শিরোনাম

লাইফ স্টাইল

শীতে হাতের চামড়া উঠে যাচ্ছে ? জেনে নিন ৫ টি ঘরোয়া উপায় !

লিমা পারভীন: অনেকের শীতকালে হাত ও পায়ের চামড়া উঠে।

পুষ্টিহীনতা ও ত্বকের পরিচর্যায় অবহেলা থেকেও চামড়া ওঠে। চামড়া উঠে যাওয়াতে শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কাজের ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে শরীরের যত্ন নিলেই এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।

winter-safe-hand-leg-newsasia24

কীভাবে একটু সময় বের করে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেবেন সে কথাই জেনে নেওয়া যাক।

১. হাতের চামড়া উঠে যাওয়ার জন্য তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল সমপরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যদি হাতের কাছে তিলের তেল না থাকে তাহলে বিকল্প হিসেবে জলপাইয়ের (অলিভ) তেল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে রাতে খাবার শেষে যখন ঘুমাতে যাবেন তার ঠিক ৩০ মিনিট আগে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পায়ে পাতলা মোজা পরে ঘুমাতে যান।

আরও পড়ুন>> শীতে ত্বকের যত্নে বানিয়ে নিন অ্যালোভেরা ক্রিম

২. সয়াবিন গুঁড়া হাত-পায়ের চামড়া উঠে যাওয়া বন্ধে খুবই উপকারী। সয়াবিন কড়াইয়ে দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ নেড়ে গুঁড়া করে নিন। এর পর সেটা দিয়ে হাত ও পা ধুতে পারেন। এটা পরিষ্কারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের ভূমিকা রাখে।

৩. রান্নাঘরের কাজ, গোসল কিংবা হাত-পায়ে পানি লাগতে পারে এমন অনেক কাজ রয়েছে। এ ধরনের পানির কাজ শেষ করার পর দ্রুত শুকনো তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে শুকিয়ে ফেলুন। একইভাবে পা মুছে নিলে ভালো হয়। মনে রাখবেন যদি চামড়া ওঠে তাহলে কোনো অবস্থাতেই হাত-পা ভেজা রাখবেন না।

আরও পড়ুন>>রাগ মোকাবেলায় ৭ টি কার্যকরী টিপস

৪. হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ এবং শ্যাম্পু মিশিয়ে হাতের তালুর পরিচর্যা করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। গরম পানির মধ্যে আধা চামচ শ্যাম্পু ও একটু লবণ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাত-পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় শেষে ব্রাশ দিয়ে হাত-পা ঘষবেন। দেখবেন হাত-পায়ের মরা চামড়া উঠে যাবে।

google news newsasia24

৫. হাত ও পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরি। প্রশ্ন থাকে ময়েশ্চারাইজার কেনার সময় কী কী জিনিস ময়েশ্চারাইজারে থাকা আবশ্যক?

আরও পড়ুন>>শিশুদের অমনোযোগিতা একটি মানসিক রোগ

শিশুদের অমনোযোগিতা একটি মানসিক রোগ

লিমা পারভীন : শিশুদের সব কিছুতে অমনোযোগিতা একটি মানসিক রোগ ।

বাচ্চাদের কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা ।কাজের মাঝে সহজে নিবিষ্ট হতে না পারা। খামখেয়ালির বশে ভুল করা কিংবা কারোর কোনো নির্দেশ অনুসরণ না করা।

baccader-omonojogi-akti-manoshik-rog2-newsasia24

বেখেয়ালি বা ঝোঁকের বশে কাজ করার প্রবণতা।খুব বেশি কথা বলা এবং অন্যান্যদের কথার মাঝখানে কথা বলাঅতিমাত্রায় কাজ করার চেষ্টা, অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠা এবং কি করছিল সেসব ভুলে যাওয়া, অস্থিরতা ও ছটফট করা।

আপনার শিশুটি যদি অতিরিক্ত অমনোযোগী হয় এবং এই সমস্যার জন্য আপনার শিশুর দৈনন্দিন জীবন কিংবা স্কুলে সমস্যা দেখা যায়।

