শিরোনাম

কর্পোরেট খবর

৪ প্রতিষ্ঠান পেল ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় দেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে সরকার।

আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এমডি এস এম মাহবুবুল আলম

দেশি বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে দেশীয় ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বিদেশি বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বিকাশ। এছাড়াও পুরস্কার পেয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ফেব্রিকস। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন:

বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে পাঁচটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো— নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল ইকোনমি, টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল, স্বাস্থ্য ও ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ।

google-news-channel-newsasia24

হাজার টাকা প্রিমিয়ামে লাখ টাকা দিল জেনিথ লাইফ ইন্স্যুরেন্স

আশুলিয়া প্রতিনিধি : জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বীমা গ্রাহক আবদুর রহিম প্রামাণিক মাসিক এক হাজার টাকার একটি প্রিমিয়াম জমা দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার আশুলিয়া অঞ্চলের ওই গ্রাহকের মৃত্যুদাবি বাবদ তার ছেলে ও পলিসির নমিনি নাজমুল হোসাইনকে ৯৮ হাজার ১৮৯ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বেসরকারি এই লাইফ বীমা কোম্পানি।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক হস্তান্তর করেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এস এম নুরুজ্জামান। কোম্পানির জিএম মুকুল গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিজিএম মশিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির সিনিয়র জিএম মো. জিয়াউর রহমান, মোটর শ্রমিকলীগ ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, জিএম মুকুল সরকার, ভিপি ও ইনচার্জ উন্নয়ন প্রশাসন মো. নিজাম উদ্দিন, ডিজিএম মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া, ডিজিএম আল-আমিন মিয়াজী এবং পলাশবাড়ি অফিস ইনচার্জ বিএম আলী হোসেন।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারী গাজী রাভী হাফিজকে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বাছাইকৃত শতাধিক উন্নয়ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান উন্নয়ন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করে বেকারত্ব বিমোচন ও নিজের আত্মমর্যাদা বিকাশের সুযোগ রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

বিনিয়োগকারী গাজী রাভী হাফিজকে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিনিয়োগকারী গাজী রাভী হাফিজকে ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার যোগসাজশের মাধ্যমে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়। কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে গাজী রাভী হাফিজ ৪টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় এনেছে বিএসইসি।

বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা শেয়ার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন যে কোনো ধরনের কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করায় গাজী রাভী হাফিজকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৩) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৫) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সে হিসেবে তাকে মোট ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তির পরিচিতি

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কারসাজি করে গাজী রাভী হাফিজ বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে। এ কাজের মূলহোতা তিনি নিজেই ছিলেন। তিনি একজন শেয়ার ব্যবসায়ী। তবে গাজী রাভী হাফিজ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করলেও শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন।

বিএসইসির তদন্ত কার্যক্রম

গাজী রাভী হাফিজ তার ৪টি বিও হিসাব থেকে যোগসাজশ করে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সিরিজ ট্রানজেকশন (লেনদেন) করে। কারসাজির সঙ্গে জড়িতরা ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বাড়ায়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৭৪.৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৬.১০ টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬১.৬০ বা ৮২.৬৮ শতাংশ বাড়ে যায়।

কারসাজির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির সিদ্ধান্ত

অভিযুক্ত গাজী রাভী হাফিজ ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৩) ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘনের মাধ্যমে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেন করে একটি কৃত্রিম বাজার সৃষ্টি ও পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ ও ১৪ মার্চ উপর্যুক্ত ৪টি বিও হিসাবে অস্বাভাবিক সংখ্যক তথা ১৬৫টি হাওলার মাধ্যমে ৭২ হাজার ১৯৭টি শেয়ার লেনদেন করেন, তাছাড়া অন্যান্য বিও হিসাবে স্বল্প সময়ে সিরিজ ট্রানজেকশন (সিরিজ লেনদেন) করে শেয়ারটির বাজারমূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ের জন্য প্রভাবিত করেছেন। এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৫) এর লঙ্ঘন হয়েছে, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

আরও পড়ুন: 

