করে। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করার অপমান সইতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তারা যে এতটা যৌতুক লোভী হবে তা আমাদের জানা ছিল না। নিজের প্রাণ দিয়ে আমার বোন তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে গেছেন।’