শিরোনাম

শিরোনাম

রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিসের সময় ৯টা থেকে ৩ টা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আগামীকাল রবিবার থে‌কে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন (২৮ থেকে ৩০ জুলাই) সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় নির্ধারন করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

ছুটির অন্যান্য শর্ত আগের মতোই থাকছে। অর্থাৎ জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।

আরও পড়ুন:

হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে ব‌লে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

google-news-channel-newsasia24

আইনি প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলা সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সম্প্রতি আদালত এটি বাতিল করে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে সুযোগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাস চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেলো। আপনজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের, আমার থেকে আর কে বেশি জানে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি সব হত্যার নিন্দা জানাই।’

‘যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও অনেকে।

এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে সই করেছেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

এরও আগে গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চলমান এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

ছাত্রসমাজ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবে, বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। ’

উচ্চ আদালতের রায়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে না, আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না। ’

বিস্তারিত আসছে…

ঢাবিতে পুলিশের হামলায় দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, আহত অন্তত ৪০

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর একে একে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের আফসানা জুঁই (২২) ও ইংরেজি বিভাগের আব্দুল হান্নান মাসুদ (২৪)।

জাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপজাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপ
এ ছাড়া আহত হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ি, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জানালিস্ট রতন মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার আকরাম হোসেন ও জনি রায়হান, আলোকিত প্রতিদিনের ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন।

নীলক্ষেত মোড়ে আহত হয়েছেন আজিমপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইব্রাহিম খলিল। লালবাগ থানার এসআই নাজমুজ্জামান জানান, ইডেন কলেজের ১ নম্বর গেট থেকে রিকশায় করে আজিমপুর ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম। পথে নীলক্ষেত কোয়ার্টারের গেটে আন্দোলনকারীরা তাকে ধাওয়া হয়। ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে তার মাথায় গিয়ে আঘাত লাগে।

শাবি ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রীত কক্ষ থেকে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারশাবি ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রীত কক্ষ থেকে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবির ভিসি চত্ত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, নীলক্ষতসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অন্তত ৩৫ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বেশ কয়েকজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

উপাচার্য ভবনে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটাল জাবি ছাত্রলীগ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শতাধিক শিক্ষার্থী। সেখানে ঢুকে তাদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিভিন্ন হল থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়ার ১০ মিনিট পর তাদের ওপর হামলা করে বহিরাগতসহ শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। হামলাকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রাচীরের মূল ফটকের বাইরে থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাঁচের বোতল ও ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হামলাকারীদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তাদেরকে পেট্রোলবোমাও ছুঁড়তে দেখা যায়।

রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান। পরে রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশের সামনে ফটক ভেঙে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন হামলাকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা ছুড়ে বাসভবনের প্রধান ফটকের লাইটসহ বিভিন্ন লাইট ভাঙচুর করেন তারা। এরপর আন্দোলনকারীদের ব্যাপক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনেই ছিলেন। হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালালেও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রাত সোয়া একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া একজন শিক্ষার্থী ফেসবুক লাইভে গিয়ে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত বাকী শিক্ষার্থী ও আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা চান। মুহূর্তের মধ্যে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ওই শিক্ষার্থীর আশেপাশে আহত শিক্ষার্থীদের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।

পরে রাত সোয়া দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য বাসভবনের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী বহিরাগতসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় হামলাকারীদের ছন্নছাড়া হয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে সেখানে অবস্থানরত পুলিশের ওপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও অন্তত ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে চলে গিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্তব্যরত সাংবাদিকদেরও লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অন্তত তিনজন সাংবাদিক আহত হন।

এদিন আন্দোলনকারীদের উপর হামলার শুরু থেকেই সাংবাদিকদের ওপর আগ্রাসী আচরণ করতে থাকে হামলাকারীরা। কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অস্ত্র নিয়ে চড়াও হওয়াসহ ইটপাটকেল নিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করে তারা। হামলাকারীরা উপাচার্যের বাসভবনে ভেতরে ঢোকার আগে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল ছুঁড়ে ধাওয়া করে উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন উপ-উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত সাংবাদিকদের উপর। পরে সাংবাদিকরা সেখান থেকে সরে যান। এছাড়া হামলা চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে একাধিকবার সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে যান এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে হামলায় আহত হন সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ একটি জলকামান নিয়ে আসে। রাত চারটার দিকে পুলিশ জলকামানসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ধাওয়া করতে শুরু করে। এরপর তারা বহর নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে একাধিক টিয়ারশেল ছোঁড়ে বলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন>>নবজাতককে ঝোপে ফেলে গেলেন নারী

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে আহত সাংবাদিকরা হলেন, ‘বণিক বার্তায় কর্মরত মেহদি মামুন, দৈনিক বাংলায় কর্মরত আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ টুডেতে কর্মরত জেবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোয় কর্মরত মুশফিকুর রিজওয়ান, অনলাইন পোর্টালে কর্মরত সাকিব আহমেদ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহীসহ প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শী। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ার ফলে সাভারের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রাত চারটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা জেলার পুলিস সুপার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কল পেয়েই এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার অনেক আগেই পুলিশ ফোর্স এসেছিল। এটা যেহেতু শিক্ষার্থীদের ঝামেলা সেহেতু পুলিশ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছিল। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই আমরা।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ। হামলার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

google-news-channel-newsasia24

নবজাতককে ঝোপে ফেলে গেলেন নারী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় রাস্তার পাশে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকা জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রাম থেকে এ নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।

সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে— বোরকা পরিহিত এক নারী ওই নবজাতককে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নবজাতককে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র স্ক্যানু ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা উস্তার মিয়া জানান, সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে ওই নবজাতককে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে অন্যান্য লোকদের সহযোগিতা নিয়ে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত সমাজসেবা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে সদর হাসপাতালে নবজাতকের চিকিৎসা চলছিল।

বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুমাইয়া খাতুন বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন একটি ছেলে নবজাতককে নিয়ে এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ’

আরও পড়ুন:

এদিকে ঘটনাস্থলের আশপাশে সিসিটিভির ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, বিকেল ৪টায় কালো বোরকা পরিহিত এক নারী নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে একটি দেয়ালের কাছে এসে দাঁড়ান। পরে দেয়াল ঘেঁষা ছোট ঝোপের মধ্যে মাটিতে নবজাতকটিকে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বাহুবল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত সুজন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনা বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাঈম আশরাফ চৌধুরী জানান, নবজাতকটি অপরিণত বয়সে জন্ম নিয়েছে। তাই তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হবে।

google-news-channel-newsasia24

কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জিতে নিল আর্জেন্টিনা

খেলাধুলা ডেস্ক: ২০২১ সালের আসরে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার কলম্বিয়াকেও ম্যাচের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো লিওনেল মেসিরা। এতে কোপায় সর্বকালের সবচেয়ে সফল দলের তকমা পেয়েছে আলবিসেলেস্তারা। এটি আর্জেন্টিনার ১৬তম শিরোপা। এর আগে আর্জেন্টিনার সমান ১৫টি শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।

কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। ফাইনালে খেলার মূল সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। অতিরিক্ত সময়েরও ২২ মিনিট শেষ হয়ে গেছে। ততক্ষণে সবাই টাইব্রেকারের প্রহর গুনছিল। অবশেষে ১১২ মিনিটে গোলের মুখ দেখলো চলতি কোপার ফাইনাল। আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। এতে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার।

আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলার মূল সময় শেষেও পরিসংখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে কলম্বিয়া।

এদিন টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার কারণে সময় মতো খেলা শুরু করতে পারেনি আয়োজকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তারা। অবশেষে সকাল ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় ৭টা ২৫ মিনিটে।

শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গঞ্জেলো মনটিয়েলের ক্রস থেকে হুলিয়ান আলভারেজের হেড গোলবারের বাঁপাশ মিস করে বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর ৫ মিনিটে লুইস দিয়াজ ও ১৩ মিনিট কার্লোস কুয়েস্টা কলম্বিয়ার হয়ে দুটি আক্রমণ করে।

২০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বাঁপায়ের শট নেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির শট সেভ করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস।

আরও পড়ুন:

৩২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা সেটি ব্লক করে দিলেও কর্নার পেয়ে যায় কলম্বিয়া। তবে কর্নার কিক থেকে বল তালুবন্দি করে নেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

এর ৩ মিনিট পর ফের আক্রমণে আসে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চোটও পেতে হয় মেসিকে। তবে মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।

৪০ মিনিটে রড্রিগেজের ক্রস থেকে হেড নেন কলম্বিয়ার জন অ্যারিয়াস। তবে ডানপাশ দিয়ে বল চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে কিক নেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতর আর্জেন্টিনার নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। অবশেষে গোল না করেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আক্রমণ কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁপায়ের শট সেভ দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।

৫৪ মিনিটে গোল করার আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কর্নার কিক থেকে হেড করে তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জন কর্ডোবা।

৬৪ মিনিটের ঘটনা হয়তো আর্জেন্টিনা ফুটবলের জন্য দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আক্রমণভাগে যখন দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা তখনই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে। নিজেই দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরি হয়েছেন। তারকা এই ফুটবলারের চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার চোখ দিয়ে অশ্রু প্রায় বেরিয়ে আসছিল।

মেসিকে অবশ্য কেউ ফাউল করেনি। এরপর আর তাকে মাঠেই রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান তিনি।

৭৫ মিনিটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়িয়েই দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষমেশ খেলার মূল সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৩ মিনিটে আরও একটি ব্যর্থ আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। থেমে থাকেনি কলম্বিয়াও। তারাও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে।

শেষ পর্যন্ত নিজেদের অপরাজিত থাকাকে আর দীর্ঘ করতে পারেনি কলম্বিয়া। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর আর্জেন্টিনার কাছে এসেই যাত্রা থামলো তাদের। দারুণ খেলেও ২৩ বছরের আক্ষেপ ঘুচাতে পারলো না কলম্বিয়া। ২০০১ সালে সর্বশেষ কোপা শিরোপা জিতেছিল তারা।

google-news-channel-newsasia24

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

আকস্মিক ওই হামলার বিষয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার কানে গুলি করা হয়েছে। তিনি জানান, তার মনে হচ্ছিল কান ঘেঁষে একটি বুলেট চলে গেল।

হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ।

র‌্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটে গেছে। আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে কী ঘটেছে। পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।

আরও পড়ুন:

হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা অবিশ্বাস্য। এই মুহূর্তেই হামলাকারীর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

এদিকে ওয়ারেন ও ডেবিই নামের দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তারা অন্তত চার রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এসময় তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান পাশে ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

কুষ্টিয়ায় শেরে মস্তানের ৪৩ তম ওরশ শুরু

আকরামুজজামান আরিফ, কুষ্টিয়াঃ শহরের পূর্ব মিলপাড়ায় বিশ্ব মানব ধর্ম কেন্দ্র প্রধান কার্যালয়ে আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পীর কেবলা হযরত শাহ সুফি সৈয়দ হামজার নুরুল হুদা ওরফে মুসাফির মৌলা-এ শেরে মস্তান কালেন্দরী (রা:) এর ৪৩তম ওরশের ১ম দিনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন দিনের ওরশ শুরু হয়েছে।

ওরশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো ভক্ত ও আশেকানদের পদচারণায় মুখর ছিল মাজার প্রাঙ্গণ। এছাড়া আলেম, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক শহর আওয়ামী লীগ নেতা কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক এবং ওইতব্য কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর প্রতিষ্ঠাতা ফজলে করিম খোকার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম।

kushtia sere mastan 43 oros newsasia24 2

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মাজারের উপদেষ্টা রবিউল হক খান, উপদেষ্টা ও কাউন্সিলর রিনা নাসরিন, মাজারের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান মো: ওয়াহিদ রনি, সহ অর্থ সম্পাদক নূর আলম, পরিচালনা করেন মাজারের সাধারণ সম্পাদক শাহ সৈয়দ কুতুব মস্তান।

google-news-channel-newsasia24

এর আগে ৫ জুলাই শুক্রবার শেরে মস্তান মাজারে ফজলে করিম খোকা সভাপতি ও কুতুব মস্তানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত হয়।

নতুন কমিটি দ্বায়িত্ব নিয়েই জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সুফি সাধক সেরে মস্তানের ৪৩ তম এবারে জাক জমক ও বৃহত পরিসরে ৪৩ তম ওরশ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:

ওরশে আগত ভক্তরা শান্তিপূর্ণভাবে মাজার জেয়ারত করেন৷ জেয়ারতের সময় ভক্তদের দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকতে দেখা যায়।

এদিকে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত মেহমানদের জন্য থাকা ও তবররুকের আয়োজন করেন মাজার কমিটি ও খাদেমরা।

ওরশকে ঘিরে সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাজার প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল।

অতিথীরা বক্তব্যে শেরে মস্তানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন, এবং আগত শেরে ভক্ত বৃন্দদের সেরে মাস্তানের আদর্শ ধারণ করতে বলেন। আগত বৃন্দরা সারারাত গান ও গজল গেয়ে মাজার প্রাঙ্গনে অবস্থান করেন।

ভয়ংকর লেজার অস্ত্র মোতায়েন করছে দক্ষিণ কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তরের সঙ্গে করা ৭৭ বছরের চুক্তি ভেঙে প্রথবারের মতো ভয়ংকর ধরনের লেজার অস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করতে এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে সিউল। এই ধরনের অস্ত্র মোতায়েনে বিশ্বের প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছেন দেশটির অস্ত্র সংগ্রহ সংস্থা বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে ।

প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রশাসন (ডিএপিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী হেনহুয়া এরোস্পেস সংস্থায় সহায়তার ড্রোন বিধ্বংসী লেজার অস্ত্র তৈরি করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই অস্ত্রটি কার্যকর এবং তুলনামূলক সাশ্রয়ী। প্রতিবার লেজার আক্রমণে খরচ হবে মাত্র দেড় ডলার। এই লেজারটি নীরব এবং অদৃশ্য।’

আরও পড়ুন:

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘আমাদের দেশ লেজার অস্ত্র মোতায়েন ও পরিচালনার জন্য বিশ্বে প্রথম দেশ হয়ে উঠছে। উত্তর কোরিয়ার ড্রোন উসকানি যথাযথ ও কড়া জবাব দিতে এমনটি করা হচ্ছে।

লেজার অস্ত্রগুলো ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে আলোর রশ্মির মাধ্যমে ড্রোনের ইঞ্জিন বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়িয়ে উড়ন্ত ড্রোনকে ধ্বংস করবে।’ দক্ষিণ কোরিয়া তাদের লেজার প্রোগ্রামকে ‘স্টার ওয়ার্স প্রজেক্ট’ বলে অভিহিত করেছে।

১৯৫০-৫৩ সালে শান্তি চুক্তির মধ্যে দিয়ে শেষ হয় কোরীয় যুদ্ধ। চুক্তিতে নিরস্ত্রীকরণসহ ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয় উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

google-news-channel-newsasia24