শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

মিরপুরে ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন

ঢাকা প্রতিনিধি: রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিস্তারিত আসছে….

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow

ভিক্ষা করে জমি কিনে দোতালা বাড়ি, মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ভিক্ষাবৃত্তি শুধু পেটের দায়ে নয়, কিছু মানুষ এটিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তেমনি এক ভিক্ষুকের আয়ের কথা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে! তিনি ভিক্ষার টাকায় জমি কিনে দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। দামি মোটরসাইকেলও আছে তার। এছাড়াও দামি স্মার্টফোনও ব্যবহার করেন তিনি।

অন্যদিকে, মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করেন। সম্পত্তির এই পরিসংখ্যান ভারতের এক ভিখারির। তার নাম ইন্দিরা বাই। তিনি বছরে ২০ লাখ টাকা উপার্জন করেন।

শুধু যে নিজে ভিক্ষাবৃত্তি করেন, বিষয়টা তা নয়। ভিক্ষায় নিয়োজিত করেছেন নিজের তিন সন্তানকেও। এদের মধ্যে তার আট বছরের মেয়েও আছে।

ভারতের ইন্দোর শহরের এই ভিখারি তিন সন্তানকে ‘জোর করে’ ভিক্ষা করানোর দায়ে সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এরপরেই তার সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ সামনে আসতে শুরু করেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আটক করার সময় ইন্দিরার কাছে ছিল ১৯ হাজার ২০০ টাকা। ওই টাকা মাত্র ৭ দিনের উপার্জন বলে জানিয়েছেন তিনি। যা অনেকাংশে কর্পোরেট চাকরির বেতনের থেকেও বেশি। এছাড়াও ইন্দিরা ও তার পরিবারের রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি, স্মার্টফোন-সহ অন্যান্য ত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র।

আরও পড়ুন: 

ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকার শহরগুলোকে ভিক্ষুক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কাজ করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে আসে। এমন গল্প শুধু ইন্দিরা বাইয়ের নয়, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে ৭০০০-এর বেশি মানুষের পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। যারা ইন্দোরের ৯৮.৭ শতাংশ মানুষের থেকে বেশি উপার্জন করেন।

ইন্দিরা বাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আট বছরের মেয়েটিকে শিশুদের জন্য হোমে পাঠানো হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

আফগানিস্তানে ‘জীবন্ত বস্তুর’ ছবি তোলা নিষেধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের কান্দাহারে যেকোনো ধরনের ‘জীবন্ত বস্তুর’ ছবি তোলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। কান্দাহার প্রদেশটিকে বলা হয় তালেবানের জন্মস্থান।

আজ রবিবার প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র দপ্তর এক চিঠিতে বলেছে, আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক সমাবেশগুলোতে যেন ‘জীবন্ত বস্তুর’ ছবি তোলা থেকে সবাই বিরত থাকে। কারণ এতে ‘উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি’ হয়।

আফগানিস্তানে তালেবানের আগের শাসনামলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জীবন্ত বস্তুর ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল। বছর দুয়েক আগে তারা দক্ষিণ এশীয় দেশটির ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে স্থানীয় বেশ কিছু মিডিয়া মানুষ ও পশুপাখির ছবি ব্যবহার বন্ধ রেখেছে।

আরও পড়ুন:

এএফপি জানিয়েছে, কান্দাহারে জীবন্ত বস্তুর ছবি তোলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রাদেশিক গভর্নরের একজন মুখপাত্র। তবে নিয়মটি কতটা কঠোর ও কীভাবে কার্যকর করা হবে তা স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে তালেবান প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ব্রকলির এই উপকারিতা জানলে চমকে উঠবেন!

লিমা পারভীন: শীতকালীন সবজি ব্রকলি। অনেকটা ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ রঙের এই সবজি। বর্তমানে চায়নিজ খাবারের পাশাপাশি দেশি খাবারেও ব্যবহৃত হচ্ছে ব্রকলি। কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায় এই সবজি।

ব্রকলি সাধারণত ক্রসিফেরী গোত্রের শীতকালীন সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, আঁশ আছে। এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থাকায় হৃদরোগ, বহুমূত্র এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

ব্রকলিতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি পাওয়া যায়। মার্কিন ফুডডাটা সেন্ট্রালের তথ্য মতে দিনে মাত্র ১০০ গ্রাম ব্রকলি শরীরে প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদার ১৫০% পূরণ হতে পারে।

