শিরোনাম

আইন-আদালত

এমপিওভুক্ত ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি ৫ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কাটার বিপরীতে নির্দিষ্ট সময়ে অবসর সুবিধা দিতে আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।

এজন্য তাদের অবসর ভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদালতে রিটকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করবেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। পরদিন রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের বীপরিতে ১০ শতাংশ কর্তনের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুুন:

একই সঙ্গে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন এক বছর অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরের শাকদহ এলাকার আলামিন(৪২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলামিনের স্ত্রী শিউলী খাতুনকে (২৮) হত্যার দায়ে তার স্বামী আলামিনকে এ সাজা দেয়া হয়।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারী) কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলামিন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শাকদহচর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলার অপর আসামি ও আলামিনের প্রথম স্ত্রী জানেরা খাতুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে শিউলি খাতুনকে বিয়ে করেন আসামি আলামিন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুর উপজেলার হালসা গ্রামের হালসা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের (বর্তমান হালসা বাজার জয় চিকিৎসালয়) দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

পারিবারিক কলহের জেরে ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে স্ত্রী শিউলি খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আলামিন। পরে আশপাশের লোকজন টের পায়।

খোঁজ পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের বাবা আসাদুল বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে আসামি আলামিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, স্ত্রীকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী আলামিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চেয়ে রিট খারিজ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও তাহমিনা পলি।

আরও পড়ুন:

আইনজীবীরা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়নি। সরাসরি রিট দায়ের করার জন্য হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

উল্রেখ্য, ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল।

google-news-channel-newsasia24

শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যার জন্য যুবকের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া এলাকার স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু (২০) ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে (৪৫) হত্যার দায়ে মো. আল মামুন মোহনকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

WIFE-MOTHER-IN-LAW-KILLED-DAGHTER-IN-LAW-NEWSASIA24

আজ রবিবার (২৬নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে ও স্ত্রী হত্যার শিকার ।মেয়ে তানজিনা আক্তার রিতু ও স্ত্রী পারভীন বেগম।

আরও পড়ুন:

২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়ায় এলাকায় সেলিম খানের তিনতলা ভবনের নিচতলায় ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ছুরিকাঘাত করার পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যু বরণ করেন।

google news newsasia24

প্রশান্ত কুমার হালদারে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রশান্ত কুমার হালদারে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের রায় ঘোষনা করা হয়েছে। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) তাকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।

২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ১০ বছর এবং অর্থপাচারের দায়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং ২০১২এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিন ধারার সাজা একটার পর একটা চলবে। ফলে পিকে হালদারকে ২২ বছর কারাভোগ করতে হবে।

এর আগে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) একই আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন:

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা: দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় দুজনকে শাস্তি দেয়া হয়। একই সাথে দুজনকে ৩ লাখ করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন মো. জীবন (২৫) ও ইমন হাসান (২৬)। এসময় দুজনেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মো. সোলায়মানের মেয়ে সালমা আক্তার (৯) ।

সালমা ওই এলাকার একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা অধ্যয়নরত ছিল। ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভুক্তভোগী শিশু সালমা নিখোঁজ হয়।

সালমা নিখোঁজ হলে তার বাবা পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কয়েকদিন পর ভুক্তভোগী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওইসময় তার বাবা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে পুলিশের তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ওঠে আসে ভুক্তভোগী শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

আলোচিত মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র ঘোষ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মামলাটির বিচারিক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এরপর যুক্তিতর্ক শেষে আজ (বুধবার) আমৃত্যু কারাদণ্ডের ঘোষণা করে আদালত।

হোটেল৭১ কে তিন লাখ টাকা জ‌রিমানা

মারুফ সরকার: হোটেল৭১ কে তিন লাখ টাকা জ‌রিমানা করা হয়েছে। বা‌সি ও পঁচা মাংস ফ্রিজে মজুতসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বি‌ক্রি এবং বি‌ভিন্ন পণ‌্য প্রস্তু‌তের তা‌রিখ না থাকায় রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল ৭১কে তিন লাখ টাকা জ‌রিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। জরিমানা পরিশোধ না করলে এক মা‌সের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপু‌রে রাজধানীর উওরা এলাকায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এই জ‌রিমানা করা হয়।

বাংলা‌দেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আক্তারুজ্জামানের নেতৃ‌ত্বে অভিযান‌টি প‌রিচালনা করা হয়।

অভিযা‌নে রেস্টু‌রেন্ট‌টির রান্না ঘ‌রে অভিযান চা‌লি‌য়ে ফ্রিজে বাসি খাবার, পচা মাংস মজুত, লে‌বেলবিহীন খাদ‌্যদ্রব‌্য রাখা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ‌্য রাখাসহ নানা অপরা‌ধে রেস্তোরাঁটির অস্বাস্থ‌্যকর সব খাবার জব্দ করা হয়।

পরবর্তিতে রেস্টু‌রেন্টের মা‌লিকের উপ‌স্থি‌তি‌তে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুসারে তিন লাখ টাকা জ‌রিমানা ও অনাদা‌য়ে এক মা‌সের কারাদণ্ডের আ‌দেশ দেন নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট আকতারুজ্জামান ।

আকতারুজ্জামান নিউজ এশিয়া২৪ কে ব‌লেন,” যে‌হেতু তা‌দের এখা‌নে অভিযান তাই এবার তাদের‌কে আমরা আইন অনুযা‌য়ী সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা জ‌রিমানা ক‌রে‌ছি এবং তা‌দের‌কে আমরা সময় দি‌য়ে‌ছি।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প

পলাতক আসামি রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তার

আমিন কলোনিতে আগুন

পরবর্তী‌তে য‌দি তা‌দের এই সমস্ত অপরাধ পুনরায় ধরা পড়ে তাহ‌লে আমরা তা‌দের‌কে বড় ধর‌নের জরিমানার আওতায় আন‌বো। আর কোনো সু‌যোগ দেবো না।”

এছাড়াও জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করলো পুত্রবধুসহ দুই ছেলে

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

 

সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করলো পুত্রবধুসহ দুই ছেলে

জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামীও ভাশুর শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে

 

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত মো. হাসান (৬১) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগীর পুত্রবধূ আনারকলি।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগে, একই আদালতে ভুক্তভোগী হাসানের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আদালতে জবানবন্দিতে আনারকলি বলেন, আমার বাড়ি মহেশখালী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করি। তার ভাইয়ের নাম মোস্তাফিজুর রহমান।

১৯ সেপ্টেম্বর আমার শ্বশুর হাসান আলী আমার বাসায় আসেন। সেদিন তিনি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

পরদিন সকালে আমাদের ঘরের পাশের একটা খালি ঘরে আমার শ্বশুর, স্বামী ও ভাশুর মোস্তাফিজ যায়। ওই ঘরের ভিতর তারা কী করেছে আমি সব দেখিনি।

আমি একবার লুকিয়ে দেখতে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামী শফিক ও ভাশুর মোস্তাফিজ শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে। পরে বিকেলে জানতে পারে ওরা আমার শ্বশুরকে মেরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, বিকেলে আমার স্বামী ও আমি লাশটা আমার ঘরে নিয়ে যায়। ওরা লাশটা টুকরো করে লাগেজ, স্কুল ব্যাগ ও বস্তায় ভরে। আমার স্বামী পলিথিন ও কসটেপ আমাকে দেয়। আমি সেগুলো ভাসুরকে দেই। রাতে একটা লোককে দিয়ে ওরা বস্তা ফেলে দেয়।

কোথায় ফেলে দেয় তা জানি না। পরদিন ভোরে আমি, শফিক ও মোস্তাফিজ লাগেজ ১২ নম্বর ঘাটের দিকে ফেলি। স্কুল ব্যাগে মাথা ছিল। সেটি আমি ও শফিক মিলে বিচে নিয়ে যাই। শফিক মাথাটা পুলিশ বক্সের একদম নিচের দিকে পাথরের ভেতর ফেলে দেয়।

সেসময় সে আমাকে ব্যাগটিও ফেলে দিতে বলে। কিন্তু আমি ফেলিনি। আমি স্কুলে প্রথম হওয়ায় ব্যাগটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলাম। ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত আমার রোল নম্বর ১ ছিল। আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পিএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাই।

আমি খুনের বিষয়টি জানতাম না। পরে জেনেও চুপ ছিলাম। ভাবলাম সংসার ভেঙে যাবে কী না। অভাবের কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পরিবার আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি পুলিশকে ঝুড়ি ও ব্যাগ উদ্ধারে সহায়তা করি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে আনারকলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (শনিবার) তাকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে ভুক্তভোগী হাসানের কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযানে যাই। কিন্তু মাথাটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। রিমান্ড শেষে আজ (মঙ্গলবার) অভিযুক্ত আনারকলিকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজ থেকে মানুষের শরীরের আটটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল দুইটি হাত, দুইটি পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। প্রত্যেকটি অংশ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।

তবে ওই লাগেজে ভুক্তভোগীর মাথা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, খণ্ড-বিখণ্ড এই মরদেহ পরিচয় শনাক্ত ও রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় নিহত ব্যক্তি মো. হাসান বলে শনাক্ত করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হাসান বাঁশখালীর উপজেলার কাথারিয়া এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির এলাকায়।

পিবিআই জানায়, অন্তত ২৮ বছর ধরে ভুক্তভোগী হাসানের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এসময়ে তিনি কোথায় ছিলেন তাও জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। বছরখানেক আগে হঠাৎ তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

বাড়িতে হাসানের নামে কিছু পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। যেটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ভুক্তভোগী হাসান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০ সেপ্টেম্বর নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা ভবনের একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হাসানকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

 

সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার নয়

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধ না করলে সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার হবে না। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ সেই হ্যাকিংয়ের জন্য বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য সাজা ১৪ বছরের। কিন্তু

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে সব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল, সেগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যশোরের ইমামের জামিন স্থগিত

হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় পাট ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

যশোরের ইমামের জামিন স্থগিত

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্ত থেকে ৩২ পিস সোনার বার জব্দ করা হয়। তার সাথে গ্রেফতার করা হয় ইমাম হুসাইনকে (৩০)।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম জামিন স্থগিত করেছেন।

আবেদনের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন জানান, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে, ইমাম হুসাইনকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এ জামিন স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরের ২২ তারিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্ত এলাকার বড়বাড়ি গ্রামের বি.কে নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি যশোরের চৌগাছা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নায়েব সুবেদার মো. মাহবুব হোসেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমার

মামলায় বলা হয়, ২২ অক্টোবর টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে, যশোরের চৌগাছা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে সোনার বার ভারতে পাচার করা হবে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকার বড়বাড়ি গ্রামে অবস্থান নেয় বিজিবি। পরে সন্দেহ হলে বিদ্যালয়ের সামনে ইমাম হোসেনকে তল্লাশি করে ৩২ পিস সোনার বার পাওয়া যায়। তিন কেজি ৭১৯ গ্রাম ওজনের জব্দ করা সোনার বারের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৫ টাকা।

সাক্ষী মুলতবি করার আবদন খালেদা জিয়ার

জান্নাত সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা