শিরোনাম

অর্থনীতি

৪ প্রতিষ্ঠান পেল ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় দেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে সরকার।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এমডি এস এম মাহবুবুল আলম

দেশি বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে দেশীয় ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বিদেশি বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বিকাশ। এছাড়াও পুরস্কার পেয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ফেব্রিকস। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন:

বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে পাঁচটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো— নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল ইকোনমি, টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল, স্বাস্থ্য ও ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ।

google-news-channel-newsasia24

বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ সারা পৃথিবীর জন্য: ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। একসময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের একপর্যায়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য তার কণ্ঠ রোধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগে অবদান রাখার জন্য চার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ওয়ালটন (দেশি বিনিয়োগকারী) বিকাশ (বিদেশি বিনিয়োগকারী), স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ও ফেব্রিকস। এছাড়া বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং-কে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।

google-news-channel-newsasia24

বিনিয়োগকারী গাজী রাভী হাফিজকে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিনিয়োগকারী গাজী রাভী হাফিজকে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার যোগসাজশের মাধ্যমে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়। কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে গাজী রাভী হাফিজ ৪টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় এনেছে বিএসইসি।

বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা শেয়ার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন যে কোনো ধরনের কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করায় গাজী রাভী হাফিজকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৩) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৫) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সে হিসেবে তাকে মোট ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তির পরিচিতি

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কারসাজি করে গাজী রাভী হাফিজ বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে। এ কাজের মূলহোতা তিনি নিজেই ছিলেন। তিনি একজন শেয়ার ব্যবসায়ী। তবে গাজী রাভী হাফিজ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করলেও শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন।

বিএসইসির তদন্ত কার্যক্রম

গাজী রাভী হাফিজ তার ৪টি বিও হিসাব থেকে যোগসাজশ করে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সিরিজ ট্রানজেকশন (লেনদেন) করে। কারসাজির সঙ্গে জড়িতরা ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বাড়ায়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৭৪.৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৬.১০ টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬১.৬০ বা ৮২.৬৮ শতাংশ বাড়ে যায়।

কারসাজির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির সিদ্ধান্ত

অভিযুক্ত গাজী রাভী হাফিজ ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৩) ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘনের মাধ্যমে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেন করে একটি কৃত্রিম বাজার সৃষ্টি ও পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ ও ১৪ মার্চ উপর্যুক্ত ৪টি বিও হিসাবে অস্বাভাবিক সংখ্যক তথা ১৬৫টি হাওলার মাধ্যমে ৭২ হাজার ১৯৭টি শেয়ার লেনদেন করেন, তাছাড়া অন্যান্য বিও হিসাবে স্বল্প সময়ে সিরিজ ট্রানজেকশন (সিরিজ লেনদেন) করে শেয়ারটির বাজারমূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ের জন্য প্রভাবিত করেছেন। এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৫) এর লঙ্ঘন হয়েছে, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

আরও পড়ুন: 

তাই ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করায় গাজী রাভী হাফিজকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৩) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৫) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে হিসেবে গাজী রাভী হাফিজকে মোট ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী রাভী হাফিজ বলেন, ‘‘এখনো পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে কোনো চিঠি হাতে পাইনি। তাই কিছুই বলতে পারছি না।’’

শেয়ার কারসাজির বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আপনাকে বিএসইসি শুনানিতে ডাকা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘শুনানি তো বিভিন্ন কারণে হয়েই থাকে। তবে আমি এ বিষয়ে জেনে বিস্তারিত জানাতে পারব।’’ সূত্র: তথ্য রাইজিংবিডি ডটকম

google-news-channel-newsasia24

পাট নিয়ে দুঃচিন্তায় খোকসার পাট চাষীরা

ফাহিম শাওনঃ পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলা সব চাষীদেরই স্বপ্ন। যদি সেই ফসল নষ্ট বা আশানুরুপ না হয় তাহলে তাদর কষ্টের মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়। আর ঠিক এমনিভাবে পরিশ্রমে ও নানা আশায় বোনা সেই ফসল নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন খোকসার পাট চাষীরা। আশানুরুপ পাট না হওয়ায় হতাশায় তারা। উৎপাদিত পাট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের।

খোকসা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি আবাদ মৌসুমে প্রায় ৪০১০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদে লক্ষমাত্রা ধরা হয়। কিন্ত প্রতি বছরের মত এবারও লক্ষা মাত্রা ছাড়িয়ে ৪০৩৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করে কৃষকরা। কৃষি বিভাগ প্রায় ২২৫০ জন কৃষকের মধ্যে সারবীজ সরবরাহ করা হয়। উপজেলায় প্রায় ৫৮,৯০০ বেল পাট উৎপাদনের টার্গেট করা হয়।