Benefits-of-Broccoli2-newsasia24

আসুন জেনে নিই ব্রকলির ৬ টি উপকারিতা:

১. ভিটামিন সি: লেবুর দ্বিগুণ ও আলুর সাত গুণ ভিটামিন সি ব্রোকলিতে। বলা হয়, যাঁদের ভিটামিন সি দরকার, তাঁরা অল্প করে হলেও ব্রোকলি প্রতিদিন খেতে পারেন। এছাড়া, ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্ষতিকর ফ্রি-র‍্যাডিক্যালস দূর করে।

২. ক্যান্সার প্রতিরোধ: ব্রোকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম যৌথ ও ভিটামিন সি প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এছাড়া ব্রকলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ।

আরও পড়ুন>>কালচে ঠোট গোলপি করার ১০টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায় এবং টিপস

৩. ত্বক ভালো রাখে: ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ত্বক উন্নত করতে ব্রকলিতে থাকা গ্লুকোরাফানিন বৈশিষ্ট্য অনন্য। ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন কে ও ভিটামিন সি, যা চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে থাকে।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ব্রকলি। এতে ফাইবার ও পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খেলে অন্য খাবারের আসক্তি কমে। বেশি আয়রন থাকায় ডায়েটের সময় ব্রোকলি খেলে ঝিম ধরা ভাব দূর হয়।

আরও পড়ুন>>মন খুলে কান্না করুন সুস্থ থাকুন

৫. হার্ট ভালো রাখে: সালফোরাফেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডকে বিভিন্ন হৃদরোগের থেকে রক্ষা করে। ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায়। এছাড়া গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, জ্বর, মুখের ঘা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি আরও অনেক রোগ প্রতিহত করে। এতে থাকা সেলিনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ব্রকলি যেভাবে খাবেন:
ব্রকলি কাঁচা বা সিদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ব্রকলি অনেকক্ষণ ধরে রান্না করলে এর পুষ্টি উপাদান হ্রাস পায়। তাই এটি ভাপে সেদ্ধ করা ভালো।এছাড়া সালাদ বা স্যুপ বানিয়েও ব্রকলি খাওয়া যায়। তবে একটানা না খেয়ে সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেলে পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত পাওয়া যাবে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

নিজ এলাকা উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকা পাচ্ছেন এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংসদ সদস্যদের স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, এমপিরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া তার এলাকার উন্নয়নে এর আগেও একটা থোক বরাদ্দ থাকতো। এখন নতুন সরকার, এ সরকারের আমলে এমপিদের নিজ এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ সরকার কি দেবে না?

এর জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক।

স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন বলে একটি প্রকল্প করে প্রতিজন এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ২০ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন।

আরও পড়ুন:

এটি চলমান। এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবার নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে এনে সাবেক স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় রওশন মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার ৪ ঘণ্টার মধ্যে রওশনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহিদুল ইসলাম সোহাগ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রুনাকে বাড়িতে ডেকে আনেন রওশন মিয়া। সেখানে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে রুনাকে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান রওশন। পরে নৌকায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া পালানোর সময় হাজীপুরের মেঘনা নদীর বেঙ্গল ঘাট এলাকা থেকে পুলিশ রওশনকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর রওশন পুলিশের কাছে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় রুনার ভাই সাহাউদ্দিন গ্রেপ্তার রওশন মিয়াকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্ত্রী রুনা বেগমকে (৪৫) হত্যা করা হয়। রুনা বেগম শহরের বেপারীপাড়া এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ভোটে কারচুপির দায় স্বীকার করলেন পাকিস্তানের কমিশনার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের কমিশনার লিয়াকত আলি চাতা। একই সঙ্গে তিনি নিজের ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য জড়িত কর্মকর্তার বিচার চেয়েছেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলি দাবি করেন, পিন্ডিতে ১৩ জন প্রার্থীকে জোর করে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ৫০ হাজার ভোটে পরাজিত প্রার্থীকে ভোট বেশি দেখিয়ে জয়ী করেছি।

আরও পড়ুন>>গোলাবারুদ সংকটে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটলো ইউক্রেন

লিয়াকত বলেন, আমি রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনে অবিচার করেছি। আমি আজ ফজরের নামাজের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। তবে পরে আমি চিন্তা করলাম, আমি কেন মহাপাপের মৃত্যুকে বরণ করে নেব? আমি সব কিছু মানুষের সামনে কেন প্রকাশ করে দেব না?

