শিরোনাম

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু জ্বরে মোট ১ হাজার ১৪৮ জনের মৃত্যু

লিমা: আজ ডেঙ্গু জ্বরে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ১ হাজার ১৪৮ জনে ।

এছাড়াও নতুন করে হাসপাতালে ১ হাজার ৬৭৩ জন ভর্তি হয়েছেন।

newsasia24

আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বলা হয়েছে দেশে মোট ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮ হাজার ২৪৮ জন ।

আরও জানা গেছে, এ বছর ২ লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ জন আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৮০৮ জন। অপর দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১৪৮ জন মারা গেছেন।

আবহাওয়ার পরিবর্তন: ঠান্ডা-সর্দি-জ্বর প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। আর এই সময়ই ঘটে যত বিপত্তি। ঠান্ডা-সর্দি-জ্বর তো লেগেই রয়েছে। কিন্তু একটু সাবধান হলেই এর হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন। এই সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

দিনের বেলায় রোদের কারণে বেশ গরম লাগলেও সন্ধ্যা হতেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। গরম-ঠান্ডার এই সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না অনেকের শরীর।

গলা ব্যথা, কাশি, ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা এই ঋতুতেই বেশি হয়।

নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, মাংসপেশীতে ব্যাথা, কাশি, হাঁচি, জ্বর, কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা।

হঠাৎ তাপমাত্রা কমে গেলে আর্দ্রতার পরিমাণও কমে যায়।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখা জরুরি।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি হলে তা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন-

১. আবহাওয়ার ধরন বুঝে পোশাক পরুন। গরম পোশাক পরার পর হালকা আরাম বোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই আবার খুলে রাখবেন না। তাপমাত্রা বাড়লে তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে শরীরকে।

২. খুব সকালে কিংবা সন্ধ্যায় জরুরি না হলে বাইরে যাবেন না। এসময় দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দূষণের মাত্রা বেশি এবং তাপমাত্রা কম থাকে। আদ্রতার সাথে জ্লীয় বাষ্পের পরিমান বেশী থাকে তাই ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

৩. পুরো শরীর আবৃত রাখে এবং আপনাকে উষ্ণতা দিতে পারে এমন পোশাক পরুন।

৪. বেশি বেশি তরল খাবার ও ফলমূল খান। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় হঠাৎ অসুখে পড়ার ভয় কম থাকে।

আরও পড়ুনঃ

5 Immunity Booster Food: এই ৫ খাবারেই পাবেন শক্তিশালী ইমিউনিটি

ত্বকের মাধ্যমে রোগের লক্ষন নির্নয় করবেন যেভাবে

জীবনকে উন্নতি করার কার্যকরী ৫ টিপস

এ সময়ে অসুখ প্রতিরোধে আরও কিছু পরামর্শ-

১. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সাইট্রাস জাতীয় ফল, ব্রকোলি, আদা, রসুন, সবুজ শাক, দই, বাদাম ও তৈলাক্ত মাছ যোগ করুন খাবারের তালিকায়।

২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। নিয়মিত হাত ধোওয়ার অভ্যাস করুন। জীবাণু সাধারণত একজনের মাধ্যমে অন্যজনের কাছে ছড়ায়। নিয়মিত হাত পরিষ্কার করলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

৩. সঙ্গে সব সময় টিস্যু রাখুন। কাশি বা সর্দি মোছার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন। ফলে বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

এছাড়া ঘরোয়া কিছু খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি এসব রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। যেমন-

* গাজরের স্যুপ

গাজরে থাকা ভিটামিন এ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুখ দূরে রাখে। এক বাটি গরম স্যুপ আপনাকে অনেকটাই আরাম দেবে।

গাজরের স্যুপ খেলে তা আপনাকে সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

* বেসনের সিরা

sira-of-beson-newsasia24

এটি একটি আয়ুর্বেদিক রেসিপি যা মূলত পাঞ্জাবে তৈরি করা হয়। বেসন, ঘি, দুধ, হলুদ ও গোল মরিচ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়।

এটি গলা ও নাকের জন্য প্রশান্তিদায়ক গরম পানীয়।

বিশেষজ্ঞের মতে, গোল মরিচ, আদা, হলুদ এবং এ অন্যান্য উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

তাই এই মৌসুমে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে এই পানীয় পান করতে পারেন।

* হলুদ ও দুধ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী উপাদান হিসেবে হলুদ সারা বিশ্বেই পরিচিত। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একগ্লাস দুধ ও এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিসহ আরও অনেক অসুখ দূরে থাকে।

* ঘরোয়া কাশির সিরাপ

কাশ হলেই ফার্মেসি থেকে সিরাপ কিনবেন না। আদা, মধু ও লেবুর রস দিয়ে এই ঘরোয়া কাশির সিরাপ তৈরি করুন। এ

ই তিন উপাদানই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে পরিচিত। মধুতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান রয়েছে।

জার্নাল পেডিয়াট্রিক্সে প্রকাশিত ২০১২ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মধু কাশি দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের মাধ্যমে রোগের লক্ষন নির্নয় করবেন যেভাবে

