শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ ২০২৪ ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১০ মার্চ রমজান মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এক অভিভাবকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১০ মার্চ বিচারপতি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন:

প্রসঙ্গত, ০৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এ ছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

আরও পড়ুন>>তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন>>চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা।

লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্ঠি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

আরও পড়ুন>>ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।

তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

google-news-channel-newsasia24

Follow

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সোমবার বিকেল পৌণে ৪টায় কর্ণফুলীর একটি রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। বাহিরে ধোয়ার বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বুধবার (৬ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে আরও দুই-একদিন সময় লাগবে।

এদিকে আগুন লাগার পর চিনিকলের গুদামের অপরিশোধিত চিনির গলিত পানি সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে দূষিত হয়েছে নদীর পানি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১ নম্বর গুদামটির পোড়া চিনির গলিত পানি দুটি নালা হয়ে সরাসরি গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছে। পানিতে পোড়া তেল ও ফেনার মতো ভাসছে চিনির বর্জ্য।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে মারছে মাছ। স্থানীয়রা নদী থেকে হাত দিয়েই মাছ ধরছে। আবার কেউ কেউ জাল ফেলেও মাছ ধরছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে হাত দিয়েই নদীতে মাছ ধরা যাচ্ছে। এভাবে দূষণ হতে থাকলে নদীর মাছ প্রায় হারিয়ে যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কারখানার ড্রেন ও নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>>অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

তিনি বলেন, নমুনা পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পানির বিভিন্ন উপাদানের কী ক্ষতি হয়েছে তা বলতে পারবো।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। চিনির আগুনে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে আগুন নেভাতে সময় লাগছে।

এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) মো. হোসেন রানা বলেন, একই স্থানে মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার এক নম্বর গুদামে আগুন লাগে।

এ গুদামে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। সবই পুড়ে গেছে। যার মূল্য হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন>>ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, চিনিকলের আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা বাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপুলসংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow
পরের খবর আগে
আরও পড়তে পারেন |

ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

আরও পড়তে পারেন |

অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

আরও পড়তে পারেন |

চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

পরের খবর আগে

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের সকল জেলার বেকারদের দিবেন তিনি কর্মসংস্থান,করবেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন । দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে এই দেশকে জাগিয়ে রাখা যায় সেই গবেষণা থেকেই একটি থিউরি আবিষ্কার করেন এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতারক সামসু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ(৪৫)।

নিজ থিউরি অনুযায়ী প্রতারক রিয়াদ বিভিন্ন জেলার কমশিক্ষিত বেকাদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন ঢাকায় । চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে প্রতারক রিয়াদ নেন ব্ল্যাঙ্ক চেক ও ৩/৪ টা করে ফাঁকা স্ট্যাম্প। চাকুরীতে কিছুদিন যেতে না যেতে বিভিন্ন অজুহাতে রিয়াদ তাদের করেন চাকুরীচ্যুত।

পরবর্তিতে রিয়াদ ফিরেন তার পূর্ণরূপে, ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে রিয়াদ দেন চেক ডিজনার মামলা। চেক মামলায় রায় হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে রিয়াদ আদায় করেন টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস নয় যেনো মামলার হাট বসিয়েছেন রিয়াদ। যে-হাটে একবার ক্রেতা হয়ে ঢুকলে আপনাকে মামলা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। মামলা ছাড়া আপনাকে বাড়ি ফিরতে দিবে না রিয়াদ।

সাম্প্রতিক সময়ে মাসুদ হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ডিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করলে উঠে আসে এমনই এক চঞ্চল্যকর তথ্য।

এই বিষয়ে এজে আর কুরিয়ার সার্ভিস এর সাবেক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে একটা চুরির মামলা দিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা চুরির মামলায় ১ মাস জেল খেটে জামিনে বের হলে পূনরায় আমায় দেয় আরেকটি চেকের মামলা উক্ত চেক মামলায় দেখানো হয় ১৩ লক্ষ টাকা, চুরির মামলা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি বলে মামলাটি আদালত থেকে খালাস হয়ে যায় ।

Courier service is not a court of law! newsasia24

আরও পড়ুন: 