সেক্ষেত্রে একজন দক্ষ শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলোজিস্ট, সাইকোলোজিস্ট এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার লক্ষণগুলোর সামগ্রিক বিচার-বিশ্লেষণ করুন।

আরও পড়ুন>>আপনার দাম্পত্য জীবন মধুর করুন

যদি চিকিৎসক বলে যে আপনার বাচ্চা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত এবং বিশেষত তিনি যদি বাচ্চার জন্যে মিথাইলফেনাইডেট কিংবা অন্য কোনো ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেয় তাহলে তা ব্যাবহার করতে হবে।

নিজের বাচ্চাকে জানার চেষ্টা করুন। তার আচরণ এবং ধরন, শখ, কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা এবং অদক্ষতা আছে, সেগুলো জানুন।

আরও পড়ুন:

কিছু বাচ্চা আছে যারা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত হলে পরিকল্পিত কাজকর্মগুলো তেমন কোনো নির্দেশনা ছাড়াই সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে না। আবার কিছু কিছু বাচ্চারা পরিকল্পিত কাজকর্মগুলো করতে পারে।

আপনার বাচ্চা নিজের যে কাজকর্মগুলো করতে পারে না সেগুলোর জন্যে তাকে কোন রকম শাস্তি দেবেন না।এতে বাচ্চার ব্রেইনে প্রেসার পরে।

google news newsasia24

বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক মধুর করার ৭ টি উপায়

লিমা পারভীন: শাশুড়ি-বউমার মধ্যে সম্পর্ক ভালোনা হওয়ায় অনেক বাড়িতেই ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকে। এ সমস্যার কারনেই অনেকেই বিয়ে করতেও ভয় পান।

শাশুড়ির সঙ্গে মিল না হওয়ার কারণে অনেকে মানসিক রোগে ভোগেন। তবে একটু বুদ্ধি খরচ করলেই এই অশান্তি এড়িয়ে যেতে পারেন।

bou-shashuri-judhu-newsasia24

জেনে নিন, বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক মধুর করার উপায়:

১.আপনার স্বামী কিন্তু তার সন্তানও বটে, এই কথা ভুললে চলবে না। স্বামীকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামাটা বোকামি। আপনি শাশুড়ির থেকে সব দিকেই ভালো— বরের সামনে এমনটা দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

২. তিনি আপনার থেকে বয়সে বড়, অভিজ্ঞতাও বেশি। তাই তিনি সংসার সামলাতে আপনার থেকে বেশি দক্ষ হবেন, সেটিই স্বাভাবিক। এ কথা মাঝে মাঝে মেনে নিলে ক্ষতি নেই। শাশুড়ির প্রতি সম্মান শ্বশুরবাড়িতে আপনার জায়গা অনেক বেশি পোক্ত করবে।

আরও পড়ুন>>বয়স ৪০ হয়ে গেলে গর্ভধারন কি ঝুঁকিপূর্ণ? জেনে নিন বিস্তারিত..

৩.আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ হচ্ছে? শাশুড়ি আগের প্রজন্মের মানুষ। তাই আপনার কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না-ও থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে মতবিরোধ হয় অনেক সময়। তার কথা অবজ্ঞা না করে; বরং কয়েক দিন আপনার কাজ, কর্মক্ষেত্র নিয়ে গল্প করুন শাশুড়ির সঙ্গে। বাইরের জগৎ সম্পর্কে শাশুড়ির ধারণা তৈরি করুন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

৪.বয়স হলে মানুষ অভিমানী হয়ে পড়েন। অল্পতেই তারা রেগে যান, আবার অল্পতেই রাগ কমে যায়। এমনটা আপনার বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও হয় নিশ্চয়ই। শাশুড়ি কোনো কাজ করলে সমালোচনা না করে তার প্রশংসা করুন। এতে তিনি উৎসাহিত হবেন। কোনো ভুল হলেও গল্পের ছলে সেই ভুল শুধরে দিন। একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বাড়লেই তো সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে।

