শিরোনাম

শিরোনাম

ঠিকানাবিহীন ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের আজ ঈদের দিন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এক সময় যাদের থাকার মতো জায়গা বলতে ছিলো অস্থায়ী জোড়াতালির ঘর, আজ তাদের নিজের ভূমি, নিজের ঘর, নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে যাদের অজানা আতঙ্কে দিন কাটতো, তারা এখন নিশ্চিন্তে আশ্রয়ণের বাড়িতে সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্ন দেখে।

এমন একজন মিনজু বেগম। বয়স ১৮। দেশব‌্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আওয়ামী লীগ সরকার ঘর দেওয়ার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেখানে তিনিও ভোলার চরফ‌্যাশন এলাকার চর কচ্ছপিয়াতে একটি ঘর পেয়েছেন। সেখানে স্বামী, শাশুড়ি আর সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তিনি।

নিকট অতীতের কষ্টের দিনের কথা বলতে গিয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিনজু। জানান, ভাঙা একটি ঘরে পরিবারের অনেক মানুষ নিয়ে বাস করতেন। ছোট্ট ঘরে ঠিকমতো থাকা যেতো না। তার ওপর পুরোনো টিন আর পলিথিনের জোড়াতালির ঘর ঝড়-বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তেন।

সেই তুলনায় এখন অনেক ভালো আছেন জানিয়ে এজন‌্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন‌্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। নিমজু বলেন, এটা তাদের কাছে শুধু আশ্রয় নয়, একটি ঠিকানা নয়, এটা সুন্দর ভবিষ‌্যতের জন‌্য একটি উপহার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ পরিকল্পনার আওতায় মঙ্গলবার (১১ জুন) সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন।

আরও পড়ুন>>নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

সকাল ১১টায় নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি তিনি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করবেন।

চরফ‌্যাশন উপজেলার কচ্ছপিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেকজন সুবিধাভোগী রাজিয়া বেগম। চার সন্তান আর স্বামী নিয়ে যে কষ্টের যাত্রা এতদিন অতিবাহিত করে এসেছেন, তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে আশ্রয়ণে ঘর পাওয়ার মাধ‌্যমে।

তিনি বলেন, আগে যেখানে থাকতাম সেটি নিজের ছিলো না। কোনো রকমে একটি ঘর তুলে সেখানে দিন কাটিয়েছি। খুব খারাপ পরিবেশ ছিলো। এখন ভালো পরিবেশে স্বপ্ন দেখি সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করার।

আরও পড়ুন>>খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা

ভোলা জেলা প্রশাসক ( ডিসি) আরিফুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর প্রদান করবেন। ইতিমধ্যে ভোলা সদর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিঃস্ব, অসহায় মানুষকে যাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুর্নবাসন করা যায়, একই সাথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে মূল উদ্দেশ্য, আমাদের সামাজিক সুরক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য, সেগুলো কিন্তু এই প্রকল্পের যারা উপকার ভোগে রয়েছেন, তাদেরকে সরকার নিশ্চিত করছে।

বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি যেখানে করা হয়েছে, সেখানে কিন্তু একটি সুন্দর মানসম্পন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের যে সন্তান রয়েছে, সেসব সন্তান যাতে আগামীর উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য যাতে যথাযথভাবে শিক্ষা পায় সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলা জেলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন। নতুন ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারাদেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৮টি এবং উপজেলা হবে ৪৬৪টি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন>>পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় এর আগে গৃহ ও ভূমিহীনদের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৬৬৬টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন।

শাহিন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প জেলার গৃহ ও ভূমিহীন মানুষকে শুধু আশ্রয়ই দেয় না, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে ৫ জন ব্যক্তি হিসাবে)।

প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জঙ্গি সন্দেহে ঘেরাও করা বাড়িটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সোয়াট টিম। রবিবার সকালে সদর উপজেলার ভাসাপাড়া পৌঁছে তারা অভিযান চালায়। তবে প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম ছাড়াও আরও কি কি পাওয়া গেছে তা অভিযান শেষ হলে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন।

রবিবার সকাল থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ১৫ সদস্যের দল এসে অভিযান চালায়।

