শিরোনাম

শিরোনাম

বিদেশের জুয়েলারির চাকরি খুইয়ে এখন দেশের কারাগারে সামিয়া

 চট্টগ্রাম প্র্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী বিমান যাত্রীর আসনের নিচ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের এই স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় নারী যাত্রীকে আটকের পাশাপাশি জব্দ দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানটিকেও।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট থেকে এই স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে (বিজি ১৮৪) অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে আতিয়া সামিয়া নামের এক নারী যাত্রীর আসনের নিচে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৩৩০ গ্রাম।

আরও পড়ুন: 

এই ঘটনায় ওই নারী যাত্রীকে আটক করার পাশাপাশি জব্দ দেখানো হয়েছে বিমানটিকেও।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ওশেন গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি’ নামের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন এই নারী।

দেশেও তিনি অনলাইনে সোনা বিক্রি করেন। তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।”

google-news-channel-newsasia24

বঞ্চিত জনগোষ্ঠীদের অধিকার আদায়ে নাগরিক উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক বিশেষ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২২ ডিসেম্বর) নাগরিক উদ্যোগের এই আয়োজন ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিলস্ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, এবং দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাস।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছে, তার বাস্তব কোন উদ্যোগ বিগত চারমাসেও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, বৈষম্য কোথায় এবং কিভাবে চর্চা হচ্ছে তার একটি সার্বিক চিত্র এই সরকারের অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত। এজন্যে তিনি একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই বিশেষ সম্মেলনে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথাই আলোচনা করা হবে।

nagorik uddyog sommelon 2024 newsasia24 2

আরও্র পড়ুন:

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

আলাদিনের চেরাগ’ পেয়েছে খান ব্রাদার্স

মনি রানী দাস বলেন, দলিত জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের অধিকার আজও অর্জিত হয়নি। দলিত ও বঞ্চিতদের অধিকার সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বৈষম্য বিরোধী আইন অবিলম্বে পাশ করার আহব্বান জানান।

ড. মুশতাক হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট এ নিহত হওয়া শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ব্যাপক নীতিগত পরিবর্তন, ও প্রতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই দেশের আপাময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।

এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষের করের টাকায় যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সে সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতনতা নেই বললেই চলে। মানুষের মাঝে নাগরিক অধিকারবোধ তৈরী এবং দেশ পরিচালনায় জনগণের কি ভ‚মিকা হবে সে বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং যে কোন বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে।

সংস্কারের একটি পূর্ণ ধারণা এবং বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ ছাড়া শুধু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে পারবে না। গণতন্ত্র সুরক্ষিত না হলে বৈষম্য দূর করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকারসমূহ অর্জন করা সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে আমরা কাজ করছি। দেশের যেকোন আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের বড় ধরনের আত্মত্যাগ থাকলেও তা একসময় হারিয়ে যায়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শ্রম সংস্কার কমিশন আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রম সংস্কার কমিশন একটি সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরী করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। এই প্রস্তাবনা বৈষম্য নিরোধে কোন ভ‚মিকা রাখতে পারবে না, যদি না পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর, প্রতিষ্ঠানিক ও অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ তাদের আন্দোলন অব্যাহত না রাখে।

অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী ‘দলিত, হরিজন ও চা-জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’, ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের বৈষম্য বঞ্চনা উত্তরণের উপায়’, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ এবং ‘ভূমিহীন, ক্ষেতমজুর ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের সমস্যা নিরসনে করণীয়’ বিষয়গুলোর উপরে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আন্দোলনের কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত, মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্ট এর সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক শাহরিয়ার সাদাত, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম এর আহবায়ক শ্রমিকনেতা আবুল হোসাইন, সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, অধুনা বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাইপ্রু নেলী, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট প্রভাত টুডু, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি’র সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কে, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট এস.এম.এ সবুর, কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, রিসার্চ এনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর পরিচালক সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু।

google-news-channel-newsasia24

সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন।

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাঘেরসড়কের দামড়ি ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের প্রাইভেটকারে ছাতক উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মীসভার ব্যানার পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থলে নিহত দুই জন হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার তাতীকোনা গ্রামের জুনেদ মিয়ার ছেলে সৈয়দ মোখলেছ মোহন (২০) ও একই উপজেলার রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ সায়েম (২১)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফিজুর রহমান (২০) নামে অপর একজন মারা যান। আহত একজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত দুই জনকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় উদ্ধার হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।