এ মৌসূমে বৃষ্টির অভাবে প্রতিটি পাটের জমিতে ৩ থেকে ৪ বার সেচ দিতে হয়েছে। অপর দিকে, প্রচন্ড তাপদাহে পাট আবাদও ভালো হয়নি। ইতোমধ্যে পাট কাটার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে খাল বিলে পানি না থাকায় এখনো ৮০ শতাংশ জমিতে পাট রয়ে গেছে।

jutenews khoksa 11

অনেকের জমিতেই পাটের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার পোকার অক্রমন হয়েছে। বেশরি ভাগ জমিতে পাটের মাঝখান থেকে শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। পাট জাগের (পচানোর) পানির সংকট মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত রিবন রেটিং পদ্ধতির সাথে অধিকাংশ কৃষকের পরিচয় নেই।

খোকসার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে. মাঠের ৮০ শতাংশ পাট এখনও কাটা হয়নি। জনবল ও পানির অভাবে পাট কাটায় ধীর গতি তৈরি হয়েছে।

চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের পাট ভালো হওয়ার প্রধান কারন প্রচন্ড খরা। পানির অভাবে পাটের ফলন ভালো হয়নি। ফলে সেচ দিলেও আশানুরুপ ফল পাননি তারা।

jutenews khoksa 4

এছাড়াও কয়েকদিনের বৈরি আবহওয়া ও প্রচন্ড বাতাসে পাট গাছের গোড়া নড়ে যায়। ফলে মাঠের অধিকাংশ পাটেই গোড়া-পচন ধরে। ফলে ভালোমত বেড়ে উঠতে পারেনি পাট গাছগুলো।

এছাড়াও পাট ভালো ফলনের জন্য সার বা কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় ফসল ভালো করতে পারেনি পাট চাষীরা।

আরও পড়তে পারেন

অপরদিকে, পাটের ফলন নিয়ে দুচিন্তার সাথে যোগ হয়েছে পর্যাপ্ত পানির অভাব। যে পাটগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো জাগ (পঁচন) দেয়ার জন্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া এছাড়া পুকুর পর্যাপ্ত পুকুর না থাকার কারনে আরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

jutenews khoksa 2

বিলে এবার পানি তেমন না থাকায় হিমশিম থেকে হচ্ছে পাটচাষীদের। বেশীরভাগ চষীদের নিজস্ব পুকুর না থাকায় অন্যের পুকুর ভাড়া নিয়ে অথবা পাটের বিনিময়ে পুকুরে পাটের জাগ দিতে হচ্ছে।

বেতবাড়ীয়ার পাটচাষী আবু জাফর বলেন, আমাদের গ্রামে যে পরিমান জলাশয় রয়েছে তাতে মাঠের পুরো পাট জাগ দেয়া সম্ভব নয়। অনেকেই বিলের পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এবারের জাগটা ভালা হবে না বলে জানান তিনি।

jutenews khoksa 5

তবে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, এবারের পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ জমি থেকে পাট কাটা হয়েছে। পানি সংকট মোকাবিলায় তাদের উদ্ভাবিত রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচালে খরচ অনেক কম হবে। প্রতিবিঘা জমিতে ৯ থেকে ১০ মন হারে ফলন হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বলা যায় এ খাতের হাত ধরেই ঘুরছে দেশের অর্থনীতির চাকা। সম্প্রতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে খাতটি।

বিশেষ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও অর্ডার কমে যাওয়া বাড়তি চাপে ফেলেছে মালিকদের। এছাড়া চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি- এ আট মাসে তৈরি পোশাক খাতের বড় রপ্তানির দেশগুলো থেকে কমেছে আয়। সব মিলিয়ে সংকটে রয়েছেন বলে দাবি মালিকদের।

এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। সাধারণত ঈদের সময় আগের বকেয়া, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হয় মালিকদের। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে মালিকদের জন্য বেতন-বোনাস পরিশোধ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন>>গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুন

তারা বলছেন, ব্যাংক লোন না পাওয়ায় অনেক কারখানা মালিক ধার-দেনা করছেন বেতন পরিশোধের জন্য। এমন অবস্থায় যেভাবেই হোক ঈদের আগে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, ২০ রোজার মধ্যেই শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগ মুহূর্তে বেতন-বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিলেও অনেক কারখানাই শতভাগ পরিশোধ করে না।