নেত্রকোণা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, তারা গতকাল থেকেই ঘিরে রেখেছিলেন ডুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের বাড়িটি। সেটিতে অভিযান চলমান। ঢাকা থেকে বাড়ির মালিককে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অনেক কিছুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এই আস্তানায় প্রশিক্ষণ দেয়া হতো বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কি পাওয়া গেছে তা অভিযান শেষে বলা যাবে।

এদিকে এ ঘটনায় জেলা শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চলছে বলেও জানা গেছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে বরুণ বিকাশ চাকমা (৫৫) নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার দুদকছড়ার দুর্গম সীমানাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত বরুন বিকাশ চাকমা পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের কমল কৃষ্ণ কার্বারি পাড়ার সুধীর কুমার চাকমার ছেলে।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, রাতে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বরুণ। এ সময় সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে। ঘরের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আমাদের পার্টির একজন সমর্থক।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও।

কাউসার নামের পুলিশ কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা-পুলিশ।

কাউসার কী কারণে মনিরুলকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

শনিবার (৮ জুন) দিনগত ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি একথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন।

এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে তিন রাউন্ড গুলি লেগেছে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন:

আমরা এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। আক্রমণকারীকে আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’

দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা- এই ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে, সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।’

google-news-channel-newsasia24

ঈদুল আজহা ১৭ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখা যাওয়া এবং ১৭ জুন ঈদুল আজহা পালনের সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টায় সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুন (১০ জিলহজ) সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

আরও পড়ুন: 

| দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ

| ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

| ক্রেতার অভাবে গুদামে পড়ে আছে ৩০ টন পেঁয়াজ

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ১৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করে থাকেন।

ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ও লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজ পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সরকারি ছুটি থাকবে। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে এবার ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

google-news-channel-newsasia24

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ আজ

নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌনে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। আজ বিকেলে জাতীয় সংসদে এ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। বিকেল ৩টায় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

এবার বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।

বাজেটে রাজস্ব আয়সহ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। বেশিরভাগ আয় করার দায়িত্বটি দেওয়া থাকবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)।

বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত।

আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

অবশ্য বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বড়জোর ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রায় কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আরও পড়ুন:

অন্যদিকে বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

google-news-channel-newsasia24

বাল্য বিবাহ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে: বাবুল আখতার (ভিডিও সহ)

ফাহিম শাওন: চাঁদট এম.বি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসার সভাপতি ও খোকসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল আখতার বলেছেন, শির্ক্ষাথীদের বাল্য বিবাহ রোধে অভিভাববকদের সচেতন হতে হবে। তাদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অল্প বয়সে তাদের বিয়ে দেয়া যাবে না।

আজ মঙ্গলবার (০৫ জুন) কুষ্টিয়া খোকসার চাঁদট এম.বি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসার অভিভাবক সামাবেশে এসব কথ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার এখন পড়ালেখা অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমাদের সময়ে পড়ালেখা এত সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন পুরাতন বই নিয়ে পড়তে হতো। তারপর নতুন বই পেতাম। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই নতুন বই হাতে পাচ্ছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, অভিভাবকদের শুধু প্রতিষ্ঠানের উপর দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। তার সন্তান ঠিকমত স্কুলে যাচ্ছে কিনা, বাসায় ঠিকমত পড়ছে কি না সব কিছু খেয়াল রাখতে হবে।

chadot mb modinatul ulum fazil madrasha gurdian meeting babul akthar newsasia24 2

উক্ত সমাবেশে মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ শহিদুজ্জামান অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই যুগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান স্মার্টফোনে কি করছে সেটা আপনাকে নজর রাখতে হবে। তাদের হাতে ফোন ছেড়ে দেয়া যাবে না। তারা যখন ফোন ব্যবহার করবে তখন তাদের নজর রাখতে হবে, কাজ হয়ে গেলে ফোন নিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