আরও পড়ুন:

যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি; শমী কায়সার গ্রেপ্তার

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রো—গ ১৩৩৮৫৪ নাম্বারের একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘেরসড়ক দামড়ি ব্রিজ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”

google-news-channel-newsasia24

মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না

মা‌টিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতি‌নি‌ধি: জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্যাহ বলেছেন, গায়ের জোরে ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না।

দেশের এমন কোন জনপদ নাই যেখানে জামায়াত কে নির্যাতন করা হয় নাই। অন্যায়ভাবে মানুষ কে হত্যা করে কখনো ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না।

জামায়াত কে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই আজ দেশ ছে‌ড়ে পালা‌তে হ‌য়ে‌ছে। জামা‌তে ইসলাম ঠিকই বাংলা দে‌শে র‌য়ে‌ছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টারে অনু‌ষ্ঠিত প্রথম বারের মতো জামায়াত ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

আওয়ামী দু:শাস‌নের কথা উ‌ল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, মিথ্যা ট্রাইবুনাল গঠন করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বজলুল হুদাকে নিজের হাতে জবাই করেছে হত্যা করেছে খুনি হাসিনা। তাই তার গড়া ট্রাইবুনালে বাংলার মাটিতেই তার বিচার করতে হবে।

এসময় বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের পতাকাতলে শামিল হবার আহবান জানান তি‌নি।
পার্বত্য চট্টগ্রা‌মের বৈষ‌ম্যের কথা উল্লেখ ক‌রে প্রধান অ‌তি‌থি ব‌লেন,পার্বত্য তিন‌টি জেলা কে যে ভা‌বে আ‌লেদা ক‌রে রাখা হ‌য়ে‌ছে,তা চরম বৈষম্য। পাহা‌ড়ে বসবাসরত বাঙ্গালী‌দের তা‌দের ন্যায্য হিশ্যার দা‌বি জানা তিনি।

মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সভাপতি মো. সামছুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান এবং খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে, বাংলাদেশ সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ, মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাও: আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. মাইন উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আবু আহাম্মদ,গোমতী ইউনিয়নে জামাআতের সভাপতি মো. সালেহ আহাম্মেদ, বেলছড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ, মাটিরাঙ্গা জামায়াতের টিম সদস্য জামাল হোসেন, প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার নায়েবে আমির শেখ আহাম্মদ, কুমিল্লা মহানগর শিবিরের সা‌বেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যডভোকেট ইব্রাহিম মনির,অসংখ্য কর্মী সমর্থক সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছায় দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় পিয়াল হাসান (২৮) নামে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত পিয়াল ও অভিযুক্তরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এই ঘটনা পূর্ব বিরোধের জের হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।

পিয়াল মোবারকপুর বিশ্বাসপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুনের অনুসারী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, রাজনীতির পাশাপাশি পিয়াল ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। গত ৫ আগস্ট বাজারে আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবুর অনুসারী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে তার বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে সেদিন কাউন্সিলর বাবু, পৌর ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের দোকান ভাঙচুর করে।

এর পেক্ষিতে পিয়ালও শামীম রেজার বাবা কামরুলকে পিটিয়ে আহত করেন। ওই ঘটনায় মামলা হয়। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। গত বৃহস্পতিবার পিয়াল জামিনে মুক্ত পান। আজ শনিবার পিয়ালের দোকানে আসেন কাউন্সিলর বাবু ও শামীমসহ কয়েকজন। সেখানে নিজ অপরাধের অনুতপ্ত হয়ে শামীম রেজার কাছে ক্ষমা চান পিয়াল। পিয়ালকে ক্ষমা না করে কুপিয়ে আহত করেন শামীম ও তার সহযোগিরা।