আরও পড়ুন>>ঘর পরিষ্কার রাখার জন্য ক্লিনার তৈরি করুন লেবুর খোসা দিয়ে

৫.শাশুড়ির কোনো কথায় আঘাত পেলে সেই রাগ মনে পুষে রাখবেন না। কথায় কথায় শাশুড়িকে বুঝিয়ে দিন, আপনি তার কথায় কষ্ট পেয়েছেন। তবে ঝগড়া-অশান্তির ছলে নয়, শান্তভাবে আপনার সমস্যার কথা তাকে জানান। আপনার কোনো কথা তার খারাপ লাগলে তাকেও জানাতে বলুন। এভাবেই সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

৬.শাশুড়ির পছন্দের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন। তার পছন্দের রান্না, অসুস্থতায় যত্ন করা, তার জন্মদিনটা একটু অন্য রকমভাবে পালন করা— আপনার এই ছোট ছোট প্রয়াসগুলোই তার মনে জায়গা করে নেবে।

আরও পড়ুন:

৭. দীর্ঘ দিন সংসারের টানাপড়েনের জেরে অনেকেই খিটখিটে হয়ে যান, কিন্তু তার কথাও কেউ ভাবছে দেখলে তিনি খুশিই হবেন। সবাই মিলে গল্প করুন, সময় দিন শাশুড়িকে। ছেলেকেও বলুন মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে। মা-ছেলের সম্পর্কের মধ্যে না পড়াই ভালো।

google news newsasia24

শীতে ত্বকের যত্নে বানিয়ে নিন অ্যালোভেরা ক্রিম

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শীত আসছে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বানিয়ে নিন অ্যালোভেরা ক্রিম।

শীতে ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। এই সময় ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে।তাই এই সময়টাতে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিন।

শীতে এমন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যা আপনার মুখের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে।

তাই কেমিকেল এড়াতে বাড়িতেই প্রাকৃতিক কিছু উপাদানের সাহায্যে বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালোভেরা ‘উইন্টার ক্রিম।’

এলোভেরা দিয়ে তেমনই একটি ক্রিম তৈরি করে নিতে পারেন। যা ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখবে, সেই সঙ্গে বাড়াবে লাবণ্য।

alllovera.newsasia24

এই ক্রিম বানানোর জন্যে লাগবে:

১.অ্যালোভেরা জেল

২.গ্লিসারিন

৩.ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস এবং

৪.গোলাপ জল।

*অ্যালোভেরা ক্রিম বানানোর প্রক্রিয়া*

১.অ্যালোভেরা পাতা থেকে প্রথমে ঝিল্লি বা জেল বের করে নিন। ৪-৬ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে নেড়ে বা ব্লেন্ড করে নিন।

২. এবার এতে ২ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে আবার ভালোভাবে নাড়ুন।

৩.মিশ্রণটিতে চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরের তরল ঢেলে দিয়ে আবার নাড়ুন।

৪. ৪ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন।

ক্রিম তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত মিশ্রটি ব্লেন্ড করুন। এরপর তৈরি ক্রিম একটি কাচের জারে ভরে ফ্রিজে রাখুন।

আরও পড়ুন:

ঘরোয়া ভাবে তৈরি এই ক্রিম ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে, এই ক্রিম লাগান। তারপর ত্বকে আলতো মাসাজ করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে, লাবণ্যও থাকবে অটুট।

google-news-follow-us-newsasia24
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন

রাগ মোকাবেলায় ৭ টি কার্যকরী টিপস

লিমা পারভীন: রাগ হল একটি শক্তিশালী আবেগ যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, এর সঠিক সমাধান হল সর্বদা শান্ত থাকা।

আসুন জেনে নেই রাগ মোকাবেলা করার কিছু উপায়:

১.নিজের অনুভূতির ব্যাপারে কথা বলুন:
আপনি কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা বর্ণনা করার জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে না পান, তাহলে এমন একজন বন্ধুকে খুঁজে নিন যিনি আপনার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাগ অনেকটাই কমে যায় যদি কারো কাছে মনের ভাব তৎক্ষণাৎ প্রকাশ করা যায়।

২.নিজেকে প্রকাশ করুন শান্তভাবে :
রাগ হওয়ার মত পরিস্থিতিতে মেজাজ না হারিয়ে আলোচনা করুন অথবা চুপ করে থাকুন।

