শিরোনাম

আইন-আদালত

সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করলো পুত্রবধুসহ দুই ছেলে

জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামীও ভাশুর শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে

 

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত মো. হাসান (৬১) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগীর পুত্রবধূ আনারকলি।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগে, একই আদালতে ভুক্তভোগী হাসানের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আদালতে জবানবন্দিতে আনারকলি বলেন, আমার বাড়ি মহেশখালী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করি। তার ভাইয়ের নাম মোস্তাফিজুর রহমান।

১৯ সেপ্টেম্বর আমার শ্বশুর হাসান আলী আমার বাসায় আসেন। সেদিন তিনি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

পরদিন সকালে আমাদের ঘরের পাশের একটা খালি ঘরে আমার শ্বশুর, স্বামী ও ভাশুর মোস্তাফিজ যায়। ওই ঘরের ভিতর তারা কী করেছে আমি সব দেখিনি।

আমি একবার লুকিয়ে দেখতে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামী শফিক ও ভাশুর মোস্তাফিজ শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে। পরে বিকেলে জানতে পারে ওরা আমার শ্বশুরকে মেরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, বিকেলে আমার স্বামী ও আমি লাশটা আমার ঘরে নিয়ে যায়। ওরা লাশটা টুকরো করে লাগেজ, স্কুল ব্যাগ ও বস্তায় ভরে। আমার স্বামী পলিথিন ও কসটেপ আমাকে দেয়। আমি সেগুলো ভাসুরকে দেই। রাতে একটা লোককে দিয়ে ওরা বস্তা ফেলে দেয়।

কোথায় ফেলে দেয় তা জানি না। পরদিন ভোরে আমি, শফিক ও মোস্তাফিজ লাগেজ ১২ নম্বর ঘাটের দিকে ফেলি। স্কুল ব্যাগে মাথা ছিল। সেটি আমি ও শফিক মিলে বিচে নিয়ে যাই। শফিক মাথাটা পুলিশ বক্সের একদম নিচের দিকে পাথরের ভেতর ফেলে দেয়।

সেসময় সে আমাকে ব্যাগটিও ফেলে দিতে বলে। কিন্তু আমি ফেলিনি। আমি স্কুলে প্রথম হওয়ায় ব্যাগটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলাম। ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত আমার রোল নম্বর ১ ছিল। আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পিএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাই।

আমি খুনের বিষয়টি জানতাম না। পরে জেনেও চুপ ছিলাম। ভাবলাম সংসার ভেঙে যাবে কী না। অভাবের কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পরিবার আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি পুলিশকে ঝুড়ি ও ব্যাগ উদ্ধারে সহায়তা করি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে আনারকলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (শনিবার) তাকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে ভুক্তভোগী হাসানের কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযানে যাই। কিন্তু মাথাটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। রিমান্ড শেষে আজ (মঙ্গলবার) অভিযুক্ত আনারকলিকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজ থেকে মানুষের শরীরের আটটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল দুইটি হাত, দুইটি পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। প্রত্যেকটি অংশ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।

তবে ওই লাগেজে ভুক্তভোগীর মাথা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, খণ্ড-বিখণ্ড এই মরদেহ পরিচয় শনাক্ত ও রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় নিহত ব্যক্তি মো. হাসান বলে শনাক্ত করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হাসান বাঁশখালীর উপজেলার কাথারিয়া এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির এলাকায়।

পিবিআই জানায়, অন্তত ২৮ বছর ধরে ভুক্তভোগী হাসানের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এসময়ে তিনি কোথায় ছিলেন তাও জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। বছরখানেক আগে হঠাৎ তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

বাড়িতে হাসানের নামে কিছু পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। যেটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ভুক্তভোগী হাসান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০ সেপ্টেম্বর নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা ভবনের একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হাসানকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

 

সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার নয়

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধ না করলে সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার হবে না। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ সেই হ্যাকিংয়ের জন্য বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য সাজা ১৪ বছরের। কিন্তু

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে সব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল, সেগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যশোরের ইমামের জামিন স্থগিত

হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় পাট ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

যশোরের ইমামের জামিন স্থগিত

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্ত থেকে ৩২ পিস সোনার বার জব্দ করা হয়। তার সাথে গ্রেফতার করা হয় ইমাম হুসাইনকে (৩০)।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম জামিন স্থগিত করেছেন।

আবেদনের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন জানান, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে, ইমাম হুসাইনকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এ জামিন স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরের ২২ তারিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্ত এলাকার বড়বাড়ি গ্রামের বি.কে নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি যশোরের চৌগাছা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নায়েব সুবেদার মো. মাহবুব হোসেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমার

মামলায় বলা হয়, ২২ অক্টোবর টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে, যশোরের চৌগাছা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে সোনার বার ভারতে পাচার করা হবে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকার বড়বাড়ি গ্রামে অবস্থান নেয় বিজিবি। পরে সন্দেহ হলে বিদ্যালয়ের সামনে ইমাম হোসেনকে তল্লাশি করে ৩২ পিস সোনার বার পাওয়া যায়। তিন কেজি ৭১৯ গ্রাম ওজনের জব্দ করা সোনার বারের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৫ টাকা।

সাক্ষী মুলতবি করার আবদন খালেদা জিয়ার

জান্নাত সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক:  গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, আজ সকালে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারগারে ময়লা নিতে আসে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়ি। এসময় কর্তব্যরত কারারক্ষীরা গাড়ি তল্লাশি করে। সেসময় গাড়ির ডেক্স কভারের নিচ থেকে ২২ ইঞ্চি লম্বা দুইটি লোহার দা, ১০ ইঞ্চি লম্বা চাকু, একটি মোবাইল, একটি ইয়ারফোন এবং কালো টেপে পেঁচানো দুইটি গাজার বল জব্দ করা হয়। পরে ওই দুইজনকে আটক করে কোনাবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর মহানগরীর ছোট দেওড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আবু নাঈম (২৮) ও মহানগরীর শান্তি পল্লী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আশরাফ (৩০)।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ দুইজনকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে।

৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় পাট ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

নিউজ এশিয়া24 ডেস্ক: ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এক পাট ব্যবসায়ীর জামিন বাতিল ও গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেছেন খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। তিনি মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সনজিৎ কুমার দাস। তিনি খুলনার সোনালী ব্যাংকের দৌলতপুর শাখা থেকে ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ঋণ নেন।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছরে পাট কেনার জন্য ওই টাকা ঋণ নেওয়া হয়। যা সুদে-আসলে বর্তমানে শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৭ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক খুলনার উপসহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সনজিৎ কুমার দাসসহ ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৮ আগস্ট দুদকের একই কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেন।

জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের মামলার সনজিৎ কুমার দাস দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশন তাকে নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন।

কিন্তু সনজিৎ কুমার দাস তার পাসপোর্ট জমা না দিয়ে র‌্যাব জব্দ করেছে বলে আদালতকে জানান। পরবর্তীতে তার পাসপোর্ট র‌্যাব জব্দ করেনি বলে নিশ্চিত হয় দুদক।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

একই মামলায় সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখার গোডাউন কিপার মতিয়ার রহমান, সাবেক এজিএম নজরুল ইসলাম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মানিক চন্দ্র মণ্ডল, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রুহুল আমিন, অফিসার অজিত কুমার সরকারকে আসামি করা হয়।

চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

নিউজ এশিয়া ডেস্ক: মাকে হত্যার দিয়ে ছেলের যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।

জানা গেছে, ছালেহা খাতুন (৮০) নামে এক নারীকে হত্যা করে তার ছেলে আবুল কালাম বাহার (৫০)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।

হত্যার শিকার ছালেহা খাতুন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজিবাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার তার ছেলে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামি বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে এলোমেলো কথাবার্তা বলার কারনে তার স্ত্রী চলে যান। এরপরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাহার তার মায়ের ঘরে ঢুকে।মারধর করেন।

বাহার তার মাকে ধাক্কা দিলে ঘরের দরজার আংটা মায়ের চোখে ঢুকে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ঘরের অন্য সদস্যরা ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পরদিন ২৪ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরও ধৈর্যধারণ করা উচিত: আইনমন্ত্রী

মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়াকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরও ধৈর্যধারণ করা উচিত: আইনমন্ত্রী