এছাড়াও অভিভাবকদের সচেতনতায় তিনি বলেন, আপনার দুইটা সন্তান থাকলে, দুই সন্তানকেই সমান চোঁখে দেখতে হবে। অনেক বাবা-মা আছেন, তারা যে সন্তান মেধাবী তাকে বেশী খেয়াল করেন অপরদিকে কম মেধাবী সন্তানকে কম খেয়াল করেন। এটা করা যাবে না। বরং যে সন্তান কম মেধাবী তাকে বেশী খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে সেও মেধাবী হয়ে উঠবে।

উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠানে মাদরাসার শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

বটগাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেলো দুজনের

রাজশাহী প্রতিনিধি: ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, হালকা বাতাস। এতেই উপড়ে পড়ে একটি বটগাছ। এর নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকবাজার রাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চকবাজার এলাকার মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪০) ও একই এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (৪২)।

মো. এহসারুল্লাহ নামের স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাসও বইছিল। এ সময় হঠাৎ গ্রামের পুরনো বটগাছটি উপরে পড়ে। এতে গাছের পাশে চায়ের দোকানে বসে থাকা বেশ কয়েকজন ওই বটগাছের নিচে চাপা পড়েন। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। উদ্ধার কাজ শেষে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

ওসি জানান, এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

google-news-channel-newsasia24

লোকসভার চূড়ান্ত ফল: বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

এছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) ৯টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) ৮টি ও শিবসেনা (এসএইচএস) ৭টি আসনে জয় পেয়েছে।

লোক জনশক্তি পার্টি ৫টি, যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টি ৪টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ৪টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) ৪টি, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ ৩টি, আম আদমি পার্টি ৩টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩টি আসনে জয় পেয়েছে। পাশাপাশি অনেকগুলো দল দুটি করে এবং অনেকগুলো একটি করে আসন পেয়েছে।

এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। দলটির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট মোট আসন পেয়েছে ২৯৫টি। অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের ইনডিয়া জোট পেয়েছে ২৩১টি আসন।

আরও পড়ুন:

দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে মাত্র ৯৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট। আর কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির।

ওই নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সেক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে।

google-news-channel-newsasia24

গোঁজামিল না দিয়ে খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বাজেট দিন : ইসলামী আন্দোলন

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, এদিক-সেদিক করে কিছু পণ্যের দাম কমবেশ করে ঋণ নির্ভর গোঁজামিল দিয়ে বিশালাকারের বাজেট পেশ করলেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমদানী-রাপ্তানির নামে বিদেশে টাকা পাচার, চিকিৎসার নামে মুদ্রা পাচার, রিজার্ভ ও ব্যাংক লুটপাট বন্ধ করতে হবে। দলীয় সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সামথিং কর পে করে কালো টাকা সাদা নয় আড়ৎদারী, মজুদদারী, কালোবাজারী ও দুর্নীতি করে হাতিয়ে নেয়া সকল টাকা-ই রাজস্ব ফান্ডে জমা দিতে হবে।

খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভর্তূকী দিয়ে আমদানী নয় উৎপাদন নির্ভর বাজেট পেশ করতে হবে এবং কৃষককে উৎপাদনে ভর্তুকী ও উৎসাহিত করতে হবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। খাদ্যপণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন না বাড়িয়ে পাশের রাষ্ট্র থেকে উচ্চ মূল্যে খাদ্যপণ্য আমদানী করেছে। এটা আমাদের অস্তিত্বকে হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে। তিনি সরকারের প্রতি আহবান করেন, রিজার্ভ নিয়ে যে সংকট তৈরী হয়েছে তা পরিস্কার করুন।

আরও পড়ুন:

উচ্চবিলাসী মেগা প্রকল্প না বাড়িয়ে চাল, ডাল, তেল, নুনের দাম কমানোর বাজেট দিন। “বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে” অর্থমন্ত্রীর এমন সস্তা কথায় গরীব-দুঃখী মানুষের পেটে ভাত ঝুটবে না।

খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হলে ধান, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মাছ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু উৎপাদন ও লালন-পালনে কৃষককে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে হবে। দেশ ও মানুষ বাঁচাতে কৃষকের স্বার্থে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

google-news-channel-newsasia24