আকরামুজজামান আরিফ, কুষ্টিয়াঃ শহরের পূর্ব মিলপাড়ায় বিশ্ব মানব ধর্ম কেন্দ্র প্রধান কার্যালয়ে আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পীর কেবলা হযরত শাহ সুফি সৈয়দ হামজার নুরুল হুদা ওরফে মুসাফির মৌলা-এ শেরে মস্তান কালেন্দরী (রা:) এর ৪৩তম ওরশের ১ম দিনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন দিনের ওরশ শুরু হয়েছে।
ওরশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো ভক্ত ও আশেকানদের পদচারণায় মুখর ছিল মাজার প্রাঙ্গণ। এছাড়া আলেম, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক শহর আওয়ামী লীগ নেতা কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক এবং ওইতব্য কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর প্রতিষ্ঠাতা ফজলে করিম খোকার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মাজারের উপদেষ্টা রবিউল হক খান, উপদেষ্টা ও কাউন্সিলর রিনা নাসরিন, মাজারের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান মো: ওয়াহিদ রনি, সহ অর্থ সম্পাদক নূর আলম, পরিচালনা করেন মাজারের সাধারণ সম্পাদক শাহ সৈয়দ কুতুব মস্তান।
এর আগে ৫ জুলাই শুক্রবার শেরে মস্তান মাজারে ফজলে করিম খোকা সভাপতি ও কুতুব মস্তানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত হয়।
নতুন কমিটি দ্বায়িত্ব নিয়েই জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সুফি সাধক সেরে মস্তানের ৪৩ তম এবারে জাক জমক ও বৃহত পরিসরে ৪৩ তম ওরশ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
-
পালিয়ে যাওয়ার বর্ননা দিল খোকসার হারিয়ে যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্র রব্বিন (ভিডিও)
-
শিক্ষার্থীরা লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
-
ইংল্যান্ডে বিবিসির সাংবাদিকের স্ত্রীসহ দুই কন্যাকে হত্যা
-
ভাতিজার হাঁসুয়ার আঘাতে চাচা নিহত, আহত ২
ওরশে আগত ভক্তরা শান্তিপূর্ণভাবে মাজার জেয়ারত করেন৷ জেয়ারতের সময় ভক্তদের দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকতে দেখা যায়।
এদিকে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত মেহমানদের জন্য থাকা ও তবররুকের আয়োজন করেন মাজার কমিটি ও খাদেমরা।
ওরশকে ঘিরে সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাজার প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল।
অতিথীরা বক্তব্যে শেরে মস্তানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন, এবং আগত শেরে ভক্ত বৃন্দদের সেরে মাস্তানের আদর্শ ধারণ করতে বলেন। আগত বৃন্দরা সারারাত গান ও গজল গেয়ে মাজার প্রাঙ্গনে অবস্থান করেন।