৩.নিজেকে অanger pic2ন্যের স্থানে রাখুন:
আপনার যদি কারো উপর রাগ হয় তখন আপনি নিজেকে তার জায়গায় রেখে নিজেকে প্রশ্ন করবেন।এমনকি আপনার করা প্রতিক্রিয়া নিরাপদ এবং যুক্তিসঙ্গত কিনা তা নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন৷ সেক্ষেত্রে নিজেকেই আয়না হিসেবে ব্যবহার করুন।

৪.অন্যদের কথা শুনুন:
কেউ আপনাকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিলে মন খারাপ না করে মনোযোগ সহকারে শুনুন ৷ নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে- আসলেই অন্যরা যেমনটা ভাবছেন আপনার ব্যাপারে আপনি ঠিক তেমনই কিছু করছেন কি না।

৫.অন্যের থেকে সাহায্য নেওয়া:
প্রয়োজন হলে অন্য মানুষদের সহযোগিতা নিন। পরিস্থিতি বা ব্যক্তির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে নিজেকে শান্ত করুন। তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। এতে সমাধান যেমন সহজ হবে তেমনি রাগ বা ক্রোধও নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে সহজেই।

আরও পড়ুন:

৬.ক্ষমা করতে শিখুন:
কেউ ভুল করলে ক্ষমা করতে শিখুন। ক্ষমা করলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে।এতে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

৭.নিঃশ্বাসের ব্যায়াম:
যখন আপনার রাগ বেশি হবে তখন আপনি নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করবেন।নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করার ফলে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

google-news-follow-us-newsasia24
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন

আপনার দাম্পত্য জীবন মধুর করুন

লিমা:দাম্পত্য জীবন মধুর করার জন্য আমরা জীবনে কত কিছুই না করি।

আসুন জেনে নেই কি করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়:

১. একে অপরকে সময় দিন:
দাম্পত্য জীবনে এক অপরকে সময় দিন,একসাথে মধুর সময় কাটান,মনের কথা গুলো শেয়ার করুন এতে আপনাদের সম্পর্ক ভালো হবে।কিন্তু আধুনিক যুগে আমরা সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকি।এই ব্যস্ত থাকাটা আমাদের দাম্পত্য জীবনে অনেক বড় একটা সমস্য্ হয়ে দাঁড়ায়।

hasband-wife-love-newsasia24

২. সঙ্গীর সাথে আলোচনা করুন:
মনে কোনও রকম সন্দেহ হলে কিংবা কোনও সমস্যায় পড়লে সঙ্গীর সঙ্গে তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। গোপনীয়তা যত কমবে, ততই সহজ হবে সম্পর্কের রসায়ন।

৩. বিশেষ দিনগুলো মনে রাখা:
সঙ্গীর জন্মদিন বা নিজেদের বিয়ের তারিখ, কিংবা জীবনের বিশেষ দিনগুলি মনে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ দিনগুলিতে অবশ্যই একান্তে সময় কাটান। সঙ্গীকে পছন্দের উপহার দিন।

৪. কাজ অদলবদল করা:
মাঝে মাঝে পরস্পরের কাজের চাপ কমাতে সঙ্গীর কাজ ভাগ করে নিন। এমনিতেই ছেলেদের কাজ, মেয়েদের কাজ বলে সাংসারিক কাজে কোনও প্রভেদ হয় না। সম্পর্কে নতুন মশলা যোগ করতে এ ওর কাজে সাহায্য করুন, কখনও সখনও সে কাজ সেরেও দিন নিজেই।

৫. একে অপরের প্রশংসা করুন:
একে অপরের দোষ-ত্রুটি গুলো ভুলে গিয়ে প্রশংসা করুন। । সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রশংসা করা খুব প্রয়োজন।

৬.একে অপরের প্রতি বিশ্বাস করা:
একে অপরের প্রতি বিশ্বাস করা খুবই প্রয়োজন।দাম্পত্য জীবন বিশ্বাসের উপর টিকে থাকে।