ছুটি হয়ে যাওয়ায় শ্রমিদের দাবি-দাওয়া নিয়েও কোনো সুরাহা করা যায় না। তাই ঈদের আগ মুহূর্তে নয়, অন্তত ১০ দিন আগে দিলে তারা কাজের ফাঁকে সুবিধা মতো কেনাকাটা করতে পারবেন।

আরও পড়ুন>>হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে : নজরুল ইসলাম খান

এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ২০ রোজার মধ্যে পোশাক কারখানায় পূর্ণাঙ্গ বোনাস দিতে হবে। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতনসহ সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

এর মাধ্যমে শ্রমিক ভাই-বোনেরা নিজ পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। আর কোনো সমস্যা যদি থেকেই যায়, তাহলে তার সমাধানও আগে থেকেই করতে হবে। কোনো শ্রমিক যেন হয়রানির শিকার না হয়।

কথা হয় মমসন সার্ভিসেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুশরাত বারী আশার সঙ্গে। বিজিএমইএ’র এ পরিচালক বলেন, বর্তমানে পোশাক খাত কঠিন চ্যালেঞ্জে রয়েছে।

আরও পড়ুুন>>সেহরিতে কী খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা?

কারখানায় ইউটিলিট খরচ বেড়েছে, বেতন বেড়েছে। ব্যাংক লোনের সুদহারও বেড়েছে। এরপরও মালিক চায় তার শ্রমিক সুখে থাক। কারণ শ্রমিককে নিয়েই কারখানা।

তিনি বলেন, কোনো কারখানা ধ্বংস হোক এটা মালিক চায় না। এখন আমাদের সমস্যা হলো চতুর্মুখী। জাতীয় নির্বাচনের পর এখন অর্ডার মাত্র আসা শুরু হয়েছে।

কারখানা মালিকরা জানুয়ারির অর্ডার নিতে পারেননি। এখনকার অর্ডারের অর্থ আসবে জুনে। কিন্তু সুদহার ও ইউটিলিটি খরচ বৃদ্ধি পরিস্থিতি কঠিন করে দিয়েছে উদ্যোক্তাদের।

আরও পড়ুন>>সেহেরি এবং ইফতারের সময় সূচি-২০২৪

শ্রমিকের কারখানার প্রতি মায়া থাকতে হবে। তবে পরিস্থিতি আরও কঠিন সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা ব্যবসায়ীদের। তারা তৃতীয় পক্ষের কাজ করেন, অর্থ আনেন তারপর শ্রমিক পান। অনেক সময় পেমেন্ট পেতেও দেরি হয়ে যায় তাদের।

তবে এসব সমীকরণ বাদ দিয়ে ঈদের আগে ছোট-বড় বা সাব-কন্ট্রাকট, সব কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি করেছেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিক নেতা মঞ্জুর মঈন বলেন, সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে যে কাজ করেন তিনি তো কোনো না কোনো বড় কারখানার কাজই করেন। তাদের রপ্তানিতে সারা বছর সাপোর্ট করে থাকেন। তাহলে সেই কারখানা বা তাদের সংগঠন কেন ঈদের বোনাস-বেতনের দায়ভার নেবে না্

এ নিয়ে আলফি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল, যিনি সাব-কনট্রাক্টে কাজ করেন, তিনি বলেন, আমরা বড় বড় কারখানার কাজ নিয়ে সেগুলো উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

আরও পড়ুুুন>>গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ

এক্ষেত্রে ছুটির দিনে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয় বা বেতন আগে, বোনাস পরে দেওয়া হয়। কারণ অনেক সময় পেমেন্ট পেতে হলে সেটাতো কিছুটা দেরি হয়ই। আমরা শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এটার সমাধান করে থাকি। এবার সমস্যা হবে না আশা করছি।

পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রম মন্ত্রণালয় পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় যা গত ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা এ নিয়ে সেভাবে এগিয়ে আসেনি, পোশাকের দাম বাড়ায়নি।

পণ্যের দাম বাড়েনি, উল্টো উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক লোনের জটিলতাও রয়েছে। আবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাতের বড় গন্তব্যের দেশগুলোতে আয় কমেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ’র সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, এখন খুবই খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ব্যাংক লোনের সুবিধা নেই, সুদহার বেড়েছে, পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