নিউজ এমিয়া ২৪ ডেস্ক: বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরও ধৈর্যধারণ করা উচিত। রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করাটা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি সব পক্ষের কাছে আবেদন করি যে, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করাটা ঠিক হবে না। আদালতের মর্যাদা যেন কেউ হানি না করেন। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আদালত থাকবে। আইনজীবীরা সবাই অফিসার অব দ্য কোর্ট।

আরও পড়ুন: আবারও দাম বাড়বে পেঁয়াজের

তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন, কোনো অন্যায় বা অপরাধ সাধারণ মানুষ করলে তার বিচার হবে। কিন্তু বিজ্ঞ মানুষরা করলে তার বিচার হবে না কেন এই যে সংস্কৃতি সৃষ্টি করা যায় না। আমরা দেখেছি শিশু রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ১৮ জনকে সেই ১৮ জনের হত্যার পর আমি দেখেছি ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ কেউ কিন্তু বাতিল করেন নাই।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চাইবে কিছু পাবে না, এমন নয়: প্রধানমন্ত্রী

সাক্ষী মুলতবি করার আবদন খালেদা জিয়ার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সাক্ষী মুলতবি করার আবদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুদক কর্মকর্তা— এমন অভিযোগ এনে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।

আজ রবিবার (২৭ আগষ্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২২ আগস্ট নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ।

গৃহবধূকে গণধর্ষণ: মা ছেলেসহ গ্রেপ্তার-৩

নিউজ এশিয়া২৪:   এক গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে।

আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের মাসহ দুই যুবক ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বেলওয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ পলিন (২৮), তার মা শিরিন আক্তার (৫৫) এবং উত্তর দেবীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ মামলার অপর আসামি মিজানের মা লিপি আক্তার পলাতক রয়েছেন।

মামলা ও পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী শিরিন আক্তার। পরবর্তিতে তাকে মামুনুর রশিদ ও তার সহযোগীদের হা তুলে দেয়। এর পরে মামুনুর রশিদসহ তার সহযোগীরা অপহরন দেখিয়ে ঐ পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেয় তার পরিবার।

আরও পড়ুন: এবার সম্পর্ক ভাঙলো মালাইকার!

পরে রবিবার ২০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তরা লিপি আক্তারের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে পরিবারের হাতে তুলে দেন । পরে ওই গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ওই গৃহবধূর মামা জানান, ভাগনির শরীরে মারধরের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলে সে দুই/তিনটা চড়-থাপ্পড় দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পরে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভিকটিমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় পলাতক অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাজা ঘোষণাকারী বিচারককে ওএসডি দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।। তিনি দেশটির অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার।। তিনি ইমরান খানকে তিন বছর কারাবাসের সাজা ঘোষনা করেছিলেন। তাকে ‘নতুন একটি পদে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে পদটি কি, সেটি জানা যায়নি।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এ ঘোষণার পর অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে নতুন পদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জজ হুমায়ুন দিলাওয়ারকে হাইকোর্টের জুডিশিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত নতুন একটি পদে দিতে নিদের্শ দিয়েছেন আইএইচসির মাননীয় শীর্ষ বিচারপতির।

তবে, গত বুধবার (২৩ আগস্ট) বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার ঘোষিত সাজার রায়ে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল বলে পর্যবেক্ষণ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। এই বেঞ্চটি গঠিত হয়
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালসহ তোন বিচারকের সমন্বয়ে। তার সঙ্গে ছিলেন জামাল খান মান্দোখালিল ও সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকবী। তাদের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরানের আপিলটি আমলে নেন।

প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল বলেন, দায়রা আদালত যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক নয়। ফলে প্রথমেই রিায়ের ত্রুটি ধরা পরেছে। হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে রায় দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের তিন দিনের মধ্যেই বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে ওএসডি করা হলো।

আরও পড়ুন: আবারও দাম বাড়বে পেঁয়াজের

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তোশাখানা বিতর্ক শুরু হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে । রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশিদের দেওয়া বিভিন্ন উপহার নামমাত্র মূল্যে কিনে নিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি । কিন্তু পরবর্তীতে উপহারগুলোর দাম বেশি দেখান তারা। এ ই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতে মামলা করেন । মামলার রায়ে ইমরান খানকে জরিমানা করা হয় ৩ বছর কারাবাস ও ১ লাখ রুপি।