নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ১৯৫৯ সালে নবম শ্রেণি থেকে বিভাগ বিভাজন চালু হয়েছিল। সে হিসাবে ৬৫ বছর এ নিয়মে চলেছে শিক্ষা পদ্ধতি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দফায় দফায় শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলেও এ প্রথা কখনো ভাঙা হয়নি।
অবশেষে এলো পরিবর্তন। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবাই পড়ছে একই বিষয়। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চালু হয়েছে এ প্রক্রিয়া। যেখানে নেই বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার বিভাজন। সবার বই এক, ক্লাসরুম এক, মূল্যায়ন পদ্ধতিও এক।
তবে বেশিরভাগ অভিভাবক বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা বিভাগ বিভাজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ একমুখী এ পদ্ধতিকে ভালো বলছেন। এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও প্রায় সব অভিভাবকের প্রশ্ন, নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ বিভাজন কখন থেকে এবং কীভাবে?
অভিভাবকদের এমন প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর নেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কাছেও। এনসিটিবি কর্মকর্তারা বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় বিষয়টির ধারণা থাকলেও তা চূড়ান্ত নয়।
চলতি বছর যেহেতু একাদশ-দ্বাদশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে না, তাই এ নিয়ে তোড়জোড়ও করছেন না তারা। এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও যাচাই প্রক্রিয়ায় ‘ধীরে চলা’র নীতি নিয়েছে এনসিটিবি।
২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়। চলতি বছর আরও চার শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ানো হচ্ছে। সেগুলো হলো- দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম।
আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যন্ত স্তরে সব শ্রেণিতেই তা চালু হবে। ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।
নবম শ্রেণিতে এ বছর নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ায় বিভাগ বিভাজন প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটিই এ বছরে শিক্ষায় বড় পরিবর্তন। নতুন নিয়মে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয় পড়তে হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। আগে এটি নবম-দশম শ্রেণি মিলিয়ে করা হতো। ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির বই পড়ে শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
Follow