পরবর্তিতে আমাকে উক্ত চেকের মামলা রায় হয়ে যাবে বলে ভয় দেখি এক পর্যায়ে আমি ৪ লক্ষ টাকা রফাদফা করি, ৪ লক্ষ টাকা আমি গ্রামে বাড়ি থেকে দার দেনা লোন করে এনে দিলে ও এখনও আমায় দেয় নি কোনো লিখিত কাগজ,কাগজ চাইলে ও বলে পরে আসেন ।

আরেকজন ভুক্তভোগী এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন,আমাকে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকার একটি চুরির মামলা দেয় রংপুরে আমি ৪৪ দিন কারাগারে ছিলাম,জামিনে বের হওয়ার পর ঐ যে আমার চাকুরী তে যোগদানের সময় একটি ব্ল্যাংঙ্ক চেক ছিলো সেই চেকে আমাকে আবার ১৬ লক্ষ টাকার আরেকটি মামলা দেয় ঢাকার আদালতে ।মামলা তুলার জন্য বারবার অফিসে গেলে আমার কাছ ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের আরেক ভুক্তভোগি সাবেক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন(২৫) সুপারভাইজ তিনি বলেন এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের মামলাবাজ এমডি আমাকে মোট ৫ টা মামলা দিয়েছে একটা চুরির মামলা,একটা হাফ মার্ডার মামলা,একটা অপহরন মামলা,২ টা চেক এর মামলা ।সুধু দর্শন মামলা দেওয়া বাদ ছিলো বলে জানান তিনি ।

আরেক ভুক্তভোগী মাসুদ হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ২০১১ সাল থেকে এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মরত ছিলাম,চাকুরী তে নিয়োগের সময় কোম্পানিটি আমার একটি ব্লাঙ্ক চেক রাখে ফেরতযোগ্য বলে।কোম্পানীটির বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি দেখে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেই ।

অব্যহতির ২ বছর পর কোম্পানীটি তে থাকা আমার ঐ ব্লাঙ্ক চেকে আমাকে ২৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার একটি মামলা দেয় ।কাগজে কলমে উল্টো কোম্পানীটির কাছে আমি ৫ মাসের বেতন পাই সেটা না দিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।তাই আমি কোম্পানীর মামলাবাজ মালিক রিয়াদের যথাযত শাস্তি দাবী করছি।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মাহবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোম্পানীটি তে শুরু থেকে কাজ করে আসছি জিএম হিসেবে,কোম্পানীতে নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি স্টাফদের কাছ থেকে ২ বা ৩ টি ব্লাঙ্ক চেক ও ফাঁকা ৩/৪ করে স্ট্যাম্প নিয়ে থাকি,যারে করে ঐ স্টাফ গুলো চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বা চলে গেলে আমরা ঐ চেকে তাদের নামে মোটা অংক বসিয়ে মামলা দিয়ে দেয় মালিক রিয়াদ সাহেবের পরামর্শে।স্টাফদের চেক ও স্ট্যাম্প রিয়াদ তার কাষ্টোরিতে রাখে বলে ও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: 

ভ্যাট ট্রেক্স কিভাবে দেয় সেটা জানতে চাইলে তিনি বলে কি আর বলবো ভাই মানুষের ভিতরে একটা মনুষ্যত্ববোধ থাকে না তার ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ ও নাই ।রিয়াদ সাহেব সরকার’কে কি পরিমান ভ্যাট ফাঁকি দেয় তা আপনাদের বলে বুজাতে পারবো না।মাসে তার ইনকাম ১২ কোটি টাকা সরকার কে ভ্যাট দেয় রিয়াদ ১ লক্ষ টাকা।

স্থাপনার ভ্যাট না দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রতিটি অফিসের ডিড দুই নাম্বার করছে সরকার কে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া জন্য ।বরিশাল সহ বেশ কয়েক জেলায় এরই মধ্য ভ্যাটের লোক হানা দিয়ে তার আসল রহস্য উদঘাটন করে পেলেছে কুড়িগ্রামে এরই মধ্যে দুই নাম্বার ডিট দেওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা ও দিয়েছে রিয়াদ সাহেব। হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেখায় ৬ হাজার টাকা হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেয় ৬ লক্ষ টাকা ।মালিটোলা অফিসের সেল আছে ৩০ লক্ষ টাকা ঐখানে সেল দেখায় ১৫ হাজার টাকা।

