শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

ইসরায়েলে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যে শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি লেবাননে হামলা চালিয়ে সংগঠনটির একজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

এর প্রতিশোধ নিতেই বুধবার দফায় দফায় ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। গত কয়েক সপ্তাহে হিজবুল্লাহর কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। খবর এএফপির।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যেও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে।

google-news-channel-newsasia24

টাইরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননের এক শীর্ষ হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরান-সমর্থিত সংগঠনটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তাদের শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের নিহত হয়েছেন। তিনি হজ আবু নামেহ নামেও পরিচিত। এছাড়া আরও এক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।

এদিকে নাসেরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তিনি হিজবুল্লাহর আজিজ ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন। তাদের দাবি, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে হামলা চালানোর পেছনে এই ইউনিটই দায়ী।

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, নাসের হত্যার প্রতিশোধের অংশ হিসাবে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির দুটি অবস্থানে শতাধিক কাতিউশা রকেট দিয়ে আক্রমণ করেছে।

আরও পড়ুন>>সাগরে ভাসা বোতলের পানিকে মদ ভেবে পান, ৪ জেলের মৃত্যু

এছাড়াও ইসরায়েলের একটি অবস্থানে কাতিউশা রকেট, উত্তর ইসরায়েলের দুটি সামরিক স্থানে ফালাক রকেট এবং ভারী বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ রকেট ছোড়া হয়েছে।

শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৪

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

আরও পড়ুন:

সাইক্লিংয়ের এই উপকারিতাগুলো জানেন কী?

লিমা পারভীন: যারা নিয়মিত সাইক্লিং করেন তারা অন্যান্যদের থেকে বেশি হাসিখুশি থাকেন। বিশেষ করে যারা সাইক্লিং করে কাজে যান তাদের উৎফুল্ল থাকার প্রবণতা বেশি। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাইক্লিং যদি ওষুধ হতো তাহলে প্রায় প্রত্যেক রোগীর প্রেসক্রিপশনে সাইক্লিং লিখে দেওয়া হতো।

সাইক্লিংয়ের উপকারিতা:
স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, স্থুলতা এবং আর্থাইটিস রোগ প্রতিরোধ হয়। এ ছাড়া ফুসফুসকে শক্তিশালী করে, পেশী শক্তিশালী করে, হাড় শক্তিশালী করে, শরীরের চর্বি ও ব্যথা কমায়।

শারিরীক ব্যায়ামগুলোর মধ্যে এটি মজার এবং সস্তা। যে কেউ সহজেই সাইক্লিং শিখতে পারেন। সাইক্লিং শিখলে জীবনে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন:

যারা ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন তারা সাইক্লিং করবেন। গবেষণার তথ্য, সাইক্লিং করলে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচ হয়।

উল্লেখ্য, শুধু সাইক্লিং করলেই শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যাবে না। প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সারাদিনে কতটুকু কায়িক পরিশ্রম করছেন; সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

google-news-channel-newsasia24

কুয়াকাটা রেলপথ-মেট্রোরেলে বিশাল অঙ্কের চীনা বিনিয়োগের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ এবং ঢাকার গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচলে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-২ নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৭৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পেতে চায় সরকার।

দুটি প্রকল্পে চীনের কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে চীন সফরে যেতে পারেন। ওই সফরে বেশ কিছু যুগান্তকারী বাণিজ্যিক চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে এমআরটি লাইন-২ ছাড়াও ফরিদপুর-বরিশাল এবং বরিশাল-কুয়াকাটা চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য চীনা অর্থায়ন চাওয়া হতে পারে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ থেকে প্রায় ৩০ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা বা ২.৫৭৯ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা হিসাবে) জোগানের প্রস্তাব রয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করছি, যা দুই দেশের সম্পর্কের মাইলফলক হতে পারে।’- ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সফরে ৩০-৩৫টি ছোট আকারের সেতু এবং দুর্যোগকালীন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থায়নের ঘোষণা দিতে পারে চীন। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়েও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে একটি সমঝোতাও সই হওয়ার কথা রয়েছে।

গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানশাও। সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করছি, যা দুই দেশের সম্পর্কের মাইলফলক হতে পারে। আর প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে চীন সফর করবেন বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সমন্বয় সভা হবে। এই সভায় ঠিক করা হবে কোন কোন এজেন্ডা নিয়ে চীন সফরে আলোচনা ও ঋণচুক্তি হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, চীনের বিনিয়োগ যেন আরও আসে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনা মন্ত্রী এ দেশে আরও বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন থেকে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত ৩৬৯ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ রেলপথ নির্মাণে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৩২ হাজার ১৯৯ কোটি ৯৪ লাখ, বাকি টাকা দেশীয় অর্থায়নে প্রভিশন রাখা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করা হবে।

‘ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যন্ত ব্রডগেজ (বিজি) রেললাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা খাতে ৪৯ কোটি টাকা সরকারি অর্থ ব্যয় হয়েছে।

রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে ২০২২ সালের জুনে। এরপর থেকেই বৈদেশিক ঋণের সন্ধান করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণের উৎস এখনো খুঁজে পায়নি ইআরডি। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চীনা অর্থায়ন পাওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলমান। চীনা ঋণ পেতে রেলপথ মন্ত্রণালয় ইআরডিকে আবারও অনুরোধ করবে বলে জানা গেছে।

রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য বা রুট লাইন হবে ২১৪ দশমিক ৯১ কিলোমিটার, এর মধ্যে মেইন লাইন ১৯০ দশমিক ১১ কিলোমিটার ও ব্র্যাঞ্চ লাইন ২৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। তবে ট্র্যাকের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩৬৯ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেইন লাইন ২১৪ দশমিক ৯১ কিলোমিটার ও লুপ লাইন ১৫৪ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার। রেলপথে এমব্যাংকমেন্টের দৈর্ঘ্য হবে ১৬৮ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার। ৪৪০টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে, এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।

১০টি মেজর ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার। মেজর সেতুগুলোর উভয় প্রান্তে ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। কুমার, কালিগঙ্গা, শিকারপুর, আমতলী, কীর্তনখোলা, পায়রা, পটুয়াখালী, আন্ধারমানিক, টিয়াখালী, খাপরা ভাঙা নদীর ওপর দিয়ে উড়াল রেলপথ নির্মিত হবে।

পুরো রেললাইনে ১৯টি নান্দনিক স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হবে। স্থানগুলো হলো- ভাঙ্গা জংশন, বরইতলা, টেকেরহাট, মাদারীপুর, কালকিনি, গৌরনদী, উজিরপুর, বরিশাল এয়ারপোর্ট, বরিশাল, দপদপিয়া, বাকেরগঞ্জ, বদরপুর, পটুয়াখালী, কাকুয়া, আমতলী, পায়রা পোর্ট, পায়রা পোর্ট ইয়ার্ড, লেমুপাড়া ও কুয়াকাটা।

‘ভাঙ্গা থেকে বরিশাল ও কুয়াকাটা পর্যন্ত দীর্ঘ একটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশাল রেলপথটি নির্মাণের জন্য এখনো কোনো উন্নয়ন সহযোগী খুঁজে পাইনি। এই প্রকল্পে যাতে চীনের বিনিয়োগ পেতে পারি সেই জন্য ইআরডিকে অনুরোধ জানাবো।’ শেখ সাকিল উদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), রেলপথ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে সাত বছর। এর মধ্যে দেড় বছর ধরে টেন্ডারিং, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজ করা হবে। সাড়ে চার বছর ধরে প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, এমআরটি লাইন-২ ছাড়া সব রুটে উন্নয়ন সহযোগী মিলেছে। বর্তমানে ইআরডির মাধ্যমে এমআরটি লাইন-২ প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগী খুঁজছে ডিএমটিসিএল। চীন সফরে বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিপিপি অনুসারে, প্রস্তাবিত ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক ও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিংক এবং সাসেক রোড করিডোর (এসআরসি-৪)-এর একটি অংশ। বর্তমানে এটি সীমিত সক্ষমতার একটি দুইলেন বিশিষ্ট মহাসড়ক এবং এতে কোনো সার্ভিস লেন নেই। এর ফলে ঘন ঘন যানজট তৈরি হয় মহাসড়কে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পায়রা সমুদ্র বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন অঞ্চলের সুবাদে এ মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ভাঙ্গা-কুয়াকাটা রেলপথ ও এমআরটি লাইন-২ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি এজেন্ডায় আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনা সবই সত্য। এগুলো এজেন্ডায় আছে। এছাড়া আরও অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা চূড়ান্ত করারও কেউ না। চূড়ান্ত হবে তখনই যখন চীনে চুক্তিসই হবে। তার আগে আসলে কিছু বলাটা সমীচীন হবে না।’

 

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (৩ জুলাই) উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ সকাল ৬টায় শিমুল বাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্ট ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ী। অন্যদিকে নিমজ্জিত হয়েছে পাট,আমন বীজতলা ও সবজির ক্ষেত। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার পরিবার।

অপরদিকে,সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারে পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের নামাচর এলাকার লিটন মিয়া বলেন, গতকাল থেকে খুব পানি বাড়ছে। আমার এখানকার রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। এখন নৌকা ও গলা গাছের ভেলায় যাতায়াত করছি আমরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ও পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

প্রত্যয়ে ১৫ বছরে পাবে দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, পরীক্ষা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির কারণে শিক্ষকরা যেমন ক্ষতির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন, তেমনি পেনশন কর্তৃপক্ষও এ ব্যবস্থায় বহু গুণ লাভের হিসাব তুলে ধরছেন। এ বিভেদমূলক অবস্থানের কারণে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে অনিশ্চিত অবস্থা তৈরি হয়েছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষকরা যেসব বিষয়ে আন্দোলন করছেন, তা অনেকটাই ভুল বোঝাবুঝি কিংবা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম পুরোপুরি না বোঝার কারণে। বিদ্যমান সুবিধার চেয়েও প্রত্যয় স্কিমে অন্তত ১২ গুণ বেশি অবসরভাতা পাবেন শিক্ষকরা।

পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই লাভ বেশি। আর শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর থাকার বিষয়টি প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করে শিগগিরই সংশোধনী দেওয়া হবে। তবে শিক্ষক নেতারা এ সুবিধাকে শুভংকরের ফাঁকি হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

google-news-channel-newsasia24

সরকারের সিদ্ধান্ত, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাইয় থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রত্যয় স্কিমের অধীনে আসবেন। অর্থাৎ বর্তমানে যারা চাকরিতে আছেন তারা আগের পেনশনের অধীনেই থাকবেন। তবে সব ধরনের স্বশাসিত কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা বিষয়টি মেনে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাদ সেধেছেন। প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন।

শিক্ষকদের এমন আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতাই নেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শিক্ষকদের এ আন্দোলন অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন। পরিকল্পনা কমিশনে একনেক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিম নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:

ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল শিশুসহ খালা-ভাগনির

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ট্রাক চাপায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগনি।

সোমবার বিকাল ৬টায় উপজেলার পাত্রীকুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম পাত্রীকুল এলাকার মৃত কলিম উল্লার মেয়ে পিয়ারা বেগম (৫৫) ও আলিশারকুল এলাকার মৃত দুদু মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৮)। তারা সম্পর্কে খালা-ভাগনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভূনবীর-মির্জাপুর সড়কে পিয়ারা বেগম ও তার ভাগনি সাদিয়া আক্তার ভূনবীর দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় দুটি খালি ট্রাক ভূনবীর দিকে বালু আনার জন্য বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। এসময় ট্রাক দুটি ওভারটেক করার সময় তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পিয়ারা বেগম নিহত হন। এছাড়া সাদিয়া মারাত্মক আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়।

google-news-channel-newsasia24

এ ঘটনার পরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে লাশ নিয়ে ওই রাস্তা রাত ১০টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী।

এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানু লাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ জানান, ঘাতক দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

এ মাসেই আসছে তাপপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ মাসে একটি নিম্নচাপ এবং বিচ্ছিন্নভাবে একটি থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। ভারি বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হতে পারে।

সোমবার আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়, জুলাই মাসে মৌসুমি ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে অল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

জুলাইয়ে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চারদিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। সারাদেশে পাঁচ-ছয়দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:

কলকাতায় ছিনতাই হওয়া আইফোন মিললো কেরানীগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতার বেনিয়াপুকুরের পার্ক সার্কাস থেকে এক বছর আগে ছিনতাই হওয়া আইফোন-১৩ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (৩০ জুন) সকালে শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেব দাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর থেকে আইফোনটি উদ্ধার করা হয়।

এসআই মিলটন কুমার দেব দাস বলেন, গত বছরের ২৬ জুলাই কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার পার্ক সার্কাস থেকে মৌটুসী গাঙ্গুলি নামের এক নারীর ব্যবহৃত আইফোনটি ছিনতাই হয়। পরে তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

একপর্যায়ে ভারতীয় সাইবার পুলিশ জানায়, তার আইফোনটি আর কলকাতায় নেই, বাংলাদেশে পাচার হয়ে গেছে। এখন আর তাদের কিছুই করার নেই। পরে মৌটুসী তার জিডি কপি নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন।

google-news-channel-newsasia24

সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার ফোনটির সন্ধান পাই। কেরানীগঞ্জে আগানগর এলাকা থেকে ফোনটি উদ্ধার করি।

তিনি আরও বলেন, যিনি ফোনটি দেশে ব্যবহার করছিলেন তিনি একজন মোবাইলের দোকানদার। ফোনটি তিনি আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ওই বিক্রেতা তাকে বলেছিলো, ভারত থেকে মোবাইলটি তিনি কিনেছেন। কীভাবে ভারত থেকে ফোনটি বাংলাদেশের আসলো আর দোকানদার কার কাছ থেকে সেটি কিনেছেন এসব বিষয় তদন্তের পর জানা যাবে।

শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজত কুমার সাহা ভারতীয় নাগরিকের মোবাইলটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে তিস্তার পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীতে ফের দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্য নদ-নদীর পানিও বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও ভাঙন শঙ্কায় রয়েছে।

তিস্তা ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ সময় পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রংপুর জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তিস্তার তীরবর্তী কিছু এলাকার সবজিক্ষেত ডুবে গেছে।

পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

google-news-channel-newsasia24

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া গদাই এলাকার শাহ জামাল, শমসেল, ইলিমাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, গত প্রায় মাস খানেক ধরে কাউনিয়া রেল গেটে এই এলাকা থেকে যাওয়া রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন প্রতিরোধে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরাট করে চেষ্টা করছি। তারপরেও আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার জিও ব্যাগ চেয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়।

আরও পড়ুুন>>আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

তিস্তা নদী তীরবর্তী কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে দুর্ভোগের আতঙ্ক রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সোমবার ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। প

রিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। এছাড়া ভাটি অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।