৭.অসুস্থ হলে সেবা করা:
দাম্পত্য জীবনে একজন অসুস্থ হলে আরেকজনের উচিত তাকে সেবা করা। কখনো তাকে অবহেলা করা উচিত না কারণ মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন সে সব থেকে বেশি অসহায় হয়ে পরে। তাই একজন অসুস্থ হলে আরেকজনের উচিত তাকে মন প্রাণ দিয়ে সেবা করা,তার পাশে দাঁড়ানো যাতে সে কখনো মনের কাছে কষ্ট না পায়।

শীতে মোজা ও জুতার কারনেও পা ফাটে; তাহলে কি করবেন?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শীতকালে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ত্বকে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। অনেকের পা ফাটা সহ নখ ওঠার মত সমস্যা দেখা দেয়। এটি নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন, শীতে মোজা ও জুতার কারনেও পা ফাটে। এক্ষেত্রে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। তাই বেছে নিতে হবে সঠিক মোজা ও জুতা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা যায়, মানুষের শরীরে পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক শক্ত।

যার ফলে শীতের শুষ্কতা ও ধুলাবালির কারনে গোড়ালি আরও শক্ত হয়ে যায়। ফলে পা ফাটার সমস্যা শুরু হয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক মোজা ও জুতা।

winter-shoo-shucks-newsasia24

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন মোজা ও জুতা ব্যবহার করুন যাতে বাতাস চলাচল করে।

মোজা খুলার পর খেয়াল করবেন পা খুব ফ্যাকাসে হয়ে যায় কিনা এবং কুঁচকে যাওয়া পায়ের আঙ্গুলের চিহ্ন দেখা যায় কিনা।

যদি এমন হয় তাহলে বুঝবেন মোজায় খুব বেশি আর্দ্রতা জমা হয়েছে। তাই এমন মোজা বেছে নিবেন যাতে পা উষ্ণ ও শুষ্ক থাকে।

আরও পড়ুন:

পাশাপাশি জুতক্হেতে হবে আরামদায়ক। পা ফাটা কমাতে যতটা সম্ভব সামনে–পেছনে বন্ধ আছে, এমন জুতা পরতে হবে। পায়ের পেছন অংশ খোলা থাকলে পা ফাটার সম্ভাবনা বেশী থাকবে।Facebook

ঘর পরিষ্কার রাখার জন্য ক্লিনার তৈরি করুন লেবুর খোসা দিয়ে

লিমা: লেবুর খোসা দিয়ে ক্লিনার তৈরি করে ঘর পরিষ্কার রাখুন সব সময়।

lemon spray

দোকানে বিভিন্ন রঙের বা নানা রকম সুগন্ধি দেওয়া ক্লিনার পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলির দাম অনেক বেশি। জেনে নিন কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে কয়েকটি উপাদান দিয়ে বাড়িতেই ‘মাল্টিপারপাস ক্লিনার’ তৈরি করা যায়।

লেবুর ক্লিনার কী ভাবে তৈরি করবেন:

১) কমলালেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখুন।

২) ছোট ছোট করে খোসা কেটে স্প্রে বোতলের মধ্যে ভরে নিন।

৩) এ বার বোতলে অর্ধেক ভিনিগার এবং এক চা চামচ লবণ দিয়ে দিন। সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৪) তবে খেয়াল রাখতে হবে যে বোতলের মধ্যে এই মিশ্রণটি রাখবেন তা যেন বায়ুরোধী হয়। কাচের হলে আরও ভাল।

ঘর পরিষ্কার রাখতে লেবুর রস ব্যবহার করবেন কেন?

১) বাজারজাত ক্লিনারের চেয়ে লেবুর রস বা খোসা দিয়ে তৈরি ক্লিনার সাশ্রয়ী।

২) বাড়িতে তৈরি ক্লিনার একেবারেই রাসায়নিকমুক্ত। তাই এখান থেকে ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই।

৩) লেবুর নিজস্ব একটা গন্ধ রয়েছে। এই ধরনের গন্ধ শরীরে গেলে ফুসফুসের কোনও ক্ষতি হয় না।

৪) লেবুর নিজস্ব একটা সুগন্ধি রয়েছে যার ফলে অন্য কোন সুগন্ধির মেডিসিন এর প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন:

বয়স ৪০ হয়ে গেলে গর্ভধারন কি ঝুঁকিপূর্ণ? জেনে নিন বিস্তারিত..