আরেকটা গুরুত্বপূন্য তথ্য হলো এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে তার ফিটনেস বিহীন কাবার ভ্যান এর সংখ্যা একশত(১০০) এর অধিক ।ফিটনেস না থাকা সত্তেও এই কাভারভ্যান গুলো সারা বাংলাদেশে তার মাসিক হারে চলে যেটাকে আমরা মান্তলী বলি।রাস্তায় সার্জেট পুলিশ ধরলে তাদের একটি মান্তলী কাগজ দেখায় যেই কাগজ প্রতিটি গাড়িতে থাকে ।মাস শেষে প্রতিটি সার্জেন্ট টিআইদের বিকাশ নাম্বার টাকা পাঠিয়ে দেন রিয়াদ সাহেব।

যে পরিমান অনিয়ম রিয়াদ সাহেব করেন তা আপনাদের বলে বুজানো যাবে না তবে এইভাবে একটা কোম্পানী চলতে পারে না।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতারনার মাধ্যমে রিয়াদ আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা ।আয়ের মূল উৎস হলো সারাদেশে বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক আনা-নেওয়া ডেলিভারী করা,মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ,মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার,ট্রেক্স ফাঁকি দেওয়া সিগারেটসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল রিয়াদ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে । বেশ কয়েকবার রিয়াদের বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে বিপুল পরিমান মাদক,মেয়াদ উত্তীন ভেজাল ওসুধ মাদকসহ নানা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে র‍্যাব,পুলিশ,মহানগর ডিবিসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

প্রতারনার টাকায় রিয়াদ ঢাকাসহ নিজ এলাকা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় ও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় ও ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘায় জমি ।আত্মসাৎ ও প্রতারনার টাকায় রিয়াদ চড়েন কালো রংয়ের ল্যান্ড ক্রুজার প্যারাডো গাড়িতে ।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া প্রতারক রিয়াদ এর এমন উত্থান দেখে হতবাগ তার নিজ এলাকার লোকজন,অনেকে বলছেন আলাউদ্দিন এর আর্চর্য চেরাগ পেয়েছেন রিয়াদ । তা নাহলে এতো তাড়াতাড়ি রিয়াদ কিভাবে হয় এতো সম্পদ এর মালিক ? নতুন হাতিয়ার হিসেবে রিয়াদ নেমেছেন এখন রাজনীতির মাঠে দুই হাতে টাকা উড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ।

সেনবাগ উপজেলার বেশ কয়েকজন নবীন ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রিয়াদের সাংগঠনিক কোনো পদ-পদবী নেই অবৈধ উপায়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে তা দিয়ে নিজেকে নেতা বানানোর মিথ্যা চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।মেম্বার হওয়ার যার ক্ষমতা নেই তিনি কিভাবে হবে উপজেলার চেয়ারম্যান ?এটা তো ভাবায় যায় না।এমন লোক কে আমরা সবাই বয়কট করলাম ।

আরও পড়ুন:

প্রতারক রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ,গত ৭/২/২০১৮ সালের কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট,ঢাকা কর ফাঁকির দায়ে রিয়াদ কে (৫,৩২,৬২,৬২৫,৬৪) পাঁচ কোটি বত্রিশ লক্ষ বাষট্টি হাজার ছয় শত পঁচিশ টাকার ভ্যাটের মামলা ।যা না দিয়ে রিয়াদ করেছে ব্যবসা।

রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে ২ অক্টোবর-২০২০ সালের ৪২০/৪৬৮/৪৭৩/৫০৬/১০৯ পেনাল কোর্ড যোগসাজসে সরকারী সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,ডিএমপি কমিশনার,ঢাকা রেন্জ ডিআইজির সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা ।এতো অভিযোগের পর ও প্রতারক রিয়াদ আছেন বহাল তবিয়তে ?