এখন কারখানা মালিকরা ধার-দেনা করছেন ঈদ বোনাস-বেতন-বকেয়া পরিশোধ করার জন্য। ব্যাংক সুবিধা না থাকায় যে যার মতো করে ধার করছেন শ্রমিকদের ভালো রাখতে। আমরাও মনিটর করছি সদস্য কারখানাগুলোকে। আশা করছি শতভাগ কারখানায় সময় মতো বেতন-বোনাস হবে।

google-news-channel-newsasia24

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে চিনি

নিজস্ব প্রতিনিধি: রমজানের আগেই কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহম্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিএসএফআইসি এ তথ্য জানান।

Sugar-at-the-highest-price2-in-the-history-of-Bangladesh-newsasia24

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ ১৪০ টাকা কেজি প্যাকেট চিনির কেজি নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

‘আলাদিনের চেরাগ’ পেয়েছে খান ব্রাদার্স

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর গত সপ্তাহে এক প্রকার ধস হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এক সপ্তাহেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা নেই হয়ে গেছে। এমন ধসের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে বেড়ে গেছে ৭১০ কোটি টাকার ওপরে।

Khan Brothers got 'Aladdin's Cherag'-newsasia24

অবশ্য শুধু গত সপ্তাহ নয়, প্রায় ৯ মাস ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। এজন্য ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে কয়েক দফায় সতর্ক বার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদনও তৈরি করেছ ডিএসই।

সেই তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করছে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। এ পরিস্থিতিতেও খান ব্রাদার্সের শেয়ারের দাম বাড়ার পাগলা ঘোড়া থামছে না। যেন রূপকথার ‘আলাদিনের চেরাগ’- কেও হার মানাচ্ছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার। নয় মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় দুই হাজার শতাংশ।

আরও পড়ুন>>শেয়ারবাজারে ফের দরপতন; হারিয়েছে কোটি টাকা মূলধন

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এমন দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের আর্থিক ভিত্তি খুবই দুর্বল। লোকসানের কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। এমন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রায় দুই হাজার শতংশ বেড়ে যাওয়া কিছুতেই স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। কোনো বিশেষ চক্র পরিকল্পিতভাবে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, খান ব্রদার্সের দাম বাড়ার চিত্র দেখলে খুব সহজেই বোঝা যায় কোনো বিশেষ গোষ্ঠী এই দাম বাড়ানোর পেছনে রয়েছে। এই গোষ্ঠী নিজেরা নিজেরাই লেনদেন করে শেয়ারের দাম বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকা উচিত।

আরও পড়ুুন>>দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে জরুরি সভায় বসেছেন মন্ত্রীরা

নানান পক্ষের কঠোর সমালোচনার মধ্যে প্রায় দেড় বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি শেয়ারবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। এতে সপ্তাহজুড়ে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৮টির।

এমন পতনের বাজারেও গত সপ্তাহে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭২ টাকা ৪০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭১০ কোটি ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২১৮ টাকা ৩০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে যা ছিল ১৪৫ টাকা ৯০ পয়সা।

আরও পড়ুন>>ফেসবুকে সুন্দরীর ফাঁদে সর্বস্বান্ত যুবক

শুধু গত সপ্তাহ নয়, গত বছরের ৩০ এপ্রিলের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। গত বছরের ৩০ এপ্রিল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে এখন প্রতিটি শেয়ারের দাম ২১৮ টাকা ৩০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবধানে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২০৭ টাকা ৯০ পয়সা বা এক হাজার ৯৯৯ শতাংশ।

যদি কোনো বিনিয়োগকারী গত ৪ এপ্রিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ১০ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন, তাহলে এখন তার বাজারমূল্য ২ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭ টাকা। এ হিসাবে ১০ লাখ টাকা খাটিয়ে নয় মাসেই মুনাফা পাওয়া গেছে ২ কোটি টাকার বেশি।

আরও পড়ুন>>যে কারনে সারা বাংলাদেশে লোডশেডিং

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২১ সালে কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। তবে ২০২০ ও ২০১৮ সালে ২ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারেীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। এমনকি সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি এক পয়সা লোকসান করেছে।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৭টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন>>করোনার নতুন ধরন, টিকা নেওয়ার নির্দেশ

কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য চলতি বছরের ১৩, ১৬ ও ২৪ জানুয়ারি ডিএসই থেকে নোটিশ পাঠানো হয়।

খান ব্রাদার্সের শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘খান ব্রদার্সের শেয়ারের দাম বাড়ার বিষয়টি তদন্ত করতে ডিএসইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি নিয়ে এখন কাজ করছে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ।’

যোগাযোগ করা হলে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের কোম্পানি সচিব তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই যতগুলো নোটিশ দিয়েছে আমরা সবগুলোর জবাব দিয়েছি। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারির নোটিশেরও জবাব দিয়েছি। আমরা প্রতিবারই জানিয়েছি কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।’

আরও পড়ুুুুুুুন>>৫ ধাপেই করে ফেলুন সর্বজনীন পেনশনের আবেদন

আপনাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম কি স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে না। কিন্তু এখানে আমাদের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। যদি কোনো বিনিয়োগকারী আমার ১০ টাকার শেয়ার দুইশ টাকার ওপরে কেনে সেখানে আমার কী করার আছে? আমার কিছু করার নেই। কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যদি কেউ কিনিয়ে থাকে, এটার জন্য আমরা দায়ী না। আমাদের কোনো নতুন প্রজেক্ট আছে বা এ ধরনের কোনো কিছু আমরা কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রচার করিনি। এমনকি সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনেও আমরা লোকসানের তথ্য তুলে ধরেছি। সেখানেও ভালো কিছু নেই।’

google-news-channel-newsasia24

Follow

সময় টিভি ও সিটি গ্রুপ চেয়ারম্যানের মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশিষ্ট শিল্পপতি সময় টিভি ও সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

Death-of-Time-TV-and-City-Group-Chairman-newsaia24

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সময় টিভি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার বাদ আসর গেণ্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সরিষার তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয় সিটি গ্রুপের । প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করে ফজলুর রহমান।

আরও পড়ুন:

নব্বই দশকের শুরুর দিকে আরও প্রকল্প এবং উদ্যোগ হাতে নেয় সিটি গ্রুপ। বর্তমানে শিল্পগোষ্ঠীটির অধীনে রয়েছে ৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠান।

google-news-channel-newsasia24

Follow

শেয়ারবাজারে ফের দরপতন; হারিয়েছে কোটি টাকা মূলধন

শেয়ার বাজার ডেস্ক: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। গত সপ্তাহে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে তার প্রায় তিনগুণের দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। অন্যদিকে, ১৩৩টির দাম কমেছে। অপরদিকে, ২০৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপরিবর্তিত কোম্পানিগুলোর ক্রেতা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহেও এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতা সংকটের মধ্যে ছিল।

আরও পড়ুন>> দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮৭২ কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে ।

আগের দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। অবশ্য তার আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমে ১২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

এদিকে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ২৩ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৮ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৮ শতাংশ।

আরও পড়ুন>>সোনার নতুন দাম!

তবে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি বেড়েছে দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৯৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: 

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ১৩০ কোটি টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যাসেফিক ডেনিমস।

google-news-channel-newsasia24

ফলো করুন

দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রতিটি দোকানেই সাজানো রয়েছে নানান রকমের শীতের সবজি। সরবরাহ বাড়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ৫০ টাকা বা তার কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আবারও আলুর দাম নিয়ে অস্বস্তি। বিশেষ করে নতুন আলুর দাম বাড়তি। দুদিন আগেও যে আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল তা এখন বেড়ে (আকারভেদে) ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও মাছের বাজার। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। বাড়তি রয়েছে ডিমের বাজারও।

আরও পড়ুন>>পেঁয়াজের বাজারে আগুন!

বিক্রেতারা বলছেন, বাজার সরবরাহের ওপরে নির্ভর করে দরদাম। আর ক্রেতার অভিযোগ, ভরা মৌসুমেও ৫০ টাকায় শীতের সবজি কেনা মানে সাধারণকে জিম্মি করে বিক্রি করা।

আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার বনলতা মার্কেট, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন>>আবার বাড়ল এলপিজির দাম

বাজারগুলোতে শালগম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মের সবজি ঝিঙা, চিচিঙা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

বাজারে পুরোনো আলু ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও নতুন আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। এখন এসব বাজারে আকারভেদে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।

poteto-pp-high-newsasia24এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

আরও পড়ুন>>সোনার নতুন দাম!

চায়না রসুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ মানের রসুনের কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।

বনলতা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী বলেন, এখন শীতের সবজির দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মের অনেক সবজি পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোর দাম বেশি। পেঁয়াজ-রসুনের দামও গত দুই-তিন দিন একই ধরনের রয়েছে।

আরও পড়ুন>>কিছু সুবিধাভোগী লোকের জন্য বাজারে অস্থিরতা: ডিএমপি কমিশনার

শান্তিনগর বাজারে আসা একজন ক্রেতা বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসা মানেই ৩০ টাকার মধ্যেই সবকিছু বেচা-বিক্রি হওয়া। এর ওপর দর নেওয়া মানেই কোনো এক সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে এটাই ধরতে হবে।

google news newsasia24

Follow