আপনার কি পিঠ ও কোমর ব্যাথা? জেনে নিন কারণ ও প্রতিকার..

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পিঠ ও কোমর ব্যাথায় ভুগছেন। এটি যেকোন বয়সেই হতে পারে। তবে দেখা যায়, পুরুষের থেকে নারীরা এই রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগেন।

এই সমস্যার রোগী দিন দিন বেড়েই চলছে। গর্ভকালে অধিকাংশ নারীই পিঠ ও কোমর ব্যথায় ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দীর্ঘ হয়।

গর্ভাবস্থায় পিঠ ও কোমরব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারন রয়েছে। গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বাড়ে ফলে শরীর ভারী হয়। তাই পেশি ও সন্ধির ওপর চাপ বাড়ে।

ওস্টিওপরোসিস নামের একটি রোগ রয়েছে, যার জন্যও পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে। যাদের ওজন বেশি, তাদেরও এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে ওজন কমিয়ে ফেলা এবং ব্যায়াম করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা টানা ক্লাস করছে এবং অনেকে ল্যাপটপ বা মোবাইলে অফিসের কাজ করছে । ফলে অনেকে নতুন করে পিঠ ও কোমরব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: 

ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, বেশি সময় ধরে কম্পিউটার বা মোবাইলের সামনে বসে না থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া উচিৎ।

অনেকেই ব্যাথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ সেবন করেন, এটি তার জন্য খুবই মারাত্বক হতে পারে। এটা মোটেও উচিৎ নয়। ব্যাথানাশক ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

অনেকে ব্যাথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করেন, এর জন্য লিভার ফেল হতে পারে, অন্যদিকে, যাদের কিডনির জটিলতা রয়েছে তাদের জন্য আরও বিপজ্বনক প্রভাব পড়তে পারে। তাই কোন ওষুধই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিৎ নয়।

কিডনিজনিত ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাঁ পাশে হয়। এই ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথায় কিছুতেই আরাম পাওয়া যায় না।

পিঠ ও কোমরব্যথা থেকে পরিত্রাণের উপায়?

সাধারণ কিছু অভ্যাসের কারনে পিঠ ও কোমরব্যথা হতে পারে। আমাদের হাঁটা-বসা-ঘুম, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভুল অভ্যাসের কারনে ও অঙ্গভঙ্গি এবং ব্যবহৃত সামগ্রী থেকেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়।

নরম বিছানা ও এলোমেলোভাবে ঘুমালে কোমর ও পিঠে ব্যাথা হতে পারে।

wrong-sit-chair-newsasia24

চেয়ারের ডিজাইন অনেক ক্ষেত্রেই এ ব্যথার জন্য দায়ী। চেয়ারের ডিজাইন এমন হতে হবে যেন আপনার পিঠের স্বাভাবিক বাঁকানো ভাব স্বাভাবিক থাকে। পিঠের কোথাও যেন অস্বাভাবিক চাপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী না হয়।

আরও পড়ুন:

wrong-sleep-mode-newsasia24

আবার ঘুমানোর ক্ষেত্রে, কেউ উপুড়, কেউবা হযবরল অবস্থা করে হাত-পা এলোমেলো রেখে ঘুমান। এটা ঠিক নয়। ঘুমানোরও ক্ষেত্রেও সঠিক অঙ্গভঙ্গি খুবই প্রয়োজন। ডান পাশ হয়ে ঘুমাতে হবে। উপুর হয়ে ঘুমানো মোটেও উচিৎ নয়।

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours