শিরোনাম

সারাদেশ

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ৬ দফা কর্মসূচি

দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে— ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ বাতিল করতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিতে হবে; সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল- ২০২৩ বাতিল করতে হবে।

ছাত্রজোটের নেতারা আরও জানান, আগামী ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ৪ নভেম্বর রংপুর, ৫ নভেম্বর বগুড়া, ৬ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১১ নভেম্বর বরিশাল, ১৭ নভেম্বর সিলেট, ১৮ নভেম্বর ময়মনসিংহ ও ২৪ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:ধর্ষক পীর কারাগারে

ছাত্রজোটের সমন্বয়ক সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের জনগণ হিসেবে আমরা দুঃসহ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে দেশ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘদিন ধরে জনগণের কাঁধে চেপে আছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রণি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেসাম ইমন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বৃহত্তর পাবর্ত্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা প্রমুখ।

আরও পড়ুন:মানিকছড়িতে ভারতীয় ঔষুধ ও প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার-১

খোকসায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

ধর্ষক পীর কারাগারে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: হবিগঞ্জে এক কথিত পীরকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ধোকা দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ৭০ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কথিত পীরের নামআব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তিনি।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) মামলায় কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠানো হয় ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ওই নারীর সঙ্গে কাইয়ুমের পরিচিত হয় ফটিক ছড়ির একটি মাজারে । পরে ওই নারীর সাথে পীর- ভাই সম্পর্ক করে কাইয়ুম। পরে ভাই সেজে তিন তলা বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন।

এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, ওই বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হবে ফলে দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন।
পরে বাড়ি আরও জায়গা বিক্রি করে বিক্রির ৭০ লাখ টাকা নিয়ে হবিগঞ্জে চলে যান ভন্ড পীর কাইয়ুম।

এর কয়েকদিন পর হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করে সন্তানদের দিয়ে তিনি বাস করতে থাকেন কাইয়ুম। সেই সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

শুরুতে নির্যাতন সহ্য করলেও একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ৫ জুন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

আরও পড়ুন: বিমানে যৌনকর্ম করায় গ্রেফতার নারী-পুরুষ

এ মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা না-মঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

মানিকছড়িতে ভারতীয় ঔষুধ ও প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার-১

মো: এনামুল হক: খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ভারতীয় ঔষুধ  সহ মো: নুর নবী (২৮)  না‌মে চোরাচালান চক্রের এক সদস‌্যকে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে মা‌নিকছ‌ড়ি থানা পু‌লিশ। একই সা‌থে তা‌কে বহন কা‌রি প্রাইভেট কার (চট্ট (মেট্র-গ-১৩-৯৭৬৯) জব্দ করা হ‌য়ে‌ছে।

নুর নবী রামগড় ন‌জির টিলার এশহাক মিয়ার ছে‌লে।

শুক্রবার ( ৮‌সে‌প্টেম্বর)  সকা‌লের দি‌কে বিশেষ অভিযান প‌রিচালনা ক‌রে মানিকছড়ির তিনটহরী হ‌তে তা‌কে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূ‌ত্রে জ‌ানা যায়, গোপন ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে সরকা‌রি কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় ঔষধ নি‌য়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার প‌থে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর দিক-নির্দেশনায় মা‌নিকছ‌ড়ি‌তে খাগড়াছড়ি -চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোষ্ট স্থাপ‌নের মাধ‌্যমে প্রাইভেট কার তল্লাশী করে ১৪৮ প্যাকেট ভারতীয় ঔষধ সহ তা‌কে গ্রেফতার করা হয়। যার বাজার মুল্য অনুমান  উনষাট হাজর দুইশত টাকা।

ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ফৌজদারি অপরাধ যেমন চুরি, ছিনতাই, মাদক চোরাচালান, নারী নির্যাতন সহ শান্তিনবিনষ্ট যেকোন সামাজিক অপরাধ, দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতি আঘাত করে এমন যে কোন অপরাধের সাথে যেই জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ ।

খোকসায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

নাজমুল হাসান:’ পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতা প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় কুষ্টিয়ার খোকসায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‍্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: বাবুল আক্তার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

আরও পড়ুন: আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

খোকসাতে বাড়ছে রোগী, হাসপাতালের বারান্দায় চলছে চিকিৎসা

নাজমুল হাসানঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে দেখা যায়, রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

অন্যদিকে, ওষুধ থাকলেও নানা অযুহাত দেখিয়ে রোগীর হাতে স্লিপ ধরিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা।

রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা এই হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

khoksa-hospital-newsasia24-1

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। তাপদাহ আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। ধারণ-ক্ষমতার বেশি রোগী থাকায় নার্সরাও চিকিৎসা দিতে হিম- শিম খাচ্ছেন।

এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশিরভাগ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

এ ব্যাপারে সিনিয়র নার্স ঝুমুর বিশ্বাস নিউজ এশিয়া২৪ কে বলেন, হঠাৎ করে এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এত রোগীকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য।

khoksa-hospital-newsasia24-3

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা: সাহিনা খানম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, গরম-ঠান্ডাসহ নানা কারণে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক, নার্স ও শয্যা সংকট থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১১ জনের

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অপহরণ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাত্রীর নাম দিপীতা চাকমা । রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে সাজেকের রুইলুইপাড়া পর্যটনকেন্দ্রের অদূরে জিরো মাইল নামক স্থান থেকে দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিপীতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী।

জানা গেছে, দিপীতা চাকমা তার বন্ধুদের নিয়ে সাজেকে বেড়াতে যায়। এ সময় জিরো মাইল এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। পরে তার বন্ধুরা সাজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করলে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, এক পর্যটক অপহরণ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, দুপুর ১টার কিছু আগে ওই ছাত্রীকে শিজকছড়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গাড়ির গতিরোধ করে অপহরণ করে। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। আমরা আশা করছি ওই ছাত্রীকে শিগগিরই উদ্ধার করতে পারব।

আরও পড়ুন:  চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা বাঘাইহাট জোনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হবে।

চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

নিউজ এশিয়া ডেস্ক: মাকে হত্যার দিয়ে ছেলের যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।

জানা গেছে, ছালেহা খাতুন (৮০) নামে এক নারীকে হত্যা করে তার ছেলে আবুল কালাম বাহার (৫০)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।

হত্যার শিকার ছালেহা খাতুন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজিবাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার তার ছেলে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামি বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে এলোমেলো কথাবার্তা বলার কারনে তার স্ত্রী চলে যান। এরপরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাহার তার মায়ের ঘরে ঢুকে।মারধর করেন।

বাহার তার মাকে ধাক্কা দিলে ঘরের দরজার আংটা মায়ের চোখে ঢুকে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ঘরের অন্য সদস্যরা ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পরদিন ২৪ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরও ধৈর্যধারণ করা উচিত: আইনমন্ত্রী

মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়াকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।

গৃহবধূকে গণধর্ষণ: মা ছেলেসহ গ্রেপ্তার-৩

নিউজ এশিয়া২৪:   এক গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মা-ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে।

আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের মাসহ দুই যুবক ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বেলওয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ পলিন (২৮), তার মা শিরিন আক্তার (৫৫) এবং উত্তর দেবীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ মামলার অপর আসামি মিজানের মা লিপি আক্তার পলাতক রয়েছেন।

মামলা ও পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী শিরিন আক্তার। পরবর্তিতে তাকে মামুনুর রশিদ ও তার সহযোগীদের হা তুলে দেয়। এর পরে মামুনুর রশিদসহ তার সহযোগীরা অপহরন দেখিয়ে ঐ পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন হিসেবে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেয় তার পরিবার।

আরও পড়ুন: এবার সম্পর্ক ভাঙলো মালাইকার!

পরে রবিবার ২০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তরা লিপি আক্তারের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে পরিবারের হাতে তুলে দেন । পরে ওই গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ওই গৃহবধূর মামা জানান, ভাগনির শরীরে মারধরের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলে সে দুই/তিনটা চড়-থাপ্পড় দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পরে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভিকটিমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় পলাতক অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।