কমিশনার বলেন, রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনে আমি ভোট জালিয়াতির দায়দায়িত্ব মেনে নিচ্ছি। এবং আমার নিজেকে পুলিশে সোপর্দ করছি।

আরও পড়ুন>>কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির!

কমিশনার লিয়াকত বলেন, তিনি এই শহরে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তবে দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের ভাবমূর্তিকে এভাবে কলঙ্কিত করায় তিনি অনুতপ্ত।

লিয়াকত আরও বলেন, এই কাজ করার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। এখন আমি শান্তিপূর্ণভাবে মরতে চাই। আমি যা করেছি, সে জন্য আমার শাস্তি হোক। আমার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসিপির জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তার শাস্তি হওয়া উচিত।

google-news-channel-newsasia24

Folllow

গোলাবারুদ সংকটে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটলো ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোলাবারুদের অভাবে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। সম্প্রতি ২০২৩ সালের মে মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। তার মধ্যেই গোলাবারুদ সংকটে পিছু হটার কথা জানালো ইউক্রেন।

দেশটির নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য দিয়েছেন ।

কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি কয়েক মাস ধরে মার্কিন কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। এর ফলে ইউক্রেনের গোলাবারুদের ঘাটতি আরও তীব্র হয়েছে।

দেশটির নতুন সেনাপ্রধান বলেছেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা আভদিভকা শহরের বাইরে নিরাপদ অবস্থানে ফিরে গেছেন।

আরও পড়ুন>>কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির!

তিনি বলেন, আমি শহরটি থেকে আমাদের ইউনিটগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রুশ বাহিনী থেকে সৈন্যদের জীবন রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার কারণে কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের আভদিভকা শহরটি রুশ বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

আরও পড়ুুুন>>শিক্ষককে বালিচাপা, প্রেমিকাসহ আটক ৩

ডনবাস অঞ্চলের দুটি প্রদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় আভদিভকা শহরটি দখল করা রাশিয়ার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া, আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রণক্ষেত্রের এই বিজয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আভদিভকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির। রাশিয়ার একটি আদালত তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। খবর আল-জাজিরা।

জানা গেছে, কারাগারে হাঁটাহাঁটি করছিলেন নাভালনি। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন। পরবর্তিতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এসময় অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম তাকে চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু ঘটনার পরপরই চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর কথা জানান। তবে ঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নাভালনি মস্কো থেকে প্রায় এক হাজার নয়শ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনিতে ছিলেন। এটি পোলার উলফ নামে পরিচিত। মস্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরে ওই কারাগারের অবস্থান।

উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন। ২০২০ সালে তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow

শিক্ষককে বালিচাপা, প্রেমিকাসহ আটক ৩

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে শিক্ষককে ডেকে নিয়ে বালু চাপা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

নিহত আব্দুল হক (৫৮) উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পলশিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার সারপলশিয়া এলাকায় অভিযুক্ত জাহানারা ওরফে জয়নব বেগমের ঘরের পাশে বালির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন>>ময়মনসিংহে বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৭

আটককৃতরা হলেন সারপলশিয়া এলাকার পরকীয়া প্রেমিকা জাহানারা বেগম (৩৮), তার স্বামী আব্দুল বারেক (৪৮), এবং একই এলাকার সবুরের ছেলে ফারুক (২৫)। আটককৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জাহানারা ওরফে জয়নব বেগমের সাথে শিক্ষক আব্দুল হকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসময় তারা দুজন মিলে এলাকায় সুদের ব্যবসা করত। এর মধ্যে বেশ কিছু টাকা পেত ওই শিক্ষক।

আরও পড়ুন>>সিলেটে বাসচাপায় পুলিশের ডিসি-এডিসিসহ আহত ৬

তাদের সম্পর্কের কথা জয়নবের স্বামী ও তার পরিবার জেনে যাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাকে ডেকে নেওয়া হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই শিক্ষকের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর জানতে পারেন সুদ কারবারি পার্টনার জয়নব বেগমের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

পরে পুলিশের সহায়তায় জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালির নিচ থেকে ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন>>বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন, রাজবাড়ীর নিখোঁজ ৩ যাত্রীর মরদেহ শনাক্ত

ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ বলেন, শিক্ষক নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে আসেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে জাহানারা ওরফে জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হত্যার ঘটনায় জয়নব, তার স্বামী এবং এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow