নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের বইমেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ৩টায় মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন। এবারের বইমেলায় থাকছে ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৯৩৭টি স্টল।
এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ কোনো তৃতীয় মাধ্যম ছাড়াই এবারের বইমেলার সার্বিক দায়িত্বে আছে বাংলা একাডেমি।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান: ভলিউম-২’ সহ কয়েকটি গ্রন্থ-উন্মোচন করবেন। সেই সঙ্গে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে হচ্ছে বইমেলা। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর প্যাভিলিয়ন থাকছে ৩৭টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি।
মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরিচয়পত্র দেখালেই মিলবে এ সুযোগ।
মেলার মূল মঞ্চ থাকবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়েছে। গত বছরের মতো রমনা কালী মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশুচত্বর। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়।
সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো খাবারের স্টলগুলো এলোমেলো না রেখে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান এবং ওয়াশরুম থাকবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের পাশে।
আরও পড়ুন:
এবারের মেলায় প্রবেশদ্বার মোট চারটি। মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উলটো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহার হবে। এছাড়া ও টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের দিকে মোট ৩টি প্রবেশপথ থাকবে।
সমালোচনা এড়াতে এ বছর বাংলা একাডেমি এককভাবে মেলার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আগের বছরগুলোতে কিছু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মেলার আয়োজনে জড়িত ছিল। যার ফলে গত বছর কিছুটা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এ বছর একাডেমি সব বাস্তবায়ন করছে।
Follow