আরও পড়ুন:

প্রাণ বাঁচাতে পিয়াল বাজার থেকে পালিয়ে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে একটি বারান্দায় পিয়ালকে কুপিয়ে পালিয়ে যান কাউন্সিলর বাবু ও শামীমরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিয়ালের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

নিহতের ছোট ভাই সুমন হাসান বলেন, ‘মুরগি বাজারে গত ৫ আগস্ট পিয়ালের সঙ্গে কাউন্সিলর বাবু ও ছাত্রদল নেতা শামীমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে সম্প্রতি কারাভোগ করে তার ভাই জামিনে মুক্ত হন। এরপর শামীমরা আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার ভাইও কয়েক দফা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েও মাফ পেল না। আজ আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে বন্ধ স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাইনি।’

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানিয়েছেন, নিহত পিয়ালের নামে ১০টি মামলা রয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।’

google-news-channel-newsasia24

মা‌টিরাঙ্গার প্রথম বাঙ্গালী নারী সদস্য মনজিলা

মা‌টিরাঙ্গার (খাগড়াছ‌ড়ি) প্রতি‌নি‌ধিঃ খাগড়াছ‌ড়ি জেলা প‌রিষ‌দে মা‌টিরাঙ্গার প্রথম বাঙ্গালী নারী সদস্য এডভোকেট মনজিলা সুলতানা। তি‌নি মাটিরাঙ্গা ৯নং পৌর ওয়ার্ড মুস‌লিমপাড়া এলাকার আব্দুল মতিনের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ এর ১৬ক। (৪) উপধারা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ এর ২(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ‌তে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথমবারের মত নারী চেয়ারম্যান হয়ে‌ছেন জিরুনা ত্রিপুরা।

পুনর্গঠিত ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলা সদরের, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, মাহবুবুল আলম, শেফালিকা ত্রিপুরা, নিটোল মনি চাকমা, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো: শহিদুল ইসলাম (সুমন), জয়া ত্রিপুরা, মহালছড়ি উপজেলার কংজপু মারমা, মানিকছড়ি উপজেলার কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রফেসর আবদুল লতিফ।

monjila-sultana-matiranga-newsasia24
এডভোকেট মনজিলা সুলতানা, ছবি: নিউজ এশিয়া২৪

পাঁচ মে‌য়ের ম‌ধ্যে বাবা মা‌য়ের তৃতীয় সন্তান এডভোকেট মনজিলা সুলতানা মাটিরাঙা পাইলট হাই স্কুল থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রী অর্জন করেন।

২০১৮ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হ‌য়ে ২০২৩ সালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা থেকে প্রথম নারী হিসেবে হাইকোর্টে আইনজীবী হওয়ার গৌরব অর্জন ক‌রেন।

আরও পড়ুুন:

২০২০ সালে তিনি ফেসবুক-ভিত্তিক বিনামূল্যে প্রাথমিক আইনি সহায়তা প্রদানকারী গ্রুপ ‘Know Your Rights – অধিকার জানো’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে জনসাধারণকে আইনি পরামর্শ প্রদান করছেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

গেল জুলাই মা‌সে ফ্যাসিস্টি হা‌সিনা সরকার বি‌রো‌ধি আ‌ন্দোল‌নে আহত ও শহীদ ছাত্রদের পরিবারকে আইনগত সহযোগিতা প্রদান করেন।

ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত ক‌রে মনজিলা ব‌লেন,পাহা‌ড়ে চলমান প্রেক্ষাপ‌টে বিরাজমান প‌রি‌স্থি‌তি‌ ও বৈষম্য কমানো এবং জীবনমান উন্নয়নে কাজ কর‌বেন ব‌লে জানান তি‌নি।

google-news-channel-newsasia24

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভাবির সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের বলি হয়েছে প্রবাস ফেরত স্বামী মোঃ উজ্জল মিয়া (৩০)। আর এ হত্যা মামলায় ছোট ভাই ও নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত উজ্জল মিয়া (৩০) উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামের মোঃ রোকমান মোল্লার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিংগাইর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামের রোকমান মোল্লার ছেলে ও নিহতের আপন ছোট ভাই ঝন্টু মিয়া (২৪) ও নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ কাঞ্চন আক্তার মনিরা (২৩) এবং প্রতিবেশি পাশা বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ মিয়া (২২)।

পুলিশ জানান, আসামী ছোট ভাই ঝন্টু ও নিহত বড় ভাই উজ্জল মিয়া উভয়েই সিংগাপুর প্রবাসে থাকাকালে আসামী ঝন্টু মোবাইল ফোনে তার ভাবী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ঝন্টু তার ভাইকে সিংগাপুরে রেখে বাড়ীতে এসে ভাবী সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকে।

ঘটনার ৯ দিন পূর্বে উজ্জল বাড়ীতে আসলে ঝন্টু ও মনিরার অবৈধ সম্পর্কে বিঘ্ন ঘটে। এরপর আসামিরা পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্ত্রী মনিরা স্বামী উজ্জলকে কফির সাথে ঘুমের ওষধ খাওয়ায়ে অচেতন করে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্ত্রী মনিরার সহযোগীতায় ছোট ভাই ঝন্টু মিয়া ও প্রতিবেশি ছেলে মাসুদ মিয়া উজ্জল মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

আরও পড়ুন:

এরপর মরদেহ গুমের জন্য বাড়ির অদূরে ধলেশ্বরী নদীতে নিয়ে যায় এবং প্লাস্টিকের ড্রামের সাথে বেঁধে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দেয়। এর ১৮দিন পর ৩০ অক্টোবর ধলেশ্বরী নদী থেকে উজ্জলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে এঘটনায় নিহতের বাবা রোকমান মোল্লা বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, দেবর-ভাবির পরকীয়ার সম্পর্কে স্বামী উজ্জল মিয়া বাঁধা হয়ে দাড়ায়। তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক ধরে রাখতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

মোটর সাইকেলের ব্যাটারি ভালো রাখার টিপস

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: যারা আধুনিক মোটরবাইকগুলো চালায় তাদের বেশিরভাগ বাইকেই কিক স্টার্টার থাকে না, বরং তার বদলে থাকে শুধুই সেল্ফ স্টার্টার।

কিন্ত বাইকের ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সেল্ফ স্টার্টার কিন্ত কাজ করতে ব্যর্থ হয়।

এই কারণেই আমাদের বড় একটা চিন্তার কারণ হলো বাইকের ব্যাটারি।

কিভাবে বাইকের ব্যাটারি ভালো রাখা যায় আর কোন কোন কাজ করলে বাইকের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।

‌১। হেডলাইট জ্বালানো অবস্থায় সেল্ফ দেবেন না, এতে ব্যাটারিতে প্রচণ্ড চাপ পড়ে । তবে যাদের বাইকে AHO বা অটোমেটিক হেডলাইট অন অপশনটি আছে তারা কি করবেন? যদি দেখেন ইঞ্জিন স্টার্ট করার পর হেডলাইট অন হয় তাহলে চিন্তার কিছু নেই। ব্যাটারির ওপর চাপ পড়বে না।

তবে যদি শুধুমাত্র চাবি অন করলেই মেইন হেডলাইট জ্বলে উঠে তাহলে এটা আপনার বাইকের ওয়ারিং এর ত্রুটি। এইক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা সুইচ অথবা সুইচসহ চাপা লাগিয়ে নিবেন যেন হেডলাইট অন অফ করা যায়।

২। বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করার আগে হেডলাইট জ্বালানো থাকলে তা আগে বন্ধ করে নিবেন। আবার বাইক স্টার্ট করার পরে প্রয়োজন মতো হেডলাইট লাইট অন করবেন।

৩। বাইকে অতিরিক্ত লাইট, উচ্চ এম্পিয়ারের হর্ন বা বাড়তি লাইট না লাগানোই ভালো। তবে একান্তই লাগাতে হলে রিলে ব্যবহার করতে পারেন, এতে ওয়ারিং এবং সুইচের ওপর লোড কম পড়বে।

আরও পড়তে পারেন:

৪। মাসে অন্তত একবার আপনার বাইকের সাথে থাকা লিকুইড সেল ব্যাটারির এসিড লেভেল চেক করুন, লেভেল লো হয়ে গেলে ডিস্টিলড ওয়াটার দিয়ে লেভেল পূর্ণ করে দিন। প্রয়োজন হলে চার্জ করিয়ে নিন।

৫। ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্যই ব্যাটারির ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ দেখে নিন, বেশি পুরানো ব্যাটারি কিনবেন না।

৬। বাইকে কিক স্টার্টার থাকলে সকালের প্রথম স্টার্ট টা কিক দিয়ে করার চেষ্টা করুন। কিক না থাকলে সেল্ফ দিয়েই স্টার্ট করবেন।

ভালো থাকুক আপনার বাইকের ব্যাটারি, হ্যাপি বাইকিং।

google-news-channel-newsasia24

মুড়ির রসগোল্লা! দেখলেই খেতে ইচ্ছে করবে!!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বাঙালির ঘরে রসগোল্লা খাওয়ার চলতো আছেই, তা নিয়ে গল্পেরও শেষ নেই। এত আহ্লাদ খুব কম খাবার নিয়েই রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে।

মেহমান আপ্যায়নই হোক কিংবা টুকটাক মুখমিষ্টি— রসগোল্লার জুড়ি মেলা ভার। তবে বাড়িতে ছানা মেখে রসগোল্লা বানানো সহজ কাজ নয়। অথচ মুড়ি দিয়ে আপনি চাইলে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু রসগোল্লা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক রেসিপি—

মুড়ির রসগোল্লা বানাতে যা লাগবে— মুড়ি, ঘন দুধ ও চিনি এক কাপ, ৪ কাপ গুঁড়া দুধ, দুই চামচ ময়দা, ঘি এক চামচ, দুই কাপ পানি ও এলাচ।

আরও পড়ুন:

যেভাবে বানাবেন— প্রথমে পরিমাণমতো মুড়ি একটু ভেজে নিন। এবার ভেজে রাখা মুড়ি ব্লেন্ডার করুন। পরে ব্লেন্ডার করা মুড়ি ভালো করে চালনিতে ছেঁকে নিন। এরপর একটি ননস্টিক কড়াইয়ে দুধ খানিকটা গরম করে তার মধ্যে একে একে চিনি, গুঁড়া দুধ, মুড়ির গুঁড়া আর ময়দা ভালো করে মিশিয়ে একটি নরম মণ্ড তৈরি করুন। মণ্ড থেকে ছোট ছোট রসগোল্লার আকারে গোল্লা বানিয়ে নিন।

এরপর একটি কড়াইয়ে পানি গরম করে তাতে চিনি ও এলাচ মিশিয়ে নিয়ে পাতলা চিনির রস বানিয়ে নিন। বানিয়ে রাখা গোল্লাগুলো চিনির রসে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। গোল্লাগুলো আকারে বেড়ে গিয়ে নরম হলেই তৈরি হয়ে যাবে মুড়ির রসগোল্লা! ফ্রিজে রেখে এরপর মেহমানের পাতে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মুড়ির রসগোল্লা।

google-news-channel-newsasia24

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি; শমী কায়সার গ্রেপ্তার

বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। যেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই শমী কায়সার নানাভাবে বিতর্কিত হয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কটূক্তি করার অভিযোগে ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারের নামে ১০০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন:

শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে আসনটি থেকে মনোনয়ন পাননি তিনি।

google-news-channel-newsasia24