শিরোনাম

রাজনীতি

ইসলামিদলগুলোর অংশগ্রহণে নির্বাচন কামিয়াবি ও সফল

নিউজ এশিয়া ২৪ ডেস্ক: ইসলামিদলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারলে সেটা হবে কামিয়াবি ও সফল নির্বাচন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর শরীয়ত আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, একটা নির্দলীয় সরকার গঠনের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। যেকোনো উপায়ে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিদেশিরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশের জন্য মোটেও শুভ নয়।

তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দিতে হবে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতার পরিপূর্ণ ও যথাযথ প্রয়োগ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা জরুরি, যা একমাত্র একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই সম্ভব।

আরও পড়ুন: আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব মীর ইদ্রিস, ইমতিয়াজ আলম, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি আবদুল মাজেদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, হাবীবুল্লাহ মিয়াজীসহ আরও অনেকে।

 

সরকার পদত্যাগ না করলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না বাম জোট

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক:  বাম গণতান্ত্রিক জোট এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেছেন, সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

তারা ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে এ জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
তাদের দাবি না মানলে হরতাল, ঘেরাও, অবস্থান ও তীব্র বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে

আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কথা জানান তিনি।

মাসুদ রানা বলেন, এই সমাবেশ অনতিবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল, নির্দলীয় তদারক সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
এসব দাবিতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ও মুক্তমনা, গণতন্ত্রমনা মানুষকে গণআন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তিনি বলেন, আজকের পর আগামী ১৬-৩০ সেপ্টেম্বর পক্ষকালব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও সারাদেশের উপজেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

৫ অক্টোবর ঢাকায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান এবং ৮-১৫ অক্টোবর জেলা ও বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, অনেক রাজনীতি হয়েছে, অনেক আন্দোলন হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এক সরকার পরিবর্তন হয়ে আরেক সরকার এসেছে কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি।

আন্দোলন হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে। জনগণের পক্ষের কেউ ক্ষমতায় যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট নিয়ে নাকি আমরা কথা বলি। কেন কথা বলব না? ভোটের নামে কী করেছেন? যদি লজ্জা থাকত, এ কথা আপনি বলতে পারতেন না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক, মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। সুত্র: ঢাকা পোস্ট।

দেশের জনগন বিপদে পড়লে বিএনপি তার পাশে দাড়ায়: শাহজাহান

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দেশের জনগন বিপদে পড়লে বিএনপি তার পাশে দাড়ায়, ডেঙ্গু সচেতনতায় আজকের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি তারই প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে আছি, সেখানে সারাদেশে আজ ডেঙ্গু নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা মনে করেছিলাম সরকার তার দায়িত্ব পালন করতে সফল হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম এই ডেঙ্গু প্রতিরোধেও সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রিয়াজুদ্দিন বাজার তিন পুলের মোড়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতা এবং ডেঙ্গু সচেতনতায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত লিফলেট বিতরণের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মো. শাহজাহান বলেন, আমি বলব বিএনপি মানুষের দল, কোনো দানবের দল নয়। বিএনপি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, কোনো সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল নয়। আমাদের একটি মাত্র দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা।

তিনি বলেন, সরকারের একমাত্র আতঙ্ক এখন বিএনপি ও আমাদের নেতা তারেক রহমান। রাতের ঘুমের মধ্যে তাদের ভালো ঘুম হয় না।

আরও পড়ুন: তারা প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা দেওয়ার কে?

কারণ বিএনপির আন্দোলনের স্বপ্ন দেখে হঠাৎ চিৎকার করে ঘুম ভেঙে যায় সরকারের। শুধু ঘুম নয়, যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সরকারকে গদি ছেড়ে দিতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

সাক্ষী মুলতবি করার আবদন খালেদা জিয়ার

বিএনপির গণমিছিল আগামী শনিবার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক:  বিএনপির গণমিছিল আগামী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর)। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার নয়া পল্টনে পালন করবে এ গণমিছিল।

আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থার দাবিতে শনিবার গণমিছিল করা হবে।

আরও পড়ুন: তারা প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা দেওয়ার কে?

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার লক্ষ্যে শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

তারা প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা দেওয়ার কে?

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রিটে বিচারকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছে বিএনপি। আর এরই ধারাবাহিকতায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম।

বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে সোমবার ( ২৮ আগস্ট) আদেশের পর এই রিটকারীর আইনজীবী এমন মন্তব্য করেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি-বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করলে বিচারকরা এজলাস ছেড়ে চলে যান।

পরে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, তারা আজ ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন। সেদিন তারা পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। সেটা খারিজ করা হয়েছে।

বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা এই মামলায় কীভাবে কথা বলে? তারা কেন অহেতুক ডিস্টার্ব করে? আজকে আদালতে ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। কজলিস্ট ছুড়ে মেরেছে। কোনো অবস্থাতেই এটা শোভন না। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার শামিল।

আরও পড়ুন: মানুষ এখন উন্নয়নে আগ্রহী: এম এ মান্নান

তারা সবক্ষেত্রে অচলবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। তারা তো এই মামলায় পার্টিই না। তাদের অথরিটি নেই। তারা প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা দেওয়ার কে? কোন যুক্তিতে কী হিসেবে? তারা অহেতুক যুক্তি দাঁড় করেছেন। তারা এত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন যে কারণে আদালত নেমে গেছেন।

সাক্ষী মুলতবি করার আবদন খালেদা জিয়ার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সাক্ষী মুলতবি করার আবদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুদক কর্মকর্তা— এমন অভিযোগ এনে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।

আজ রবিবার (২৭ আগষ্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২২ আগস্ট নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ।