শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

ঈদুল আজহা ১৭ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখা যাওয়া এবং ১৭ জুন ঈদুল আজহা পালনের সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টায় সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুন (১০ জিলহজ) সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

আরও পড়ুন: 

| দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ

| ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

| ক্রেতার অভাবে গুদামে পড়ে আছে ৩০ টন পেঁয়াজ

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ১৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করে থাকেন।

ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ও লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজ পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সরকারি ছুটি থাকবে। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে এবার ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

google-news-channel-newsasia24

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ আজ

নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌনে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। আজ বিকেলে জাতীয় সংসদে এ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। বিকেল ৩টায় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

এবার বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।

বাজেটে রাজস্ব আয়সহ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। বেশিরভাগ আয় করার দায়িত্বটি দেওয়া থাকবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)।

বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত।

আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

অবশ্য বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বড়জোর ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রায় কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আরও পড়ুন:

অন্যদিকে বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

google-news-channel-newsasia24

বাল্য বিবাহ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে: বাবুল আখতার (ভিডিও সহ)

ফাহিম শাওন: চাঁদট এম.বি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসার সভাপতি ও খোকসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল আখতার বলেছেন, শির্ক্ষাথীদের বাল্য বিবাহ রোধে অভিভাববকদের সচেতন হতে হবে। তাদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অল্প বয়সে তাদের বিয়ে দেয়া যাবে না।

আজ মঙ্গলবার (০৫ জুন) কুষ্টিয়া খোকসার চাঁদট এম.বি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসার অভিভাবক সামাবেশে এসব কথ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার এখন পড়ালেখা অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমাদের সময়ে পড়ালেখা এত সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন পুরাতন বই নিয়ে পড়তে হতো। তারপর নতুন বই পেতাম। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই নতুন বই হাতে পাচ্ছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, অভিভাবকদের শুধু প্রতিষ্ঠানের উপর দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। তার সন্তান ঠিকমত স্কুলে যাচ্ছে কিনা, বাসায় ঠিকমত পড়ছে কি না সব কিছু খেয়াল রাখতে হবে।

chadot mb modinatul ulum fazil madrasha gurdian meeting babul akthar newsasia24 2

উক্ত সমাবেশে মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ শহিদুজ্জামান অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই যুগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান স্মার্টফোনে কি করছে সেটা আপনাকে নজর রাখতে হবে। তাদের হাতে ফোন ছেড়ে দেয়া যাবে না। তারা যখন ফোন ব্যবহার করবে তখন তাদের নজর রাখতে হবে, কাজ হয়ে গেলে ফোন নিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

এছাড়াও অভিভাবকদের সচেতনতায় তিনি বলেন, আপনার দুইটা সন্তান থাকলে, দুই সন্তানকেই সমান চোঁখে দেখতে হবে। অনেক বাবা-মা আছেন, তারা যে সন্তান মেধাবী তাকে বেশী খেয়াল করেন অপরদিকে কম মেধাবী সন্তানকে কম খেয়াল করেন। এটা করা যাবে না। বরং যে সন্তান কম মেধাবী তাকে বেশী খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে সেও মেধাবী হয়ে উঠবে।

উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠানে মাদরাসার শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

বটগাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেলো দুজনের

রাজশাহী প্রতিনিধি: ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, হালকা বাতাস। এতেই উপড়ে পড়ে একটি বটগাছ। এর নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকবাজার রাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চকবাজার এলাকার মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪০) ও একই এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (৪২)।

মো. এহসারুল্লাহ নামের স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাসও বইছিল। এ সময় হঠাৎ গ্রামের পুরনো বটগাছটি উপরে পড়ে। এতে গাছের পাশে চায়ের দোকানে বসে থাকা বেশ কয়েকজন ওই বটগাছের নিচে চাপা পড়েন। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। উদ্ধার কাজ শেষে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

ওসি জানান, এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

google-news-channel-newsasia24

লোকসভার চূড়ান্ত ফল: বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

এছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) ৯টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) ৮টি ও শিবসেনা (এসএইচএস) ৭টি আসনে জয় পেয়েছে।

লোক জনশক্তি পার্টি ৫টি, যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টি ৪টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ৪টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) ৪টি, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ ৩টি, আম আদমি পার্টি ৩টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩টি আসনে জয় পেয়েছে। পাশাপাশি অনেকগুলো দল দুটি করে এবং অনেকগুলো একটি করে আসন পেয়েছে।

এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। দলটির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট মোট আসন পেয়েছে ২৯৫টি। অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের ইনডিয়া জোট পেয়েছে ২৩১টি আসন।

আরও পড়ুন:

দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে মাত্র ৯৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট। আর কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির।

ওই নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সেক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে।

google-news-channel-newsasia24

গোঁজামিল না দিয়ে খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বাজেট দিন : ইসলামী আন্দোলন

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, এদিক-সেদিক করে কিছু পণ্যের দাম কমবেশ করে ঋণ নির্ভর গোঁজামিল দিয়ে বিশালাকারের বাজেট পেশ করলেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমদানী-রাপ্তানির নামে বিদেশে টাকা পাচার, চিকিৎসার নামে মুদ্রা পাচার, রিজার্ভ ও ব্যাংক লুটপাট বন্ধ করতে হবে। দলীয় সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সামথিং কর পে করে কালো টাকা সাদা নয় আড়ৎদারী, মজুদদারী, কালোবাজারী ও দুর্নীতি করে হাতিয়ে নেয়া সকল টাকা-ই রাজস্ব ফান্ডে জমা দিতে হবে।

খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভর্তূকী দিয়ে আমদানী নয় উৎপাদন নির্ভর বাজেট পেশ করতে হবে এবং কৃষককে উৎপাদনে ভর্তুকী ও উৎসাহিত করতে হবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। খাদ্যপণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন না বাড়িয়ে পাশের রাষ্ট্র থেকে উচ্চ মূল্যে খাদ্যপণ্য আমদানী করেছে। এটা আমাদের অস্তিত্বকে হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে। তিনি সরকারের প্রতি আহবান করেন, রিজার্ভ নিয়ে যে সংকট তৈরী হয়েছে তা পরিস্কার করুন।

আরও পড়ুন:

উচ্চবিলাসী মেগা প্রকল্প না বাড়িয়ে চাল, ডাল, তেল, নুনের দাম কমানোর বাজেট দিন। “বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে” অর্থমন্ত্রীর এমন সস্তা কথায় গরীব-দুঃখী মানুষের পেটে ভাত ঝুটবে না।

খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হলে ধান, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মাছ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু উৎপাদন ও লালন-পালনে কৃষককে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে হবে। দেশ ও মানুষ বাঁচাতে কৃষকের স্বার্থে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

google-news-channel-newsasia24

বিয়ের পর স্ত্রীকে একঘেয়ে লাগলে কী করবেন?

লিমা পারভীন: সবাই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে জীবন কাটাতে চায়। থাকতে চান এক ছাদের নিচে। সংসার করতে চান। একে অপরকে ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে চান। কিন্তু সবার ইচ্ছা পূরণ হয় কি?

২৫ বছরের সংসার

ভদ্রলোকের নাম ইমদাদুল হক মিলন। বয়স ৫৫ বছর। ২৫ বছর ধরে এক নারীর সঙ্গে সংসার করছেন। প্রথম প্রথম তাদের মধ্য়ে সব ঠিক ছিল। একে অপরের প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ধীরে ধীরে একে অপরের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। এরপর থেকেই দমবন্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছেন তিনি।

স্ত্রীকে ভালো লাগছে না

মিলন ও তার স্ত্রীর মধ্যে একে অপরের প্রতি শারীরিক আগ্রহ হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগেই। এখন স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো কথাও হয় না। যেন এক ছাদের নিচে দুই অপরিচিত মানুষ একসঙ্গে থাকেন। কিন্তু এভাবে আর কত দিন?

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

এমন পরিস্থিতিতে দুজনকেই মনে জোর রাখতে হবে। কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুজনকেই মুখোমুখি বসে কথা বলতে হবে। আপনার মনে কী চলছে , তার মনে কী চলছে এবং সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবছেন দুজনেই আলোচনা করুন।

আলোচনা করতে ভুলবেন না

সম্পর্কে কোনো বড় সিদ্ধান্ত একা নেওয়া যায় না। তাই দুজন মিলেই টিমের মতো কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনাদের সন্তান রয়েছেন। তারা বড় হয়েছে। আপনাদের যে কোনো সিদ্ধান্ত তাদের মনে প্রভাব ফেলবে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। আশা করি এতে পরিস্থিতি সহজ হবে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

জুন মাসে ছয় দিন বজ্রঝড় হতে পারে

আবহাওয়া ডেস্ক: চলতি জুন মাসে দেশে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, এ মাসেই দুটি লঘুচাপ হতে পারে যার মধ্যে একটি মৌসুমী নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে।

রবিবার (২ জুন) দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানের নিমিত্ত গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত জুন-২০২৪ মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে

এছাড়া এ তে আরও বলা হয়েছে, এ মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। সেই সঙ্গে প্রথম সপ্তাহের প্রথমার্ধে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন:

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত জিপিসিএস, ইসিএমডাব্লিউএফ, জেএমএ, এনওএএ, আইআরআই, এপিসিসি, আরআইএমইএস এবং সিথ্রিএস থেকে প্রাপ্ত মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, উর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল, এসওআই ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণ পূর্বক এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

নিউজ  এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ রবিবার থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে । আজ দেওয়া হবে ১২ জুনের টিকিট। এবারও ঈদযাত্রার ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি করা হবে অনলাইনে।

রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চল এবং দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।

বরাবরের মতো এবারও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫ দিনের ট্রেনের আসন বিক্রি করা হবে। ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে ঈদযাত্রায়।

গত বছর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাত্রীর কাছে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। গত ঈদ থেকে যুক্ত হয়েছে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি)। এবারের ঈদেও একই পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

আগামী ১৭ জুন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে ধরে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা সাজিয়েছে রেলওয়ে। ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন এবং ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন বিক্রি করা হবে।

ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন থেকে। সেদিন দেওয়া হবে ২০ জুনের টিকিট। ২৪ জুন পর্যন্ত রেলের ফিরতি যাত্রা চলবে।

google-news-channel-newsasia24

সুনামগঞ্জে ৩ ভাবিকে ছুরিকাঘাত, ১ জনের মৃত্যু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন ভাবিকে ছুরিকাঘাত করেছেন দেবর। তিন জনের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে স্বপ্না বেগম (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ১৮ বছর বয়সী দেবর আইনুল হক পলাতক। নিহত স্বপ্না বেগম (৩৫) নবাব মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার চার ছেলে। এর মধ্যে তিন জন বিবাহিত। সবাই একই পরিবারে বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক নানা ঝামেলা ছিল।

এর জের ধরে শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভাইদের সবার ছোট জন ঘরে থাকা তাঁর তিন ভাবি স্বপ্না বেগম (৩৫), মর্জিনা বেগম (৩০) ও ইয়াসমিনকে (২৬) ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।

আহত নারীরা চিৎকার শুরু করলে আইনুল হক পালিয়ে যান। পরে আহত নারীদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন:

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাকি দুই জনের অবস্থা গুরুতর হলে তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দেবরকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।

google-news-channel-newsasia24