তাই ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মে পর্যন্ত সময়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করায় গাজী রাভী হাফিজকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৩) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(৫) লঙ্ঘনের দায়ে ৭.৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে হিসেবে গাজী রাভী হাফিজকে মোট ১৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী রাভী হাফিজ বলেন, ‘‘এখনো পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে কোনো চিঠি হাতে পাইনি। তাই কিছুই বলতে পারছি না।’’

শেয়ার কারসাজির বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আপনাকে বিএসইসি শুনানিতে ডাকা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘শুনানি তো বিভিন্ন কারণে হয়েই থাকে। তবে আমি এ বিষয়ে জেনে বিস্তারিত জানাতে পারব।’’ সূত্র: তথ্য রাইজিংবিডি ডটকম

google-news-channel-newsasia24

কুষ্টিয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চিত্রনায়ক আমিন খান

আকরামুজজামান আরিফ (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়ায় মার্সেল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আনন্দঘন পরিবেশে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্ধু ইলেকট্রনিকসের আয়োজনে এবং মার্সেল ব্রান্ড এর সৌজন্যে অনু‌ষ্ঠিত ফুটবল খেলায় উপ‌স্থিত ছি‌লেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

এ সময় হাজা‌রো দর্শকের উপ‌স্থি‌তি‌তে খেলা‌র মাঠ‌টি কানায় কানায় পূর্ণ হ‌য়ে ও‌ঠে।

খেলা শে‌ষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠা‌নের এক সং‌ক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের হেড অব সেলস নূরুল ইসলাম রুবেল, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার নাজমুল হায়দার,রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার রোকনুজ্জামান, ব্রান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা,বন্ধু ইলেকট্রনিকসের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, পরিচালক আব্দুল্লা আল নোমান,সোহাগ সরকার প্রমুখ।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইউনাইটেড ক্লাব এন্ড লাইব্রেরী।

এ সময় মার্সেলের হেড অব সেলস নূরুল ইসলাম রুবেল ব‌লেন ,বাংলাদে‌শে বর্তমা‌নে যতগু‌লো ইলেকট্রনিক্স ব্যান্ড র‌য়ে‌ছে তা‌দের ম‌ধ্যে জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড হি‌সে‌বে মার্সেল‌কে বাংলা‌দে‌শের মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ ক‌রে‌ছে। বাংলা‌দে‌শের প্রতিটা প্রা‌ন্তে মা‌র্সেল পণ্য পৌ‌ছে দেওয়ার জন্য ৬ শতাধিক ডি‌স্ট্রিবিউটর র‌য়ে‌ছে।

আরও পড়ুন: 

তি‌নি বলেন,”মা‌ঠে মা‌ঠে উল্লাস খেলাধুলা বা‌রোমাস” এই শ্লোগা‌নকে সামনে রে‌খে সারাদে‌শে মা‌র্সেল কোম্পা‌নি ফুটবল খেলার আয়োজন ক‌রে‌ছে। এর কারণ একটাই, যুব সমাজ‌কে খেলাধুলায় উৎসা‌হিত করা। শুধুমাত্র স্থানীয়ভা‌বে নয়, আন্তজা‌র্তিক খেলা‌গু‌লো‌তেও মা‌র্সেল ব্যান্ড অংশ নি‌চ্ছে।

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন,‘গত চারমা‌স ধ‌রে সারা‌দে‌শে এই প্রতি‌যোগিতায় অংশ নি‌চ্ছি। আমা‌দের কোম্পা‌নি(মা‌র্সেল) বিশ্বাস ক‌রে আমা‌দের দে‌শের ভ‌বিষ্যৎ হ‌চ্ছে ইয়াং জেনা‌রেশন। তা‌দের‌কে য‌দি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা‌ যায় তাহ‌লে তারা মাদক থে‌কে দু‌রে থাক‌বে।