প্রতারক রিয়াদ গড়ে তুলেছেন অপরাধ চক্র ।তার চক্রের অন্যতম মূলহোতা গিয়াস উদ্দিন শেখ,যার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ প্রতারনার মামলায় বেশ কয়েকদিন গিয়াস উদ্দিন শেখ ও আল-মামুন জেল খেটেছেন।কিন্তু জেল খাটে নি প্রতারক রিয়াদ ,হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলে ও উক্ত মামলার সার্জসিট ভুক্ত আসামী রয়ে গেছেন প্রতারক সামসু উদ্দিন রিয়াদ ।উক্ত চক্রের সদস্য আল মামুন,শিমুল,রাকিব নুরে আলমসহ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

চেক মামলার রায় করতে পারলে টাকার গুলো ভাগ-ভাটোয়ারা হয় সবার মধ্য এমনই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মহানগর পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতারক রিয়াদের বিষয়ে জানতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃআশরাফ বলেন,এমই এক অভিযোগ আমরা ডিএমপি কমিশনার স্যারের অফিস থেকে পেয়ে আমরা তদন্ত করছি সত্যতা পেলে নিয়মিত মামলা নিবো।

এই বিষয়ে রিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদউত্তর দিতে পারেননি।

 

ত্বকের যত্নে ঘিয়ের যাদু

লিমা পারভীন: খাঁটি ঘিয়ের স্বাদ ও ঘ্রাণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সাধারণত ঘি খাওয়ার জন্যই আমরা ব্যবহার করে থাকি ৷ যে কোন খাবারকে অসাধারণ স্বাদের করে তুলতে ঘিয়ের তুলনা নেই। এ ছাড়া ঘিয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।

তবে রান্নার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও ঘি অতুলনীয়। শোনা যায়, প্রাচীন কালে বিয়ের আগে হবু কনেরা তাদের রূপচর্চায় ঘি ব্যবহার করতেন।

ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এসব ভিটামিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের বয়স ধরে রাখার (অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি) গুণ রয়েছে।

আরও পড়ুুন>>পেঁয়াজের খোসার জাদুকারি ৬ গুণ

এ ছাড়া বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলো হয়, নিয়মিত ঘি ব্যবহারে সেগুলি কমে যায়। তবে ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলে বা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ঘি ব্যবহার না করাই ভাল।

ত্বকে নিয়মিত ঘি মাখার উপকার:

১. শুকনো ত্বকের সমাধান: হাতে কয়েক ফোঁটা ঘি নিন। শুকনো ত্বকে লাগিয়ে দিন। যতক্ষণ সম্ভব রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। শুকনো ত্বকের পাকাপাকি সমাধান হয়ে গেল। ঘি শুকনো ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

The-magic-of-ghee-in-skin-care2-newsasia24

২. বলিরেখা: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। কিন্তু তার গতি কমিয়ে দিতে পারে ঘি। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। রোজ ঘি লাগালে বলিরেখা দেরিতে পড়ে।

আরও পড়ুন>>গাড়িতে উঠলেই বমি পায়? জেনে নিন সমাধান

৩. বাথ অয়েল: ঘি দিয়ে বাথ অয়েল বানানো যায়। পাঁচ ফোঁটা ঘি আর ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই মিশ্রণ হাতে-পায়ে লাগিয়ে নিন। প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের কাজ হয়ে যাবে।

৪. ডার্ক সার্কেল: ঘুমের অভাবে চোখের নীচে কালচে দাগ পরে। আর দেখতে অনেক বাজে লাগে। নিয়মিত কয়েক ফোঁটা ঘি ডার্ক সার্কেলের জায়গায় লাগান। চোখের নীচের কালচে দাগ কমে যাবে।

আরও পড়ুন>>প্রেমে এই ৫টি লক্ষণ থাকলে বিয়ে নিশ্চিত

৫. ঠোঁটের যত্ন: ঠোঁট ফাটা থেকে কালচে ঠোঁট—েইত্যাদি সমস্যার একটাই সমাধান ঘি। নিয়মিত ঘি দিয়ে ঠোঁট মালিশ করলে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) বিকেল ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল বর্তমানে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। তিনি কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।

শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক মাঝে মধ্যেই অস্ত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে আসতেন।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

যতটুকু জেনেছি, আজ তিনি অসময়ে তার ক্লাস নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তার ক্লাস করতে অপারগতা জানায়। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষক তার পায়ে গুলি করেন।

কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ক্লাস চলাকালে সময় ছাড়াও প্রায় সময় তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।

আরও পড়ুন>>অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

এদিন বিকেলে ক্লাস চলাকালে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক অষ্টম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে।

তার চিৎকারে সবাই এগিয়ে এসে ডা. রায়হান শরিফকে আটক করে তালাবদ্ধ করে রাখে। আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী আন্দোলন করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী।

আরও পড়ুন>>নাটোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পেয়ে গুলি করেন। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়।

আরও পড়ুন>>দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: কর্ণফুলী এলাকায় একটি চিনিকলে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট।

আজ সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) বিকেল ৪টার দিকে এস আলম সুগার মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শোয়েব হোসাইন মুন্সী বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে আমাদের ৬ টি ইউনিট কাজ শুরু করে।

আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে গেলে আরও ৬টি ইউনিট যুক্ত হয়।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তাও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow

অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, নাজমুল হাসান: বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত বৃষ্টি খাতুনের পরিবারের আহাজারি থামছেই না।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নাম নিয়ে ঢাকায় সাংবাদিকতা করলেও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার নিজ গ্রামে তাকে সবাই চেনে বৃষ্টি খাতুন নামে। নাম নিয়ে জটিলতায় এখনো লাশ হস্তান্তর না হওয়ার পাশাপাশি নিজ গ্রামে লাশ দাফন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বৃষ্টির পরিবার।তবে তারা আশা করছেন মরদেহ আসলে কোনরকম সামাজিক জটিলতা ছাড়াই দাফন করা যাবে তার।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী । তিনি ঢাকায় লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন।

আরও পড়ুন>>মুসলিম নাকি হিন্দু? খোকসার বৃষ্টি খাতুন

অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর অভিশ্রুতির লাশ অন্য ৪৫ জনের মতো মর্গে নেওয়া হয়। পরিচয় শনাক্তের পর অন্যদের লাশ হস্তান্তর করা হলেও ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও অভিশ্রুতির লাশ হস্তান্তর হয়নি পরিচয় নিয়ে জটিলতায়।

আরও পড়ুন>>দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

তবে আইনি জটিলতার শেষে লাশ হস্তান্তর হলে নিজ এলাকায় সবুজ শেখের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের দাফন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার। তবে আশা করছেন তারা আশা করছেন কোনরকম সামাজিক জটিলতা ছাড়াই দাফন করা যাবে করা যাবে তার দাফন। তবে বাধা সৃষ্টি হলে নিজ পারিবারিক কবরস্থানেই শেষ আশ্রয় হবে বৃষ্টি খাতুনের।

google-news-channel-newsasia24

Follow

নাটোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া পৌরসভার বালুভরা এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তৃশা রানী (১৪) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া পৌরসভার বালুভরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তৃশা রানী নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার জামনগর ইউনিয়নের চাপাপুকুর গ্রামের তাপস কুমারের মেয়ে ও কৈপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান জানান, সোমবার সকাল ৭টায় রানীনগরের ভাণ্ডার গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তৃশা তার বাবার মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি বাগাতিপাড়া যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন:

এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয় জনতা তাড়া করে আটক করেছে।

সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে। আর ঘাতক ট্রাক আটক রয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানের্সবাগে এক বাংলাদেশি যুবক ও তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। রবিবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মো. মহিন ভূঞা (৩২) ও তার স্ত্রী রুনা আক্তার (২২)। তারা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মহিন ওই গ্রামের মো. হোসেন ভূঞার ছেলে। রুনা একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নেরে মো. লিটনের মেয়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর জব্বার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে মহিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। সেসময় তাদের সঙ্গে থাকা দুই শিশু সন্তান ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়।

আরও পড়ুন:

নিহতের ছোট ভাই মো. মফিজ ভূঞা বলেন, জীবিকার সন্ধানে বড় ভাই মহিন ২০০৮ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা যায়। ছয় বছর আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। ভাবি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সন্ত্রাসীরা ভাবিসহ বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বলেন, প্রবাসে যারা মারা যান, তাদের লাশ দেশে আনা এবং দাফন করার জন্য একটি ওয়েজবোর্ড আছে। আমরা সেই ওয়েজবোর্ডের মাধ্যমে তাদের লাশ আনা এবং দাফনের ব্যবস্থা করব।

google-news-channel-newsasia24

Follow