নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রতিটি দোকানেই সাজানো রয়েছে নানান রকমের শীতের সবজি। সরবরাহ বাড়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ৫০ টাকা বা তার কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আবারও আলুর দাম নিয়ে অস্বস্তি। বিশেষ করে নতুন আলুর দাম বাড়তি। দুদিন আগেও যে আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল তা এখন বেড়ে (আকারভেদে) ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও মাছের বাজার। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। বাড়তি রয়েছে ডিমের বাজারও।
আরও পড়ুন>>পেঁয়াজের বাজারে আগুন!
বিক্রেতারা বলছেন, বাজার সরবরাহের ওপরে নির্ভর করে দরদাম। আর ক্রেতার অভিযোগ, ভরা মৌসুমেও ৫০ টাকায় শীতের সবজি কেনা মানে সাধারণকে জিম্মি করে বিক্রি করা।
আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার বনলতা মার্কেট, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন>>আবার বাড়ল এলপিজির দাম
বাজারগুলোতে শালগম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মের সবজি ঝিঙা, চিচিঙা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
বাজারে পুরোনো আলু ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও নতুন আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। এখন এসব বাজারে আকারভেদে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন>>সোনার নতুন দাম!
চায়না রসুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ মানের রসুনের কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
বনলতা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী বলেন, এখন শীতের সবজির দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মের অনেক সবজি পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোর দাম বেশি। পেঁয়াজ-রসুনের দামও গত দুই-তিন দিন একই ধরনের রয়েছে।
আরও পড়ুন>>কিছু সুবিধাভোগী লোকের জন্য বাজারে অস্থিরতা: ডিএমপি কমিশনার
শান্তিনগর বাজারে আসা একজন ক্রেতা বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসা মানেই ৩০ টাকার মধ্যেই সবকিছু বেচা-বিক্রি হওয়া। এর ওপর দর নেওয়া মানেই কোনো এক সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে এটাই ধরতে হবে।
Follow