ফাইনাল খেলায় পান্টি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি ও দক্ষিণ মনোহরপুর অল স্টার ক্রীড়া সংঘ এই দু‌টি দল প্রতিদ্বন্দ্বীতা ক‌রে। ২-০ গো‌লে পান্টি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি বিজয়ী হয়।

google-news-channel-newsasia24

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরী বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা নিয়ে আলোচনা সভা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: নাগরিক উদ্যোগ ও বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরাম আয়োজিত ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরী বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় ঢাকার তোপখানা রোডস্থ সিরডাপ (শামসুল হক মিলনায়তন) এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশন এর প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া আরও আলোচনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর পরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ বরকত আলী, সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি কৃষ্ণা লাল, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস) মোঃ মামুন চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

Sanitation workers newsasia24 2

পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরামের সমন্বয়কারী গগণ লাল, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, লালমনিরহাটের ঘুগলু বাবু বাঁশফোর, খুলনার কার্তিক রাম রাউত, ভোলার স্বপন কুমার দে, মৌলভীবাজারের ধ্রুব বাঁশফোর, ঢাকার পঙ্কজ বাঁশফোর।

নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় সম্প্রতি প্রয়াত বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে ০১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ 

এরপর লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খুলনা এবং ভোলা জেলায় পরিচালিত গবেষণাকর্মের উপর উপস্থাপন করেন তরুণ গবেষক ফারহান হোসেন জয়।

গবেষণাকর্মটিতে মোট ১৬৬ জন (পুরুষ- ৯১, নারী- ৭৫) স্যানিটেশন কর্মীর কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য মতে জেলাভিত্তিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মজুরী, জীবনমান, কর্মপরিস্থিতি, কাজের ধরণ এবং চুক্তির কাঠামো, সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, মজুরী ও জাতীয় গড় আয়ের তুলনা, স্বাস্থ্যসেবা, উৎসব ও অবসরকালীন ভাতা, বাসস্থান, জীবনযাত্রার খরচ, আয় বৈষম্য, স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো উঠে আসে। উপস্থাপক সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ, বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি, দলিত কলোনীতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, স্বাস্থ্যবীমা চালু, আউটসোর্সিং বন্ধ, বর্জ্য অপসারণে আধুনিকায়নের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন।

সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রবল। তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি শোভন কর্মপরিবেশ, মর্যাদা ও সম্মানজনক মজুরী নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে।

ব্লাস্ট এর পরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ বরকত আলী বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই। পূনর্বাসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। চলতি বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০/- মূল বেতন, আনুসাঙ্গিক মিলে প্রায় ২০,০০০/- পান একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অথচ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যে নামমাত্র মজুরী বা বেতন পান, তার সাথে এটির আকাশ-পাতাল তফাৎ। সরকারী আইনগত সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে তাদের আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অধিকার আন্দোলনে হরিজননেতা নির্মল চন্দ্র দাস ও স্ক্যাভেঞ্জার ইউনিয়ন নেতা কমরেড নাসিম আলী’র অবদান অনস্বীকার্য। আউটসোর্সিং হলে সর্বস্তরে হতে হবে, কেবলমাত্র গরীব শ্রমিকদের বেলায় কেন? ক্লিনিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থানায় যুক্তদের বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে সামনে আনা জরুরী। এপর্যন্ত শতকরা ০৫ ভাগ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে, এই কি স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জন?