5 Immunity Booster Food: এই ৫ খাবারেই পাবেন শক্তিশালী ইমিউনিটি

এই সময় ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। তাই সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রভাব বাড়ছে। এই সময় শরীরের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এই সময় ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। তাই সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রভাব বাড়ছে। এই সময় শরীরের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।

ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেভিটামিন সি জাতীয় টকজাতীয় ফল খাওয়া প্রয়োজন। রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভিটামিন সি। প্রতিদিন একটি করে টকজাতীয় ফল খেতে পারেন। যেমন কমলালেবু, মুসাম্বি, ন্যাসপাতি। এই ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে।

tok-doi-newsasia24

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অন্যতম ভূমিকা রাখে টকদই। শুধু তাই নয়, নিয়মিত টকদই খেলে ভালো ঘুম ও হজমশক্তিও বৃদ্ধি পায়।

 

হলুদের ঔষধিগুণ অনেক। শুধু তাই নয়, এটি খুব সহজলভ্যও বটে। পেট ঠাণ্ডা রাখে হলুদ। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তোলে হলুদ।holud-newsasia24

 

হলুদের মতোই প্রায় প্রত্যেক রান্নাঘরেই রসুন সহজলভ্য। রসুন ছাড়া অনেক পদই রান্না করা সম্ভব নয়। এই রসুনেরই অনেক গুণ রয়েছে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ রয়েছে রসুনের। ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে রসুনের ভূমিকা অপরিহার্য।

শরীর গরম রাখতে চায়ের সঙ্গে অনেকেই আদার রস মিশিয়ে পান করেন। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে আদা খুবই কার্যকর।

 

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিশা

 

Our Facebook: www.facebook.com/newsasia24bd

Our YouTube: www.youtube.com/newsasia24bd

নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনের উপস্থিতি দাবি ভারতের

নিউজ এশিয়া ২৪ ডেস্ক: কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনের উপস্থিতি দাবি করছে ভারত সরকার। কেরালা রাজ্যের কোঝিকোড জেলায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু জন মারা যান।

তারা এই ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনে আক্রান্ত ছিলেন। এই ধরনটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে।

কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি এই ধরনটিতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তবে আক্রান্তের হার বেশি নয়।

জর্জ নিশ্চিত করেছেন দুই ব্যক্তির যে মৃত্যু হয়েছে, তা নিপাহ ভাইরাসের কারণে হয়েছে।

পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে গত ৩০ আগস্ট। আর দ্বিতীয় রোগী মারা গেছেন ১১ সেপ্টেম্বর।

প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় কেরালা সরকার কোঝিকোডে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জেলার বাসিন্দাদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, এটি নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কারণ যারা আক্রান্তদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে ছিলেন তারা চিকিৎসাধীন আছেন।

কেরালায় এই নিয়ে চারবার নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২০১৮ সালে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই রাজ্যে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

ওই সময় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ২৩ জন এবং মারা যান ২১ জন। পরবার্তিতে পুনরায় ২০১৯ ও ২০২১ সালেআরও দুজনের প্রাণ যায় এই ভাইরাসে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও এখন পর্যন্ত এর ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি। এটি বাদুড়, শূকর বা অন্যান্য প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে।

১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে শূকরের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা খামারিরা এবং অন্যান্যদের শরীরে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে জোটভুক্ত হল আফ্রিকান ইউনিয়ন

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের তীব্র শ্বাসকষ্ট, এনসেফালাইটিস, জ্বর, মাথা ধরা, পেশির যন্ত্রণা, বমি ভাব হতে পারে।

এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ।

এর আগে বাংলাদেশেও খেজুরের রস পানে বাদুড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।

সাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমার

ইরাকে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত

খোকসাতে বাড়ছে রোগী, হাসপাতালের বারান্দায় চলছে চিকিৎসা

নাজমুল হাসানঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে দেখা যায়, রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

অন্যদিকে, ওষুধ থাকলেও নানা অযুহাত দেখিয়ে রোগীর হাতে স্লিপ ধরিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা।

রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা এই হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

khoksa-hospital-newsasia24-1

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। তাপদাহ আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। ধারণ-ক্ষমতার বেশি রোগী থাকায় নার্সরাও চিকিৎসা দিতে হিম- শিম খাচ্ছেন।

এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশিরভাগ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

এ ব্যাপারে সিনিয়র নার্স ঝুমুর বিশ্বাস নিউজ এশিয়া২৪ কে বলেন, হঠাৎ করে এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এত রোগীকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য।

khoksa-hospital-newsasia24-3

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা: সাহিনা খানম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, গরম-ঠান্ডাসহ নানা কারণে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক, নার্স ও শয্যা সংকট থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১১ জনের

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১১ জনের

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭৮২ জন। অপরদিকে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।

গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ সংবাদ পওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৫১ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৩১ জন।

আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৪৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ১৩২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬২ হাজার ৪৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৩ হাজার ৪৭৬ জন।

আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১২৭ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫৭ জনের ।

See our Fb page: www.facebook.com/newsasia24bd