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বায়োলজির মতে, বয়সের সাথে সাথে শুক্রানুর সংখ্যা কমতে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষের শরীরে শুক্রাণু তৈরি হয় ৩০ কোটি এবং এটি ঘটে প্রতিদিন।

মেয়েশিশু জন্মের সময় কিছু নির্দিষ্ট ডিম্বানু নিয়ে জন্ম । প্রতি মাসিক চক্রে একটি করে ডিম্বানু পরিপক্ক হয়।

অন্যদিকে, নারীদের শরীরে নতুন করে কোনো ডিম্বাণু উৎপন্ন হয় না। তাই বয়স বেড়ে গেলে গর্ভধারন ক্ষমতা কমে যায়। যখন একটি মেয়েশিশুর জন্ম গ্রহন করে সে সময় তার শরীরে ১০-২০ লাখ ডিম্বানু থাকে।

মেয়ে শিশুটি ক্রমেই প্রাপ্ত বয়স্কা হতে থাকলে ক্রমেই ডিম্বানুর পরিমান কমতে থাকে। এক পর্যায়ে এর পরিমান হয় ৪০ হাজার।

তবে মেয়েদের প্রথম সন্তানটি ২৫ বছর বয়সের আগে নিলে ভালো হয়।

অন্যদিকে, ৩০ বছরে পর গর্ভধারন ক্ষমতা কমে যায় প্রায় ৫০ শতাংশ। কমে যায়।

PREGNENT-newsasia24

আরও পড়ুন:

প্রথম সন্তান জন্মদান যদি ৩২ বছর বয়সের পরে হয় তাহলে জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

বয়স বেশি হয়ে গেলে গর্ভধারণের কারণে উচ্চরক্তচাপ হওয়া সম্ভাবনা থাকে তার সাথে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসেরও মারাত্বক ঝুঁকি থাকে।

৪০ বছরের বেশি বয়স্কদের গর্ভধারনে বেশি ঝুঁকি বেশি থাকে। এমনি মৃত্যুও হতে পারে। (ডাঃ আয়শা আক্তার)

পোশাক দীর্ঘস্থায়ী এবং দ্রুত কাচার ৫টি কার্যকরী টিপস

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আমরা সাধারনত হাতে কিংবা ওয়াশিং মেশিনে কাপড় কেঁচে থাকি। কিছু পোশাক পরিস্কার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় আবার কিছু পোশাক যেন পরিস্কার হতেই চায় না।

নিউজ এশিয়া২৪ এর পাঠকদের জন্য কিছু টিপস তুলে ধরা হল। এগুলো মানলে পোশাক তাড়াতাড়ি পরিস্কার হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।

১) ডিটারজেন্ট এর মধ্যে অনেক কোয়ালিটি থাকে। সব ডিটারজেন্ট এর কাজ সমান নয়। এটি কেনার সময় দেখবেন এটি ‘মাল্টিপারপাস ডিটারজেন্ট’ কিনা। সেই ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচলে দাগ ওঠে অন্যদিকে পোশাকেরও ক্ষতি হয় না।

dress-clean-newsasia24

২) অনেকের ধারনা ডিটারজেন্ট বেশী পরিমানে ব্যবহার করলেই জামা বেশী পরিষ্কার হবে। এ ধারণা ভুল। বরং এতে পোশাকের ক্ষতি হতে পারে। তাই জামাকাপড় কাঁচার সময়ে পরিমিত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:

৩) জিনস, টি-শার্টের রং খুব অল্পতেই মলিন হয়ে যায়। তাই সেগুলো কাচার সময় পোশাকটি উল্ট করে নিন। ফলে কাপড় এবং এর কালার ‍দুটোই ভালো থাকবে।

৪) ওয়াশিং মেশিনে ভেজা কাপড় দেয়ার আগে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। এতে কাপড়ের মান ভালো থাকবে।

৫) ওয়াশিং মেশিনে একসাথে অধিক পরিমানে কাপড় দেবেন না। যন্ত্র হলেও একসাথে অনেক পোশাক কাঁচলে তা ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না।