কাপ এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত বলেন, নগর দরিদ্রদের বড় অংশই হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পাদুকাশ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার দলিত জনগোষ্ঠী। মহানগরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, ফলে তাদের সম্মানজনক মজুরী নিশ্চিতকরণ জরুরী। তারা একজন কর্মী বা শ্রমিক হিসেবে ন্যায্য প্রাপ্য পাচ্ছে না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক তাদের জন্য রেশন, স্বাস্থ্যসেবা কার্ড, সুপেয় পানীয় ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি কৃষ্ণা লাল বলেন, আমরা এখনও অনেকটা দাস হিসেবে আছি। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিযুক্ত করলেও আমাদের দিয়ে কুলির কাজও করানো হয়। কর্তপক্ষের আদেশে/ চাপেই আমাদের বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গেজেট হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। সিটি কর্পোরেশন ভেদে নিয়োগ, মজুরী ও সুবিধাদিতে বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে; এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস) মোঃ মামুন চৌধুরী বলেন, নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়েও আমরা কাজ করছি, যেটি আরও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। তাদের সর্বস্তরে অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বঞ্চনা ও অবহেলা প্রত্যক্ষ করেছি। অদূর ভবিষ্যতে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। প্রথমত ‘ক্লিনার’, পরে ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মর্যাদা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, যখন এদেশে দলিত-পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা হয় তখন সেটা আলাদা কোনও দেশ ছিলো না। জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, ফলে আমরা বাইরে থেকে আসিনি। শ্রম আইনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনুপস্থিত; স্বীকৃতিহীন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টিও আলোচনায় আনতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সংস্কার কমিশন এর প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সবাইকে উপনিবেশিক ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও আন্তরিকতার সাথে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংশ্লিষ্ট দাবী ও সুপারিশ বিবেচনা করবে। একইসাথে তাদের জায়গা থেকে যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবী আদায়ে মাঠের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আশা করছি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তথা দলিত-হরিজনদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য ও বঞ্চনার অবসান হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

google-news-channel-newsasia24

বঞ্চিত জনগোষ্ঠীদের অধিকার আদায়ে নাগরিক উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক বিশেষ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২২ ডিসেম্বর) নাগরিক উদ্যোগের এই আয়োজন ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিলস্ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, এবং দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাস।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছে, তার বাস্তব কোন উদ্যোগ বিগত চারমাসেও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, বৈষম্য কোথায় এবং কিভাবে চর্চা হচ্ছে তার একটি সার্বিক চিত্র এই সরকারের অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত। এজন্যে তিনি একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই বিশেষ সম্মেলনে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথাই আলোচনা করা হবে।

nagorik uddyog sommelon 2024 newsasia24 2

আরও্র পড়ুন:

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

আলাদিনের চেরাগ’ পেয়েছে খান ব্রাদার্স

মনি রানী দাস বলেন, দলিত জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের অধিকার আজও অর্জিত হয়নি। দলিত ও বঞ্চিতদের অধিকার সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বৈষম্য বিরোধী আইন অবিলম্বে পাশ করার আহব্বান জানান।

ড. মুশতাক হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট এ নিহত হওয়া শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ব্যাপক নীতিগত পরিবর্তন, ও প্রতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই দেশের আপাময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।

এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষের করের টাকায় যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সে সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতনতা নেই বললেই চলে। মানুষের মাঝে নাগরিক অধিকারবোধ তৈরী এবং দেশ পরিচালনায় জনগণের কি ভ‚মিকা হবে সে বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং যে কোন বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে।

সংস্কারের একটি পূর্ণ ধারণা এবং বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ ছাড়া শুধু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে পারবে না। গণতন্ত্র সুরক্ষিত না হলে বৈষম্য দূর করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকারসমূহ অর্জন করা সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে আমরা কাজ করছি। দেশের যেকোন আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের বড় ধরনের আত্মত্যাগ থাকলেও তা একসময় হারিয়ে যায়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শ্রম সংস্কার কমিশন আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রম সংস্কার কমিশন একটি সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরী করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। এই প্রস্তাবনা বৈষম্য নিরোধে কোন ভ‚মিকা রাখতে পারবে না, যদি না পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর, প্রতিষ্ঠানিক ও অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ তাদের আন্দোলন অব্যাহত না রাখে।

অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী ‘দলিত, হরিজন ও চা-জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’, ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের বৈষম্য বঞ্চনা উত্তরণের উপায়’, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ এবং ‘ভূমিহীন, ক্ষেতমজুর ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের সমস্যা নিরসনে করণীয়’ বিষয়গুলোর উপরে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আন্দোলনের কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত, মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্ট এর সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক শাহরিয়ার সাদাত, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম এর আহবায়ক শ্রমিকনেতা আবুল হোসাইন, সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, অধুনা বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাইপ্রু নেলী, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট প্রভাত টুডু, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি’র সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কে, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট এস.এম.এ সবুর, কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, রিসার্চ এনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর পরিচালক সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু।

google-news-channel-newsasia24

১৮ বছর পর তিতাস গ্যাস ঠিকাদার মালিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠন

মো: এনামুল হক,স্টাফ‌ রি‌পোর্টার: দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিতাস গ্যাস ঠিকাদার মালিক সমিতির মে‌ট্রো ৪ এর আওতাধীন জোন ৮ ও ৯ এর নতুন উপ-কমিটি ঘোষনা করা হ‌য়ে‌ছে। এ‌তে সভাপতি মো: ইদ্রিস মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হাসানের নাম ঘোষনা করা হয়।

র‌বিবার (২২‌সে‌প্টেম্বর) বিকা‌লে রাজধানীর এক‌টি অ‌ভিজাত হো‌টে‌লে অনু‌ষ্ঠিত অনুষ্ঠা‌নের প্রধান অ‌তি‌থি তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক জিল্লু উপ কমিটির নাম ঘোষণা করেন।

উপ ক‌মি‌টির অনান্যরা হ‌লেন, সহ সভাপতি: মোঃ সিরাজ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান টিপু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হানিফ আলী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, সম্মানিত সদস্য মোঃ নাদিম হোসেন এবং মোঃ আলাউদ্দিন।

সকল‌কে অ‌ভিনন্দন জা‌নি‌য়ে নবগ‌ঠিত ক‌মি‌টির সাধাারণ সম্পাদক মিজ‌নিুুর রহমান হাসান ব‌লেন, ১৮ বছর স্বৈর শাষনের যাতাক‌লে পৃষ্ট হ‌য়ে ধং‌সের দ্বার প্রা‌ন্তে পৌ‌ছে গে‌ছে তিতাস গ্যাসের মত জাতীয় খ‌নিজ সম্পদ। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রভু‌দের খু‌শি রাখ‌তে দে‌শের আবা‌সিক গ্যাস সং‌যোগ সহ সব ধর‌ণের গ্যাস সং‌যোগ বন্ধ ক‌রে দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

এত হাজা‌রো ঠিকাদার প‌রিবার প‌রিজন নি‌য়ে মান‌বেত‌রে জীবন যাপন কর‌ছে। আবা‌সিক গ্রাহক সহ শিল্প উন্নয়‌ন ও ঠিকাদার‌দের কথা বি‌বেচনা অ‌ন‌তি‌বিলম্বে গ্যাস সং‌যোগ চালুর দা‌বি জানান তি‌নি।

আরও পড়ুন:

অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ‌তে সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকা ভুক্ত শিল্পী আফজালুর রহমান আজাদ, লাকী ও স্বপনসহ জাতীয় শিল্পীবৃন্দ।

google-news-channel-newsasia24

আজ ব্যাংক হলিডে , লেনদেন বন্ধ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ অর্থবছরের শুরুর দিন ১ জুলাই (সোমবার) ব্যাংক হলিডে। এ উপলক্ষে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে গ্রাহকের সঙ্গে কোনো লেনদেন না করলেও নিজস্ব হিসাব মেলাতে খোলা থাকবে ব্যাংক।

ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনও বন্ধ থাকবে।

বছরে দুইদিন ব্যাংক হলিডে, একদিন ১ জুলাই এবং অন্যদিন ৩১ ডিসেম্বর। এ দুই দিনে ব্যাংকগুলো তাদের লাভ-ক্ষতির হিসাব করে নতুন দিন শুরু করে। ব্যাংকগুলো ১ জুলাই অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো ৩০ জুন ভিত্তিক অর্ধবার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী এবং ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক বার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করে। বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্র করে বিবরণী তৈরি করা হয়।

যেহেতু সারা বছরের হিসাব বিবরণী চূড়ান্ত করার বিষয় থাকে, যে কারণে বছরের এ দু’দিন ব্যাংক হলিডে পালিত হয়। এর মাধ্যমে বছরের হিসাব ক্লোজ করা হয়। যদিও নিরীক্ষিত বার্ষিক বিবরণী চূড়ান্ত করতে অনেক সময় লাগে।

google-news-channel-newsasia24

 

মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।

রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ আগস্ট। এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ জুলাই।

এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

ইলেকট্রনিক মুদ্রা গ্রহণকারীদের সুরক্ষায় নতুন আইন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেনে গ্রাহকদের ঝুঁকি কমানো ও সুরক্ষায় শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। এই আইনের আওতায় বিকাশ, নগদ, উপায়, ই-ওয়ালেট প্রভৃতি ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেনে গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হবে।

এই আইনের নামকরণ করা হয়েছে, ‘ইলেকট্রনিক মুদ্রায় সেবা প্রদানে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল ২০২৪।’ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই আইনটি প্রণয়ন করেছে।

আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বা লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক-কোম্পানি কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না।আরও বলা হয়েছে পরিশোধ সেবা দেওয়ার নিয়মাবলি হতে হবে নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সঙ্গতিপূর্ণ। বিধিবিধান লঙ্ঘন করে কোনো প্রতিষ্ঠান লেনদেন ব্যবসা পরিচালনা করলে প্রস্তাবিত আইনে  তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুুুুুন>>ডিগ্রি ছাড়াই অ্যাপলে চাকরি, জানালেন টিম কুক

লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করলে সেক্ষেত্রে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দিলে এক লাখ টাকা হতে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

বলা হয়েছে, অনুমোদন বা লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ, পদ্ধতি অনুসরণ ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয় কার্যক্রম আইনের বিধানাবলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করবে এবং ইতোমধ্যেই পরিশোধ সেবা পরিচালনাকারী ব্যাংক-কোম্পানিগুলোকে আইন কার্যকর হওয়ার এক বছরের মধ্যে লাইসেন্স নিতে হবে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনেক ধরনের লেনদেন হচ্ছে। মূল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে ইন্টারনেট ও এজেন্ট ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডসহ বিকাশ, নগদ, রকেট, বিভিন্ন ব্যাংকের ই-ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মুদ্রা, ইলেট্রনিকভাবে তহবিল স্থানান্তর, চেক ইলেট্রনিকভাবে উপস্থাপন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা, ট্যাংকেটেড চেক, ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট, সরকারি সিকিউরিটিজ সেটেলমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ, অর্থ গ্রহণ ও গ্রাহকের অর্থ চাহিদা নিস্পত্তি হচ্ছে। আর এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট। গ্রাহকের জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>>ইন্টারনেটের খরচ কমেছে

এই আইনের আওতায়, মূল ব্যাংকিং সেবার বাইরে অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসায় আগ্রহী ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ সেবা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক অনুমোদন নিতে হবে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূলধন, মালিকানা ও পরিচালনার বিষয়ে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১’-এর ১৪ নম্বর আইনের সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।

এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান-বহির্ভূত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হবে এবং ব্যবসা পরিচালনাকারীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়মে সময়ে সময়ে নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, পরিশোধ সেবা প্রদানকারী পরিশোধ সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রাহকের হিসাব খোলা, ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যু করা ও ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেন সম্পাদন এবং ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারী নিস্পত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেবাগ্রহীতার অর্থ ধারণ করলে, ওই অর্থের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে।

আরও পড়ুন>>পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

অন্যদিকে, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধের মধ্যে রয়েছে এ আইনের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধিত দলিল’ ইস্যু বা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না এবং জনগণ থেকে কোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয় এমন কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করতে পারবে না।

বিলে বলা হয়েছে, পরিশোধ ব্যবস্থা সেবা প্রদানে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মাবলি অনুসরণ-করে নিজস্ব নিয়মাবলি প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে। নিয়মাবলিতে তারল্য, নিষ্পত্তি, কারিগরি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, নিরবচ্ছিন্ন পরিচালন, আপৎকালীন ব্যবস্থা, বিরোধ নিস্পত্তি, গ্রাহকসেবা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, নিয়মাবলি নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং গ্রাহকের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। পরিশোধ সেবা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নীতিমালার আওতায় কোনো তৃতীয় পক্ষ থেকে আউটসোর্সিং সেবা নিতে পারবে বা এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট পরিশোধ সেবা দিতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24